তাকবীর, হাত উঠানো ও জামাতে কাতার সোজা করার হাদিস
তাকবীর, হাত উঠানো ও জামাতে কাতার সোজা করার হাদিস >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ১০, আযান, অধ্যায়ঃ (৭১-৯৪)=২৪টি
১০/৭১. অধ্যায়ঃ ইক্বামাতের সময় এবং এর পরে কাতার সোজা করা ।
১০/৭২. অধ্যায়ঃ কাতার সোজা করার সময় মুক্তাদীগণের প্রতি ইমামের ফিরে দেখা ।
১০/৭৩. অধ্যায়ঃ প্রথম কাতার ।
১০/৭৪. অধ্যায়ঃ কাতার সোজা করা সালাতের পূর্ণতার অঙ্গ।
১০/৭৫. অধ্যায়ঃ কাতার সোজা না করা গুনাহ।[১]
১০/৭৬. অধ্যায়ঃ কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলানো ।
১০/৭৭. অধ্যায়ঃ কেউ ইমামের বামপাশে দাঁড়ালে ইমাম তাকে পিছনে ঘুরিয়ে ডানপাশে দাঁড় করালে সালাত আদায় হইবে ।
১০/৭৮. অধ্যায়ঃ মহিলা একজন হলেও ভিন্ন কাতারে দাঁড়াবে ।
১০/৭৯. অধ্যায়ঃ মসজিদ ও ইমামের ডানদিক ।
১০/৮০. অধ্যায়ঃ ইমাম ও মুক্তাদীর মধ্যে দেয়াল বা সুতরা থাকলে ।
১০/৮১. অধ্যায়ঃ রাতের সালাত ।
১০/৮২. অধ্যায়ঃ ফরয তাকবীর বলা ও সালাত শুরু করা ।
১০/৮৩. অধ্যায়ঃ সালাত শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে উভয় হাত উঠানো ।
১০/৮৪. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমা, রুকূতে যাওয়া এবং রুকূ হইতে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো ।
১০/৮৫. অধ্যায়ঃ উভয় হাত কতটুকু উঠাবে ।
১০/৮৬. অধ্যায়ঃ দু রাকআত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু হাত উঠানো।
১০/৮৮. অধ্যায়ঃ সালাতে খুশু (বিনয়, নম্রতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও তন্ময়তা) ।
১০/৮৯. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমার পরে কি পড়বে ।
১০/৯০. অধ্যায়ঃ
১০/৯১. অধ্যায়ঃ সালাতে ইমামের দিকে তাকানো ।
১০/৯২. অধ্যায়ঃ সালাতে আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকানো।
১০/৯৩. অধ্যায়ঃ সালাতে এদিক ওদিক তাকান ।
১০/৯৪. অধ্যায়ঃ সালাতের মধ্যে কোন কিছু ঘটলে বা কোন কিছু দেখলে বা ক্বিবলাহর দিকে থুথু দেখলে, সে দিকে তাকান ।
১০/৭১. অধ্যায়ঃ ইক্বামাতের সময় এবং এর পরে কাতার সোজা করা ।
৭১৭. নুমান ইবনু বশীর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নিবে, তা না হলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করে দিবেন।
৭১৮. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেনঃ তোমরা কাতার সোজা করে নিবে। কেননা, আমি আমার পিছনে তোমাদেরকে দেখিতে পাই।
১০/৭২. অধ্যায়ঃ কাতার সোজা করার সময় মুক্তাদীগণের প্রতি ইমামের ফিরে দেখা ।
৭১৯. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সালাতের ইকামত হচ্ছে, এমন সময় আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাদের দিকে মুখ করে তাকালেন এবং বললেনঃ তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নাও আর মিলে দাঁড়াও। কেননা, আমি আমার পিছনে তোমাদেরকে দেখিতে পাই।
১০/৭৩. অধ্যায়ঃ প্রথম কাতার ।
৭২০. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ পানিতে ডুবে, কলেরায়, প্লেগে এবং ভূমিধসে বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদ।
৭২১. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যদি লোকেরা জানত যে, আওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায়ের কী ফযীলত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করে আগেভাগে আসার চেষ্টা করতো। আর ইশা ও ফজরের জামাতের কী ফযীলত যদি তারা জানত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হতো। এবং সামনের কাতারের কী ফযীলত তা যদি জানত, তাহলে এর জন্য তারা কুরআ ব্যবহার করতো।
১০/৭৪. অধ্যায়ঃ কাতার সোজা করা সালাতের পূর্ণতার অঙ্গ।
৭২২. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেনঃ অনুসরণ করার জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তার বিরুদ্ধাচরণ করিবে না। তিনি যখন রুকূ করেন তখন তোমরাও রুকু করিবে। তিনি যখন
سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه
বলেন , তখন তোমরা
رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ
বলবে। তিনি যখন সিজদা করবেন তখন তোমরাও সিজদা করিবে। তিনি যখন বসে সালাত আদায় করেন, তখন তোমরাও সবাই বসে সালাত আদায় করিবে। আর তোমরা সালাতে কাতার সোজা করে নিবে, কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
৭২৩. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নিবে, কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
১০/৭৫. অধ্যায়ঃ কাতার সোজা না করা গুনাহ।
৭২৪. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
একবার তিনি (আনাস) মদীনায় আসলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর যুগের তুলনায় আপনি আমাদের সময়ের অপছন্দনীয় কী দেখিতে পাচ্ছেন? তিনি বলিলেন, অন্য কোন কাজ তেমন অপছন্দনীয় মনে হচ্ছে না। তবে তোমরা (সালাতে) কাতার ঠিকমত সোজা কর না। উক্বাহ ইবনু উবাইদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বুশাইর ইবনু ইয়াসার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণনা করেন যে, আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) আমাদের নিকট মদীনায় এলেন……… বাকী অংশ অনুরূপ।
১০/৭৬. অধ্যায়ঃ কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলানো ।
নুমান ইবনু বশীর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমাদের কাউকে দেখেছি পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির টাখ্নুর সাথে টাখ্নু মিলাতে ।
৭২৫. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা, আমি আমার পিছন হইতেও তোমাদের দেখিতে পাই। আনাস (রাদি.) বলেন আমাদের প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম।
১০/৭৭. অধ্যায়ঃ কেউ ইমামের বামপাশে দাঁড়ালে ইমাম তাকে পিছনে ঘুরিয়ে ডানপাশে দাঁড় করালে সালাত আদায় হইবে ।
৭২৬. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন একরাতে আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সংগে সালাত আদায় করিতে গিয়ে তাহাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার মাথার পিছনের দিক ধরে তাহাঁর ডানপাশে নিয়ে আসলেন। অতঃপর সালাত আদায় করে শুয়ে পড়লেন। পরে তাহাঁর নিকট মুয়াজ্জিন এলে তিনি উঠে সালাত আদায় করিলেন, কিন্তু (নতুনভাবে) উযূ করলান না।
১০/৭৮. অধ্যায়ঃ মহিলা একজন হলেও ভিন্ন কাতারে দাঁড়াবে ।
৭২৭. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন একবার আমাদের ঘরে আমি ও একটি ইয়াতীম ছেলে নাবী (সাঃআঃ) এর পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলাম। আর আমার মা উম্মু সুলাইম (রাদি.) আমাদের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
১০/৭৯. অধ্যায়ঃ মসজিদ ও ইমামের ডানদিক ।
৭২৮. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একরাতে আমি সালাত আদায়ের জন্য নাবী (সাঃআঃ)-এর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার হাত বা বাহু ধরে তাহাঁর ডানপাশে দাঁড় করালেন এবং তিনি তাহাঁর হাতের ইঙ্গিতে বলিলেন, আমার পিছনের দিক দিয়ে।
১০/৮০. অধ্যায়ঃ ইমাম ও মুক্তাদীর মধ্যে দেয়াল বা সুতরা থাকলে ।
হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, তোমার ও ইমামের মধ্যে নহর থাকলেও ইকতিদা করিতে অসুবিধা নেই। আবু মিজলায (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, যদি ইমামের তাকবীর শোনা যায় তাহলে ইমাম ও মুকতাদীর মধ্যে রাস্তা বা দেয়াল থাকলেও ইকতিদা করা যায় ।
৭২৯. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) রাতের সালাত তাহাঁর নিজ কামরায় আদায় করিতেন। কামরার দেওয়ালটি ছিল নীচু। ফলে একদা সাহাবীগণ নাবী (সাঃআঃ)-এর শরীর দেখিতে পেলেন এবং (দেয়ালের অন্য পাশে) সাহাবীগণ দাঁড়িয়ে তাহাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করিলেন। সকালে তাঁরা এ কথা বলাবলি করছিলেন। দ্বিতীয় রাতে তিনি (সালাতে) দাঁড়ালেন। সাহাবীগণ দাঁড়িয়ে তাহাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করিলেন। দু বা তিন রাত তাঁরা এরূপ করিলেন। এরপরে (রাতে) আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বসে থাকলেন, আর বের হলেন না। ভোরে সাহাবীগণ এ বিষয়ে আলোচনা করিলেন। তখন তিনি বললেনঃ আমার আশংকা হচ্ছিল যে, রাতের সালাত তোমাদের উপর ফরয করে দেয়া হইতে পারে।
১০/৮১. অধ্যায়ঃ রাতের সালাত ।
৭৩০. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ)-এর একটি চাটাই ছিল। তিনি তা দিনের বেলায় বিছিয়ে রাখতেন এবং রাতের বেলা তা দিয়ে কামরা বানিয়ে নিতেন। সাহাবীগণ তাহাঁর পিছনে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ান এবং তাহাঁর পিছনে সালাত আদায় করেন।
৭৩১. যায়দ ইবনু সাবিত (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) রমযান মাসে একটি ছোট কামরা বানালেন। তিনি (বুস্র ইবনু সায়ীদ) (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, মনে হয়, যায়দ ইবনু সাবিত (রাদি.) কামরাটি চাটাই দিয়ে তৈরি ছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি সেখানে কয়েক রাত সালাত আদায় করেন। আর তাহাঁর সাহাবীগণের মধ্যে কিছু সাহাবীও তাহাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করেন। তিনি যখন তাঁদের সম্বন্ধে জানতে পারলেন, তখন তিনি বসে থাকলেন। পরে তিনি তাঁদের নিকট এসে বলিলেন, তোমাদের কার্যকলাপ দেখে আমি বুঝতে পেরেছি। হে লোকেরা! তোমরা তোমাদের ঘরেই সালাত আদায় কর। কেননা, ফরয সালাত ছাড়া লোকেরা ঘরে যে সালাত আদায় করে তা-ই উত্তম। আফফান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) যায়দ ইবনু সাবিত (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে একই রকম বলেছেন।
১০/৮২. অধ্যায়ঃ ফরয তাকবীর বলা ও সালাত শুরু করা ।
৭৩২. আনাস ইবনু মালিক আনসারী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
একবার আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ঘোড়ায় চড়েন। ফলে তাহাঁর ডান পাঁজরে আঁচড় লাগে। আনাস (রাদি.) বলেন এ সময় কোন এক সালাত আমাদের নিয়ে তিনি বসে আদায় করেন। আমরাও তাহাঁর পিছনে বসে সালাত আদায় করি। সালাম ফিরানোর পর তিনি বললেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁকে অনুসরণ করার জন্যই। তাই তিনি যখন দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেন তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করিবে। আর তিনি যখন রুকূ করেন তখন তোমারাও রুকূ করিবে। তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করিবে। তিনি যখন
“سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه”
বলেন, তখন তোমরা
“رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ”
বলবে।
৭৩৩. আনাস ইবনু মালিক আনসারী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ঘোড়া হইতে পড়ে গিয়ে আহত হন। তাই তিনি আমাদের নিয়ে বসে সালাত আদায় করেন। আমরাও তাহাঁর সঙ্গে বসে সালাত আদায় করি। অতঃপর তিনি ফিরে বললেনঃ ইমাম অনুসরণের জন্যই বা তিনি বলেছিলেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাহাঁর অনুসরণের জন্য। তাই যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, যখন রুকূ করেন তখন তোমরাও রুকূ করিবে। যখন তিনি উঠেন তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন
سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه
বলেন,তখন তোমরা
رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ
বলবে এবং তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করিবে।
৭৩৪. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাহাঁর অনুসরণের জন্য। তাই যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, যখন তিনি রুকূ করেন তখন তোমরাও রুকূ করিবে। যখন
سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه
বলেন তখন তোমরা বলবে
رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ
আর তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করিবে। যখন তিনি বসে সালাত আদায় করেন তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করিবে।
১০/৮৩. অধ্যায়ঃ সালাত শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে উভয় হাত উঠানো ।
৭৩৫. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) যখন সালাত শুরু করিতেন, তখন উভয় হাত তাহাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূতে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলিতেন এবং রুকূ হইতে মাথা উঠাতেন তখনও একই ভাবে দুহাত উঠাতেন এবং
سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه
ও
رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ
বলিতেন। কিন্তু সিজদার সময় এরুপ করিতেন না।
১০/৮৪. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমা, রুকূতে যাওয়া এবং রুকূ হইতে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো ।
৭৩৬. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) কে দেখেছি, তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকূর জন্য তাকবীর বলিতেন তখনও এ রকম করিতেন। আবার যখন রুকূ হইতে মাথা উঠাতেন তখনও এমন করিতেন এবং
سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه
বলিতেন।তবে সিজদার সময় এরূপ করিতেন না।
৭৩৭. আবু কিলাবা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রাদি.)-কে দেখেছেন, তিনি যখন সালাত আদায় করিতেন তখন তাকবীর বলিতেন এবং তাহাঁর দুহাত উঠাতেন। আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করিতেন তখনও তাহাঁর উভয় হাত উঠাতেন, আবার যখন রুকু হইতে মাথা উঠাতেন তখনও তাহাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসুল (সাঃআঃ) এরূপ করিয়াছেন।
১০/৮৫. অধ্যায়ঃ উভয় হাত কতটুকু উঠাবে ।
আবু হুমাইদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাহাঁর সাথীদের বলেছেন যে, নাবী (সাঃআঃ) কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন ।
৭৩৮. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)–কে তাকবীর দিয়ে সালাত শুরু করিতে দেখেছি, তিনি যখন তাকবীর বলিতেন তখন তাহাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং কাঁধ বরাবর করিতেন। আর যখন রুকূর তাকবীর বলিতেন তখনও এ রকম করিতেন। আবার যখন
سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه
বলিতেন,তখনও এরূপ করিতেন এবং
رَبَّناَ وَلَكَ الحَمدُ
বলিতেন। কিন্তু সিজদায় যেতে এরূপ করিতেন না। আর সিজদার থেকে মাথা উঠাবার সময়ও এরূপ করিতেন না।
১০/৮৬. অধ্যায়ঃ দু রাকআত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু হাত উঠানো।
৭৩৯. নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
ইবনু উমর (রাদি.) যখন সালাত শুরু করিতেন তখন তাকবীর বলিতেন এবং দুহাত উঠাতেন আর যখন রুকু করিতেন তখনও দুহাত উঠাতেন। এরপর যখন
سَمِعَ اللهُ لِمَن حَمِدَه
বলিতেন তখনও দু হাত উঠাতেন এবং দুরাকআত আদায়ের পর যখন দাঁড়াতেন তখনও দুহাত উঠাতেন। এ সমস্ত আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিত বলে ইবনু উমর (রাদি.) বলেছেন। এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালাম ইবনু উমর (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। ইবনু তাহমান, আইয়ূব ও মূসা ইবনু উক্বাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে এ হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করিয়াছেন।
৭৪০
সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকদের নির্দেশ দেয়া হত যে, সালাতে প্রত্যেকে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখবে। [১] আবু হাযিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, সাহল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এ হাদীসটি নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণনা করিতেন বলেই জানি। ইসমাঈল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, এ হাদীসটি নাবী (সাঃআঃ) হইতেই বর্ণনা করা হতো। তবে তিনি এমন বলেননি যে, সাহল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণনা করিতেন।
১০/৮৮. অধ্যায়ঃ সালাতে খুশু (বিনয়, নম্রতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও তন্ময়তা) ।
৭৪১
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা কি মনে কর যে, আমার কিবলা শুধুমাত্র এদিকে? আল্লাহর শপথ, তোমাদের রুকু তোমাদের খুশু কোন কিছুই আমার নিকট গোপন থাকে না। আর নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের দেখি আমার পিছন দিক হইতেও।
৭৪২
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা রুকু ও সিজদাগুলোতে যথাযথভাবে আদায় করিবে। আল্লাহর শপথ! আমি আমার পিছন হইতে বা রাবী বলেন, আমার পিঠের পিছনে হইতে তোমাদের দেখিতে পাই, যখন তোমরা রুকু ও সিজদা কর।
১০/৮৯. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমার পরে কি পড়বে ।
৭৪৩
আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ), আবু বকর (রাদি.) এবং উমর (রাদি.) –الحَمدُ لِلَّهِ رَبِّ العالَمينَ দিয়ে সালাত শুরু করিতেন।
৭৪৪
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাক্বীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কি পাঠ করে থাকেন? তিনি বললেনঃ এ সময় আমি বলি-
اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ
আল্লাহুম্মা বাইদ বাইনি ওয়া বাইনা খাতাইয়াইয়া কামা বায়াদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লাহুম্মা নাক্কিনী মিনাল খাতাইয়া কামা ইউনাক্কাছ সাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাস। আল্লাহুম্মাগসিল খাতাইয়াইয়া বিল মায়ি ওয়াস-সালজি ওয়াল বারাদ, “হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হইতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও।”
১০/৯০. অধ্যায়ঃ
৭৪৫
আসমা বিনত আবু বক্র (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) একবার সালাতুল কুসূফ (সূর্য গ্রহণের সালাত) আদায় করিলেন। তিনি সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর রুকুতে গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ থাকলেন। অতঃপর দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর আবার রুকুতে গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকুতে থাকলেন। অতঃপর উঠলেন, পরে সিজদায় গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ সিজদায় রইলেন। আবার সিজদায় গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ সিজদায় থাকলেন। অতঃপর আবার দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। আবার রুকুতে গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকুতে থাকলেন। অতঃপর রুকু হইতে উঠে আবার দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং আবার রুকুতে থাকলেন। অতঃপর রুকু হইতে উঠে আবার দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং আবার রুকুতে গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ থাকলেন। অতঃপর রুকু হইতে উঠে সিজদায় গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ সিজদায় থাকলেন। অতঃপর উঠে সিজদায় গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ সিজদায় থাকলেন। অতঃপর সালাত শেষ করে ফিরে বললেনঃ জান্নাত আমার খুবই নিকটে এসে গিয়েছিল এমনকি আমি যদি চেষ্টা করতাম তাহলে জান্নাতের একগুচ্ছ আঙ্গুর তোমাদের এনে দিতে পারতাম। আর জাহান্নামও আমার একেবারে নিকটবর্তী এসে গিয়েছিল। এমনকি আমি বলে উঠলাম, ইয়া রব! আমিও কি তাদের সাথে? আমি একজন স্ত্রীলোককে দেখিতে পেলাম। আবু হুরাইরা (রাদি.) বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলেছিলেন, একটি বিড়াল তাকে খামচাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ স্ত্রী লোকটির এমন অবস্থা কেন? মালাকগণ (ফেরেশতাগণ) জবাব দিলেন, সে একটি বিড়ালকে আটকিয়ে রেখেছিল, ফলে বিড়ালটি অনাহারে মারা যায়। উক্ত স্ত্রী লোকটি তাকে খেতেও দেয়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে আহার করিতে পারে। নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমার মনে হয়, ইবনু আবু মুলায়কাহ (রাদি.) বর্ণনা করেছিলেন, যাতে সে যমীনের পোকামাকড় খেতে পারে।
১০/৯১. অধ্যায়ঃ সালাতে ইমামের দিকে তাকানো ।
আয়েশা (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সালাতে কুসূফ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন, তোমরা যখন আমাকে পিছিয়ে আসতে দেখেছিলে তখন আমি জাহান্নাম দেখেছিলাম; তার এক অংশ অপর অংশকে বিচূর্ণ করছে ।
৭৪৬
আবু মামার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা খাব্বাব (রাদি.) কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) কি যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কিভাবে বুঝতে পারতেন? তিনি বলিলেন, তাহাঁর দাড়ির নড়াচড়া দেখে।
৭৪৭
বারাআ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তাঁরা যখন নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করিতেন, তখন রুকু হইতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দেখিতেন যে, নাবী (সাঃআঃ) সিজদায় গেছেন।
৭৪৮
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর যুগে একবার সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন তিনি এজন্য সালাত আদায় করেন। সাহাবা-ই-কিরাম (রাদি.) জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সালাতে দাঁড়ানো অবস্থায় আপনাকে দেখলাম যেন কিছু একটা ধরতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু পরে দেখলাম, আবার পিছিয়ে এলেন। তিনি বলিলেন, আমাকে জান্নাত দেখানো হয় এবং তারই একটি আঙ্গুরের ছড়া নিতে যাচ্ছিলাম। আমি যদি তা নিয়ে আসতাম, তাহলে দুনিয়া স্থায়ী থাকা পর্যন্ত তোমরা তা হইতে খেতে পারতে।
৭৪৯
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করিলেন। অতঃপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করিলেন এবং মসজিদের কিবলার দিকে ইশারা করে বলিলেন, এইমাত্র আমি যখন তোমাদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলাম তখন এ দেওয়ালের সামনের দিকে আমি জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতিচ্ছবি দেখিতে পেলাম। আজকের মতো এত ভাল ও মন্দ আমি আর দেখিনি, একথা তিনি তিনবার বলিলেন।
১০/৯২. অধ্যায়ঃ সালাতে আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকানো।
৭৫০
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ লোকদের কী হলো যে, তারা সালাতে আকাশের দিকে চোখ তুলে তাকায়? এ ব্যাপারে তিনি কঠোর বক্তব্য রাখলেন; এমনকি তিনি বললেনঃ যেন তারা অবশ্যই এ হইতে বিরত থাকে, অন্যথায় অবশ্যই তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়া হইবে।
১০/৯৩. অধ্যায়ঃ সালাতে এদিক ওদিক তাকান ।
৭৫১
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে সালাতে এদিক ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ এটা একধরনের ছিনতাই, যার মাধ্যমে শয়তান বান্দার সালাত হইতে অংশ বিশেষ অংশ ছিনিয়ে নেয়।
৭৫২
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
একবার নাবী (সাঃআঃ) একটি নক্শা করা চাদর পরে সালাত আদায় করিলেন। সালাতের পরে তিনি বললেনঃ এ চাদরের কারুকার্য আমার মনকে আকর্ষিত করেছিল। এটি আবু জাহমের নিকট নিয়ে যাও এবং এর বদলে একটি আম্বজানিয়্যাহ (নকশা ছাড়া মোটা কাপড়) নিয়ে এসো।
১০/৯৪. অধ্যায়ঃ সালাতের মধ্যে কোন কিছু ঘটলে বা কোন কিছু দেখলে বা ক্বিবলাহর দিকে থুথু দেখলে, সে দিকে তাকান ।
সাহল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, আবু বক্র (রাদি.) তাকালেন এবং নাবী (সাঃআঃ)-কে দেখলেন ।
৭৫৩
ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন, এমতাবস্থায় মসজিদে কিবলার দিকে থুথু দেখিতে পেয়ে তা পরিষ্কার করে ফেললেন। অতঃপর তিনি সালাত শেষ করে বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে থাকে, তখন আল্লাহ তার সামনে থাকেন। কাজেই সালাতে থাকা অবস্থায় কেউ সামনের দিকে থুথু ফেলবে না। মূসা ইবনু উক্বাহ ও ইবনু আবু রাওয়াদও (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
৭৫৪
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলিলেন, মুসলমানগণ ফজরের সালাতে রত এ সময় আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আয়েশা (রাদি.)-এর হুজরার পর্দা উঠালে তাঁরা চমকে উঠলেন। তিনি তাদের দিকে তাঁকিয়ে দেখলেন, তাঁরা কাতারবদ্ধ হয়ে আছেন। তা দেখে তিনি মুচকি হাসলেন। আবু বকর (রাদি.) তাহাঁর ইমামতের স্থান ছেড়ে দিয়ে কাতারে শামিল হবার জন্য পিছিয়ে আসতে চাইলেন। তিনি মনে করেছিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বের হইতে চান। মুসলিমগণও সালাত ছেড়ে দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। তিনি ইঙ্গিতে তাঁদের বলিলেন, তোমরা তোমাদের সালাত পুরো কর। অতঃপর তিনি পর্দা ফেলে দিলেন। এ দিনেরই শেষে তাহাঁর ওফাত হয়। [১]
[১] অর্থাৎ তাহাঁর ইনতিকালের বিষয়টি শেষ প্রহরে সকলের নিকট সুনিশ্চিতভাবে প্রতীয়মান হয় । কেননা , ঐতি-হাসিকগণ এ ব্যাপারে একমত যে , রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিনের প্রথম প্রহরে ইনতিকাল করিয়াছেন । তাই এ হাদীসের ব্যাখ্যা এভাবেই করা যায় ।
Leave a Reply