বিতর নামাজে দোয়া কুনুত তাসবিহ কিরাত এর নিয়ম
বিতর নামাজে দোয়া কুনুত তাসবিহ কিরাত এর নিয়ম >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> মিশকাত >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে
পর্বঃ ২০, তাহাজ্জুদ এবং দিনের নফল নামাজ, হাদীস (১৬৭৫-১৮১৭)
১.পরিচ্ছেদঃ বিতর নামাজের আদেশ
২.পরিচ্ছেদঃ নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে বিত্রের নামাজ আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা
৩.পরিচ্ছেদঃ এক রাত্রে দুইবার বিত্রের নামাজ আদায় করার ব্যাপারে নাবী [সাঃআঃ] -এর নিষেধাজ্ঞা
৪.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজের সময়
৫.পরিচ্ছেদঃ ভোর হওয়ার পূর্বে বিত্রের নামাজ আদায় করার নির্দেশ
৬.পরিচ্ছেদঃ ফজরের আযানের পর বিত্রের নামাজ আদায় করা
৭.পরিচ্ছেদঃ যানবাহনের উপর বিত্রের নামাজ আদায় করা
৮.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ কত রাকআত?
৯.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজের একটি রাকআত কিভাবে আদায় করিতে হইবে?
১০.পরিচ্ছেদঃ তিন রাকআত বিত্রের নামাজ কিভাবে আদায় করিতে হইবে?
১১.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ সম্বন্ধে উবাই ইবনি কাব [রহঃ] থেকে হাদিস বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্য
১২..পরিচ্ছেদঃ পাঁচ রাকআত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করিতে হইবে?
১৩.পরিচ্ছেদঃ সাত রাকআত কিভাবে বেজোড় করা হইবে?
১৪.পরিচ্ছেদঃ নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হইবে?
১৫.পরিচ্ছেদঃ এগার রাকআত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হত?
১৬.পরিচ্ছেদঃ তের রাকআত দ্বারা বেজোড় করা
১৭.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজে কুরআন পাঠ করা
১৮..পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজে অন্য আর প্রকারের কুরআন পাঠ
১৯.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজে দোয়া পড়া
২০.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ অন্তে দোয়ার সময় হস্তদ্বয় উঠানোর ব্যাপারে আধিক্য পরিহার করা
২১.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ অন্তে সিজদার পরিমাণ
২২.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ অন্তে তাসবীহ পাঠ করা
২৩.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত এবং বিত্রের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ আদায় করা মুবাহ হওয়া সম্পর্কে
২৪.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত সর্বদা পড়া
২৫.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত আদায় করার সময়
২৬.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত আদায় করার পর ডান করটে শয়ন করা
২৭.পরিচ্ছেদঃ তাহাজ্জুদ নামাজ পরিত্যাগকারীর নিন্দা প্রসঙ্গে
২৮.পরিচ্ছেদঃ সাঈদ ইবনি জুবায়র [রাঃআঃ]-এর নিকট প্রিয়ভাজন ব্যক্তির নাম
২৯.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার নিয়তে বিছানায় এসে ঘুমিয়ে পড়ে
৩০.পরিচ্ছেদঃ অসুখ-বিসুখ, ব্যথা-বেদনা, কিংবা নিদ্রার কারণে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করিতে না পারলে দিনের বেলা তার পরিবর্তে কত রাকআত আদায় করিতে হইবে?
৩১.পরিচ্ছেদঃ নিদ্রার কারণে রাত্রের ওযীফা পালন করিতে না পারে সে কখন তা কাযা করিবে?
৩২.পরিচ্ছেদঃ দিবা রাত্রে ফরয নামাজ ব্যতীত বার রাকআত নামাজ আদায় করার সওয়াব
১.পরিচ্ছেদঃ বিতর নামাজের আদেশ
১৬৭৫. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] একবার বিত্রের নামাজ আদায় করিলেন। অতঃপর বলিলেন, হে কুরআনধারীগণ! তোমরা বিত্রের নামাজ আদায় কর। কেননা আল্লাহ তাআলা স্বয়ং বেজোড় এবং তিনি বেজোড় পছন্দ করেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৭৬. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, বিত্রের নামাজ ফরয নামাজের ন্যায় অত্যাবশ্যকীয় নয়। বরং তা সুন্নাত, যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রচলন করিয়াছেন।{১}
{১}খারিজা ইবনি হুযাফা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য একটি নামাজ বর্ধিত করে দিয়েছেন, তাহল বিত্রের নামাজ। তোমরা উক্ত নামাজ ইশা ও ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করিবে। ঈমাম আবু হানীফা [রহঃ]-এর মশহুর মতানুযায়ী বিত্রের নামাজ হল ওয়াজিব।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২.পরিচ্ছেদঃ নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে বিত্রের নামাজ আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা
১৬৭৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু নাবী [সাঃআঃ] আমাকে তিনটি কাজের ওসিয়্যত করে গেছেন। এক, [শেষ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস না থাকলে] বিত্রের নামাজ আদায় করে নিদ্রা যাওয়া। দুই, প্রত্যেক মাসে [আইয়ামে বীযের] তিন দিন সাওম পালন করা। তিন, চাশতের [পূর্বাহ্ণের] দুই রাকআত নামাজ আদায় করা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৭৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু [সাঃআঃ] আমাকে তিনটি কাজের ওসিয়্যত করিয়াছেন। এক, [রাত্রির শেষ ভাগে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস না থাকলে] রাত্রির প্রথম ভাগেই বিত্রের নামাজ আদায় করে নেওয়া। দুই, ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করা। তিন, প্রত্যেক মাসে তিন দিন আইয়ামে বীযের সাওম পালন করা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩.পরিচ্ছেদঃ এক রাত্রে দুইবার বিত্রের নামাজ আদায় করার ব্যাপারে নাবী [সাঃআঃ] -এর নিষেধাজ্ঞা
১৬৭৯. কায়্স ইবনি তল্ক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রমযানের একদিন আমার পিতা তল্ক ইবনি আলী [রাঃআঃ] আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করিলেন। তিনি আমাদের সাথে সন্ধ্যা করে ফেললেন, এবং ঐ রাত্রে আমাদের সাথে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করিলেন আর আমাদের সাথে বিত্রের নামাজও আদায় করিলেন। অতঃপর তিনি দ্রুত মসজিদে চলে গেলেন এবং তার সাথীদের নিয়ে নামাজ আদায়ে লেগে গেলেন। যখন শুধু বিত্রের নামাজ অবশিষ্ট রয়ে গেল, তিনি এক ব্যক্তিকে আগে বাড়িয়ে দিলেন এবং বলিলেন, তুমি এদের নিয়ে বিত্রের নামাজ আদায় করে নাও। কেননা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনিয়াছি, “এক রাত্রে দুইবার বিত্রের নামাজ আদায় করিতে নেই।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজের সময়
১৬৮০. আসওয়াদ ইবনি ইয়াযিদ হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আয়িশাহ [রাঃআঃ]-কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন, তিনি রাত্রের প্রথম ভাগে নিদ্রা যেতেন। তারপর জাগ্রত হয়ে যেতেন এবং যখন সাহারির সময় হয়ে যেত, তখন তিনি বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। তারপর তাহাঁর বিছানায় যেতেন। যদি তাহাঁর বিবির কাছে কোন প্রয়োজন হত তাহলে তিনি বিবির সাথে সহবাস পর্ব সেরে নিতেন। তারপর যখন আযান শুনতে পেতেন দ্রুত দাঁড়িয়ে যেতেন। যদি তার উপর গোসল ফরয হত তাহলে তা সেরে নিতেন, অন্যথায় উযু করে নিতেন এবং নামাজের জন্য বের হয়ে যেতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৮১. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন [কখনো] রাত্রের প্রথম ভাগে, [কখনো] রাত্রের শেষ ভাগে [আবার কখনো] রাতের মধ্য ভাগে। কিন্তু শেষ বয়সে রাত্রের শেষ ভাগেই বিত্রের নামাজ আদায় করা অভ্যাসে পরিনত করে নিয়েছিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৮২. নাফি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
ইবনি উমর [রাঃআঃ] বলছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে নামাজ আদায় করে সে যেন শেষে বিত্রের নামাজ আদায় করে। কেননা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫.পরিচ্ছেদঃ ভোর হওয়ার পূর্বে বিত্রের নামাজ আদায় করার নির্দেশ
১৬৮৩. আবু নাদ্রাহ আওয়াকি [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আবু সাঈদ খুদ্রী [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বিত্রের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, তোমরা ভোর হওয়ার পূর্বেই বিত্রের নামাজ আদায় করে নেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৮৪. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা ফজরের নামাজের পূর্বেই বিত্রের নামাজ আদায় করে নেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৬.পরিচ্ছেদঃ ফজরের আযানের পর বিত্রের নামাজ আদায় করা
১৬৮৫. ইবরাহীমের পিতা মুহাম্মাদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আমর ইবনি শুরাহবীল [রহঃ] –এর মসজিদে ছিলেন। ইতিমধ্যে নামাজের ইকামত বলা হল। মুসল্লিরা তাহাঁর অপেক্ষা করছিল। তিনি এসে বলিলেন, আমি বিত্রের নামাজ আদায় করেছিলাম। আর তিনি বলিলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ] কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলঃ “ফযরের আযানের পরে কি বিত্রের নামাজ আদায় করা যায়?” তিনি বলেছিলেন, হ্যাঁ; ইকামতের পরেও আদায় করা যায় এবং নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে হাদিস বর্ণনা করিলেন যে, তিনি একবার ফযরের নামাজ আদায় না করে নিদ্রায় মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। ইতিমধ্যে সূর্য উদয় হয়ে গেলে তিনি ফযরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলেন। {১}
{১} অর্থাৎ নাবী [সাঃআঃ] সূর্যোদয়ের পরে ফযরের কাজা নামাজ আদায় করে নিয়েছিলেন। অনুরূপভাবে বিত্রের কাযা নামাজও আদায় করিতে হইবে।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৭.পরিচ্ছেদঃ যানবাহনের উপর বিত্রের নামাজ আদায় করা
১৬৮৬. ইবনি উমর [রহঃ] হইতে বর্ণীত
রাসুলুলাহ্ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কখনো কখনো যানবাহনের উপরও বিত্রের নামাজ আদায় করে নিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৮৭. নাফি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
ইবনি উমর [রাঃআঃ] কখনো কখনো তাহাঁর উটের উপর বিত্রের নামাজ আদায় করে নিতেন এবং বলিতেন যে, নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] –ও অনুরূপ করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৮৮. সাঈদ ইবনি ইয়াসার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমাকে ইবনি উমর [রাঃআঃ] বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কখনো কখনো তাহাঁর উটের উপরও বিত্রের নামাজ আদায় করে নিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৮.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ কত রাকআত?
১৬৮৯. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, বিত্রের নামাজ শেষ রাত্রে [পূর্বের আদায়কৃত রাকআত সমূহের সাথে মিলিত] একটি রাকআত।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯০. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিত্রের নামাজ শেষ রাত্রে [পূর্বের আদায়কৃত নামাজ সমূহের সাথে মিলিত] একটি রাকআত।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯১. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
জনৈক গ্রাম্য ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে রাত্রের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন, রাত্রের নামাজ দুরাকআত দুরাকআত করে আদায় করিবে এবং বিত্রের নামাজ, শেষ রাত্রে [পূর্বের আদায়কৃত নামাজ সমূহের সাথে মিলিত] একটি রাকআত।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৯.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজের একটি রাকআত কিভাবে আদায় করিতে হইবে?
১৬৯২. আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাত্রের নামাজ হল দুরাকআত, দুরাকআত। যখন তুমি ফিরে যেতে চাও তখন একটি রাকআত আদায় করে নাও, যা তোমার পূর্বের আদায়কৃত সমুদয় নামাজকে বেজোড় বানিয়ে নেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৩. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, রাত্রের নামাজ হল দুরাকআত, দুরাকআত। আর বিত্রের নামাজ হল [পূর্বের আদায়কৃত নামাজ সমূহের সাথে মিলিত] একটি রাকআত।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৪. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে রাত্রের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, রাত্রের নামাজ হল দুরাকআত, দুরাকআত। যখন তোমাদের কেউ ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকা করিবে তখন একটি রাকআত আদায় করে নেবে, যা [তার পূর্বে আদায়কৃত সমুদয় নামাজকে] বেজোড় বানিয়ে দেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৫. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রাত্রের নামাজ হল দুরাকআত, দুরাকআত। যখন তোমরা ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকা করিবে তখন একটি রাকআত দ্বারা [পূর্বের আদায়কৃত সমুদয় নামাজকে] বেজোড় বানিয়ে নেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] রাত্রে এগার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। [পূর্ববর্তী দুটি রাকআতকে] একটি রাকআত দ্বারা বেজোড় বানিয়ে দিতেন। তারপর তাহাঁর ডান পার্শ্বে শুয়ে পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১০.পরিচ্ছেদঃ তিন রাকআত বিত্রের নামাজ কিভাবে আদায় করিতে হইবে?
১৬৯৭. আবু সালামা ইবনি আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি উম্মুল মুমিনীন আয়িশাহ [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ রমযান মাসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর [নফল] নামাজ কি রকম হত? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমযান অথবা অন্য সময়ে রাত্রে এগার রাকআতের বেশী নামাজ আদায় করিতেন না। তিনি চার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। [নামাজ] তাহাঁর একাগ্রতা এবং তাহাঁর নামাজ দীর্ঘায়িত করা সম্বন্ধে তুমি প্রশ্ন করো না। তারপরও আর চার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। তাহাঁর এ একাগ্রতা এবং নামাজ দীর্ঘায়িতকরণ সম্বন্ধে তুমি প্রশ্ন করো না। তারপর [মাঝখানে সালাম না ফিরায়ে] আরো তিন রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। আয়িশাহ [রাঃআঃ] বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ্ [সাঃআঃ]! আপনি কি বিত্রের নামাজ আদায় করার পূর্বেই নিদ্রা যান? তিনি বলেন, হে আয়িশাহ! আমার আঁখি যুগল তো নিদ্রা যায় কিন্তু আমার হৃদয় নিদ্রা যায় না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৮. সাদ ইবনি হিশাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
আয়িশাহ [রাঃআঃ] তাহাঁর নিকট বর্ণনা করেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের নামাজে দুরাকআতে সালাম ফিরাতেন না।
হাদিসের তাহকিকঃ শায
১১.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ সম্বন্ধে উবাই ইবনি কাব [রহঃ] থেকে হাদিস বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্য
১৬৯৯. উবাই ইবনি কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের নামাজ তিন রাকআত আদায় করিতেন। প্রথম রাকআত “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” দ্বিতীয় রাকআতে “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” , তৃতীয় রাকাতে “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করিতেন এবং রুকুতে যাওয়ার পূর্বে দোয়ায়ে কুনূত পড়তেন। যখন নামাজ শেষ করিতে যেতেন তখন তিনি শেষ পর্যন্ত তিনবার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০০. উবাই ইবনি কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের প্রথম রাকআতে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” দ্বিতীয় রাকআতে “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং তৃতীয় রাকআতে “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০১. উবাই ইবনি কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের নামাজে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” দ্বিতীয় রাকআতে “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং তৃতীয় রাকআতে “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করিতেন। আর শুধুমাত্র শেষ রাকআতেই সালাম ফিরাতেন অর্থাৎ সালামের পর তিন বার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
বলিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিন রাকআত বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। প্রথম রাকআত “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” দ্বিতীয় রাকাতে “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন”, এবং তৃতীয় রাকআতে “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি তিন রাকআত বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৭০৪. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] রাত্রে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে গেলেন, তারপর মিসওয়াক করে দুরাকাত নামাজ আদায় করিলেন। পরে শুয়ে গেলেন তারপর জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক করিলেন। অতঃপর ঊযু করে দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন। ছয় রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর তিন রাকআত বিত্রের নামাজ আদায় করিলেন। অতঃপর দুরাকাত নামাজ আদায় করিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০৫. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমি একরাত্রে নাবী [সাঃআঃ]–এর নিকট ছিলাম। তিনি নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে ঊযূ এবং মিসওয়াক করিলেন এবং
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآيَاتٍ لِأُولِي الْأَلْبَابِ
পর্যন্ত পাঠ করিলেন। তারপর দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন। এবং বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন, আমি তাহাঁর নাক ডাকার শব্দ শুনতে পেলাম। তারপর জাগ্রত হয়ে ঊযূ ও মিসওয়াক করিলেন এবং দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন। পুনরায় শুয়ে পড়লেন। আবার জাগ্রত হয়ে ঊযূ ও মিসওয়াক করিলেন। তারপর দুরাকআত নামাজ আদায় করে তিন রাকআত বিত্র আদায় করিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০৬. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একরাত্রে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে গেলেন, তারপর মিসওয়াক করিলেন। রাবী হাদিসটি শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১৭০৭. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রে আট রাকআত [তাহাজ্জুদ] নামাজ আদায় করিতেন এবং তিন রাকআত বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন এবং ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে দুরাকআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৭০৮. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রে তের রাকআত নামাজ আদায় করিতেন [বিত্রের নামাজসহ]। যখন তিনি বৃদ্ধ হয়ে গেলেন এবং দুর্বলতা এসে গেল তখন তিনি নয় রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০৯. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রে নয় রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। যখন তিনি বৃদ্ধ হয়ে গেলেন এবং শরীর ভারী হয়ে গেল তখন তিনি সাত রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭১০. আবু আইয়ূব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, বিত্রের নামাজ ওয়াজিব। অতএব, যার ইচ্ছা হয় সে সাত রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে, আর যে ইচ্ছা করে সে পাঁচ রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে। আর যে ইচ্ছা করে সে তিন রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে আর যে ইচ্ছা করে সে এক রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭১১. আবু আইয়ূব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, বিত্রের নামাজ ওয়াজিব। অতএব, যে ইচ্ছা করে সে পাঁচ রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে, আর যে ইচ্ছা করে সে তিন রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে আর যে ইচ্ছা করে সে এক রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭১২. আতা ইবনি ইয়াযীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আবু আইয়ূব আনসারী [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, বিত্রের নামাজ ওয়াজিব। অতএব, যে ব্যক্তি পাঁচ রাকআত দ্বারা বেজোড় বানিয়ে দেয়া ভাল মনে করে সে যেন তা-ই করে। আর যে ব্যক্তি তিন রাকআত দ্বারা বেজোড় বানিয়ে দেয়া ভাল মনে করে সে যেন তা-ই করে। আর যে ব্যক্তি এক রাকআত দ্বারা বেজোড় বানিয়ে দেয়া ভাল মনে করে সে যেন তা-ই করে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭১৩. আবু আইয়ূব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে সাত রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে পাঁচ রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে তিন রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে। আর যে ইচ্ছা করে সে এক রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দেবে, আর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে ভালভাবে ইশারা করিবে। {১}
{১} ওযরের কারণে ইশারায় নামাজ আদায় করার অনুমতি আছে।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১২.পরিচ্ছেদঃ পাঁচ রাকআত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করিতে হইবে?
১৭১৪. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পাঁচ রাকআত দ্বারাও বেজোড় করে দিতেন, সাত রাকআত দ্বারাও বেজোড় করে দিতেন। ঐ রাকআত গুলোর মধ্যে সালাম ফিরিয়ে কিংবা কথা বলে নামাজকে বিভক্ত করিতেন না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭১৫. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাত রাকআত বা পাঁচ রাকআত দ্বারা নামাজকে বেজোড় করে দিতেন। ঐ রাকআত গুলোর মধ্যে সালাম ফিরিয়ে নামাজকে বিভক্ত করিতেন না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭১৬. মিকসাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, বেজোড় করণ হইবে সাত রাকআত দ্বারা তবে পাঁচ রাকয়াতের কম দ্বারা নয়। রাবী [হাকাম] বলেন, আমি একথা ইবরাহীম [রহঃ]-কে বললে তিনি বলিলেন, রাবী [মিকসাম] এ হাদিস কার কাছ থেকে বর্ণনা করিয়াছেন? আমি বললাম ,আমার জানা নেই। তারপর আমি হজ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে মিকসাম [রহঃ]-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়ে গেল। আমি তাকে বললাম, আপনি এ হাদিস কার কাছ থেকে বর্ণনা করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, একজন নির্ভরযোগ্য রাবী থেকে। তিনি আয়িশাহ এবং মায়মূনা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৭১৭. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] কখনো পাঁচ রাকআত দ্বারাও [নামাজকে] বেজোড় বানিয়ে দিতেন, কেবলমাত্র শেষ রাকআতেই বসতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৩.পরিচ্ছেদঃ সাত রাকআত কিভাবে বেজোড় করা হইবে?
১৭১৮. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর বয়স বেড়ে গেল এবং শরীর ভারী হয়ে গেল তখন তিনি সাত রাকআত নামাজ আদায় করিতেন, শুধুমাত্র শেষ রাকআতেই বসতেন আর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় আরো দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন। হে বৎস! তাহলে মোট নয় রাকআত নামাজ আদায় করা হত। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন কোন নামাজ আদায় করিতেন তা সর্বদা আদায় করিতে ভালবাসেন। [সংক্ষিপ্ত]
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭১৯. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করিতেন কেবলমাত্র অষ্টম রাকআতেই বসতেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা এবং যিক্র করিতেন [তাশাহ্হুদ পড়তেন] আর দোয়া করিতেন [ছানা পড়তেন]। তারপর উঠে যেতেন এবং সালাম ফিরাতেন না। অতঃপর নবম রাকআত আদায় করিতেন এবং বসে যেতেন ও আল্লাহ তাআলার যিক্র করিতেন আর দোয়া করিতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমারা শুনতে পেতাম। অতঃপর বসা অবস্থায় আরো দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন। যখন তাহাঁর বয়স বেড়ে গেল এবং দুর্বলতা এসে গেল তখন সাত রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিতেন, শুধুমাত্র ষষ্ঠ রাকআতেই বসতেন। তারপর উঠে যেতেন এবং সালাম ফিরাতেন না। অতঃপর সপ্তম রাকআত আদায় করিতেন তারপর সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৪.পরিচ্ছেদঃ নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হইবে?
১৭২০. সাদ ইবনি হিশাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
আয়িশাহ [রাঃআঃ] বলেছেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর জন্য মিসওয়াক এবং ঊযূর পানি তৈরী করে রাখতাম। রাত্রের যে অংশে তাঁকে জাগ্রত করার আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা হত সে অংশে তাঁকে জাগ্রত করে দিতেন। [জাগ্রত হয়ে] তিনি মিসওয়াক এবং ঊযূ করিতেন ও নয় রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। শুধুমাত্র অষ্টম রাকআতে বসতেন এবং আল্লাহ্র প্রশংসা ও নাবী [সাঃআঃ]–এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করিতেন এবং দোয়া করিতেন, সালাম ফিরাতেন। অতঃপর নবম রাকআত আদায় করিতেন এবং বসে যেতেন অনরূপভাবে আল্লাহ্র যিক্র করিতেন, তাহাঁর প্রশংসা করিতেন এবং নাবী [সাঃআঃ]–এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করিতেন ও দোয়া করিতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমারা শুনতে পেতাম। অতঃপর বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭২১. যুরারাহ ইবনি আওফা [রহঃ] হইতে বর্ণীত
সাদ ইবনি হিশাম আমাদের কাছে এসে বলিলেন যে, তিনি ইবনি আব্বাসের নিকট গিয়ে তাঁকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর বিত্রের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি বলিলেন, আমি কি তোমাকে সন্ধান দেব না? অথবা [তিনি বলিলেন] আমি কি তোমাকে ধরাবাসীদের মধ্যে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর বিতরের নামাজ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত ব্যক্তির সংবাদ দেব না? আমি বললাম, তিনি কে? তিনি বললেনঃ আয়িশাহ [রাঃআঃ]। তখন আমরা তাহাঁর কাছে আসলাম এবং তাঁকে সালাম করে তাহাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। আমি বললামঃ আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর বিত্রের নামাজ সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলিলেন, আমরা তাহাঁর জন্য তাহাঁর মিসওয়াক এবং ঊযূর পানি তৈরী করে রাখতাম। আল্লাহ তাআলা তাঁকে রাত্রে যখন জাগাতে ইচ্ছা করিতেন জাগিয়ে দিতেন। তিনি মিসওয়াক করে ঊযূ করিতেন এবং নয় রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। শুধুমাত্র অষ্টম রাকআতে বসতেন। [বসে] আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করিতেন এবং যিকির্ করিতেন আর দোয়া করিতেন। তারপর উঠে যেতেন, সালাম ফিরাতেন না। অতঃপর নবম রাকআত আদায় করিতেন এবং বসে যেতেন ও আল্লাহ তাআলার প্রশংসা বর্ণনা করিতেন, তাহাঁর যিকির্ এবং দোয়া করিতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমারা শুনতে পেতাম। অতঃপর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন। হে বৎস! তাহলে মোট এগারো রাকআত নামাজ আদায় করা হত। যখন তিনি বয়স্ক হয়ে গেলেন এবং শরীর ভারী হয়ে গেল, তখন তিনি সাত রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিতেন। তারপর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন। হে বৎস! তাহলে মোট নয় রাকআত নামাজ আদায় করা হত। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন কোন নামাজ আদায় করিতেন তা সর্বদা আদায় করিতে ভালবাসতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭২২. সাদ ইবনি হিশাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আয়িশাহ [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করিতেন। তারপর বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন, যখন তিনি দুর্বল হয়ে গেলেন তখন সাত রাকআত দ্বারা বেজোড় করিতেন। তারপর বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭২৩. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করিতেন এবং বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭২৪. সাদ ইবনি হিশাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
যে, তিনি আয়িশাহ [রাঃআঃ]-এর নিকট এসে তাঁকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি বলিলেন, তিনি [রসূলুল্লাহ] রাত্রে আট রাকআত নামাজ আদায় করিতেন এবং নবম রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিতেন এবং বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন। [সংক্ষিপ্ত]
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭২৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রে নয় রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৫.পরিচ্ছেদঃ এগার রাকআত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হত?
১৭২৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] রাত্রে এগার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন এবং একটি রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিতেন। তারপর তিনি ডান করটে শুয়ে পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১৭২৭. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
১৬.পরিচ্ছেদঃ তের রাকআত দ্বারা বেজোড় করা
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তের রাকআত দ্বারা বেজোড় করিতেন। যখন তিনি বৃদ্ধ হয়ে গেলেন এবং দুর্বলতা এসে গেল, নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজে কুরআন পাঠ করা
১৭২৮. আবু মিজলায [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
আবু মূসা [রাঃআঃ] একবার মক্কা এবং মদীনার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করেছিলেন তিনি সেখানে দুরাকআত ইশার নামাজ আদায় করিলেন। তারপর দাঁড়ালেন এবং একটি রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিলেন, তাতে সূরায়ে নিসা একশটি আয়াত তিলাওয়াত করিলেন। তারপর বলিলেন, আমি যেখানে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর পদদ্বয় রাখতেন সেখানে আমার পদদ্বয় রাখতে এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যা যা তিলাওয়াত করিতেন তা তিলাওয়াত করিতে কোন ত্রুটি করিনি।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজে অন্য আর প্রকারের কুরআন পাঠ
১৭২৯. উবাই ইবনি কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন” ও “কূল হুওয়া আল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। এবং যখন সালাম ফিরাতেন তখন তিনবার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
বলিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩০. উবাই ইবনি কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূলইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩১. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রহঃ] হইতে বর্ণীত
যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের নামাজে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূলইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” তিলাওয়াত করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩২. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূলইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। আর যখন সালাম ফিরাতেন, তখন তিনবার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
পড়তেন এবং তৃতীয়বার উচ্চস্বরে পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩৩. আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের নামাজে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” তিলাওয়াত করিতেন। তারপর যখন সালাম ফিরাতেন তখন [……আরবী…..] পড়তেন এবং তৃতীয় বারে
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
উচ্চস্বরে পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩৪. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন এবং যখন সালাম ফিরাতেন ও সালাম থেকে অবসর হয়ে যেতেন তিনবার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
পড়তেন এবং তৃতীয়বারে তা দীর্ঘ করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩৫. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩৬. আব্যা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়াআয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। আর যখন নামাজ থেকে অবসর হয়ে যেতেন তিনবার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩৭. আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিত্রের নামাজে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকার আলা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” তিলাওয়াত করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৩৮. আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
অনুরুপ বর্ণনা করিয়াছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৭৩৯. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” তিলাওয়াত করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৪০. সাঈদ আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। আর যখন [নামাজ থেকে] অবসর হয়ে যেতেন তখন তিনবার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৪১. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। যখন নামাজ থেকে অবসর হয়ে যেতেন তিনবার
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
পড়তেন এবং তৃতীয়বারে দীর্ঘ করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৪২. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৭৪৩. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৭৪৪. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] একবার জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” তিলাওয়াত করিল। তিনি নামাজ আদায় শেষে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” কে তিলাওয়াত করেছিল? এক ব্যক্তি বলিল, আমি। তিনি বলিলেন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, তোমাদের কেউ নামাজে আমাকে বিরক্ত করেছিলে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৯.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজে দোয়া পড়া
১৭৪৫. আবুল জাউযা [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, হাসান [রাঃআঃ] বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দিয়েছিলেন যেগুলো আমি বিত্রের কুনূতে পড়ে থাকিঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
“আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া আফিনী ফীমান ‘আফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৪৬. হাসান ইবনি আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম] আমাকে এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিত্রের নামাজে [পড়বার জন্য] তিনি বলেছেন, তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
“আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ফা ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৭৪৭. আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম] তাহাঁর বিত্রের নামাজের শেষে বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমু‘আফাতিকা মিন ‘উকুবাতিকা ওয়া আউ‘যুবিকা মিনকা লা উহসী সানা ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা ‘নাফসিকা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার ক্রোধ হইতে আশ্রয় চাই। আপনার শাস্তি হইতে আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২০.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ অন্তে দোয়ার সময় হস্তদ্বয় উঠানোর ব্যাপারে আধিক্য পরিহার করা
১৭৪৮. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] নামাজের প্রথম তাকবীরের মত ইস্তিস্কা ব্যতীত অন্য কোন দোয়া কাঁধ বরাবর হস্তদ্বয় উঠাতেন না। [বরং বক্ষ বরাবর উঠাতেন]।
হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২১.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ অন্তে সিজদার পরিমাণ
১৭৪৯. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইশার নামাজ থেকে অবসর হওয়ার পর ফজরের নামাজ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে ফজরের দু’রাকআত সুন্নাত নামাজ ব্যতীত রাত্রে এগার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন এবং তোমাদের কারো পঞ্চাশ আয়াত পড়ার সমপরিমাণ সময় পর্যন্ত [প্রতিটি] সিজদা [দীর্ঘ] করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২২.পরিচ্ছেদঃ বিত্রের নামাজ অন্তে তাসবীহ পাঠ করা
১৭৫০. ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকার আলা “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন এবং সালাম ফিরানোর পর তিনবার উচ্চস্বরে
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
বলিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৫১. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকার আলা” “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন এবং সালাম ফিরানোর পর তিনবার উচ্চস্বরে
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
বলিতেন।”
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৫২. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। যখন [সালাম ফিরানোর পর] ফিরে যাওয়ার মনস্থ করিতেন, তখন তিনবার উচ্চস্বরে [……আরবী…..] বলিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৫৩. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন এবং যখন সালাম ফিরাতেন তখন তিনবার উচ্চস্বরে
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
বলিতেন। তৃতীয়বার উচ্চ ও দীর্ঘায়িত করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৫৪. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ] “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” এবং “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। যখন অবসর হয়ে যেতেন তখন
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।
বলিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৫৫. সাঈদ ইবনি আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। রাবী হাদিসটি শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২৩.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত এবং বিত্রের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ আদায় করা মুবাহ হওয়া সম্পর্কে
১৭৫৬. আবু সালামা ইবনি আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আয়িশাহ [রাঃআঃ]-কে রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর রাত্রের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ তিনি তের রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। নয় রাকআত দাঁড়ানো অবস্থায়, তাতে [তিন রাকআত] বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। দুরাকআত বসা অবস্থায় আদায় করিতেন, যখন রুকু ইচ্ছা করিতেন দাঁড়িয়ে যেতেন। তারপর রুকু এবং সিজদা করিতেন। এ দুরাকআত বিত্রের নামাজের পরে আদায় করিতেন। যখন ফজরের আযান শুনতে পেতেন দাঁড়িয়ে যেতেন এবং সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৪.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত সর্বদা পড়া
১৭৫৭. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জোহরের পূর্বের চার রাকআত এবং ফজরের পূর্বের দুরাকআত সুন্নাত কখনো ছাড়তেন না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৫৮. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জোহরের পূর্বের চার রাকআত এবং ফজরের পূর্বের দুরাকআত সুন্নাত ছাড়তেন না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৫৯. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত দুনিয়া এবং তদস্থিত সমুদয় বস্তু [আল্লাহ্র রাস্তায় দান করা] থেকেও উত্তম।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৫.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত আদায় করার সময়
১৭৬০. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে বর্ণিত যে, যখন ফজরের আযান দেয়া হত, তখন তিনি ফজরের ফরয নামাজ আদায় করার জন্য যাওয়ার পূর্বে দুরাকআত সংক্ষিপ্ত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৬১. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, হাফসা [রাঃআঃ] আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, ঊষা যখন ফর্সা হয়ে যেত তখন নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাত আদায় করার পর ডান করটে শয়ন করা
১৭৬২. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যখন মুয়ায্যিন নামাজের আযান দিয়ে দিত তখন রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দাঁড়িয়ে যেতেন এবং সুবহে সাদিক প্রকাশিত হওয়ার পর ফজরের ফরয নামাজ আদায় করার পূর্বে সংক্ষিপ্ত দুরাকআত ফজরের সুন্নাত আদায় করে নিতেন। অতঃপর ডান করটে শুয়ে পড়তেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭.পরিচ্ছেদঃ তাহাজ্জুদ নামাজ পরিত্যাগকারীর নিন্দা প্রসঙ্গে
১৭৬৩. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাকে বলেছেন, তুমি অমুক ব্যক্তির মত হইবে না, যে রাত্রে জাগ্রত হয় কিন্তু তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৬৪. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, হে আব্দুল্লাহ, তুমি অমুক ব্যক্তির মত হইবে না, যে রাত্রে জাগ্রত হয় কিন্তু তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮.পরিচ্ছেদঃ ফজরের দুরাকআত সুন্নাতের সময়
১৭৬৫. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৬৬. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফজরের ফরয নামাজের আযান এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৬৭. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফজরের ফরয নামাজ এবং আযানের মাঝখানে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৬৮. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের আযান এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত ফজরের সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৬৯. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
হাফসা [রাঃআঃ] তাকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের আযান এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত ফজরের সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭০. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, হাফসা [রাঃআঃ] আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭১. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
হাফসা [রাঃআঃ] তাকে অবহিত করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন ফজরের নামাজের আযান দেয়া হত তখন ফরয নামাজের পূর্বে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭২. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
উম্মুল মুমিনীন হাফসা [রাঃআঃ] তাঁকে সংবাদ দিয়েছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মুয়ায্যিন চুপ হয়ে গেলে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত ফজরের সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭৩. আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
উম্মুল মুমিনীন হাফসা [রাঃআঃ] তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মুয়ায্যিন ফজরের নামাজের আযান থেকে অবসর হয়ে গেলে এবং সুবহে সাদিক প্রকাশিত হয়ে গেলে ফজরের ফরয নামাজ শুরু হওয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭৪. আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমাকে আমার বোন হাফসা [রাঃআঃ] বর্ণনা করিয়াছেন যে, নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭৫. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সুবহে সাদিক উদয় হওয়ার পর দুরাকআত ফজরের সুন্নতে আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭৬. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সুবহে সাদিক উদয় হওয়ার পর সংক্ষিপ্তভাবে ফজরের দুরাকআত সুন্নাত ব্যতীত [ফরয নামাজের পূর্বে] অন্য কোন নামাজ আদায় করিতেন না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭৭. হাফসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে বর্ণিত যে, তিনি ফজরের আযান দেয়া হলে ফজরের ফরয নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যাওয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭৮. সালিম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
ইবনি উমর [রাঃআঃ] বলেছেনঃ হাফসা [রাঃআঃ] আমাকে খবর দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের [ফরয নামাজের] পূর্বে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন এবং তা সুবহে সাদিক উদয় হবার পরে আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৭৯. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ হাফসা [রাঃআঃ] আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সুবহে সাদিক প্রকাশিত হয়ে গেলে দুরাকআত ফজরের সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৮০. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের আযান এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সংক্ষিপ্তভাবে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৮১. আবু সালমা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আয়িশাহ [রাঃআঃ]-কে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর রাত্রের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তের রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। প্রথমে আট রাকআত আদায় করিতেন। তারপরে বিত্রের নামাজ আদায় করিতেন। অতঃপর বসা অবস্থায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন। যখন রুকুতে যাওয়ার মনস্থ করিতেন দাঁড়িয়ে যেতেন। অতঃপর রূকুতে যেতেন। আর ফজরের আযান এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৮২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফজরের আযান শুনতে পেলে দুরাকআত সুন্নাত আদায় করিতেন এবং তা সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৮৩. যুহরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ সায়িব ইবনি ইয়াযীদ [রাঃআঃ] আমাকে খবর দিয়েছেন যে, একদা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর দরবারে শুরায়হ হাদরামী [রাঃআঃ]-এর আলোচনা হল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলিলেন, সে কুরআনকে বালিকা বানায় না। [অর্থাৎ সে কুরআন না পড়ে ঘুমায় না বরং যত্নের সঙ্গে সে রাত্রে কুরআন পড়ে থাকে।]
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৯.পরিচ্ছেদঃ তাহাজ্জুদের নামাজে অভ্যস্থ ব্যক্তির যদি নিদ্রা প্রবল হয়ে যায়
১৭৮৪. সাঈদ ইব্ন জুবায়র [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি সাঈদ ইব্ন জুবায়র [রহঃ]-কে খবর দিয়েছেন, আয়িশাহ [রাঃআঃ] তাঁকে অবহিত করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসালাম] বলেছেনঃ তাহাজ্জুদের নামাজে অভ্যস্থ ব্যক্তির যদি নিদ্রা প্রবল হয়ে যায় [এবং তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করিতে না পারে] তাহলে আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য নামাজের সওয়াব লিখে দেন এবং নিদ্রা তার জন্য সাদকা স্বরূপ হয়ে যায়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০.পরিচ্ছেদঃ সাঈদ ইবনি জুবায়র [রাঃআঃ]-এর নিকট প্রিয়ভাজন ব্যক্তির নাম
১৭৮৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে কিছু [নফল] নামাজ আদায়ে অভ্যস্থ, যদি কোন রাত্রে তার নিদ্রা প্রবল হয়ে যায় এবং নামাজ আদায় করিতে না পারে, তাহলে সে নিদ্রা তার জন্য আল্লাহ্র তরফ থেকে সাদকা স্বরূপ হইবে এবং আল্লাহ্ তার জন্য নামাজের সওয়াব লিখে দিবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৮৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তারপর রাবী পূর্বের হাদিসের ন্যায় উল্লেখ করিয়াছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩১.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার নিয়তে বিছানায় এসে ঘুমিয়ে পড়ে
১৭৮৭. আবু দারদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, তিনি অত্র সনদ সূত্রকে নাবী [সাঃআঃ] পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার নিয়তে বিছানায় আসে কিন্তু তার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা প্রবল হয়ে যাওয়ায় ভোর পর্যন্ত সে ঘুমিয়ে থাকে, তার জন্য তার নিয়ত অনুসারে সওয়াব লিখা হইবে, আর আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে তার নিদ্রা তার জন্য সদকা স্বরূপ হয়ে যাবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৮৮. আবু দারদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
মওকূফ সূত্রে বর্ণিত।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩২.পরিচ্ছেদঃ অসুখ-বিসুখ, ব্যথা-বেদনা, কিংবা নিদ্রার কারণে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করিতে না পারলে দিনের বেলা তার পরিবর্তে কত রাকআত আদায় করিতে হইবে?
১৭৮৯. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন নিদ্রা, অসুখ-বিসুখ বা ব্যথা-বেদনার কারণে রাত্রে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করিতে পারতেন না, তখন তিনি দিনের বেলা বার রাকআত নামাজ আদায় করে নিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৩.পরিচ্ছেদঃ নিদ্রার কারণে রাত্রের ওযীফা পালন করিতে না পারে সে কখন তা কাযা করিবে?
১৭৯০. আব্দুর রহমান ইবনি আবদুল কারী [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমি উমর ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ ]বলেছেন, যে ব্যক্তি নিদ্রার কারণে পূর্ণ ওযীফা অথবা তার কিছু অংশ আদায় করিতে না পারে এবং তা ফজর ও জোহরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করে নেয়। তার জন্য রাত্রে আদায় করার সমপরিমাণ সওয়াব লিখা হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৯১. আব্দুর রহমান ইবনি আব্দুল কারী [রহঃ] হইতে বর্ণীত
উমর ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি নিদ্রার কারণে রাত্রের ওযীফা আদায় করিতে পারল না এবং তা ফজর ও জোহরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করে নিল, সে যেন তা রাত্রেই আদায় করিল।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৯২. উমর ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
যে ব্যক্তি রাত্রের ওযীফা আদায় করিতে পারল না এবং তা সূর্য উদয় হওয়ার সময় থেকে জোহরের নামাজের আগে আগেই কাযা করে নিল, তার সে ওযীফা যেন কাযাই হলো না অথবা সে যেন তা [রাত্রেই] আদায় করিল।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৯৩. হুমায়দ ইবনি আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ওযীফা আদায় করিতে পারল না। সে যেন তা জোহরের পূর্বে কোন নামাজে আদায় করে নেয়। কেননা তা রাত্রের নামাজের সমপর্যায়ে গণ্য করা হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৩৪.পরিচ্ছেদঃ দিবা রাত্রে ফরয নামাজ ব্যতীত বার রাকআত নামাজ আদায় করার সওয়াব
১৭৯৪. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রে বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] আদায়ে অভ্যস্থ হয়ে যায় সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে চার রাকআত এবং পরে দুরাকআত, দুরাকআত মাগরিব এর ফরয নামাজের পরে, দুরাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দুরাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৯৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দিবা রাত্র বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] আদায়ে অভ্যস্থ হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকআত জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে এবং দুরাকআত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দুরাকআত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দুরাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দুরাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৯৬. উম্মে হাবীবা বিন্ত আবু সুফ্য়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রি ফরয নামাজ ব্যতীত বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭৯৭. হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আম্বাসা ইবনি আবু সুফয়ান [রাঃআঃ]-এর কাছে বর্ণনা করেছেনঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রি ফরয নামাজ ব্যতীত বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৭৯৮. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি দিনে বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৭৯৯. ইয়ালা ইবনি উমায়্যা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমি তায়েফ গিয়ে আম্বাসা ইবনি আবু সুফ্য়ান [রাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম। তিনি তখন মৃত্যু শয্যায় ছিলেন। আমি তাহাঁর মধ্যে [মৃত্যুর] ভীতি লক্ষ্য করে বললাম, ভাল অবস্থাতেই তো আপনার মৃত্যু হচ্ছে। তিনি বলিলেন, আমাকে আমার বোন উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] বর্ণনা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রে বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮০০. হাবীবা বিন্তে আবু সুফিয়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দিনে রাত্রে বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৮০১. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ যে ব্যক্তি আদায় করিবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন, চার রাকআত জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে, দুরাকআত ফরযের পরে, দুরাকআত আসরের ফরয নামাজের পূর্বে, দুরাকআত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দুরাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৮০২. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] নামাজ আদায় করিবে আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন। চার রাকআত জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে, দুরাকআত ফরযের পরে, দুরাকআত আসরের ফরয নামাজের পূর্বে, দুরাকআত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে এবং দুরাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৮০৩. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্রে বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে ফরয নামাজ ব্যতীত, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হইবে। চার রাকআত জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে, দুরাকআত ফরযের পরে, দুরাকআত আসরের ফরয নামাজের পূর্বে, দুরাকআত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে এবং দুরাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৮০৪. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সা:] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্রে বার রাকআত [সুন্নাত মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮০৫. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্রে বার রাকআত [সুন্নাত মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে ফরয নামাজ ব্যতীত, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮০৬. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্রে ফরয নামাজ ব্যতীত বার রাকআত [সুন্নাত মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮০৭. আবু সালিহ যাকওয়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আম্বাসা ইবন আবু সুফয়ান [রাঃআঃ] তাহাঁর কাছে বর্ণনা করিয়াছেন যে, উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] তাঁকে বলেছেন, যে ব্যক্তি বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮০৮. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ফরয ব্যতীত বার রাকআত [সুন্নাত মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন। [রাবী বলেন] অথবা [তিনি বলেন] তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮০৯. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্রে বার রাকআত [সুন্নাত মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৮১০. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক বার রাকআত [সুন্নাত মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮১১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক বার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার] নামাজ আদায় করিবে, ফরয নামাজ ব্যতীত, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৮১২. ইয়াযীদ ইবনি মুহাম্মদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] এর সহধর্মীণী উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে চার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] এবং ফরযের পর চার রাকআত [দুরাকআত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা এবং দুরাকআত মুস্তাহাব] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তাআলা তার গোশত [শরীর] জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেবেন। নাবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] বলেন, এ সন্মন্ধে শুনার পর থেকে আমি সে চার রাকআত নামাজ ছাড়িনি।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮১৩. আম্বাসা ইবনি আবু সুফিয়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, আমার কাছে আমার বোন নাবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] বর্ণনা করিয়াছেন যে, তাহাঁর প্রিয়তম আবুল কাসেম নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর কাছে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেন, যে মুমিন ব্যক্তি জোহরের ফরয নামাজের পর চার রাকআত নামাজ আদায় করিবে [দুরাকআত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা এবং দুরাকআত মুস্তাহাব], তার চেহারা কস্মিনকালেও জাহান্নামের অগ্নি স্পর্শ করিতে পারবেনা, ইনশা আল্লাহ্।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১৮১৪. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেন, যে ব্যক্তি জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে চার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] এবং ফরযের পরে চার রাকআত [দুরাকআত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা এবং দুরাকআত মুস্তাহাব] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮১৫. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে চার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] এবং ফরযের পর চার রাকআত [দুরাকআত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা এবং দুরাকআত মুস্তাহাব] নামাজ আদায় করিবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮১৬. মুহাম্মদ ইবনি আবু সুফিয়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন, যখন তাহাঁর মৃত্যুর সময় নিকটবর্তী হয়ে গেল এবং অস্থিরতা বেড়ে গেল তখন তিনি বলিলেন, আমার কাছে আমার বোন উম্মে হাবীবা বিনত আবু সুফিয়ান [রাঃআঃ] বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে চার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] এবং ফরযের পর চার রাকআত [দুরাকআত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা এবং দুরাকআত মুস্তাহাব] নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত হইবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেবেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮১৭. উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জোহরের ফরয নামাজের পূর্বে চার রাকআত [সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা] এবং ফরযের পর চার রাকআত [দুরাকআত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা এবং দুরাকআত মুস্তাহাব] নামাজ আদায় করিবে, তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করিতে পারবে না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply