সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ যা কিছু বৈধ এবং কিছু নিষিদ্ধ

সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ যা কিছু বৈধ এবং কিছু নিষিদ্ধ

সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ যা কিছু বৈধ এবং কিছু নিষিদ্ধ >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২১, সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ, অধ্যায়ঃ (১-১৮)=১৮টি

২১/১. অধ্যায়ঃ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজে সালাতের মধ্যে হাতের সাহায্য নেয়া।
২১/২. অধ্যায়ঃ সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া।
২১/৩. অধ্যায়ঃ সালাতে পুরুষদের জন্য যে তাসবীহ ও তাহমীদ জায়িয।
২১/৪. অধ্যায়ঃ সালাতে যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে কারো নাম নিলো অথবা কাউকে সালাম করিল অথচ সে তা অবগতও নয়।
২১/৫. অধ্যায়ঃ সালাতে মহিলাদের তাসফীক (হাত তালি দেয়া)।
২১/৬. অধ্যায়ঃ উদ্ভূত কোন কারণে সালাতে থাকা অবস্থায় পিছনে চলে আসা অথবা সামনে অগ্রসর হওয়া।
২১/৭. অধ্যায়ঃ মা তার সালাত রত সন্তানকে ডাকলে।
২১/৮. অধ্যায়ঃ সালাতের মধ্যে কংকর সরানো।
২১/৯. অধ্যায়ঃ সালাতে সিজদা‌র জন্য কাপড় বিছানো।
২১/১০. অধ্যায়ঃ সালাতে যে কাজ বৈধ।
২১/১১. অধ্যায়ঃ সালাতে থাকাকালে পশু ছুটে পালালে।
২১/১২. অধ্যায়ঃ সালাতে থাকাবস্থায় থু থু নিক্ষেপ করা ও ফুঁ দেয়া।
২১/১৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অজান্তে সালাতে হাততালি দেয় তার সালাত বিনষ্ট হয় না।

২১/১৪. অধ্যায়ঃ মুসল্লীকে সম্মুখে এগুতে অথবা অপেক্ষা করিতে বলা হলে সে যদি অপেক্ষা করে তবে এতে গুনাহ নেই।
২১/১৫. অধ্যায়ঃ সালাতে সালামের উত্তর দিবে না।
২১/১৬. অধ্যায়ঃ কিছু ঘটলে সালাতে হাত উত্তোলন করা।
২১/১৭. অধ্যায়ঃ সালাতে কোমরে হাত রাখা।
২১/১৮. অধ্যায়ঃ সালাতে মুসল্লীর কোন বিষয় কল্পনা করা।

২১/১. অধ্যায়ঃ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজে সালাতের মধ্যে হাতের সাহায্য নেয়া।

ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার সালাতের মধ্যে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা (সালাত সংশ্লিষ্ট কাজে) সাহায্য নিতে পারে। আবু ইসহাক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সালাত আদায়রত অবস্থায় তাহাঁর টুপী নামিয়ে রেখেছিলেন এবং তা তুলে মাথায় দিয়েছিলেন। আলী (রাদি.) (সালাতে) সাধারণত তাহাঁর (ডান হাতের) পাঞ্জা বাম হাতের কব্জির উপরে রাখতেন, তবে কখনো শরীর চুলকাতে হলে বা কাপড় ঠিক করিতে হলে করিতেন।

