সফরে বের হওয়া এবং সফরকালে বিদায় দেয়া
সফরে বের হওয়া এবং সফরকালে বিদায় দেয়া >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৫৬, জিহাদ, অধ্যায়ঃ (১০৩-১০৭)=৫টি
৫৬/১০৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি যুদ্ধ করার ইচ্ছা করে এবং অন্যদিকে আকর্ষণের মাধ্যমে তা গোপন করে রাখে আর যে বৃহস্পতিবারে সফরে বের হইতে পছন্দ করে।
৫৬/১০৪. অধ্যায়ঃ যুহরের পর সফরের উদ্দেশে বের হওয়া।
৫৬/১০৫. অধ্যায়ঃ মাসের শেষাংশে সফরে বের হওয়া।
৫৬/১০৬. অধ্যায়ঃ রমাযান মাসে সফরে বের হওয়া।
৫৬/১০৭. অধ্যায়ঃ সফরকালে বিদায় দেয়া।
৫৬/১০৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি যুদ্ধ করার ইচ্ছা করে এবং অন্যদিকে আকর্ষণের মাধ্যমে তা গোপন করে রাখে আর যে বৃহস্পতিবারে সফরে বের হইতে পছন্দ করে।
২৯৪৭. আবদুল্লাহ ইবনু কাব ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন কাবের পুত্রদের মধ্যে নেতা, তিনি বলেন, আমি কাব ইবনু মালিক (রাদি.) থেকে শুনিয়াছি, যখন তিনি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) থেকে পেছনে থেকে গিয়েছিলেন। রাসূলূল্লাহ (সাঃআঃ) যখনই কোথাও যুদ্ধে যাবার ইচ্ছা করিতেন, তখন তিনি অন্য দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়ে তা গোপন রাখতেন।
২৯৪৮. কাব ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, অধিকাংশ সময় আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) কোন নির্দিষ্ট জায়গায় যুদ্ধের ইচ্ছা করলে অন্য দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়ে তা গোপন রাখতেন কিন্তু যখন তাবুক যুদ্ধ এল, যে যুদ্ধে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) রওয়ানা দিলেন, প্রচণ্ড গরম এবং সম্মুখীন হলেন দীর্ঘ সফরের ও মরুময় পথের আর অধিক সংখ্যক সৈন্যের মোকাবেলায় অগ্রসর হলেন। তাই তিনি মুসলিমদের সামনে বিষয়টি প্রকাশ করিলেন, যাতে তারা শত্রুর মুকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করিতে পারে এবং ইচ্ছার লক্ষ্য সবাইকে জানিয়ে দিলেন।
২৯৪৯. কাব ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) যখনই কোন সফরে যাবার ইচ্ছা করিতেন তখন বৃহস্পতিবারেই যাত্রা করিতেন।
২৯৫০. কাব ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) তাবূকের যুদ্ধে বৃহস্পতিবার বের হন আর বৃহস্পতিবার বের হওয়াই তিনি পছন্দ করিতেন।
৫৬/১০৪. অধ্যায়ঃ যুহরের পর সফরের উদ্দেশে বের হওয়া।
২৯৫১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) মদীনাতে যুহরের সালাত চার রাকআত আদায় করেন এবং যুল-হুলায়ফাতে পৌঁছে দুরাকাআত আসর সালাত আদায় করেন। আমি তাদের হজ্জ ও উমরা উভয়টির তালবিয়া জোরে পাঠ করিতে শুনিয়াছি।
৫৬/১০৫. অধ্যায়ঃ মাসের শেষাংশে সফরে বের হওয়া।
কুরাইব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ইবনু আব্বাস (রাদি.) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী (সাঃআঃ) যুল-কাদার পাঁচ দিন থাকতে মদীনা থেকে রওয়ানা হন এবং যুল-হিজ্জার ৪ তারিখে মক্কায় পৌঁছেন।
২৯৫২. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যুল-কাদার ৫ রাত থাকতে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। হজ্জ আদায় ব্যতীত আমাদের আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। মক্কার নিকটবর্তী হলে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাদের আদেশ দিলেন যাদের নিকট কুরবানীর জন্তু নেই, তারা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার সাঈ করার পর ইহরাম খুলে ফেলবে। আয়েশা (রাদি.) বলেন, কুরবানীর দিন আমাদের নিকট গরুর গোশ্ত পৌঁছান হলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এগুলো কিসের? বলা হলো, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাহাঁর স্ত্রীদের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করিয়াছেন। ইয়াহইয়া (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি হাদীসটি কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম বর্ণনাকারিনী এ হাদীসটি আপনার নিকট সঠিকভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।
৫৬/১০৬. অধ্যায়ঃ রমাযান মাসে সফরে বের হওয়া।
২৯৫৩. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) রমাযান মাসে সফরে বের হন এবং সিয়াম পালন করেন। যখন তিন কাদীদ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন সিয়াম ছেড়ে দেন। সুফিয়ান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)……ইবনু আব্বাস (রাদি.) থেকে একইভাবে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আবু আব্দুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, এটা যুহরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর উক্তি এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সর্বশেষ কার্যই গ্রহণযোগ্য।
৫৬/১০৭. অধ্যায়ঃ সফরকালে বিদায় দেয়া।
২৯৫৪. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাদেরকে এক অভিযানে পাঠালেন। কুরাইশদের দুজন লোকের নামোল্লেখ করে আমাদেরকে বলিলেন, তোমরা যদি অমুক ও অমুকের সাক্ষাৎ পাও তবে তাদেরকে আগুনে জ্বালিয়ে ফেলবে। আবু হুরাইরা (রাদি.) বলিলেন, অতঃপর আমরা রওয়ানা করার প্রাক্কালে বিদায় গ্রহণ করার জন্য আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি বলিলেন, আমি তোমাদেরকে অমুক অমুককে আগুনে জ্বালিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিলাম, কিন্তু আগুনের শাস্তি দান করার অধিকার আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কারো নেই। তাই তোমরা যদি তাদেরকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়, তবে তাদের উভয়কে হত্যা করিবে।
Leave a Reply