নিকটাত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা রাঃ বিনতে নাবী (সাঃআঃ)-এর মর্যাদা

নিকটাত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা রাঃ বিনতে নাবী (সাঃআঃ)-এর মর্যাদা।

নিকটাত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা রাঃ বিনতে নাবী (সাঃআঃ)-এর মর্যাদা। >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৬২, সাহাবিগণের মর্যাদা, অধ্যায়ঃ ১২=১টি

৬২/১২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকটাত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা রাঃ বিনতে নাবী (সাঃআঃ)-এর মর্যাদা।

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, ফাতিমা রাঃ জান্নাতী নারীগণের নেত্রী।

৩৭১১

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবু বকর (রাদি.)-এর নিকট ফাতিমা রাঃ নাবী (সাঃআঃ) হইতে তাহাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অংশ দাবী করিলেন যা আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিনাযুদ্ধে দান করেছিলেন, যা তিনি সদাকাহ স্বরূপ মাদীনাহ, ফাদাকে রেখে গিয়েছিলেন এবং খায়বারের এক-পঞ্চমাংশ হইতে যে অবশিষ্ট ছিল তাও।

(ইঃফাঃ ৩৪৪৩ প্রথমাংশ)

৩৭১২

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবু বকর (রাদি.) বলিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, আমাদের মালের কেউ ওয়ারিস হয় না। আমরা যা কিছু রেখে যাই তা সবই সদাকাহ। মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর পরিবারবর্গ এ মাল হইতে অর্থাৎ আল্লাহর মাল হইতে খেতে পারবে। তবে প্রয়োজনের বেশি নিতে পারবে না। আল্লাহর কসম, আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর পরিত্যক্ত মালে তাহাঁর যুগে যে নিয়ম ছিল তার পরিবর্তন করব না। আমি অবশ্যই তা করব যা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) করে গেছেন। অতঃপর আলী (রাদি.) শাহাদাত পাঠ করে বলিলেন, হে আবু বকর! আমরা আপনার মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞাত এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে তাঁদের যে আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তা এবং তাঁদের অধিকারের কথাও উল্লেখ করিলেন। আবু বকর (রাদি.) ও এ বিষয়ে উল্লেখ করে বলিলেন, আল্লাহর কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমার আত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ করার চেয়ে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর আত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা আমি অধিক পছন্দ করি।

(আঃপ্রঃ ৩৪৩৬, ইঃফাঃ ৩৪৪৩ শেষাংশ)

৩৭১৩

আবু বকর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর পরিবার-পরিজনের প্রতি তোমরা অধিক সম্মান প্রদর্শন করিবে।

(আঃপ্রঃ ৩৪৩৭, ইঃফাঃ ৩৪৪৪)

৩৭১৪

মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেন, ফাতিমা আমার টুকরা। যে তাকে দুঃখ দিবে, সে যেন আমাকে দুঃখ দিল।

(আঃপ্রঃ ৩৪৩৮, ইঃফাঃ ৩৪৪৫)

৩৭১৫

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) মৃত্যুর সময় রোগে আক্রান্ত হলে তাহাঁর কন্যা ফাতিমা রাঃ-কে ডেকে পাঠালেন। চুপিচুপি কি যেন তাঁকে বলিলেন, তিনি এতে কাঁদতে লাগলেন। অতঃপর তিনি তাঁকে ডেকে পুনরায় চুপিচুপি কি যেন বলিলেন, এবারে তিনি হাসতে লাগলেন। আমি তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম।

(ইঃফাঃ ৩৪৪৬ প্রথমাংশ)

৩৭১৬

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) আমাকে জানালেন যে, তিনি এ রোগে মারা যাবেন, এতে আমি ক্রন্দন করি। অতঃপর তিনি চুপেচুপে বলিলেন, আমি তাহাঁর পরিবারবর্গের মধ্যে সর্বপ্রথম তাহাঁর সঙ্গে মিলিত হব, তখন আমি হাসি।

(আঃপ্রঃ ৩৪৩৮, ইঃফাঃ ৩৪৪৬ শেষাংশ)

Comments

Leave a Reply