১১৯৮. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তিনি তাহাঁর খালা মুমিনদের মা মাইমূনাহ (রাদি.) -এর ঘরে রাত কাটালেন। তিনি বলেন, আমি বালিশের প্রস্থের দিকে শুয়ে পড়লাম, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) এবং তাহাঁর সহধর্মিণী বালিশের দৈর্ঘ্যে শয়ন করিলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) মধ্যরাত বা তার কিছু আগ বা পর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) জেগে উঠে বসলেন এবং দুহাতে মুখমন্ডল মুছে ঘুমের রেশ দূর করিলেন। অতঃপর তিনি সুরা আল ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করিলেন। পরে একটি ঝুলন্ত মশ্‌কের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং এর পানি দ্বারা উত্তমরূপে উযূ করে সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। আবদুল্লাহ‌ ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, আমিও উঠে পড়লাম এবং তিনি যেমন করেছিলেন, আমিও তেমন করলাম। অতঃপর আমি গিয়ে তাহাঁর পাশে দাঁড়ালাম। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাহাঁর ডান হাত আমার মাথার উপরে রেখে আমার ডান কানে মোচড়াতে লাগলেন (এবং আমাকে তাহাঁর পিছন হইতে ঘুরিয়ে এনে তাহাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন)। তিনি তখন দুরাকআত সালাত আদায় করিলেন, অতঃপর দুরাকআত, অতঃপর দুরাকআত, অতঃপর দুরাকআত, অতঃপর দুরাকআত, অতঃপর (দুরাকআতের সাথে আর এক রাকআত দ্বারা বেজোড় করে) বিতর আদায় করে শুয়ে পড়লেন। শেষে (ফজরের জামাআতের জন্য) মুআয্‌যিন এলেন। তিনি দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত (কিরাআতে) দুরাকআত (ফজরের সুন্নাত) আদায় করিলেন। অতঃপর বেরিয়ে গেলেন এবং ফজরের সালাত আদায় করিলেন।

২১/২. অধ্যায়ঃ সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া।

১১৯৯. আবদুল্লাহ‌ ইবনু মাসঊদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) -কে তাহাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করতাম; তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিতেন। পরে যখন আমরা নাজাশীর নিকট হইতে ফিরে এলাম, তখন তাঁকে (সালাতে) সালাম করলে তিনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না এবং পরে ইরশাদ করিলেন : সালাতে আছে নিমগ্নতা। (১২১৬, ৩৮৭৫) (আ.প্র. ১১২১, ই.ফা. ১১২৫)

আবদুল্লাহ (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

(মুসলিম ৫/৭, হাদীস ৫৩৮, আহমাদ ৩৫৬৩) (ই.ফা. ১১২৬)

১২০০. যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) -এর সময়ে সালাতের মধ্যে কথা বলতাম। আমাদের যে কেউ তার সঙ্গীর সাথে নিজ দরকারী বিষয়ে কথা বলত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল –حا فِظوا عَلى الصَّلَواتِ الاية “তোমরা তোমাদের সালাত সমূহের সংরক্ষণ কর ও নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা কর; বিশেষ মধ্যবর্তী (আসর) সালাতে, আর তোমরা (সালাতে) আল্লাহর উদ্দেশে একাগ্রচিত্ত হও”- (সুরা আল-বাকারা ২/২৩৮)। অতঃপর আমরা সালাতে নীরব থাকতে আদেশপ্রাপ্ত হলাম।

২১/৩. অধ্যায়ঃ সালাতে পুরুষদের জন্য যে তাসবীহ ও তাহমীদ জায়িয।

১২০১. সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বনূ আমর ইবনু আওফের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়ার উদ্দেশে বের হলেন, ইতোমধ্যে সালাতের সময় উপস্থিত হল। তখন বিলাল (রাদি.) আবু বকর (রাদি.) -এর নিকট এসে বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আপনি লোকদের সালাতে ইমামতি করবেন? তিনি বলিলেন, হাঁ, যদি তোমরা চাও। তখন বিলাল (রাদি.) সালাতের ইক্বামাত বলিলেন, আবু বকর (রাদি.) সামনে এগিয়ে গিয়ে সালাত শুরু করিলেন। ইতোমধ্যে নাবী (সাঃআঃ) আসলেন এবং কাতার ফাঁক করে সামনে এগিয়ে গিয়ে প্রথম কাতারে দাঁড়ালেন। মুসল্লীগণ তাসফীহ করিতে লাগলেন। সাহল (রাদি.) বলিলেন, তাসফীহ কী তা তোমরা জান? তা হল তাস্‌ফীক [১] (তালি বাজান) আবু বকর (রাদি.) সালাতে এদিক সেদিক লক্ষ্য করিতেন না। মুসল্লীগণ অধিক তালি বাজালে তিনি সে দিকে লক্ষ্য করলে নাবী (সাঃআঃ) -কে কাতারে দেখিতে পেলেন। তখন নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে ইঙ্গিত করিলেন- যথাস্থানে থাক। আবু বকর (রাদি.) তখন দুহাত তুলে আল্লাহ তাআলার হামদ বর্ণনা করিলেন এবং পিছু হেঁটে চলে এলেন। নাবী (সাঃআঃ) সামনে এগিয়ে গিয়ে সালাত আদায় করিলেন।

[১] তাস্‌ফীক এক হাতের তালু দ্বারা অন্য হাতের তালুতে আঘাত করা।

২১/৪. অধ্যায়ঃ সালাতে যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে কারো নাম নিলো অথবা কাউকে সালাম করিল অথচ সে তা অবগতও নয়।

১২০২. আবদুল্লাহ‌ ইবনু মাস্‌ঊদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা সালাতের (বৈঠকে) আততাহিয়্যাতু……বলতাম, তখন আমাদের একে অপরকে সালামও করতাম। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তা শুনে ইরশাদ করিলেন : তোমরা বলবে-

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

“যাবতীয় মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহরই জন্য। হে (মহান) নাবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত (বর্ষিত)- হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সালিহ বান্দাদের প্রতি; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন প্রকৃত ইলাহ নেই। এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) তাহাঁর বান্দা ও রাসুল।”

কেননা, তোমরা এরূপ করলে আসমান ও যমীনে আল্লাহর সকল নেক বান্দাকে তোমরা যেন সালাম করলে।

২১/৫. অধ্যায়ঃ সালাতে মহিলাদের তাসফীক (হাত তালি দেয়া)।

১২০৩. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) ইরশাদ করেছেনঃ (ইমামের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য) পুরুষদের বেলায় তাস্‌বীহ-সুবহানাল্লাহ বলা। তবে মহিলাদের বেলায় তাসফীক (এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালুতে মারা)।

১২০৪. সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ সালাতে (লোকমা দেয়ার জন্য) পুরুষদের জন্য তাস্‌বীহ আর মহিলাদের জন্য তাসফীক।

২১/৬. অধ্যায়ঃ উদ্ভূত কোন কারণে সালাতে থাকা অবস্থায় পিছনে চলে আসা অথবা সামনে অগ্রসর হওয়া।

এ বিষয়ে সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) হইতে রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

১২০৫. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

মুসলিমগণ সোমবার (রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর ওফাতের দিন) ফজরের সালাতে ছিলেন, আবু বকর (রাদি.) তাঁদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। নাবী (সাঃআঃ) আয়েশা (রাদি.) -এর হুজরার পর্দা সরিয়ে তাঁদের দিকে তাকালেন। তখন তাঁরা সারিবদ্ধ ছিলেন। তা দেখে তিনি মৃদু হাসলেন। তখন আবু বকর (রাদি.) তাহাঁর গোড়ালির উপর ভর দিয়ে পিছে সরে আসলেন। তিনি ধারণা করিলেন যে, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সালাতের জন্য আসার ইচ্ছা করছেন। নাবী (সাঃআঃ) -কে দেখার আনন্দে মুসলিমগণের সালাত ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন তিনি সালাত সুসম্পন্ন করার জন্য তাদের দিকে হাতে ইঙ্গিত করিলেন। অতঃপর তিনি হুজরায় প্রবেশ করেন এবং পর্দা ছেড়ে দেন আর সে দিনই তাহাঁর মৃত্যু হয়।

২১/৭. অধ্যায়ঃ মা তার সালাত রত সন্তানকে ডাকলে।

১২০৬. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ এক মহিলা তার ছেলেকে ডাকল। তখন তার ছেলে গীর্জায় ছিল। বলিল, হে জুরায়জ! ছেলে মনে মনে বলিল, হে আল্লাহ! (এক দিকে) আমার মা (এর ডাক) আর (অন্য দিকে) আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরাইজ! ছেলে বলিল, হে আল্লাহ! আমার মা আর আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরায়জ! ছেলে বলিল, হে আল্লাহ! আমার মা ও আমার সালাত! মা বলিলেন, হে আল্লাহ! পতিতাদের সামনে দেখা না যাওয়া পর্যন্ত যেন জুরায়জের মৃত্যু না হয়। এক রাখালিনী যে বক্‌রী চরাতো, সে জুরায়জের গীর্জায় আসা যাওয়া করত। সে একটি সন্তান প্রসব করিল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল- এ সন্তান কার ঔরসজাত? সে জবাব দিল, জুরায়জের ঔরসের। জুরায়জ তাহাঁর গীর্জা হইতে নেমে এসে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় সে মেয়েটি, যে বলে যে, তার সন্তানটি আমার? (সন্তানসহ মেয়েটিকে উপস্থিত করা হলে) জুরায়জ বলেন, হে বাবূস! তোমার পিতা কে? সে বলিল, বক্‌রীর অমুক রাখাল।

২১/৮. অধ্যায়ঃ সালাতের মধ্যে কংকর সরানো।

১২০৭. মুআইকিব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) সে ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, যে সিজদা‌র স্থান হইতে মাটি সমান করে। তিনি বলেন, যদি তোমার একান্তই করিতে হয়, তবে একবার।

২১/৯. অধ্যায়ঃ সালাতে সিজদা‌র জন্য কাপড় বিছানো।

১২০৮. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে সালাত আদায় করতাম। আমাদের কেউ মাটিতে তার চেহারা (কপাল) স্থির রাখতে সক্ষম না হলে সে তার কাপড় বিছিয়ে তার উপর সিজদা‌ করত।

২১/১০. অধ্যায়ঃ সালাতে যে কাজ বৈধ।

১২০৯. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সালাত আদায়কালে আমি তাহাঁর কিবলার দিকে পা ছড়িয়ে রাখতাম; তিনি সিজদা‌র করার সময় আমাকে খোঁচা দিলে আমি পা সরিয়ে নিতাম; তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আবার পা ছড়িয়ে দিতাম।

১২১০. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) একবার সালাত আদায় করার পর বললেনঃ শয়তান আমার সামনে এসে আমার সালাত বিনষ্ট করার জন্য আমার উপর আক্রমণ করিল। তখন আল্লাহ আমাকে তার উপর ক্ষমতা দান করিলেন, আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরলাম। আমার ইচ্ছা হয়েছিল, তাকে কোন স্তম্ভের সাথে বেঁধে রাখি। যাতে তোমরা সকাল বেলা উঠে তাকে দেখিতে পাও। তখন সুলাইমান আলাইহিস সালাম -এর এ দুআ আমার মনে পড়ে গেল,

رَبِّ هَب لي مُلكاً

“হে রব! আমাকে এমন এক রাজ্য দান করুন যার অধিকারী আমার পরে আর কেউ না হয়”। তখন আল্লাহ তাকে (শয়তানকে) অপমানিত করে দূর করে দিলেন। (আ.প্র. ১১৩১)

নায্‌র ইবনু শুমায়ল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, فَذَ عَتُّهُ শব্দটি ذال সহ অর্থাৎ তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরলাম এবং فَدَ عتُّهُ আল্লাহর কালাম يَومَ يُدَ عُّونَ থেকে অর্থাৎ তাদেরকে ধাক্কা মেরে নিয়ে যাওয়া হইবে এবং সঠিক হল তবে فَدَ عَّتُّهُ তবে ع ও ت অক্ষর দুটি তাশদীদ সহ পাঠ করিয়াছেন।

২১/১১. অধ্যায়ঃ সালাতে থাকাকালে পশু ছুটে পালালে।

ক্বাতাদাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, কাপড় যদি (চুরি করে) নিয়ে যাওয়া হয়, তবে সালাত ছেড়ে দিয়ে চোরকে অনুসরন করিবে।

১২১১. আযরাক্ব ইবনু ক্বায়স (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আহওয়ায শহরে হারুরী (খারিজী) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিলাম। যখন আমরা নহরের তীরে ছিলাম তখন সেখানে এক ব্যক্তি এসে সালাত আদায় করিতে লাগল আর তার বাহনের লাগাম তার হাতে আছে। বাহনটি (ছূটে যাওয়ার জন্য) টানাটানি করিতে লাগল, তিনিও তার অনুসরন করিতে লাগলেন। রাবী শুবাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, তিনি ছিলেন আবু বারযাহ আসলামী (রাদি.)। এ অবস্থা দেখে এক খারিজী বলে উঠলো, ইয়া আল্লাহ! এ বৃদ্ধকে কিছু করুন। বৃদ্ধ সালাত শেষ করে বলিলেন- আমি তোমাদের কথা শুনিয়াছি। আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে ছয়, সাত কিংবা আট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমি তাহাঁর সহজীকরণ লক্ষ্য করেছি। আমার বাহনটির সাথে আগপিছ হওয়া বাহনটিকে তার চারণ ভূমিতে ছেড়ে দেয়ার চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয়। কেননা, তা আমার জন্য কষ্টদায়ক হইবে।

১২১২. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার সুর্যগ্রহণ হলো। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) (সালাতে) দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ সুরা পাঠ করিলেন, অতঃপর রুকূ করিলেন, আর তা দীর্ঘ করিলেন। অতঃপর রুকূ হইতে মাথা তুলেন এবং অন্য একটি সুরা পাঠ করিতে শুরু করিলেন। পরে রুকূ সমাপ্ত করে সিজদা‌ করিলেন। দ্বিতীয় রাকাআতেও এরূপ করিলেন। অতঃপর বললেনঃ এ দুটি (চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ) আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তোমরা তা দেখলে গ্রহণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করিবে। আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে, আমাকে যা ওয়াদা করা হয়েছে তা সবই দেখিতে পেয়েছি। এমনকি যখন তোমরা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে দেখেছিলে তখন আমি দেখলাম যে, জান্নাতের একটি (আঙ্গুর) গুচ্ছ নেয়ার ইচ্ছা করছি এবং জাহান্নামে দেখিতে পেলাম যে, তার একাংশ অন্য অংশকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলছে। আর যখন তোমরা আমাকে পিছনে সরে আসতে দেখেছিলে আমি দেখলাম সেখানে আমর ইবনু লুহাইকে যে সায়িবাহ [১] প্রথা প্রবর্তন করেছিল।

[১] السَوائِبَ বহুবচন, السائِبَة একবচনে – অর্থ বিমুক্ত, পরিত্যক্ত, বাঁধনমুক্ত । জাহিলী যুগে দেব-দেবীর নামে উট ছেড়ে দেওয়ার কু-প্রথা ছিল । এসব উটের দুধ পান করা এবং তাকে বাহনরূপে ব্যবহার করা অবৈধ মনে করা হত ।

২১/১২. অধ্যায়ঃ সালাতে থাকাবস্থায় থু থু নিক্ষেপ করা ও ফুঁ দেয়া।

আবদুল্লাহ‌ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিত। নাবী (সাঃআঃ) সূর্য গ্রহণের সালাতের সিজদা‌র সময় ফুঁ দিয়েছিলেন।

১২১৩. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) মসজিদের কিবলার দিকে নাকের শ্লেষ্মা দেখিতে পেয়ে মসজিদের লোকদের উপর রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ তোমাদের প্রত্যেকের সামনে রয়েছেন, কাজেই তোমাদের কেউ সালাতে থাকাকালে থু থু ফেলবে না বা বর্ণনাকারী বলেছেন, নাক ঝাড়বে না। এ কথা বলার পর তিনি (মিম্বার হইতে) নেমে এসে নিজের হাতে তা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করিলেন এবং ইবনু উমর (রাদি.) বলেন, তোমাদের কেউ যখন থুথু ফেলে তখন সে যেন তার বাঁ দিকে ফেলে।

১২১৪. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে থাকে, তখন তো সে তার রবের সাথে নিবিড় আলাপে মশগুল থাকে। কাজেই সে যেন তার সামনে বা ডানে থু থু না ফেলে; তবে (প্রয়োজনে) বাঁ দিকে বা পায়ের নীচে ফেলবে।

২১/১৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অজান্তে সালাতে হাততালি দেয় তার সালাত বিনষ্ট হয় না।

এ বিষয়ে সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) সুত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

