সদকার মাল কারা খেতে পারবে এবং ভূ-গর্ভস্থসম্পদ সংগ্রহ করা

সদকার মাল কারা খেতে পারবে এবং ভূ-গর্ভস্থসম্পদ সংগ্রহ করা

সদকার মাল কারা খেতে পারবে এবং ইমামের কল্যাণ কামনা ও দুআ >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২৪, যাকাত, অধ্যায়ঃ (৫৯-৬৯)=১১টি

২৪/৫৯. অধ্যায়ঃ নিজের সদকা কৃত বস্তু ক্রয় করা যায় কি?
২৪/৬০. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) -ও তাহাঁর বংশধরদেরকে সদকা দেয়া সম্পর্কে আলোচনা।
২৪/৬১. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর সহধর্মিণীদের আযাদকৃত দাস-দাসীদেরকে সদকা দেয়া।
২৪/৬২. অধ্যায়ঃ সদকার প্রকৃতি পরিবর্তিত হলে।
২৪/৬৩. অধ্যায়ঃ ধনীদের হইতে সদকা গ্রহণ করা এবং যে কোন স্থানের অভাবগ্রস্থদের মধ্যে বিতরণ করা।
২৪/৬৪. অধ্যায়ঃ সদকা প্রদানকারীর জন্য ইমামের কল্যাণ কামনা ও দুআ।
২৪/৬৫. অধ্যায়ঃ সাগর হইতে যে সম্পদ সংগ্রহ করা হয়।
২৪/৬৬. অধ্যায়ঃ রিকাযে (ভূ-গর্ভস্থসম্পদ) এক-পঞ্চমাংশ।
২৪/৬৭. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং যে সব কর্মচারী যাকাত আদায় করে -(তাওবাঃ ৬০) এবং ইমামের নিকট যাকাত আদায়কারীর হিসাব প্রদান।
২৪/৬৮. অধ্যায়ঃ মুসাফিরের জন্য যাকাতের উট ও তার দুধ ব্যবহার করা।
২৪/৬৯. অধ্যায়ঃ যাকাতের উটে ইমামের নিজ হাতে চিহ্ন দেয়া।

২৪/৫৯. অধ্যায়ঃ নিজের সাদকা কৃত বস্তু ক্রয় করা যায় কি?

অন্যের সাদকাকৃত বস্তু ক্রয় করিতে কোন দোষ নেই। কেননা, নাবী (সাঃআঃ) বিশেষভাবে সাদকা প্রদানকারীকে তা ক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন, অন্যকে নিষেধ করেননি।

১৪৮৯. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বর্ণনা করিতেন যে, উমর ইবনু খাত্তাব (রাদি.) আল্লাহর রাস্তায় তাহাঁর ঘোড়া সাদকা করেছিলেন। পরে তা বিক্রয় করা হচ্ছে জেনে তিনি নিজেই তা ব্যয় করার ইচ্ছায় নাবী (সাঃআঃ)-এর কাছে এসে তাহাঁর মত জানতে চাইলেন। তিনি বললেনঃ তোমার সাদকা ফিরিয়ে নিবে না। সে নির্দেশের কারণে ইবনু উমর (রাদি.)-এর অভ্যাস ছিল নিজের দেয়া সাদকার বস্তু কিনে ফেললে সেটি সাদকা না করে ছাড়তেন না।

১৪৯০. উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার একটি ঘোড়া আল্লাহর পথে দান করলাম। যার কাছে ঘোড়াটি ছিল সে এর হক আদায় করিতে পারল না। তখন আমি তা ক্রয় করিতে চাইলাম এবং আমার ধারণা ছিল যে, সে সেটি কম মূল্যে বিক্রি করিবে। এ সম্পর্কে নাবী (সাঃআঃ)-কে আমি জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ তুমি ক্রয় করিবে না এবং তোমার সাদকা ফিরিয়ে নিবে না, সে তা এক দিরহামের বিনিময়ে দিলেও। কেননা, যে ব্যক্তি নিজের সাদকা ফিরিয়ে নেয় সে যেন নিজের বমি পুনঃ ভক্ষণ করে।

২৪/৬০. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) -ও তাহাঁর বংশধরদেরকে সাদকা দেয়া সম্পর্কে আলোচনা।

১৪৯১. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাসান ইবনু আলী (রাদি.) সাদকার একটি খেজুর নিয়ে মুখে দিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তা ফেলে দেয়ার জন্য ওয়াক ওয়াক (বমির পূর্বের আওয়াজের মত) বলিলেন। অতঃপর বললেনঃ তুমি কি জান না যে, আমরা সাদকা ভক্ষণ করি না!

২৪/৬১. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর সহধর্মিণীদের আযাদকৃত দাস-দাসীদেরকে সাদকা দেয়া।

১৪৯২. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মায়মূনা (রাদি.) কর্তৃক আযাদকৃত জনৈক দাসীকে সাদকা স্বরূপ প্রদত্ত একটি বকরীকে মৃত অবস্থায় দেখিতে পেয়ে নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমরা এর চামড়া দিয়ে উপকৃত হও না কেন? তারা বললেনঃ এটা তো মৃত। তিনি বলিলেন, এটা কেবল খাওয়া হারাম করা হয়েছে।

১৪৯৩. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বারীরাহ নাম্নী দাসীকে আযাদ করার উদ্দেশে কিনতে চাইলেন, তার মালিকরা বারীরাহর ওয়ালা (অভিভাবকত্বের অধিকার)-এর শর্তারোপ করিতে চাইলো। আয়েশা (রাদি.) (বিষয়টি সম্পর্কে) নাবী (সাঃআঃ)-এর কাছে উল্লেখ করিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় কর। কারণ যে (তাকে) আযাদ করিবে “ওয়ালা তারই। আয়েশা (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর কাছে একটু গোশত হাযির করা হলো। আমি বললামঃ এটা বারীরাকে সাদকা স্বরূপ দেয়া হয়েছে। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, এটা বারীরাহর জন্য সাদকা, আর আমাদের জন্য উপহার।

২৪/৬২. অধ্যায়ঃ সাদকার প্রকৃতি পরিবর্তিত হলে।

১৪৯৪. উম্মু আতিয়্যা আনসারীয়া (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আয়েশা (রাদি.)-এর নিকট গিয়ে বললেনঃ তোমাদের কাছে (খাওয়ার) কিছু আছে কি? আয়েশা (রাদি.) বললেনঃ না, তবে আপনি সাদকা স্বরুপ নুসাইবাকে বকরীর যে গোশত পাঠিয়েছিলেন, সে তা কিছু পাঠিয়ে দিয়েছিল (তাছাড়া কিছু নেই)। তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ সাদকা তার যথাস্থানে পৌঁছেছে।

১৪৯৫. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

বারীরাহ (রাদি.)-কে সাদকাকৃত গোশতের কিছু আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে দেয়া হল। তিনি বলিলেন, তা বারীরাহর জন্য সাদকা এবং আমাদের জন্য হাদিয়া।

আবু দাঊদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলিলেন যে, শুবাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) কাতাদা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে আনাস (রাদি.)-এর মাধ্যমে নাবী (সাঃআঃ) হইতে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।

২৪/৬৩. অধ্যায়ঃ ধনীদের হইতে সাদকা গ্রহণ করা এবং যে কোন স্থানের অভাবগ্রস্থদের মধ্যে বিতরণ করা।

১৪৯৬. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুআয ইবনু জাবাল (রাদি.)-কে ইয়ামানের (শাসক নিয়োগ করে) পাঠানোর সময় আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাঁকে বলছিলেনঃ তুমি আহলে কিতাবের কাছে যাচ্ছ। কাজেই তাদের কাছে যখন পৌঁছবে তখন তাদেরকে এ কথার দিকে দাওয়াত দিবে তারা যেন সাক্ষ্য দিয়ে বলে যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) আল্লাহর রাসুল। যদি তারা তোমার এ কথা মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করিয়াছেন। যদি তারা এ কথাও মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর সাদকা (যাকাত) ফরয করিয়াছেন- যা তাদের ধনীদের নিকট হইতে গ্রহণ করা হইবে এবং অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়া হইবে। তোমার এ কথা যদি তারা মেনে নেয়, তবে (কেবল) তাদের উত্তম মাল গ্রহণ হইতে বিরত থাকবে এবং মযলুমের বদদুআকে ভয় করিবে। কেননা, তার (বদদুআ) এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না।

২৪/৬৪. অধ্যায়ঃ সাদকা প্রদানকারীর জন্য ইমামের কল্যাণ কামনা ও দুআ।

এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ

“তাদের সম্পদ হইতে সাদকা গ্রহণ করবেন, এর দ্বারা তাদেরকে পবিত্র ও পরিশোধিত করবেন। আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন, আপনার দুআ তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর।” (আত-তাওবাঃ ১০৩)

১৪৯৭. আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকজন যখন নাবী (সাঃআঃ)-এর নিকট নিজেদের সাদকা নিয়ে উপস্থিত হতো তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহ! অমুকের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন। একদা আমার পিতা সাদকা নিয়ে হাযির হলে তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! আবু আওফার বংশধরের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন।

২৪/৬৫. অধ্যায়ঃ সাগর হইতে যে সম্পদ সংগ্রহ করা হয়।

ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, আম্বর রিকায নয়, বরং তা এমন বস্তু সাগর যা তীরে নিক্ষেপ করে। হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আম্বর ও মতীর ক্ষেত্রে এক-পঞ্চমাংশ দিতে হইবে। অথচ আল্লাহর নাবী (সাঃআঃ) রিকায তথা যমীনে প্রোথিত সম্পদে এক পঞ্চমাংশ যাকাত ধার্য করিয়াছেন। পানিতে যা পাওয়া যায় তাতে তিনি তা ধার্য করেননি। [এটা দ্বারা ইমাম বুখারী হাসান বাসরী কথার প্রতিবাদ করিয়াছেন। (দ্রঃ ফাতহুল বারী ৩/৪২৪)]

[১] রিকাযঃ ভূগর্ভে প্রাপ্ত বা প্রোথিত সম্পদ

১৪৯৮. আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার (ঋণ) চাইলে, সে তাকে তা দিল। সে সাগরপথে যাত্রা করিল কিন্তু কোন নৌযান পেল না। তখন একটি কাঠের টুকরা নিয়ে তা ছিদ্র করে এক হাজার দীনার তাতে ভরে তা সাগরে নিক্ষেপ করিল। ঋণদাতা সাগর তীরে পৌঁছে একটি কাঠ (ভেসে আসতে) দেখে তার পরিবারের জন্য লাকড়ি হিসেবে নিয়ে আসল। অতঃপর (রাবী) পুরা ঘটনাটি বর্ণনা করিয়াছেন। (সবশেষে রয়েছে) কাঠ চেরাই করার পর সে তার প্রাপ্য মাল পেয়ে গেল।

২৪/৬৬. অধ্যায়ঃ রিকাযে (ভূ-গর্ভস্থসম্পদ) এক-পঞ্চমাংশ।

ইমাম মালিক ও ইবনু ইদ্রীস (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) (ইমাম শাফিয়ী) বলেন, জাহিলী যুগের প্রোথিত সম্পদই রিকায। তার অল্প ও অধিক পরিমাণে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব হইবে। আর মাদিন রিকায নয়। নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মাদিনে (খননের ঘটনায়) নিসাব নেই, রিকাযের এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাদিন-এর চল্লিশ ভাগের এক ভাগ গ্রহণ করিতেন। হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অধিকৃত ভূমির রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব এবং সন্ধিকৃত ভূমির রিকাযের যাকাত ওয়াজিব। শত্রুর ভূমিতে কোন কিছু পাওয়া গেলে লোকদের মধ্যে তা ঘোষণা করিবে। বস্তুটি শত্রুর হলে তাতে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। জনৈক ব্যক্তি [ইমাম আবু হানীফা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)] বলেনঃ মাদিন রিকাযই, (তার প্রকার বিশেষ মাত্র) জাহিলী যুগের প্রোথিত সম্পদের ন্যায়। তাহাঁর যুক্তি হলোঃ — তখন বলা হয়, যখন খনি হইতে কিছু উত্তোলন করা হয়। তাঁকে বলা যায়, কাউকে কিছু দান করলে এবং এতে সে এ দিয়ে প্রচুর লাভবান হলে অথবা কারো প্রচুর ফল উৎপাদিত হলে বলা হয় — এরপর তিনি নিজেকে স্ব-বিরোধী কথা বলেন। তিনি বলেনঃ মাদিন হইতে উত্তোলিত সম্পদ গোপন রাখায় ও এক-পঞ্চমাংশ না দেয়ায় কোন দোষ নেই।

(আ.প্র. ৬৭) (ই.ফা. পরিচ্ছেদ ৯৪৮) [২] মাদিনঃ খনিজদ্রব্য

১৪৯৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ চতুষ্পদ জন্তুর আঘাত [৪৬] দায়মুক্ত, কূপ (খননে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক) দায়মুক্ত, খনি (খননে কেউ মারা গেলে মালিক) দায়মুক্ত। রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব।

[৪৬] যথাযথ ব্যবস্থা অবলম্বনের পরও কেউ পশু দ্বারা নিহত হলে পশুর মালিক দণ্ডিত হইবে না। কূপ বা খনি সম্পর্কেও এ কথা প্রযোজ্য।

২৪/৬৭. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং যে সব কর্মচারী যাকাত আদায় করে -(তাওবাঃ ৬০) এবং ইমামের নিকট যাকাত আদায়কারীর হিসাব প্রদান।

১৫০০. আবু হুমাইদ সায়িদী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আস্‌দ গোত্রের ইবনু লুতবিয়া নামক জনৈক ব্যক্তিকে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বনূ সুলাইম গোত্রের যাকাত আদায় করার কাজে নিয়োগ করেন। তিনি ফিরে আসলে তার নিকট হইতে নাবী (সাঃআঃ) হিসাব নিলেন।

২৪/৬৮. অধ্যায়ঃ মুসাফিরের জন্য যাকাতের উট ও তার দুধ ব্যবহার করা।

১৫০১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উরাইনা গোত্রের কতিপয় লোকের মদীনার আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাদেরকে যাকাতের উটের কাছে গিয়ে উটের দুধ ও পেশাব পান করার অনুমতি প্রদান করেন। তারা রাখালকে (নির্মমভাবে) হত্যা করে এবং উট হাঁকিয়ে নিয়ে (পালিয়ে) যায়। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাদের পশ্চাদ্ধাবনে লোক প্রেরণ করেন, তাদেরকে ধরে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের হাত পা কেটে দেন এবং তাদের চোখে তপ্ত শলাকা বিদ্ধ করেন আর তাদেরকে হাররা নামক উত্তপ্ত স্থানে ফেলে রাখেন। তারা (যন্ত্রণায়) পাথর কামড়ে ধরে ছিল। আবু কিলাবাহ, সাবিত ও হুমাইদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আনাস (রাদি.) হইতে হাদীস বর্ণনায় কাতাদা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করেন।

২৪/৬৯. অধ্যায়ঃ যাকাতের উটে ইমামের নিজ হাতে চিহ্ন দেয়া।

১৫০২. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আবু তালহাকে সাথে নিয়ে আমি একদিন সকালে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট তাঁকে তাহনীক[১] করানোর উদ্দেশে গেলাম। তখন আমি তাঁকে নিজ হাতে একটি কাঠি দিয়ে যাকাতের উটের গায়ে চিহ্ন লাগাতে দেখলাম।

[১] খেজুর বা মধ্য জাতীয় কিছু চিবিয়ে বরকতের জন্য সদ্যজাত শিশুর মুখে প্রদান করা


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply