সূরা হুদ এর তাফসীর

সূরা হুদ এর তাফসীর

সূরা হুদ এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> >> সুরা হুদ আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

সূরা হুদ এর তাফসীর

৬৫/১১/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৬৫/১১/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ এবং তাহাঁর আরশ ছিল পানির ওপরে। (সুরা হূদ ১১/৭)
৬৫/১১/৩.অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ মাদইয়ানবাসীদের কাছে তাদের ভ্রাতা শুআয়ব (আঃ)-কে পাঠালাম। (সুরা হূদ ১১/৮৪)
৬৫/১১/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
৬৫/১১/৬.অধ্যায়ঃ

৬৫/১১/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

সুরা (১১) : হূদ

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : عَصِيْبٌ : شَدِيْدٌ. {لَاجَرَمَ} : بَلَى. وَقَالَ غَيْرُهُ {وَحَاقَ} نَزَلَ يَحِيْقُ يَنْزِلُ {يَئُوْسٌ} فَعُوْلٌ مِنْ يَئِسْتُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {تَبْتَئِسْ} تَحْزَنْ {يَثْنُوْنَصُدُوْرَهُمْ} شَكٌّ وَافْتِرَاءٌ فِي الْحَقِّ لِيَسْتَخْفُوْا مِنْهُ مِنْ اللهِ إِنْ اسْتَطَاعُوْا. وَقَالَ أَبُوْ مَيْسَرَةَ {الأَوَّاهُ} الرَّحِيْمُ بِالْحَبَشِيَّةِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {بَادِئَالرَّأْيِ} مَا ظَهَرَ لَنَا وَقَالَ مُجَاهِدٌ {الْجُوْدِيُّ} جَبَلٌ بِالْجَزِيْرَةِ وَقَالَ الْحَسَنُ {إِنَّكَ لَأَنْتَ الْحَلِيْمُ}يَسْتَهْزِئُوْنَ بِهِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {أَقْلِعِي} أَمْسِكِيْ عَصِيْبٌ شَدِيْدٌ لَا جَرَمَ بَلَى {وَفَارَالتَّنُّوْرُ} نَبَعَ الْمَاءُ وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَجْهُ الْأَرْض.

আবু মাইসারা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, الْأَوَّاهُ হাবশী ভাষায় দয়ালু। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, بَادِئَالرَّأْيِ-যা আমাদের সামনে স্পষ্ট। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, الْجُوْدِيُّ-জাযিয়ার একটি পর্বত। হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, إِنَّكَ لَأَنْتَ الْحَلِيْمُ-আপনি অতি সহনশীল। এর দ্বারা তারা ঠাট্টা করত। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, أَقْلِعِي-থেমে যাও। عَصِيْبٌ-কঠিন। لَا جَرَمَ-অবশ্যই। فَارَ التَّنُّوْرُ-পানি উথলে উঠল। ইকরামাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, تَّنُّوْرُ ভূ-পৃষ্ঠকে বুঝানো হয়েছে।

{أَلا إِنَّهُمْ يَثْنُوْنَ صُدُوْرَهُمْ لِيَسْتَخْفُوْا مِنْهُ أَلا حِيْنَ يَسْتَغْشُوْنَ ثِيَابَهُمْ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّوْنَ وَمَا يُعْلِنُوْنَ إِنَّهُ عَلِيْمٌ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ}

জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা তাদের বক্ষকে কুঞ্চিত করে যাতে আল্লাহর কাছে গোপন রাখতে পারে। স্মরণ রাখ, তারা যখন নিজেদেরকে কাপড়ে আচ্ছাদিত করে, তখন তারা যা গোপন করে ও প্রকাশ করে আল্লাহ তা জানেন। অন্তরে যা কিছু আছে তিনি তা সবিশেষ অবহিত। (সুরা হূদ ১১/৫)

وَقَالَ غَيْرُهُ وَحَاقَ نَزَلَ يَحِيْقُ يَنْزِلُ يَئُوْسٌ فَعُوْلٌ مِنْ يَئِسْتُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ تَبْتَئِسْ تَحْزَنْ يَثْنُوْنَ صُدُوْرَهُمْ شَكٌّ وَامْتِرَاءٌ فِي الْحَقِّ لِيَسْتَخْفُوْا مِنْهُ مِنْ اللهِ إِنْ اسْتَطَاعُوْا

অন্যজন বলেন, حَاقَ-অবতীর্ণ হল। يَحِيْقُ-অবতীর্ণ হয়। فَعُوْلٌ-يَئُوْسٌ -এর ওযন يَئِسْتُ থেকে (নিরাশ হওয়ার অর্থে)। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, تَبْتَئِسْ-দুঃখ করা।يَثْنُوْنَ صُدُوْرَهُمْ-হাকের মধ্যে সন্দেহ করা। لِيَسْتَخْفُوْا مِنْهُ-আল্লাহ থেকে, গোপন রাখে যদি তারা সক্ষম হয়।

৪৬৮১

الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَبَّاحٍ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقْرَأُ{أَلَآ إِنَّهُمْ تَثْنَوْنِيْ صُدُوْرُهُمْ} قَالَ سَأَلْتُهُ عَنْهَا فَقَالَ أُنَاسٌ كَانُوْا يَسْتَحْيُوْنَ أَنْ يَتَخَلَّوْا فَيُفْضُوْا إِلَى السَّمَاءِ وَأَنْ يُجَامِعُوْا نِسَاءَهُمْ فَيُفْضُوْا إِلَى السَّمَاءِ فَنَزَلَ ذَلِكَ فِيْهِمْ

মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ ইবনু জাফর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু আব্বাস (রাদি.)-কে এমনিভাবে পড়তে শুনেছেন, أَلاَ إِنَّهُمْ تَثْنَوْنِي صُدُورُهُمْ মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ বলেন, আমি তাঁকে এর অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলিলেন, কিছু লোক উন্মুক্ত আকাশের দিকে নগ্ন হওয়ার ভয়ে পেশাব-পায়খানা অথবা স্ত্রী সহবাস করিতে লজ্জা করিতে লাগল। তখন তাদের ব্যাপারে এ আয়াত নাযিল হয়। [৪৬৮২, ৪৬৮৩] (আ.প্র. ৪৩২০, ই.ফা. ৪৩২১)

৪৬৮২

মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ ইবনু জাফর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাদি.) أَلاَ إِنَّهُمْ تَثْنَوْنِي صُدُورُهُمْ পাঠ করিলেন। আমি বললাম, যে আবুল আব্বাস تَثْنَوْنِي صُدُورُهُمْ দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? তিনি বলিলেন, কতক লোক স্বীয় স্ত্রী সহবাসের সময় অথবা পেশাব-পায়খানার সময় (নগ্ন হইতে) লজ্জাবোধ করত, তখন أَلاَ إِنَّهُمْ تَثْنَوْنِي صُدُورُهُمْ আয়াত নাযিল হয়। [৪৬৮১] (আ.প্র. ৪৩২১, ই.ফা. ৪৩২২)

৪৬৮৩

আমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাদি.) এ আয়াত এভাবে পাঠ করিলেন, إِنَّهُمْ يَثْنُونَ صُدُورَهُمْ ….. حِينَ يَسْتَغْشُونَ ثِيَابَهُمْ আমর ব্যতীত অন্যরা ইবনু আব্বাস (রাদি.) থেকে বর্ণনা করেন يَسْتَغْشُونَ তারা তাদের মস্তক আবৃত করত। سِيءَ بِهِمْতাহাঁর সম্প্রদায় সম্পর্কে খারাপ ধারণা রাখত এবং وَضَاقَ অর্থাৎ নিজ অতিথিকে দেখে শঙ্কিত হলেন। بِقِطْعٍ مِنْ اللَّيْلِরাতের আঁধারে। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, أُنِيبُআমি তাহাঁরই অভিমুখী। [৪৬৮১] (আ.প্র. ৪৩২২, ই.ফা. ৪৩২৩)

৬৫/১১/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ এবং তাহাঁর আরশ ছিল পানির ওপরে। (সুরা হূদ ১১/৭)

৪৬৮৪

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, তুমি খরচ কর। আমি তোমার উপর খরচ করব এবং [রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)] বলিলেন, আল্লাহ তাআলার হাত পরিপূর্ণ। রাতদিন অনবরত খরচেও তা কমবে না। তিনি বলেন, তোমরা কি দেখ না, যখন থেকে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করিয়াছেন, তখন থেকে কী পরিমাণ খরচ করিয়াছেন? কিন্তু এত খরচ করার পরও তাহাঁর হাতের সম্পদ কমে যায়নি। আর আল্লাহ তাআলার আরশ পানির উপর ছিল। তাহাঁর হাতেই রয়েছে দাঁড়িপাল্লা। তিনি নিচু করেন, তিনি উপরে তোলেন। اعْتَرَاكَ افْتَعَلَتَ-এর বাব থেকে। عَرَوْتُهُ-এ অর্থে বলা হয়, তাকে পেয়েছি। তা থেকে يَعْرُوهُ (তার উপর ঘটেছে) ও اعْتَرَانِي (আমার উপর ঘটেছে) ব্যবহার হয়। آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا অর্থাৎ তাহাঁর রাজত্ব এবং عَنِيدٌ-عَنُودٌ-عَانِدٌ সবগুলোর একই অর্থ স্বেচ্ছাচারী।

ওটি দাম্ভিকতা অর্থের প্রতি জোর দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। اسْتَعْمَرَكُمْতোমাদের বসতি দান করিলেন। আরবগণ বলত أَعْمَرْتُهُ الدَّارَ فَهِيَ عُمْرَىআমি এ ঘর তাকে জীবন ধারণের জন্য দিলাম। نَكِرَهُمْ وَأَنْكَرَهُمْ এবং اسْتَنْكَرَهُمْ সবগুলো একই অর্থে ব্যবহৃত। فَعِيلٌ-مَجِبْدٌ-حَمِيدٌ-مَجِيدٌ-এর ওযনে مَاجِدٌ (মর্যাদা সম্পন্ন) থেকে حَمِيدٌ (প্রশংসিত) এর অর্থে مَحْمُوْدٌ থেকে سِجِّيلٌঅতি কঠিন বা শক্ত। سِجِّيلٌ এবং سِجِّينٌ উভয় রূপেই ব্যবহৃত হয়। لاَمُ এবং نُوْنٌ যেন দুই বোন। তামীম ইবনু মুকবেল বলেন, “বহু পদাতিক বাহিনী মধ্যাহ্নে স্কন্ধে শুভ্র ধারালো তলোয়ার দ্বারা আঘাত হানে। কঠিন প্রস্তর দ্বারা তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিপক্ষের বীর পুরুষগণ পরস্পরকে ওসীয়ত করে থাকে।” [৫৩৫২, ৭৪১১, ৭৪১৯, ৭৪৯৬] (আ.প্র. ৪৩২৩, ই.ফা. ৪৩২৪)

৬৫/১১/৩.অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ মাদইয়ানবাসীদের কাছে তাদের ভ্রাতা শুআয়ব (আঃ)-কে পাঠালাম। (সুরা হূদ ১১/৮৪)

৬৫/১১/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ

সাক্ষীরা বলবেঃ এরাই ঐসব লোক যারা তাদের রবের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। জেনে রাখ, যালিমদের উপর আল্লাহর লানাত। (সুরা হূদ ১১/১৮)

وَاحِدُهُ شَاهِدٌ مِثْلُ صَاحِبٍ وَأَصْحَابٍ

أَشْهَادُ-এর একবচন হল, شَاهِدٌ যেমন, أَصْحَابٌ -এর এক বচন صَاحِبٌ।

৪৬৮৫

সফওয়ান ইবনু মুহ্রিয (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ইবনু উমার (রাদি.) তাওয়াফ করছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তি তার সম্মুখে এসে বলিল, হে আবু আবদুর রহমান অথবা বলিল, হে ইবনু উমার (রাদি.)! আপনি কি নাবী (সাঃআঃ) থেকে (ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা এবং মুমিনদের মধ্যকার) গোপন আলোচনা সম্পর্কে কিছু শুনেছেন? তিনি বলিলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, (ক্বিয়ামাতের দিন) মুমিনকে তাহাঁর নৈকট্য দান করা হইবে। হিশাম বলেন, মুমিন নিকটবর্তী হইবে, এমনকি আল্লাহ তাআলা তাকে স্বীয় পর্দায় ঢেকে নেবেন এবং তার নিকট হইতে তার গুনাহসমূহের স্বীকারোক্তি নেবেন। (আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন) অমুক গুনাহ সম্পর্কে তুমি জান কি? বান্দা বলবে, হে আমার রব! আমি জানি, আমি জানি। এভাবে দুবার বলবে। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি দুনিয়ায় তোমার পাপ গোপন রেখেছিলাম। আর আজ তোমার সে পাপ ক্ষমা করে দিচ্ছি। তারপর তার নেক আমালনামা গুটিয়ে নেয়া হইবে।

আর অন্যদলকে অথবা (রাবী বলেছেন) কাফিরদের সকলের সামনে ডেকে বলা হইবে, এরাই সে লোক যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিল এবং শায়বান حَدَّثَنَا قَتَادَةُ-এর পরিবর্তে قَتَادَةُ عَنْ এবং عَنْ صَفْوَانُ -এর পরিবর্তে حَدَّثَنَا صَفْوَانُ বর্ণনা করিয়াছেন। [২৪৪১] (আ.প্র. ৪৩২৪, ই.ফা. ৪৩২৫)

৬৫/১১/৫

আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর এরূপই বটে আপনার রবের পাকড়াও, যখন তিনি কোন জনপদবাসীকে পাকড়াও করেন তাদের যুলমর দরুন। নিঃসন্দেহে তাহাঁর পাকড়াও বড় যন্ত্রণাদায়ক, অত্যন্ত কঠিন। (সুরা হূদ ১১/১০২)

{الرِّفْدُ الْمَرْفُوْدُ} الْعَوْنُ الْمُعِيْنُ رَفَدْتُهُ أَعَنْتُهُ {تَرْكَنُوْا} تَمِيْلُوْا {فَلَوْلَاكَانَ} فَهَلَّا كَانَ {أُتْرِفُوْا} أُهْلِكُوْا وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {زَفِيْرٌوَشَهِيْقٌ} شَدِيْدٌ وَصَوْتٌ ضَعِيْفٌ.

الرِّفْدُ الْمَرْفُوْدُ অর্থাৎ সাহায্য, যে সাহায্য করা হয় (বলা হয়) رَفَدْتُهُ-আমি তাকে সাহায্য করলাম। تَرْكَنُوْا-ঝুঁকে পড়। فَلَوْلَا كَانَ-কেন হয়নি। أُتْرِفُوْا-তাদের ধ্বংস করে দেয়া হল। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, زَفِيْرٌ وَشَهِيْقٌ-বিকট শব্দ এবং ক্ষীণ শব্দ।

৪৬৮৬

صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا أَبُوْ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ لَيُمْلِيْ لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ قَالَ ثُمَّ قَرَأَ {وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيْمٌ شَدِيْدٌ}.

আবু মূসা আশআরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যালিমদের ঢিল দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন তাকে ধরেন, তখন আর ছাড়েন না। (বর্ণনাকারী বলেন) এরপর তিনি [নাবী (সাঃআঃ)] এ আয়াত পাঠ করেন “আর এরকমই বটে আপনার রবের পাকড়াও, যখন তিনি কোন জনপদবাসীকে পাকড়াও করেন তাদের যুল্মের দরুন। নিঃসন্দেহে তাহাঁর পাকড়াও বড় যন্ত্রণাদায়ক, অত্যন্ত কঠিন” (সুরা হূদ ১১/১০২)। (আ.প্র. ৪৩২৫, ই.ফা. ৪৩২৬)

৬৫/১১/৬.অধ্যায়ঃ

আল্লাহ তাআলার বাণীঃ

{وَأَقِمْ الصَّلَاةَ طَرَفَيْ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنْ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِيْنَ}

সলাত কায়িম করিবে দিনের দু প্রান্তে এবং রাতের প্রথমভাগে। নেক কাজ অবশ্যই মিটিয়ে দেয় বদ কাজ। যারা নাসীহাত গ্রহণ করে তাদের জন্য এটি এক নাসীহাত। (সুরা হূদ ১১/১১৪)

{وَزُلَفًا} سَاعَاتٍ بَعْدَ سَاعَاتٍ وَمِنْهُ سُمِّيَتْ الْمُزْدَلِفَةُ الزُّلَفُ مَنْزِلَةٌ بَعْدَ مَنْزِلَةٍ وَأَمَّا زُلْفَى فَمَصْدَرٌ مِنَ الْقُرْبَى ازْدَلَفُوا اجْتَمَعُوْا أَزْلَفْنَا جَمَعْنَا.

زُلَفًا-সময়ের পর সময় এবং এসব থেকেই مُزْدَلِفَةُ-এর নামকরণ করা হয়েছে। মনযিলের পর মনযিল এবং زُلْفَى মাসদার অর্থ নিকটবর্তী হওয়া। ازْدَلَفُوْا-একত্রিত হয়েছে। أَزْلَفْنَا আমরা একত্রিত হয়েছি।

৪৬৮৭

ইবনু মাসঊদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুমু দিলেন। তারপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর কাছে এসে এ ঘটনা বলিলেন, তখন (এ ঘটনা উপলক্ষে) এ আয়াত নাযিল হয়। وَأَقِمْ الصَّلاَةَ طَرَفَيْ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنْ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ“সলাত কায়িম করিবে দিনের দু প্রান্তে এবং রাতের প্রথমভাগে । পুণ্য অবশ্যই মুছে ফেলে বদ কাজ। যারা নাসীহাত গ্রহণ করে তাদের জন্য এটি এক নাসীহাত” (সুরা হূদ ১১/১১৪)। তখন সে লোকটি বলিল, এ নির্দেশ কি কেবল আমার জন্য? রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, আমার উম্মাতের যেই এর আমাল করিবে তার জন্য। [৫২৬] (আ.প্র. ৪৩২৬, ই.ফা. ৪৩২৭)

[১] দিবসের প্রথমভাগে ফাজ্র সলাত, দ্বিতীয়ভাগে যুহ্র ও আসরের সলাত এবং রাতের প্রথমভাগে মাগরিব ও ইশার সলাত।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply