জুহাইনাহ গোত্রের শাখা হুরুকাত উপগোত্রের বিরুদ্ধে নাবী
জুহাইনাহ গোত্রের শাখা হুরুকাত উপগোত্রের বিরুদ্ধে নাবী >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬৪, মাগাযী, অধ্যায়ঃ ৪৬
৬৪/৪৬. অধ্যায়ঃ জুহাইনাহ গোত্রের শাখা হুরুকাত [৬৫] উপগোত্রের বিরুদ্ধে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক ইবনু যায়িদ (রাদি.)-কে প্রেরণের বর্ণনা
[৬৫] আরবীতে হুরকাতুন শব্দের অর্থ আগুনে পোড়ানো। তারা একটি গোত্রকে নৃশংশভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তাই এই উপগোত্রটি হুরকাহ নামে প্রসিদ্ধ ছিল।
৪২৬৯
উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাদেরকে হুরকা গোত্রের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। আমরা প্রত্যুষে গোত্রটির উপর আক্রমণ করি এবং তাদেরকে পরাজিত করি। এ সময়ে আনসারদের এক ব্যক্তি ও আমি তাদের (হুরকাদের) একজনের পিছু ধাওয়া করলাম। আমরা যখন তাকে ঘিরে ফেললাম তখন সে বলে উঠল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। এ বাক্য শুনে আনসারী তার অস্ত্র সামনে নিলেন। কিন্তু আমি তাকে আমার বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে ফেললাম। আমরা মদিনায় ফিরার পর এ সংবাদ নাবী (সাঃআঃ) পর্যন্ত পৌঁছালে তিনি বলিলেন, হে উসামাহ! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরেও তুমি তাকে হত্যা করেছ? আমি বললাম, সে তো জান বাঁচানোর জন্য কালিমা পড়েছিল। এর পরেও তিনি এ কথাটি হে উসামাহ! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরেও তুমি তাকে হত্যা করেছ বারবার বলিতে থাকলেন। এতে আমার মন চাছিল যে, হায়, যদি সেই দিনটির পূর্বে আমি ইসলামই গ্রহণ না করতাম! [৬৬] [৬৮৭২; মুসলিম ১/৪১, হাদীস ৯৬, আহমাদ ২১৮০৪] (আ.প্র. ৩৯৩৬, ই.ফা. ৩৯৪০)
[৬৬] লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠকারী ব্যক্তিকেও হত্যা করার ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অত্যন্ত ব্যথিত হন। তাই উসামা (রাদি.) চরম অনুতপ্ত হয়ে এ কথা বলেছিলেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, ঐদিনের পর ইসলাম গ্রহণ করলে এত বড় কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হইতে হতো না আর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও এত কষ্ট পেতেন না।
৪২৭০
সালামাহ ইবনু আকওয়া (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আর তিনি (সাঃআঃ) যেসব অভিযান প্রেরণ করিয়াছেন তন্মধ্যে নয়টি অভিযানে আমি অংশ নিয়েছি। এসব অভিযানে একবার আবু বকর (রাদি.) আমাদের অধিনায়ক থাকতেন, আরেকবার উসামাহ (রাদি.) আমাদের অধিনায়ক থাকতেন। [৪২৭১-৪২৭৩] (আ.প্র. ৩৯৩৭, ই.ফা. ৩৯৪১)
৪২৭১
উমার ইবনু হাফ্স ইবনু গিয়াস (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাহাঁর পিতা হাফস্ হইতে বর্ণিতঃ
ইয়াযীদ ইবনু আবী উবাইদাহ (রাদি.)-এর মাধ্যমে সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাদি.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আর তিনি যেসব সেনাভিযান পাঠিয়েছিলেন এর নয়টি সেনাভিযানে অংশ নিয়েছি। এ সব সেনাভিযানে একবার আবু বকর (রাদি.) আমাদের অধিনায়ক থাকতেন। আরেকবার উসামাহ (রাদি.) আমাদের অধিনায়ক থাকতেন। [৪২৭০; মুসলিম ৩২/৪৯, হাদীস ১৮১৫] (আ.প্র. ৩৯৩৭, ই.ফা.৩৯৪১)
৪২৭২
সালামাহ ইবনু আকওয়া (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং যায়দ ইবনু হারিসাহ (রাদি.)-এর সঙ্গেও যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে (যায়দকে) আমাদের সেনাধ্যক্ষ নিয়োগ করেছিলেন। [৪২৭০] (আ.প্র. ৩৯৩৮, ই.ফা. ৩৯৪২)
৪২৭৩
সালামাহ ইবনু আকওয়া (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। এতে তিনি খাইবার, হুদাইবিয়াহ, হুনায়ন ও যি-কারাদের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। বর্ণনাকারী ইয়াযীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, অবশিষ্ট যুদ্ধগুলোর নাম আমি ভুলে গেছি। [৪২৭০] (আ.প্র. ৩৯৩৯, ই.ফা. ৩৯৪৩)
Leave a Reply