২১/১৪. অধ্যায়ঃ মুসল্লীকে সম্মুখে এগুতে অথবা অপেক্ষা করিতে বলা হলে সে যদি অপেক্ষা করে তবে এতে গুনাহ নেই।

১২১৫. সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাহাবীগণ নাবী (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে সালাত আদায় করিতেন এবং তাঁরা তাদের লুঙ্গি ছোট হবার কারনে ঘাড়ের সাথে বেঁধে রাখতেন। তাই মহিলাগণকে বলা হল, পুরুষগণ সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত তোমরা (সিজদা‌র হইতে) মাথা তুলবে না।

২১/১৫. অধ্যায়ঃ সালাতে সালামের উত্তর দিবে না।

১২১৬. আবদুল্লাহ‌ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) -কে তাহাঁর সালাতে সালাম করতাম। তিনি আমাকে সালামের জবাব দিতেন। আমরা (আবিসিনিয়া হইতে) ফিরে এসে তাঁকে (সালাতে) সালাম করলাম। তিনি জওয়াব দিলেন না এবং পরে বললেনঃ সালাতে আছে নিমগ্নতা।

১২১৭. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাকে তাহাঁর একটি কাজে পাঠালেন, আমি গেলাম এবং কাজটি সেরে ফিরে এলাম। অতঃপর নাবী (সাঃআঃ) -কে সালাম করলাম। তিনি জওয়াব দিলেন না। এতে আমার মনে এমন খটকা লাগল যা আল্লাহই ভাল জানেন। আমি মনে মনে বললাম, সম্ভবত আমি বিলম্বে আসার কারণে নাবী (সাঃআঃ) আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম; তিনি জওয়াব দিলেন না। ফলে আমার মনে প্রথম বারের চেয়েও অধিক খটকা লাগল। (সালাত শেষে) আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম এবার তিনি সালামের জওয়াব দিলেন এবং বললেনঃ সালাতে ছিলাম বলে তোমার সালামের জওয়াব দিতে পারিনি। তিনি তখন তাহাঁর বাহনের পিঠে কিবলা হইতে অন্যমুখে ছিলেন।

২১/১৬. অধ্যায়ঃ কিছু ঘটলে সালাতে হাত উত্তোলন করা।

১২১৮. সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছল যে, কুবায় বনূ আমর ইবনু আওফ গোত্রে কোন ব্যাপার ঘটেছে। তাদের মধ্যে মীমাংসার উদ্দেশে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতোমধ্যে সালাতের সময় হয়ে গেল। বিলাল (রাদি.) আবু বকর (রাদি.) -এর নিকট এসে বলিলেন, হে আবু বকর (রাদি.)! আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) কর্মব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে সালাতের সময় উপস্থিত। আপনি কি লোকদের ইমামতি করবেন? তিনি বলিলেন, হাঁ, যদি তুমি চাও। তখন বিলাল (রাদি.) সালাতের ইক্বামাত বলিলেন এবং আবু বকর (রাদি.) এগিয়ে গেলেন এবং তাক্‌বীর বলিলেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আসলেন এবং কাতার ফাঁক করে সামনে এগিয়ে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। মুসল্লীগণ তখন তাস্‌ফীহ করিতে লাগলেন। সাহল (রাদি.) বলেন, তাস্‌ফীহ মানে তাস্‌ফীক (হাতে তালি দেয়া) তিনি আরো বলিলেন, আবু বকর (রাদি.) সালাতে এদিক সেদিক তাকাতেন না। মুসল্লীগণ অধিক (তালি দেয়া) করিবে, তিনি লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে দেখিতে পেলেন। তিনি তাঁকে ইঙ্গিতে সালাত আদায় করার আদেশ দিলেন। তখন আবু বকর (রাদি.) তাহাঁর দুহাত তুললেন এবং আল্লাহর হামদ বর্ণনা করিলেন। অতঃপর পিছু হেঁটে পিছনে চলে এসে কাতারে দাঁড়ালেন। আর রাসুল (সাঃআঃ) সামনে এগিয়ে গেলেন এবং মুসল্লীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করিলেন। সালাত শেষ করে তিনি মুসল্লীগণের দিকে মুখ করে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের কি হয়েছে? সালাতে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাত চাপড়াতে শুরু কর কেন? হাত চাপড়ানো তো মেয়েদের জন্য। সালাতে আদায়রত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে পুরুষরা সুবহানাল্লাহ বলবে। অতপর তিনি আবু বকর (রাদি.) -এর দিকে লক্ষ্য করে তাঁকে জিজ্ঞেস করিলেন, হে আবু বক্‌র! তোমাকে আমি ইঙ্গিত করা সত্ত্বেও কিসে তোমাকে সালাত আদায়ে বাধা দিল? আবু বকর (রাদি.) বলিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর সামনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা ইবনু আবু কুহাফার [১] জন্য সমীচীন নয়।

[১] আবু কূহাফাহ, আবু বক্‌র (রাদি.) -এর পিতা।

২১/১৭. অধ্যায়ঃ সালাতে কোমরে হাত রাখা।

১২১৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সালাতে কোমরে হাত রাখা নিষেধ করা হয়েছে। হিশাম ও আবু হিলাল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ইবনু সীরীন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) -এর মাধ্যমে আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।

১২২০. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোমরে হাত রেখে সালাত আদায় করিতে লোকেদের নিষেধ করা হয়েছে।

২১/১৮. অধ্যায়ঃ সালাতে মুসল্লীর কোন বিষয় কল্পনা করা।

উমর (রাদি.) বলেছেন, আমি সালাতের মধ্যে আমার সেনবাহিনী বিন্যাসের চিন্তা করে থাকি। [১]

[১] জিহাদ এবং আখিরাতের কাজ বিধায় বিশেষ পরিস্থিতিতে উমর (রাদি.) সালাতে এরূপ চিন্তা করিয়াছেন।

১২২১. ঊকবাহ ইবনু হারিস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে আসরের সালাত আদায় করলাম। সালাম করেই তিনি দ্রুত উঠে তাহাঁর কোন এক সহধর্মিণীর নিকট গেলেন, অতঃপর বেরিয়ে এলেন। তাহাঁর দ্রুত যাওয়া আসার ফলে (উপস্থিত) সাহাবীগণের চেহারায় বিস্ময়ের আভাস দেখে তিনি বললেনঃ সালাতে আমার নিকট রাখা একটি সোনার টুক্‌রার কথা আমার মনে পড়ে গেল। সন্ধ্যায় বা রাতে তা আমার নিকট থাকবে আমি এটা অপছন্দ করলাম। তাই, তা বন্টন করে দেয়ার নির্দেশ দিলাম।

১২২২. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ সালাতের আযান হলে শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় যাতে সে আযান শুনতে না পায়। তখন তার পশ্চাদ-বায়ু নিঃসরণ হইতে থাকে। মুআয্‌যিন আযান শেষে নীরব হলে সে আবার এগিয়ে আসে। আবার ইক্বামাত বলা হলে পালিয়ে যায়। মুআয্‌যিন (ইক্বামাত) শেষ করলে এগিয়ে আসে। তখন সে মুসল্লীকে বলিতে থাকে, (ওটা) স্মরন কর, যে বিষয় তার স্মরনে ছিল না। শেষ পর্যন্ত কত রাকআত সালাত আদায় করিল তা মনে করিতে পারে না। আবু সালামা ইবনু আবদুর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, তোমাদের কেউ এরূপ অবস্থায় পড়লে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় যেন দুটি সিজদা‌ করে। এ কথা আবু সালামা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে শুনেছেন।

১২২৩. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকে বলে আবু হুরাইরা (রাদি.) অধিক হাদীস বর্ণনা করেছে। এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি জিজ্ঞেস করলাম। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) গতরাতে ইশার সালাতে কোন সুরা পড়েছেন? লোকটি বলিল, আমি জানিনা। আমি বললাম, কেন, তুমি কি সে সালাতে উপস্থিত ছিলে না? সে বলিল, হ্যাঁ, ছিলাম। আমি বললাম, আমি কিন্তু জানি তিনি অমুক অমুক সুরা পড়েছেন।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply