আসলাম, গিফার, মুযায়না, জুহায়না আশজা খুযাআহ ও কাহতান গোত্র
আসলাম, গিফার, মুযায়না, জুহায়না আশজা খুযাআহ ও কাহতান গোত্র >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬১, মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য, অধ্যায়ঃ (৬-১০)=৫টি
৬১/৬. অধ্যায়ঃ আসলাম, গিফার, মুযায়না, জুহায়না ও আশজা গোত্রের উল্লেখ।
৬১/৭. অধ্যায়ঃ কাহতান গোত্রের উল্লেখ।
৬১/৮. অধ্যায়ঃ জাহেলী যুগের মত সাহাস্য প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ
৬১/৯. অধ্যায়ঃ খুযাআহ গোত্রের কাহিনী।
৬১/১০. অধ্যায়ঃ আবু যর গিফারী (রাদি.) -এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা। [১]
৬১/৬. অধ্যায়ঃ আসলাম, গিফার, মুযায়না, জুহায়না ও আশজা গোত্রের উল্লেখ।
৩৫১২. আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন কুরাইশ, আনসার, জুহায়নাহ, মুযায়নাহ, আসলাম, গিফার এবং আশজা গোত্রগুলো আমার আপনজন। আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুল ছাড়া অন্য কেউ তাদের আপনজন নেই।
৩৫১৩. আবদুল্লাহ (ইব্ন উমর) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) মিম্বারে উপবিষ্ট অবস্থায় বলেন, গিফার গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে মাফ করুন, আসলাম গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে নিরাপত্তা দান করুন আর উসাইয়া গোত্র, তারা আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুল অবাধ্যতা করেছে।
৩৫১৪. আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, আসলাম গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে নিরাপত্তা দিন। গিফার গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে মাফ করুন।
৩৫১৫. আবু বাক্রাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেন, বলত জুহায়নাহ, মুযায়নাহ, আসলাম ও গিফার গোত্র যদি আল্লাহর নিকট বানূ তামীম, বানূ আসাদ, বানূ গাতফান ও বানূ আমের হইতে উত্তম বিবেচিত হয় তবে কেমন হইবে? তখন এক সহাবী বলিলেন, তবে তারা বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, তারা বানূ তামীম, বানূ আসাদ, বানূ আবদুল্লাহ ইবন গাত্ফান এবং বানূ আমের ইবন সাসাআহ হইতে উত্তম।
৩৫১৬. আবু বাকরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আকরা ইবন হাবিস নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট আরয করিলেন, আসলাম গোত্রের সুররাক হাজীজ, গিফার ও মুযায়না গোত্রদ্বয় আপনার নিকট বায়আত করেছে এবং (রাবী বলেন) আমার ধারণা জুহায়না গোত্রও। এ ব্যাপারে ইবন আবু ইয়াকুব সন্দেহ পোষণ করিয়াছেন। নাবী (সাঃআঃ) বলেন, তুমি কি জান, আসলাম, গিফার ও মুযায়নাহ গোত্রত্রয়, (রাবী বলেন) আমার মনে হয় তিনি জুহায়নাহ গোত্রের কথাও উল্লেখ করিয়াছেন যে বনূ তামীম, বনূ আমির, আসাদ ও গাতফান (গোত্রগুলো) যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত হয়েছে, তাদের তুলনায় পূর্বোক্ত গোত্রগুলো উত্তম। রাবী বলেন, হাঁ। নাবী (সাঃআঃ) বলেন, সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, পূর্বোক্তগুলো শেষোক্ত গোত্রগুলোর তুলনায় অবশ্যই অতি উত্তম। (৩৫১৫)
(আঃপ্রঃ ৩২৫৩, ইঃফাঃ ৩২৬৩)
————-
৩৫১৬ মীম. আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিত, নাবী বলেন, আসলাম, গিফার এবং মুযাইনাহ ও জুহানাহ গোত্রের কিছু অংশ অথবা জুহানাহও কিছু অংশ মুযায়নাহও কিছু অংশ আল্লাহর নিকট অথবা বলেছেন কিয়ামাতের দিন আসাদ, তামীম, হাওয়াযিন ও গাতাফান গোত্র অপেক্ষা উত্তম বলে বিবেচিত হইবে।
(আ.প্র. ৩২৫৪, ই.ফা. ৩২৬৪)
৬১/৭. অধ্যায়ঃ কাহতান গোত্রের উল্লেখ।
৩৫১৭. আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হইবে না যে পর্যন্ত কাহ্তান গোত্র হইতে এমন এক ব্যক্তির আগমন না হইবে যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করিবে।
৬১/৮. অধ্যায়ঃ জাহেলী যুগের মত সাহাস্য প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ
৩৫১৮. জাবির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) -এর পরিচালনায় যুদ্ধে শামিল ছিলাম। এ যুদ্ধে বহু মুহাজির সাহাবী যোগদান করেছিলেন। মুহাজিরদের মধ্যে একজন কৌতুক পুরুষ ছিলেন। তিনি কৌতুকবশতঃ একজন আনসারীকে আঘাত করিলেন। তাতে আনসারী সাহাবী অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন এবং উভয় গোত্রের সাহায্যের জন্য নিজ নিজ লোকদের আহবান জানালেন। আনসারী সহাবী বলিলেন, হে আনসারীগণ! মুহাজির সাহাবী বলিলেন, হে মুহাজিরগণ সাহায্যে এগিয়ে আস। নাবী (সাঃআঃ) এতদশ্রবণে বের হয়ে আসলেন এবং বলিলেন, জাহেলী যুগের ডাকাডাকি কেন? অতঃপর বলিলেন, তাদের ব্যাপার কী? তাঁকে ঘটনা জানানো হল। মুহাজির সাহাবী আনসারী সাহাবীর কোমরে আঘাত করেছে। রাবী বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, এ ধরনের হাঁকডাক ত্যাগ কর, এ অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালূল বলিল, তারা আমাদের বিরুদ্ধে ডাক দিয়েছে? আমরা যদি মদীনায় নিরাপদে ফিরে যাই তবে সম্মানিত ব্যক্তিগণ অবশ্যই বাহির করে দিবে অপদস্ত ব্যক্তিদেরকে। তখন উমর (রাদি.) বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কি এই খাবীসকে হত্যা করার অনুমতি দিবেন? নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, লোকজন বলাবলি করিবে, মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) তাহাঁর সাহাবীদেরকে হত্যা করে থাকে।
৩৫১৯. আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, ঐ ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয় যে গালে চপেটাঘাত করে, পরনের কাপড় ছিন্নভিন্ন করে এবং জাহিলীয়াতের যুগের মত হাঁকডাক করে।
৬১/৯. অধ্যায়ঃ খুযাআহ গোত্রের কাহিনী।
৩৫২০. আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, আমর ইবন লুহাই ইবন কামআহ ইবন খিনদাফ খুযাআহ গোত্রের পূর্বপুরুষ ছিল।
৩৫২১. যুহরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আমি সাঈদ ইবন মুসাইয়্যাব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) -কে বলিতে শুনিয়াছি। তিনি বলেন, বাহীরাহ বলে দেবতার নামে উৎসর্গ করা উটনী যার দুধ আট্কিয়ে রাখা হত এবং কোন লোক তার দুধ দোহন করত না। সা-য়িবাহ বলে ঐ পশুকে যাকে তারা ছেড়ে দিত দেবতার নামে। তাকে বোঝা বহন ইত্যাদি কোন কাজ কর্মে ব্যবহার করা হয় না। রাবী বলেন, আবু হুরায়রা (রাদি.) বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেন, আমি আমর ইবন আমির খুযআহকে তার বহির্গত নাড়ি – ভুঁড়ি নিয়ে জাহান্নামের আগুনে চলাফেরা করিতে দেখেছি। সেই প্রথম ব্যক্তি যে সা-য়্যিবাহ উৎসর্গ করার প্রথা প্রচলন করে।
৬১/১০. অধ্যায়ঃ আবু যর গিফারী (রাদি.) -এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা। [১]
[১] এ অধ্যায়ের হাদীস ৩৮৬১ নং হাদীস যথাস্থানেই বর্ণিত হয়েছে।
Leave a Reply