লুকমান আঃ – নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে হিক্‌মত দান করেছি

লুকমান আঃ – নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে হিক্‌মত দান করেছি

লুকমান আঃ – নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে হিক্‌মত দান করেছি >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৬০, আম্বিয়া কিরাম, অধ্যায়ঃ (৪১-৪২)=২টি

৬০/৪১. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে হিক্‌মত দান করেছি। আর সে বলেছিল, শির্‌ক এক মহা যুল্‌ম। (লুকমান ১২-১৩)
৬০/৪২. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনি তাদের কাছে এক জনপদের সে সময়ের ঘটনা বর্ণনা করুন, যখন তাদের কাছে কয়েকজন রাসুল এসেছিলেন। (ইয়াসীন ১৩)

৬০/৪১. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে হিক্‌মত দান করেছি। আর সে বলেছিল, শির্‌ক এক মহা যুল্‌ম। (লুকমান ১২-১৩)

(মহান আল্লাহর বাণী): হে বৎস! তা (পাপ) যদি সরিষার দানা পরিমাণও ছোট হয়…দাম্ভিককে ভালবাসেন না। (লুকমান ১৬-১৮)। চেহারা ফিরিয়ে অবজ্ঞা করো না।

৩৪২৮. আবদুল্লাহ (ইবনু মাসঊদ) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হলঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুল্‌মের দ্বারা কলুষিত করেনি- (আল-আনআম ৮২)। তখন নাবী‎ (সাঃআঃ)-এর সাহাবীগণ বলিলেন, আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি আছে যে, নিজের ঈমানকে যুল্‌মের দ্বারা কলুষিত করেনি? তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করো না। কেননা শির্‌ক হচ্ছে এক মহা যুল্‌ম- (লুকমান ১৮)।

৩৪২৯. আবদুল্লাহ (ইবনু মাসঊদ) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যখন এ আয়াতে কারীমা নাযিল হলঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুল্‌মের দ্বারা কলুষিত করেনি। তখন তা মুসলিমদের পক্ষে কঠিন হয়ে গেল। তারা আরয করিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি আছে যে নিজের উপর যুল্‌ম করেনি? তখন নাবী‎ (সাঃআঃ) বলিলেন, এখানে অর্থ তা নয় বরং এখানে যুল্‌মের অর্থ হলো শির্‌ক। তোমরা কি কুরআনে শুননি লুকমান তাহাঁর ছেলেকে নাসীহাত দেয়ার সময় কী বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, “হে আমার বৎস! তুমি আল্লাহর সঙ্গে শির্‌ক করো না। কেননা, নিশ্চয়ই শির্‌ক এক মহা যুল্‌ম।

৬০/৪২. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনি তাদের কাছে এক জনপদের সে সময়ের ঘটনা বর্ণনা করুন, যখন তাদের কাছে কয়েকজন রাসুল এসেছিলেন। (ইয়াসীন ১৩)

মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, فَعَزَّزناَ অর্থ আমি শক্তিশালী করলাম। আর ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, كُم طاَئِرُ অর্থ তোমাদের বিপদসমূহ।

Comments

Leave a Reply