হাসান ও হুসাইন (রাদি.)-এর মর্যাদা।
হাসান ও হুসাইন (রাদি.)-এর মর্যাদা। >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
৬২/২২. অধ্যায়ঃ হাসান ও হুসাইন (রাদি.)-এর মর্যাদা।
নাফি ইবনু জুবাইর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণনা করেন যে, নাবী (সাঃআঃ) হাসান (রাদি.)-কে আলিঙ্গন করিয়াছেন।
৩৭৪৬
আবু বকর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে মিম্বরের উপর বলিতে শুনিয়াছি, ঐ সময় হাসান (রাদি.) তাহাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রাদি.)-এর দিকে তাকালেন এবং বলিলেন, আমার এ সন্তান হচ্ছে নেতা। আল্লাহ তাআলা তাহাঁর মাধ্যমে বিবাদমান দুদল মুসলমানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দিবেন।
(আঃপ্রঃ ৩৪৬৩, ইঃফাঃ ৩৪৭১)
৩৭৪৭
উসামা ইবনু যায়দ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে এবং হাসান (রাদি.)-কে এক সঙ্গে কোলে তুলে নিয়ে বলিতেন, হে আল্লাহ! আমি এদের দুজনকে ভালবাসি, আপনিও এদেরকে ভালবাসুন।
(আঃপ্রঃ ৩৪৬৪, ইঃফাঃ ৩৪৭২)
৩৭৪৮
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদের সামনে হুসাইন (রাদি.)-এর মস্তক আনা হল এবং একটি বড় পাত্রে তা রাখা হল। তখন ইবনু যিয়াদ তা খুঁচাতে লাগল এবং তাহাঁর রূপ লাবণ্য সম্পর্কে কটূক্তি করিল। আনাস (রাদি.) বলিলেন, হুসাইন (রাদি.) গঠন ও আকৃতিতে নাবী (সাঃআঃ)-এর অবয়বের সবচেয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন। তাহাঁর চুল ও দাড়িতে ওয়াসমা দ্বারা কলপ লাগানো ছিল।
(আঃপ্রঃ ৩৪৬৫, ইঃফাঃ ৩৪৭৩)
৩৭৪৯
বারা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হাসানকে নাবী (সাঃআঃ)-এর স্কন্ধের উপর দেখেছি। সে সময় তিনি [রাসুল (সাঃআঃ)] বলেছিলেন, হে আল্লাহ! আমি একে ভালবাসি, তুমিও তাকে ভালবাস।
(আঃপ্রঃ ৩৪৬৬, ইঃফাঃ ৩৪৭৪)
৩৭৫০
উকবাহ ইবনু হারিস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু বকর (রাদি.)-কে দেখলাম, তিনি হাসান (রাদি.)-কে কোলে তুললেন এবং বলিতে লাগলেন, এ-ত নাবী (সাঃআঃ)-এর সদৃশ, আলীর সদৃশ নয়। তখন আলী (রাদি.) হাসছিলেন।
(আঃপ্রঃ ৩৪৬৭, ইঃফাঃ ৩৪৭৫)
৩৭৫১
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু বকর (রাদি.) বলিলেন, মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর সন্তুষ্টি তাহাঁর পরিবারবর্গের (প্রতি সদাচরণের) মাধ্যমে অর্জন কর।
(আঃপ্রঃ ৩৪৬৮, ইঃফাঃ ৩৪৭৬)
৩৭৫২
আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর পরিবারে হাসান ইবনু আলী (রাদি.)-এর চেয়ে নাবী (সাঃআঃ)-এর সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিলেন না। আবদুর রায্যাক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)…আনাস (রাদি.) হইতে একইভাবে বর্ণিত।
(আঃপ্রঃ ৩৪৬৯, ইঃফাঃ ৩৪৭৭)
৩৭৫৩
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তাকে ইরাকের এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করিল, ইহরামের অবস্থায় মশা-মাছি মারা যাবে কি? তিনি বলিলেন, ইরাকবাসী মশা-মাছি মারা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে অথচ তারা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নাতিকে হত্যা করেছে। নাবী (সাঃআঃ) বলিতেন, হাসান ও হুসাইন (রাদি.) আমার নিকট দুনিয়ায় যেন দুটি ফুল।
(আঃপ্রঃ ৩৪৭০, ইঃফাঃ ৩৪৭৮)
Leave a Reply