যুবায়র ইবনু আওয়াম (রাদি.) এর মর্যাদা।
যুবায়র ইবনু আওয়াম (রাদি.) এর মর্যাদা। >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬২, সাহাবিগণের মর্যাদা, অধ্যায়ঃ ১৩=১টি
৬২/১৩. অধ্যায়ঃ যুবায়র ইবনু আওয়াম (রাদি.) এর মর্যাদা।
ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, তিনি নাবী (সাঃআঃ)-এর হাওয়ারী ছিলেন। কাপড় সাদা হবার কারণে হাওয়ারীদের এ নাম হয়েছে।
৩৭১৭
মারওয়ান ইবনু হাকাম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ওসমান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) কঠিন নাকের পীড়ায় আক্রান্ত হলেন যে সনকে নাকের পীড়ার সন বলা হয়। এ কারণে তিনি ঐ বছর হাজ্জ পালন করিতে পারলেন না এবং ওয়াসিয়াত করিলেন। ঐ সময় কুরাইশের এক লোক তাহাঁর কাছে এসে বলিল, আপনি কাউকে আপনার খালীফা মনোনীত করুন। ওসমান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) জিজ্ঞেস করিলেন, জনগণ কি এ কথা বলেছে? সে বললো, হাঁ, ওসমান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলিলেন, বলতো কাকে? রাবী বলেন তখন সে ব্যক্তি চুপ হয়ে গেল। অতঃপর অপর এক লোক আসল, (রাবী বলেন) আমার ধারণা সে হারিস (ইবনু হাকাম মারওয়ানের ভাই) ছিল। সেও বলিল, আপনি খালিফা মনোনীত করুন। ওসমান (রাদি.) জিজ্ঞেস করিলেন, জনগণ কি চায়? সে বলিল, হাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন কাকে? রাবী বলেন সে চুপ হয়ে গেল। ওসমান (রাদি.) বলিলেন, সম্ভবতঃ তারা যুবায়র (রাদি.) এর নাম প্রস্তাব করিয়াছেন। সে বলিল, হাঁ। ওসমান (রাদি.) বলিলেন, ঐ সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমার জানা মতে তিনিই সব চেয়ে উত্তম ব্যক্তি এবং নাবী (সাঃআঃ)-এর সব চেয়ে প্রিয় পাত্র ছিলেন।
(আঃপ্রঃ ৩৪৪০, ইঃফাঃ ৩৪৪৭)
৩৭১৮
মারওয়ান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ওসমান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর নিকট হাজির ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলিল, আপনি খলীফা মনোনীত করুন। তিনি বলিলেন, তা কি বলাবলি হচ্ছে? সে বলিল, হাঁ, তিনি হলেন যুবায়র (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)। এই শুনে তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম তোমরা নিশ্চয়ই জান যে যুবায়র (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তোমাদের মধ্যে সব চেয়ে উত্তম ব্যক্তি। এ কথাটি তিনি তিন বার বলিলেন।
(আঃপ্রঃ ৩৪৪১, ইঃফাঃ ৩৪৪৮)
৩৭১৯
জাবির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, প্রত্যেক নাবীরই হাওয়ারী ছিলেন। আর আমার হাওয়ারী হলেন যুবায়র (রাদি.)।
৩৭২০
আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধ চলা কালে আমি এবং উমার ইবনু আবু সালামাহ (অল্প বয়সি বলে) মহিলাদের দলে চলছিলাম। হঠাৎ যুবায়রকে দেখিতে পেলাম যে, তিনি অশ্বারোহণ করে বনী কুরায়যা গোত্রের দিকে দুবার অথবা তিনবার আসা যাওয়া করছেন। যখন ফিরে আসলাম তখন বললাম, আব্বা! আমি আপনাকে কয়েকবার যাতায়াত করিতে দেখেছি। তিনি বলিলেন, হে প্রিয় বৎস! তুমি কি আমাকে দেখিতে পেয়েছিলে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছিলেন, কে বনী কুরায়যা গোত্রের নিকট গিয়ে তাদের খবরা-খবর জেনে আসবে? তখন আমিই গিয়েছিলাম। যখন আমি ফিরে আসলাম তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমার জন্য তাহাঁর মাতা-পিতাকে একত্র করে বলিলেন, আমার মাতাপিতা তোমার জন্য কুরবান হোক।
(আঃপ্রঃ ৩৪৪৩, ইঃফাঃ ৩৪৫০)
৩৭২১
উরওয়াহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
ইয়ারমুক যুদ্ধে যোগদানকারী মুজাহিদগণ যুবায়রকে বলিলেন, আপনি কি আক্রমণ কঠোরতর করবেন না? তা হলে আমরাও আপনার সঙ্গে (সর্বশক্তি নিয়ে) আক্রমণ করব। এবার তিনি ভীষণভাবে আক্রমণ করিলেন। শক্ররা তাহাঁর স্কন্ধে দুটি আঘাত করিল। ক্ষতদ্বয়ের মধ্যে আরো একটি ক্ষতের দাগ ছিল যা বাদর যুদ্ধে হয়েছিল। উরওয়াহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আঘাতের জায়গাগুলোতে আঙ্গুল ঢুকিয়ে খেলা করতাম।
(আঃপ্রঃ ৩৪৪৪, ইঃফাঃ ৩৪৫১)
Leave a Reply