জোরে আমিন বলার হাদীস – ইমাম ও মুক্তাদীর উভয়ের জন্য
জোরে আমিন বলার হাদীস – ইমাম ও মুক্তাদীর উভয়ের জন্য >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ১০, আযান, অধ্যায়ঃ (১১১-১১৩)=৩টি
১০/১১১. অধ্যায়ঃ ইমামের সশব্দে আমীন বলা ।
১০/১১২. অধ্যায়ঃ আমীন বলার ফযীলত ।
১০/১১৩. অধ্যায়ঃ মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলা ।
১০/১১১. অধ্যায়ঃ ইমামের সশব্দে আমীন বলা ।
আত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমীন হল দুআ। তিনি আরও বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাদি.) ও তাহাঁর পিছনের মুসুল্লীগণ এমনভাবে আমীন বলিতেন যে, মসজিদে গুমগুম আওয়ায হতো। আবু হুরাইরা (রাদি.) ইমামকে ডেকে বলিতেন, আমাকে আমীনবলার সুযোগ হইতে বঞ্চিত করবেন না। নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ইবনু উমর (রাদি.) কখনই আমীন বলা ছাড়তেন না এবং তিনি তাদের (আমীন বলার জন্য) উৎসাহিত করিতেন। আমি তাহাঁর কাছ হইতে এ সম্পর্কে হাদীস শুনিয়াছি।
৭৮০.আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ইমাম যখন আমীন বলেন, তখন তোমরাও আমীন বলো। কেননা, যার আমীন (বলা) ও মালাইকার আমীন (বলা) এক হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনু শিহাব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) ও আমীন বলিতেন।
১০/১১২. অধ্যায়ঃ আমীন বলার ফযীলত ।
৭৮১. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ (সালাতে) আমীন বলে, আর আসমানে মালাইকাহ আমীন বলেন এবং উভয়ের আমীন একই সময় হলে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। [১]
১০/১১৩. অধ্যায়ঃ মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলা ।
৭৮২. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ইমাম غَيرِ المَغضوُبِ عَلَيهِم وَلاَ الضّاَلّين পড়লে তোমরা আমীন বলো। কেননা, যার এ (আমীন) বলা মালাকগণের (আমীন) বলার সাথে একই সময় হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। মুহাম্মাদ ইবনু আমর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আবু সালামা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে আবু হুরাইরা (রাদি.)-এর মাধ্যমে নাবী (সাঃআঃ) হইতে এবং নুআইম- মুজমির (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে হাদীস বর্ণনায় সুমাই (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করিয়াছেন।
Leave a Reply