মান্নত করার নিয়ম নিষেধাজ্ঞা এবং কাফফারা আদায় করা
মান্নত করার নিয়ম নিষেধাজ্ঞা এবং কাফফারা আদায় করা >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৩৫, কসম ও মান্নাত, হাদীস (৩৮০১-৩৮৫৬)
১.পরিচ্ছেদঃ মান্নত করার নিষেধাজ্ঞা
২.পরিচ্ছেদঃ মান্নত কোন কিছুকে ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করিতে পারে না
৩.পরিচ্ছেদঃ মান্নত দ্বারা কৃপণ হইতে কিছু মাল বের হয় মাত্র
৪.পরিচ্ছেদঃ ইবাদাত-আনুগত্যের কাজে মান্নত
৫.পরিচ্ছেদঃ গুনাহের মান্নত করা
৬.পরিচ্ছেদঃ মান্নত পূর্ণ করা
৭.পরিচ্ছেদঃ যে মান্নতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয় না
৮.পরিচ্ছেদঃ যে বস্তুতে মালিকানা নেই, তার মান্নত করা
৯.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি পায়ে হেঁটে আল্লাহর ঘরে যাওয়ার মান্নত করে
১০.পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীলোকের পায়ে হেঁটে মাথা না ঢেকে বায়তুল্লাহ্ যাওয়ার মান্নত করা
১১.পরিচ্ছেদঃ রোজার মান্নত করার পর আদায় করার পুরবে মৃত্যু হলে
১২.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মান্নাত আদায় না করে মারা যায়
১৩.পরিচ্ছেদঃ মান্নত আদায় করার পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করা
১৪.পরিচ্ছেদঃ মান্নত হিসেবে হাদিয়া দেয়া
১৫.পরিচ্ছেদঃ মালের মান্নত করলে জমি তার অন্তর্ভুক্ত হইবে কি না
১৬.পরিচ্ছেদঃ ইন্শাআল্লাহ বলা
১৭.পরিচ্ছেদঃ কেউ শপথ করলে যদি অন্য ব্যক্তি ইন্শাআল্লাহ বলে
১৮.পরিচ্ছেদঃ মান্নতের কাফ্ফারা
১৯.পরিচ্ছেদঃ মান্নত করার পর তা আদা ২০.পরিচ্ছেদঃ ইন্শাআল্লাহ বলা
১.পরিচ্ছেদঃ মান্নত করার নিষেধাজ্ঞা
৩৮০১. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] মান্নত করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি বলেছেন ঃ তাতে মানুষের কোন লাভ হয় না। এর দ্বারা কৃপণের থেকে কিছু বের করা হয় মাত্র।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮০২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেন ঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] মান্নত করিতে নিষেধ করিয়াছেন এবং তিনি বলেছেন ঃ মান্নত কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। এর দ্বারা কেবল কৃপণ হইতে কিছু মাল বের করা হয়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ মান্নত কোন কিছুকে ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করিতে পারে না
৩৮০৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন ঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ মান্নত কোন কিছুকে আগে বা পরে করিতে পারে না। তা এমন বিষয়, যা দ্বারা কৃপণ হইতে কিছু মাল বের করা হয় মাত্র।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮০৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ মান্নত লোকের জন্য এমন কিছু আনতে পারে না, যা তার তাক্দীরে নেই। তা এমন বিষয়, যা দ্বারা কৃপণের হাত হইতে কিছু মাল বের করা হয় মাত্র।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিচ্ছেদঃ মান্নত দ্বারা কৃপণ হইতে কিছু মাল বের হয় মাত্র
৩৮০৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ তোমরা মান্নত করো না। কেননা তা তাক্দীরের বিপরীতে কোন কাজে আসে না। কিন্তু এর দ্বারা কৃপণ থেকে কিছু মাল বের হয়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ ইবাদাত-আনুগত্যের কাজে মান্নত
৩৮০৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যদি কেউ মান্নত করে যে, সে আল্লাহর আনুগত্য করিবে, তবে সে যেন তাহাঁর আনুগত্য করে। আর যদি কেউ আল্লাহর নাফরমানী করার মান্নত করে, তবে সে যেন তাহাঁর নাফরমানী না করে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ গুনাহের মান্নত করা
৩৮০৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন ঃ আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি ঃ যদি কেউ আল্লাহর আনুগত্য করার মান্নত করে, তবে সে যেন তাহাঁর আনুগত্য করে। আর যদি কেউ আল্লাহর নাফরমানী করার মান্নত করে, তবে সে যেন তাহাঁর নাফরমানী না করে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮০৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন ঃ যে কেউ আল্লাহর আনুগত্যের মান্নত করে, সে যেন তাহাঁর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফরমানী করার মান্নত করে, সে যেন তাহাঁর নাফরমানী না করে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ মান্নত পূর্ণ করা
৩৮০৯. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ তোমাদের মধ্যে আমার সময়ের লোকই উত্তম, এরপর তারা, যারা তাহাদের নিকটবর্তী। এরপর যারা তাহাদের পরবর্তী, তারপর তাহাদের পরবর্তী। বর্ণনাকারী বলেন ঃ আমার স্মরণ নেই, তিনি তা দুবার বলেছেন, না তিনবার। এরপর তিনি ঐসকল লোকের কথা বলিলেন ঃ যারা খিয়ানত করে, আমান্নতদারী রক্ষা করে না। তারা সাক্ষ্য দেয়, অথচ তাহাদেরকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডাকা হয় না; মান্নত করে অথচ মান্নত পূর্ণ করে না। আর তারা মোটা-তাজা হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ যে মান্নতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয় না
৩৮১০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন ঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এমন একজন লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন; যে অন্য একটি লোককে রশি দ্বারা বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি তা ধরে কেটে ফেললেন। তখন সে ব্যক্তি বললো ঃ সে ঐরূপ করার মান্নত করেছে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮১১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] একজন লোকের নিকট দিয়ে গেলেন, তখন ঐ ব্যক্তি কাবার তওয়াফ করছিল। তখন তাকে অন্য একটি লোক তার নাকে উটের লাগাম লাগিয়ে টানছিল। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার নিকট গিয়ে তা নিজ হাতে কেটে ফেললেন এবং আদেশ করিলেন ঃ তাকে হাত ধরে টেনে নাও।
ইবনি জুরায়জ বলেন, সুলায়মান আমাকে জানান যে, তাঊস তাকে হযরত ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে জানিয়েছেন যে, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার নিকট দিয়ে গেলেন, তখন তিনি কাবা তওয়াফ করছিলেন। আর এক ব্যক্তি নিজের হাত চামড়ার রশি, সুতলি বা অন্য কিছু দ্বারা অন্য ব্যক্তির সাথে বেঁধে রেখেছিল। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] নিজ হাতে তা কেটে দিলেন এবং বলিলেন ঃ তুমি তোমার হাত দিয়ে তাকে টেনে নাও।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ যে বস্তুতে মালিকানা নেই, তার মান্নত করা
৩৮১২. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ আল্লাহর নাফরমানীর কাজে মান্নত নেই। আর মানুষ যে বস্তুর মালিক নয়, তারও মান্নত করা যাবে না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮১৩. সাবিত ইবনি যাহ্হাক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেন ঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের শপথ করিবে অথচ সে এ ব্যপারে মিথ্যাবাদী, তখন সে ঐরূপই হইয়া যাবে, যেমন সে বলবে। আর যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন বস্তু দ্বারা আত্মহত্যা করিবে, কিয়ামতের দিন তা দিয়েই তাকে আযাব দেয়া হইবে। মানুষ যাহার মালিক নয়, তাতে তার মান্নত হয় না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি পায়ে হেঁটে আল্লাহর ঘরে যাওয়ার মান্নত করে
৩৮১৪. উকবা ইবনি আমির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন ঃ আমার বোন পায়ে হেঁটে আল্লাহর ঘরে যাওয়ার মান্নত করে। এ ব্যপারে সে আমাকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে ফাত্ওয়া জিজ্ঞাসা করিতে বলে। আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন ঃ সে যতদূর পায়ে হেঁটে যেতে পারে যাবে, তারপর বাহনে আরোহণ করিবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীলোকের পায়ে হেঁটে মাথা না ঢেকে বায়তুল্লাহ্ যাওয়ার মান্নত করা
৩৮১৫. উকবা ইবনি আমির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ আমার বোন মান্নাত করলো যে, সে পায়ে হেঁটে বায়তুল্লাহ গমন করিবে, খালি মাথায়; আমি একথা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বললে তিনি বললেনঃ তোমার বোনকে বলে দাও, সে যেন ওড়না মাথায় দিয়ে সওয়ার হইয়া যায় এবং তিনদিন রোজা রাখে
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃ রোজার মান্নত করার পর আদায় করার পুরবে মৃত্যু হলে
৩৮১৬. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক নারী নদী ভ্রমণে বের হলো। সে এক মাস রোজা রাখার মান্নত করলো। তারপর সে মান্নত আদায় করার পূর্বেই ইনতিকাল করলো। তার বোন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে এই ঘটনা বর্ণনা করলে, তিনি তাকে তার পক্ষ হইতে রোজা রাখেতে বলিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১২.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মান্নাত আদায় না করে মারা যায়
৩৮১৭. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে, সাদ ইবনি উবাদা [রাঃআঃ] তাহাঁর মাতার মান্নত সম্পর্কে নাবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, তিনি তা আদায় করার পূর্বেই ইনতিকাল করিয়াছেন। তিনি বললেনঃ তুমি তার পক্ষ হইতে আদায় কর।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮১৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সাদ ইবনি উবাদা [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট তাহাঁর মাতার মান্নত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, তিনি তা আদায় করার পূর্বেই ইনতিকাল করিয়াছেন। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ তুমি তার পক্ষ হইতে তা আদায় কর।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮১৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সাদ ইবনি উবাদা [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- এর নিকট এসে বললেনঃ আমার মা ইনতিকাল করিয়াছেন। তার উপর মান্নত রয়েছে, যা তিনি আদায় করে যাননি। তিনি বলেনঃ তুমি তার পক্ষ হইতে তা আদায় কর।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৩.পরিচ্ছেদঃ মান্নত আদায় করার পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করা
৩৮২০. ইবনি উমার উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি জাহিলী যুগে একরাত ইতিকাফ করার মান্নত করেন। তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে এ সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে, তিনি তাকে ইতিকাফ করার নির্দেশ দেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮২১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জাহিলী যুগে উমার [রাঃআঃ] একরাত মসজিদে হারামে ইতিকাফ করার মান্নত করেন। তিনি এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ্ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাঁকে ইতিকাফ করিতে বলেলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮২২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জাহিলী যুগে উমরে [রাঃআঃ] একদিন ইতিকাফ করার মান্নাত করিলেন। তিনি এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাঁকে ইতিকাফ করার আদেশ করিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮২৩. আবদুল্লাহ্ ইবনি কাব ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তাহাঁর পিতার তওবা কবূল হলে তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি আমার সমস্ত মাল থেকে মুক্ত হইতে চাই যা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের পথে সাদকা হইবে। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাঁকে বললেনঃ তুমি তোমার কিছু মাল রেখে দাও, এটা তোমার জন্য উত্তম।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৪.পরিচ্ছেদঃ মান্নত হিসেবে হাদিয়া দেয়া
৩৮২৪. আবদুল্লাহ্ ইবনি কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি কাব ইবনি মালিক [রাঃআঃ]- কে তিনি যে তাবুক যুদ্ধে [রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ]-এর সাথে না গিয়ে পেছনে থেকে গিয়েছিলেন, সে সম্পর্কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেনঃ আমি যখন তাহাঁর সামনে বসে বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার তওবার মধ্যে এটাও যে, আমি আমার মাল হইতে পৃথক হইয়া যাব এবং যা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের পথে সাদকা হইয়া যাবে। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার মালের কিছু অংশ রেখে দাও; তা তোমার জন্য উত্তম হইবে। তিনি বললেনঃ আমি বললামঃ তা হলে আমার খায়বরের সম্পত্তি রেখে দিচ্ছি।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮২৫. আবদুল্লাহ ইবনি কাব ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আমি কাব ইবনি মালিক [রাঃআঃ]- কে তিনি যে তাবুকের যুদ্ধে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর সঙ্গে না গিয়ে পেছনে থেকে গিয়েছিলেন, সে সম্পর্কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূল্লালাহ্ ! আমরা তাওবার একটা অংশ এই যে, আমি আমার অর্থ-সম্পদ হইতে মুক্ত হইয়া যাব, যা আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূলের পথে সাদকা হইয়া যাবে। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমার কিছু সম্পদ রেখে দাও, সেটা তোমার পক্ষে শ্রেয়। আমি বললামঃ তা হলে আমি আমার খয়বরের অংশ রেখে দিচ্ছি।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮২৬. উবায়দুল্লাহ্ ইবনি কাব ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি আমার পিতা কাব ইবনি মালিক [রাঃআঃ]- কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আল্লাহ তাআলা আমাকে আমরা সত্যবাদিতার জন্য পরিত্রাণ দিয়েছেন। আর আমার তাওবায় এ-ও রয়েছে যে, আমি আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে আমার মাল দান করে তা হইতে মুক্ত হইয়া যাই। তিনি বললেনঃ তোমার কিছু মাল তুমি রেখে দাও, এটা তোমার জন্য উত্তম। তিনি বললেনঃ আমি আমার খয়বরের সম্পত্তি রাখলাম।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৫.পরিচ্ছেদঃ মালের মান্নত করলে জমি তার অন্তর্ভুক্ত হইবে কি না
৩৮২৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ খায়বরের বছর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ছিলাম। সেখানে আমার গণীমত হিসাবে কেবল মাল [ভূ-সম্পদ] আসবাবপত্র ও বস্ত্রাদি পেলাম। যুবায়র গোত্রের রিফাআ ইবনি যায়দ নামক এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- কে একটি হাবশী গোলাম দান করলো, যাকে লোকে মিদ্আম বলে ডাকতো। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] সেখান হইতে ওয়াদীল কুরার দিকে রওয়ানা হলেন। আমারা যখন ওয়াদীল কুরায় পৌঁছলাম তখন হঠাৎ একটি তীর এসে তার গায়ে লাগলো এবং তাঁকে হত্যা করলো। তার গায়ে এমন সময় তীর লাগলো, যখন সে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সামান নামাচ্ছিল। তখন লোক বলিতে লাগলোঃ তোমার জন্য জান্নাত মুবারক হোক। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ কখনও নয়। আল্লাহর কসম ! যে মাল সে খায়বরের দিন গণীমতের মাল হইতে বণ্টনের পূর্বে নিয়েছিল, তা আগুন হইয়া তাকে গ্রাস করিবে। লোকে যখন একথা শুনলো, তখন এক ব্যক্তি জুতার একটি অথবা দুটি ফিতা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- এর নিকট নিয়ে আসলো। তিনি বললেনঃ একটি বা দুটি আগুনের ফিতা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬.পরিচ্ছেদঃ ইন্শাআল্লাহ বলা
৩৮২৮. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শপথ করে ইন্শাআল্লাহ বললো, সে তা বাদ করে দিলো [অর্থাৎ শপথ সংঘটিত হল না]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮২৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শপথ করে ইন্শাআল্লাহ বললো, সে তাকে বাদ করে দিলো।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কসম করার পর ইন্শাআল্লাহ বললো, তার অবকাশ রয়েছে, সে ইচ্ছা করলে তা পূর্ণ করিবে, নতুবা ছেড়ে দেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৭.পরিচ্ছেদঃ কেউ শপথ করলে যদি অন্য ব্যক্তি ইন্শাআল্লাহ বলে
৩৮৩১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সুলায়মান ইবনি দাঊদ [আঃ] বললেনঃ অবশ্যই আমি আজ আমার নব্বইজন স্ত্রীর নিকট গমন করবো তাহাদের প্রত্যেকেই এক-একজন মুজাহিদ প্রসব করিবে, যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করিবে। তার সাথী তার জন্য ইন্শাআল্লাহ বলিলেন কিন্তু তিনি ইনশাআল্লাহ বলিলেন না। পরে তিনি তাহাদের নিকট গমন করিলেন কিন্তু তাহাদের একজন স্ত্রী ব্যতীত কেউ-ই গর্ভধারণ করিলেন না; আর তাও এমন গর্ভ, যাতে অর্ধ বাচ্চা জন্ম নিল। আল্লাহর শপথ ! যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, যদি তিনি ইন্শাআল্লাহ বলিতেন, তবে তারা সকলেই এমন সন্তান প্রসব করিতেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতো।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৮.পরিচ্ছেদঃ মান্নতের কাফ্ফারা
৩৮৩২. উক্বা ইবনি আমির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কসমের কাফ্ফারাই মান্নতের কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গুনাহ্র কাজে কোন মান্নাত নেই।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাপের কাজে মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাপের কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাপের কাজে কোন মান্নত নেই। আর এর কাফ্ফারা হলো কসমের কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাপের কাজে মান্নত নেই। কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গুনাহর কাজে মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গুনাহ্র কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪০. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গুনাহর কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪১. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গুনাহর কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪২. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গযব [গুনাহ]-এর কাজে মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪৩. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গযবের কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪৪. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গযবের কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪৫. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ মান্নত দুই প্রকার। যেই মান্নত আল্লাহর আনুগত্যের জন্য করা হয়, তা আল্লাহর জন্য। আর তা পূর্ণ করিতে হইবে। আর আল্লাহর নাফরমানীতে যে মান্নত করা হয়, তা শয়তানের জন্য, আর তা পূর্ণ করার প্রয়োজন নেই। আর মান্নতের কাফ্ফারা তা-ই, যা কসমের কাফ্ফারা হইয়া থাকে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪৬. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি মান্নত করলো যে, সে তার কাওমের মসজিদে নামায পড়তে উপস্থিত হইবে না। ইমরান [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে মান্নত করা বৈধ নয়। আর এর কাফ্ফারা হলো কসমের কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪৭. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গুনাহের কাজে এবং আল্লাহর গযবের কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফ্ফারাই এর কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪৮. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাপের কাজে কোন মান্নত নেই। আর এর কাফ্ফারা হলো কসমের কাফ্ফারা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৪৯. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মানুষ যাহার মালিক নয় তাতে এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় মান্নত করা বৈধ নয়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৫০. আবদুর রহমান ইবনি সামুরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর অবাধ্যতায় এবং মানুষ যাহার মালিক নয় তাতে মান্নত করা বৈধ নয়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৫১. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহর নাফরমানীতে কোন মান্নত নেই। আর মানুষ যাহার মালিক নয় তাতেও কোন মান্নত নেই।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৯.পরিচ্ছেদঃ মান্নত করার পর তা আদায় করিতে অক্ষম হলে
৩৮৫২. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর দিয়ে যাচ্ছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তার কী হইয়াছে ? লোকেরা বললেনঃ সে মান্নত করেছে যে, সে হেঁটে বায়তুল্লাহ্ গমন করিবে। তিনি বললেনঃ তার প্রাণকে এভাবে কষ্ট দেওয়াতে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। তাকে বলঃ সে যেন সওয়ার হইয়া গমন করে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৫৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এক বৃদ্ধকে দেখলেন যে, সে দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে যাচ্ছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এই ব্যক্তির কী হইয়াছে ? লোকেরা বললেনঃ সে এভাবে চলার মান্নত করেছে। তিনি বললেনঃ তার প্রাণকে এভাবে শাস্তি দেওয়াতে আল্লাহ তাআলার কোন দরকার নেই। তাকে সওয়ার হইয়া যেতে বল। তিনি তাকে সওয়ার হইয়া যেতে বলিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৫৪. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন, সে তার দুই ছেলের উপর ভর করে চলছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তার কী হইয়াছে ? বলা হলোঃ সে মান্নত করেছে যে, এভাবে হেঁটে কাবায় উপস্থিত হইবে। তিনি বললেনঃ তার এ আত্মপীড়ন দ্বারা আল্লাহ কিছুই করবেন না। পরে তিনি তাকে সওয়ার হইয়া যাওয়ার আদেশ দিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০.পরিচ্ছেদঃ ইন্শাআল্লাহ বলা
৩৮৫৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম খাওয়ার পর ইন্শাআল্লাহ বললো, সে যেন তা বাদ দিল।
কসম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৫৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সুলায়মান [আঃ] বললেনঃ আজ রাতে আমি আমার নব্বইজন স্ত্রীর নিকট গমন করবো, তাহাদের প্রত্যেকে এক-একজন এমন সন্তান প্রসব করিবে যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করিবে। তাকে বলা হলোঃ ইন্শাআল্লাহ বলুন, তিনি বলিলেন না। তারপর তিনি প্রত্যেক স্ত্রীর নিকট গমন করিলেন, কিন্তু একজন ব্যতীত কেউই সন্তান প্রসব করলো না। ঐ একজনও অর্ধ অঙ্গবিশিষ্ট সন্তান প্রসব করলো। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি তিনি ইন্শাআল্লাহ বলিতেন, তবে কসম ভঙ্গ হতো না এবং তিনি কৃতকার্য হইতেন।
কসম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply