হাওয়ালাত – কারো উপর মৃত ব্যক্তির ঋণের ভার হাওয়ালা করা জায়েয।

হাওয়ালাত – কারো উপর মৃত ব্যক্তির ঋণের ভার হাওয়ালা করা জায়েয।

হাওয়ালাত – কারো উপর মৃত ব্যক্তির ঋণের ভার হাওয়ালা করা জায়েয। >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৩৮, হাওয়ালাত, অধ্যায়ঃ (১-৩)=৩টি

৩৮/১. অধ্যায়ঃ হাওয়াল (দায় অপসারণ) করা। হাওয়ালা করার পর পুনরায় হাওয়ালাকারীর নিকট দাবী করা যায় কি?
৩৮/২. অধ্যায়ঃ যখন (ঋণ) কোন আমীর ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয়, তখন (তা মেনে নেয়ার পর) তার পক্ষে প্রত্যাখ্যান করার ইখতিয়ার নেই।
৩৮/৩. অধ্যায়ঃ কারো উপর মৃত ব্যক্তির ঋণের ভার হাওয়ালা করা জায়েয।

৩৮/১. অধ্যায়ঃ হাওয়াল (দায় অপসারণ) করা। হাওয়ালা করার পর পুনরায় হাওয়ালাকারীর নিকট দাবী করা যায় কি?

হাসান এবং কাতাদা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, যেদিন হাওয়ালা করা হল, সেদিন যদি সে মালদার হয় তাহলে হাওয়ালা জায়িয হইবে। ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, দুজন অংশীদার অথবা উত্তরাধিকারী পরস্পরের মধ্যে এভাবে বন্টন করিল যে একজন নগদ সম্পদ নিল, অন্যজন সে ব্যক্তির অপরের নিকট পাওনা সম্পদ নিল। এমতাবস্থায় যদি কারো সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়, তবে অন্যজনের নিকট আবার দাবী করা যাবে না।

২২৮৭. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, ধনী ব্যক্তির ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা জুলুম। যখন তোমাদের কাউকে (তার জন্যে) কোন ধনী ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয়, তখন সে যেন তা মেনে নেয়।

৩৮/২. অধ্যায়ঃ যখন (ঋণ) কোন আমীর ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয়, তখন (তা মেনে নেয়ার পর) তার পক্ষে প্রত্যাখ্যান করার ইখতিয়ার নেই।

২২৮৮. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেন, ধনী ব্যক্তির পক্ষ হইতে ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা জুলুম। যাকে (তার পাওনার জন্য) ধনীর হাওয়ালা করা হয়, সে যেন তা মেনে নেয়।

৩৮/৩. অধ্যায়ঃ কারো উপর মৃত ব্যক্তির ঋণের ভার হাওয়ালা করা জায়েয।

২২৮৯. সালামা ইবনু আকওয়া (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমরা নাবী (সাঃআঃ)- এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় একটি জানাযা উপস্থিত করা হল। সাহাবীগণ বলিলেন, আপনি তার জানাযার সালাত আদায় করে দিন। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? তারা বলিল, না। তিনি বলিলেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলিল, না। তখন তিনি জানাযার সালাত আদায় করিলেন। তারপর আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি জানাযার সালাত আদায় করে দিন। তিনি বলিলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? বলা হল, হ্যাঁ, আছে। তিনি বলিলেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলিলেন, তিনটি দীনার। তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করিলেন। তারপর তৃতীয় আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। সাহাবীগণ বলিলেন, আপনি তার জানাযা আদায় করুন। তিনি বলেন, সে কি কিছু রেখে গেছে। তারা বলিলেন, না। তিনি বলিলেন, তার কি কোন ঋণ আছে। তারা বলিলেন, তিন দীনার। তিনি বলিলেন, তোমাদের এ লোকটির সালাত তোমরাই আদায় করে নাও। আবু কাতাদা (রাদি.) বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)! তার জানাযার সালাত আদায় করুন, তার ঋণের জন্য আমি দায়ী। তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করিলেন।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply