যাতুস সালাসিল যুদ্ধ
যাতুস সালাসিল যুদ্ধ >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬৪, মাগাযী, অধ্যায়ঃ (৬৪-৬৫) =২টি
৬৪/৬৪. অধ্যায়ঃ যাতুস সালাসিল যুদ্ধ
৬৪/৬৫. অধ্যায়ঃ জারীর (রাদি.)- এর ইয়ামান গমন
৬৪/৬৪. অধ্যায়ঃ যাতুস সালাসিল যুদ্ধ
ইসমাঈল ইবনু আবু খালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- এর মতে, এটি লাখম ও জুযাম গোত্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধ।
ইবনু ইসহাক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ইয়াযীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- এর মাধ্যমে উরওয়াহ (রাদি.) থেকে বর্ণনা করেন যে, যাতুস সালাসিল হল বালী, উযরা এবং বনিল কাইন গোত্রসমূহের নির্মিত নগর।
৪৩৫৮
আবু উসমান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমর ইবনুল আস (রাদি.)- কে (সেনাপতি হিসেবে) যাতুস্ সালাসিল [৮০] বাহিনীর বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। আমর ইবনুল আস বলেনঃ (যুদ্ধ শেষে) আমি নাবী (সাঃআঃ)- এর নিকট এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কাছে কোন লোকটি অধিকতর প্রিয়? তিনি উত্তর দিলেন, আয়েশাহ (রাদি.)। আমি বললাম, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বলিলেন, তার (আয়েশাহর) পিতা। আমি বললাম, তারপর কে? তিনি বলিলেন, উমার (রাদি.)। এভাবে তিনি পর পর আরো কয়েকজনের নাম বলিলেন। আমি চুপ হয়ে গেলাম এ ভয়ে যে, আমাকে না তিনি সকলের শেষে গণ্য করে বসেন। [৩৬৬২] (আ.প্র. ৪০১২, ই.ফা. ৪০১৬)
[৮০] অর্থাৎ শিকল যুদ্ধ। শিকল যুদ্ধ বলার কারণ হিসেবে জালালুদ্দীন সুয়ূতী কয়েকটি কারণ উল্লেখ করিয়াছেন। অষ্টম হিজরীর জুমাদাল আখির মাসে সংঘটিত এ যুদ্ধে বিপক্ষ দলের সৈন্যরা জীবনপণ যুদ্ধ করার জন্য এবং যাতে কেউ যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করিতে না পারে সে জন্য পরস্পর পরস্পরকে শিকল দিয়ে সংযুক্ত করে রেখেছিল।
৬৪/৬৫. অধ্যায়ঃ জারীর (রাদি.)- এর ইয়ামান গমন
৪৩৫৯
জারীর (রা.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইয়ামানে ছিলাম। এ সময়ে একদা যুকালা ও যুআমর নামে ইয়ামানের দুব্যক্তির সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হল। আমি তাদেরকে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)- এর হাদীস শোনাতে লাগলাম। (বর্ণনাকারী বলেন) এমন সময়ে যুআমর জারীর (রাদি.)- কে বলিলেন, তুমি যা বর্ণনা করছ তা যদি তোমার সাথীরই [নাবী (সাঃআঃ)- এর] কথা হয়ে থাকে তা হলে জেনে নাও যে, তিনদিন আগে তিনি ইন্তিকাল করে গেছেন। [৮১] (জারীর বলেন, এ কথা শুনে আমি মদীনার দিকে ছুটলাম) তারা দুজনেও আমার সঙ্গে সম্মুখের দিকে চললেন। অতঃপর আমরা একটি রাস্তার ধারে পৌঁছলে মদীনার দিক থেকে আসা একদল সওয়ারীর সাক্ষাৎ পেলাম। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলিল, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)- এর ওফাত হয়ে গেছে। মুসলিমদের পরামর্শক্রমে আবু বাক্র (রাদি.) খলীফা নির্বাচিত হয়েছেন। তারপর তারা দুজন (আমাকে) বলিল, (মদিনায়) তোমার সাথী [আবু বাক্র (রাদি.)]- কে বলবে যে, আমরা কিছুদূর পর্যন্ত এসেছিলাম। সম্ভবত আবার আসব ইনশাআল্লাহ, এ কথা বলে তারা দুজনে ইয়ামানের দিকে ফিরে গেল। এরপর আমি আবু বাক্র (রাদি.)- কে তাদের কথা জানালাম। তিনি বলিলেন, তাদেরকে তুমি নিয়ে আসলে না কেন? পরে আরেক সময় যুআমর আমাকে বলিলেন, হে জারীর! তুমি আমার চেয়ে অধিক সম্মানী। তবুও আমি তোমাকে একটা কথা জানিয়ে দিচ্ছি যে, তোমরা আরব জাতি ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা একজন আমীর মারা গেলে অপরজনকে (পরামর্শের ভিত্তিতে) আমীর বানিয়ে নেবে। আর তা যদি তরবারির জোরে ফায়সালা হয় তা হলে তোমাদের আমীরগণ রাজা বাদশাহর মতোই হয়ে যাবে। তারা রাজাদের রাগ করার মতই রাগ করিবে। রাজাদের খুশি হওয়ার মতই খুশি হইবে। (আ.প্র. ৪০১৩, ই.ফা. ৪০১৭)
[৮১] যুআমর সম্ভবত কারো মুখে পূর্বেই অবগত হয়েছিলেন অথবা এও হইতে পারে যে, তিনি জাহেলী যুগে জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন এবং সেই জ্ঞানের ভিত্তিতে এ কথা বলেছিলেন। আল্লহই ভাল জানেন।
Leave a Reply