পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস । গোসলখানায় প্রবেশ করা

পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস । গোসলখানায় প্রবেশ করা

পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস । গোসলখানায় প্রবেশ করা >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ ৪১, অনুচ্ছেদঃ (২৮-৮২)=৪৪টি

অনুচ্ছেদ-২৮ঃ হঠাৎ দৃষ্টি পড়া প্রসঙ্গে
অনুচ্ছেদ-২৯ঃ স্ত্রীলোকগণ পুরুষদের থেকে পর্দা করিবে
অনুচ্ছেদ-৩০ঃ স্বামীদের অনুমতি ব্যতীত তাহাদের স্ত্রীদের নিকট যাওয়া নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৩১ঃ স্ত্রীলোকের ফিতনাকে ভয় করা
অনুচ্ছেদ-৩২ঃ অপরের চুল ব্যবহার মাকরূহ
অনুচ্ছেদ-৩৩ঃ পরচুলা প্রস্তুতকারিনী ও ব্যবহারকারিনী এবং উলকি উৎকীর্ণকারিনী ও যে উৎকীর্ণ করায়
অনুচ্ছেদ-৩৪ঃ পুরুষদের বেশধারিণী নারীগণ
অনুচ্ছেদ-৩৫ঃ নারীদের সুগন্ধি মেখে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৩৬ঃ নারী-পুরুষের সুগন্ধি ব্যবহার প্রসঙ্গে
অনুচ্ছেদ-৩৭ঃ সুগন্ধি দ্রব্যের উপহার প্রত্যাখ্যান করা মাকরূহ
অনুচ্ছেদ-৩৮ঃ পুরুষে পুরুষে এবং নারীতে নারীতে উলঙ্গ অবস্থায় গায়ে গা লাগানো মাকরূহ
অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ আভরণীয় অঙ্গের হিফাযাত করা
অনুচ্ছেদ-৪০ঃ উরুদেশ আভরণীয় অঙ্গের অন্তর্ভুক্ত
অনুচ্ছেদ-৪১ঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে
অনুচ্ছেদ-৪২ঃ সহবাসের সময় শারীর ঢেকে রাখা
অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ গোসলখানায় প্রবেশ করা
অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ যে ঘরে ছবি কিংবা কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।

অনুচ্ছেদ-২৮ঃ হঠাৎ দৃষ্টি পড়া প্রসঙ্গে

২৭৭৬.জারীর ইবনি আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে[কারো প্রতি] হঠাৎ দৃষ্টি পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। তিনি আমাকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে আদেশ করিলেন।

সহীহঃ হিজাবুল মারয়াহ্ [৩৫],সহীহ আবু দাঊদ [১৮৬৪],মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু যূরআর নাম হারিম। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৭৭. বুরাইদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

বুরাইদাহ্ [রাদি.]হইতে মারফূ হিসেবে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে আলী! বারবার [অননুমোদিত জিনিসের প্রতি] তাকাবে না। তোমার প্রথম দৃষ্টি জায়িয [ ও ক্ষমাযোগ্য] হলেও পরের দৃষ্টি [ক্ষমাযোগ্য] নয়।

হাসান ঃ হিজাবুল মারয়াহ্ [৩৪], সহীহ আবু দাঊদ [১৮৬৫]।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটি শুধু শারীকের রিওয়ায়াত হিসেবে জেনেছি। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

অনুচ্ছেদ-২৯ঃ স্ত্রীলোকগণ পুরুষদের থেকে পর্দা করিবে

২৭৭৮. উম্মু সালামা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি ও মাইমূনা [রাদি.] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পাশে হাযির ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা দুজন তাহাঁর নিকটে অবস্থানরত থাকতেই ইবনি উম্মু মাকতূম [রাদি.] তাহাঁর নিকট এলেন। এটা পর্দার নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার পরের ঘটনা। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা উভয়ে তার থেকে পর্দা কর। আমি [উম্মু সালামা] বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তিনি কি অন্ধ নন? তিনি তো আমাদেরকে দেখিতেও পারছেন না চিনতেও পারছেন না। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরাও কি অন্ধ, তোমরাও কি তাকে দেখিতে পাচ্ছ না।

যঈফ, মিশকাত [৩১১৬], ইরওয়া [১৮০৬], আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩০ঃ স্বামীদের অনুমতি ব্যতীত তাহাদের স্ত্রীদের নিকট যাওয়া নিষেধ

২৭৭৯. আমর ইবনিল আস [রাদি.]এর মুক্তদাস[ আবু কাইস আবদুর রাহমান ইবনি সাবিত] হইতে বর্ণীতঃ

কোন একদিন আমর ইবনিল আস [রাদি.]আসমা বিনতু উমাইসের নিকট যাবার অনুমতি প্রার্থনার জন্য তাকে আলী [রাদি.]-এর নিকট পাঠান। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। তিনি [আমর] যখন প্রয়োজনীয় আলাপ শেষ করিলেন, তখন উক্ত গোলাম এ প্রসঙ্গে আমর ইবনিল আস রাদিল্লাহু আনহু-কে প্রশ্ন করিল। তিনি বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্বামীদের অনুমতি ব্যতীত তাহাদের স্ত্রীদের নিকট যেতে আমাদের নিষেধ করিয়াছেন।

সহীহ ঃ আদাবুয্ যিফাক নতুন সংস্করন [২৮২-২৮৩] উকবা ইবনি আমির, আবদুল্লাহ ইবনি আমর ও জাবির [রাদি.]হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩১ঃ স্ত্রীলোকের ফিতনাকে ভয় করা

২৭৮০, উসামাহ্ ইবনি যাইদ ও সাঈদ ইবনি আমর ইবনি নুফাইল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার পরে [ মানুষের মাঝে] পুরুষের জন্য স্ত্রীলোকের ফিতনার চাইতে মারাত্নক ক্ষতিকর ফিতনা রেখে যাচ্ছি না।

সহীহ ঃ সহীহাহ্ [ ২৭০১], বুখারি ও মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। উক্ত হাদীস সুলাইমান আত-তাইমী হইতে, তিনি আবু উসমান হইতে, তিনি উসামা ইবনি যাইদ[ রাঃ] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রে একাধিক নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বর্ণনা করিয়াছেন। তারা এই সনদসূত্রে সাঈদ ইবনি আমর ইবনি নুফাইলের উল্লেখ করেননি। আল-মুতামির ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারী উপরোক্ত সনদে উসামা ইবনি যাইদ ও সাঈদ ইবনি যাইদ [রাদি.]-এর উল্লেখ করিয়াছেন বলে আমাদের জানা নেই। আবু সাঈদ [ রাঃ] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনি আবী উমার সুফইয়ান হইতে, তিনি সুলাইমান আত-তাইমী হইতে, তিনি আবু উসমান হইতে, তিনি উসামা ইবনি যাইদ হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩২ঃ অপরের চুল ব্যবহার মাকরূহ

২৭৮১. হুমাইদ ইবনি আবদুর রহমান [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি মুআবিয়াহ্ [রাদি.]-কে মাদীনার এক ভাষণে বলিতে শুনেছেন ঃ হে মাদীনাবাসীগণ! তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি তো রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এসব কুসসা [অন্যের চুল] ব্যবহার করিতে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি। তিনি আরো বলতন ঃ বানী ইসরাঈলগণ তখনি ধ্বংস হয়েছে, যখন তাহাদের রমনীগণ কুসসা[ অপরের চুল] ব্যবহার শুরু করে।

সহীহ ঃ গাইয়াতুল মারাম [১০০], বুখারি ও মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ। মুআবিয়াহ্ [রাঃ] হইতে বিভিন্ন সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩৩ঃ পরচুলা প্রস্তুতকারিনী ও ব্যবহারকারিনী এবং উলকি উৎকীর্ণকারিনী ও যে উৎকীর্ণ করায়

২৭৮২. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] এমন সব নারীর উপর লানত করিয়াছেন, যারা অঙ্গে উলকি আঁকে ও অন্যকে দিয়ে উল্কি আঁকায় এবং সৌন্দর্যের জন্য ভ্রুর চুল উপড়িয়ে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে।

সহীহ ঃ আদাবুয্ যিফাক [২০২-২০৪] নতুন সংস্করণ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ। শুবাহ ও অন্যান্য হাদীস বিশারদগণ এ হাদীসটি মানসূর হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৮৩. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে পরচুলা বানায় এবং যে তা ব্যবহার করে, যে উলকি আঁকে এবং অন্যকে দিয়ে আঁকায়, আল্লাহ তাআলা তাহাদেরকে লানাত করিয়াছেন। নাফি [ রাহঃ] বলেন, উলকি আঁকা হয় সাধারণত ঃ নীচের মাড়িতে।

সহীহ ঃ ইবনি মা-জাহ [১৯৮৭], বুখারি ও মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ। আয়েশা, মাকিল ইবনি ইয়াসার, আসমা বিনতু আবু বাকর ও ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মুহাম্মদ ইবনি বাশশার- ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ হইতে, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনি উমার হইতে, তিনি নাফি হইতে, তিনি ইবনি উমার [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। এই সূত্রে বর্ণনাকারীগণ নাফি [ রাহঃ] -এর বক্তব্যটুকু উল্লেখ করেননি। আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটিও হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩৪ঃ পুরুষদের বেশধারিণী নারীগণ

২৭৮৪, ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যেসব নারী পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং যেসব পুরুষ নারীদের বেশ ধারণ করে তাহাদেরকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] অভিসম্পাত করিয়াছেন।

সহীহ ঃ ইবনি মা-জাহ [১৯০৪],বুখারি। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।b পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৮৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারী নারীদেরকে লানাত করিয়াছেন।

সহীহ ঃদেখুন পূর্বের হাদীস ,বুখারি ও মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আয়েশা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩৫ঃ নারীদের সুগন্ধি মেখে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ

২৭৮৬. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রতিটি চোখই যেনাকারী। কোন নারী সুগন্ধি মেখে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে গেলে সে এমন এমন অর্থাৎ যেনাকারিণী।

হাসান ঃ তাখরীজুল ইমান লি আবী উবাইদা[৯৬/১১০], তাখরীজুল মিশকাত [৬৫], হিজাবুল মারয়াহ্ [৬৪]। আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩৬ঃ নারী-পুরুষের সুগন্ধি ব্যবহার প্রসঙ্গে

২৭৮৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পুরুষের সুগন্ধি এমন হইবে যার সুগন্ধ প্রকাশ পায় কিন্তু রং গোপন থাকে এবং নারীর সুগন্ধ এমন হইবে যার রং প্রকাশ পায় কিন্তু সুগন্ধ গোপন থাকে।

সহীহ ঃ মিশকাত [৪৪৪৩], মুখতাসার শামা-য়িল [১৮৮], আর-রাদ্দু আলাল কিত্তানী পৃঃ [১১] আলী ইবনি হুজর-ইসমাঈল ইবনি ইবরাহীম হইতে, তিনি আল-জুরাইরী হইতে, তিনি আবু নায্ রাহ্ হইতে, তিনি আত-তুফাবী হইতে, তিনি আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে, এই সূত্রে উক্ত মর্মে একই রকম হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এই হাদীসের মাধ্যমে আমরা আত-তুফাবীর সাথে পরিচিত কিন্তু তার নাম আমাদের নিকট অজ্ঞাত। ইসমাঈল ইবনি ইবরাহীমের হাদীসটি অনেক বেশি পরিপূর্ণ ও দীর্ঘ। ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৮৮. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেনঃ যে সুগন্ধির গন্ধ আছে কিন্তু রং নেই সেটিই পুরুষের জন্য উত্তম সুগন্ধি এবং যে সুগন্ধির রং আছে কিন্তু গন্ধ নেই সেটিই নারীর জন্য উত্তম সুগন্ধি। আর তিনি লাল রেশমের তৈরি আসনে বসতে বারণ করিয়াছেন।

সহীহ ঃ প্রাগুক্ত. আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩৭ঃ সুগন্ধি দ্রব্যের উপহার প্রত্যাখ্যান করা মাকরূহ

২৭৮৯. সুমামাহ্ ইবনি আবদুল্লাহ [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আনাস [রাদি.] কখনো সুগন্ধি ফিরিয়ে দিতেন না। আনাস [রাদি.] বলেছেন, নাবী [সাঃআঃ]-ও সুগন্ধি ফিরিয়ে দিতেন না।

সহীহ ঃ মুখতাসার শামা-য়িল [১৮৬], বুখারি। আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৯০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তিনটি বস্তু প্রত্যাখ্যান করা যায় না ঃ

[১] বালিশ, [২] সুগন্ধি, [৩] দুধ। হাসান ঃ প্রাগুক্ত [১৮৭] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আবদুল্লাহ ইবনি মুসলিমের দাদার নাম জুনদুব এবং তিনি মাদানী।c পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২৭৯১. আবু উসমান আন-নাহদী [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কাউকে সুগন্ধি [হাদিয়া] দেয়া হলে সে যেন তা ফিরিয়ে না দেয়। কেননা এটা জান্নাত হইতে নিঃসৃত।

যঈফ, মুখতাসার শামায়িল [১৮৯] যঈফা [৭৬৪], আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। উক্ত হাদীস ছাড়া হানানের সূত্রে আর কোন হাদীস বর্ণিত আছে কি-না তা আমাদের জানা নেই। আবু উসমান আন-নাহদীর নাম আবদুর রাহমান ইবনি মুল্ল। তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময়কাল পেলেও তাঁকে দেখেননি এবং তাহাঁর নিকট  হাদীসও শুনেননি। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩৮ঃ পুরুষে পুরুষে এবং নারীতে নারীতে উলঙ্গ অবস্থায় গায়ে গা লাগানো মাকরূহ

২৭৯২. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন নারী অন্য নারীর সাথে [বস্ত্রহীন অবস্থায়] শরীর মিলিয়ে শোবে না। কেননা সে তার স্বামীর নিকট অপর নারীর শরীরের বর্ণনা দিবে এবং মনে হইবে সে যেন তাকে চাক্ষুস দেখছে।

সহীহ ঃ সহীহ আবী দাঊদ [১৮৬৬], বুখারী। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৯৩. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক পুরুষ অন্য পুরুষের গুপ্তাঙ্গের দিকে এবং এক নারী অন্য নারীর গুপ্তাঙ্গের দিকে তাকাবে না। এক পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এবং এক নারী অন্য নারীর সাথে এক কাপড়ের ভেতর শোবে না।

সহীহ ঃ ইবনি মা-জাহ [৬৬১],মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ আভরণীয় অঙ্গের হিফাযাত করা

২৭৯৪. বাহয ইবনি হাকীম [রঃ] হইতে পপর্যায়ক্রমে তাহাঁর বাবা ও দাদার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নাবী! আমাদের আভরণীয় অঙ্গের কতটুকু অংশ ঢেকে রাখব এবং কতটুকু অংশ খোলা রাখতে পারব? তিনি বললেনঃ তোমার স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত [ সবার দৃষ্টি হইতে] তোমার আভরণীয় অঙ্গের হিফাযাত কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবার প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! দলের লোকেরা কখনো একত্রিত হলে? তিনি বললেনঃ তোমার দ্বারা যতটুকু সম্ভব তা ঢেকে রাখবে, কেউ যেন তা দেখিতে না পায়। তিনি বলেন, আমি আবারো বললাম, হে আল্লাহর নাবী! আমাদের মাঝে কেউ নির্জন স্থানে থাকলে? তিনি বললেনঃমানুষের চাইতে আল্লাহ তাআলাকে বেশি লজ্জা করা দরকার।

হাসান ঃ [২৭৬৯] নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

অনুচ্ছেদ-৪০ঃ উরুদেশ আভরণীয় অঙ্গের অন্তর্ভুক্ত

২৭৯৫. জারহাদ আল-আসলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] মাসজিদের মধ্যে জারহাদের পাশ দিয়ে গেলেন। সে সময় তার ঊরুদেশ উলঙ্গ অবস্থায় ছিল। তিনি বললেনঃ ঊরুদেশও আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ ঃ ইরওয়াহ্ [১/২৯৭-২৯৮], মিশকাত [৩১১৪] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান । আমার মতে এর সনদসূত্র মুত্তাসিল [পরস্পর সংযুক্ত] নয়। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৯৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঊরুও একটি আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ ঃ দেখুন পূর্বের হাদীস। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৯৭. জারহাদ [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ উরুও আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। আলী ও মুহাম্মাদ ইবনি আব্দুল্লাহ ইবনি জাহ্শ [রাঃ] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আব্দুল্লাহ ইবনি জাহ্শ ও তার ছেলে মুহাম্মাদ [রাঃ] [উভয়েই] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাহচর্য লাভ করিয়াছেন। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৭৯৮. জারহাদ [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আর তখন তার উরু খোলা অবস্থায় ছিল। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ তোমরা উরু ঢেকে রাখ, কেননা এটাও আভরণীয় অঙ্গ।

সহীহ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৪১ঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে

২৭৯৯. সালিহ ইবনি আবু হাসসান[রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

আমি সাঈদ ইবনিল মুসাঈয়্যাব[রঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা পবিত্র এবং পবিত্রতা ভালোবাসেন। তিনি পরিচ্ছন্ন এবং পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। তিনি মহান ও দয়ালু, মহত্ব ও দয়া ভালোবাসেন। তিনি দানশীল, দানশীলতাকে ভালোবাসেন। সুতরাং তোমরাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেক। আমার মনে হয় তিনি বলেছেনঃ তোমাদের আশেপাশের পরিবেশকেও পরিচ্ছন্ন রাখ এবং ইয়াহুদীদের অনুকরণ করো না। সালিহ বলেন, আমি এ প্রসঙ্গে মুহাজির ইবনি মিসমারের নিকটে বর্ণনা করলাম। তিনি বলেন, আমির ইবনি সাদ তার পিতার সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে একই রকম হাদীস আমার কাছে বলেছেন, তোমাদের আশেপাশের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখ।

যঈফঃ গা-ইয়াতুল মারাম [১১৩], তবে “আল্লাহ দানশীল…” এই অংশটুকু সহীহ, সহীহাহ্[২৩৬-১৬২৭], হিজাবুল মারয়াহ্ [১০১]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। খালিদ ইবনি ইল্য়াস মতান্তরে ইয়াসকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলা হয়েছে। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

অনুচ্ছেদ-৪২ঃ সহবাসের সময় শারীর ঢেকে রাখা

২৮০০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা নগ্নতা হইতে বেঁচে থাক। কেননা তোমাদের এমন সঙ্গী আছেন [কিরামান-কাতিবীন] যারা পেশাব- পায়খানা ও স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় তোমাদের হইতে আলাদা হন না। সুতরাং তাহাদের লজ্জা কর এবং সম্মান কর।

যঈফ, ইরওয়া [৬৪], মিশকাত, তাহকীক ছানী [৩১১৫],আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জানতে পেরেছি। আবু মুহাইয়্যার নাম ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি ইয়ালা। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ গোসলখানায় প্রবেশ করা

২৮০১. জাবির [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা ও পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন ইযার[লুঙ্গি] পরিহিত অবস্থা ছাড়া গোসলখানায় প্রবেশ না করে। আল্লাহ তাআল ও পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন তার স্ত্রীকে গোসলখানায় প্রবেশ না করায়। আল্লাহ তাআলা ও পরকালের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে সে যেন এমন দস্তরখানে[খাদ্যের মাজলিসে] না বসে যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়।

হাসানঃ তালীকুর রাগীব [১/৮৮-৮৯], ইরওয়াহ্[১৯৪৯], গাইয়াতুল মারাম [১৯০]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই তাউস হইতে জাবির [রাঃ]-এর বর্ণনা হিসেবে জেনেছি। মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈল[বুখারী][রঃ] বলেন, লাইস ইবনি আবু সুলাইম বর্ণনাকারী হিসেবে সত্যবাদী, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সন্দেহের শিকার হন। তিনি আরো বলেন, আহ্মাদ ইবনি হাম্বল[রঃ] বলেছেন যে, লাইসের বর্ণনায় উৎফুল্ল হওয়া যায় না। কেননা লাইস এমন কিছু বিষয় মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেন যা অন্যরা মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেন না। এই জন্যই তাকে যঈফ বলা হয়। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২৮০২. আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নারী-পুরুষ উভয়কে গোসলখানায় যেতে বারণ করেছিলেন। পরে অবশ্য পুরুষের লুঙ্গি পরে সেখানে যাবার সম্মতি দিয়েছেন।

যঈফ, ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[২৭৪৯], আবু ঈসা বলেন, আমরা শুধুমাত্র হাম্মাদ ইবনি সালামার রিওয়ায়াত হিসাবে এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীসের সনদসূত্র খুব দৃঢ় নয়। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৮০৩. আবুল মালী আল-হুযালী [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

কোন এক সময় হিম্‌স অথবা সিরিয়ার বসবাসকারী কয়েকজন মহিলা আয়িশা [রাদি.]-এর নিকট আসল। তিনি বলিলেন, তোমরা তো সেই এলাকার অধিবাসী, যার মহিলারা গোসলখানায় প্রবেশ করে। আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছিঃ যে নারী তার স্বামীর ঘর ছাড়া অন্য কোথাও তার কাপড় খোলে, সে তার ও আল্লাহ তাআলার মধ্যকার পর্দা ছিড়ে ফেলে।

সহীহ। ইবনি-মাজাহ [৩৭৫০] আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ যে ঘরে ছবি কিংবা কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।

২৮০৪. আবু তালহা [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছিঃ কুকুর অথবা ভাস্কর্যের ছবি থাকে এমন ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।

সহীহঃ ইবনি ম-জাহ [৩৬৪৯], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৮০৫. রাফি ইবনি ইসহাক[রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

রোগাক্রান্ত আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.]-কে আমি ও আব্দুল্লাহ ইবনি আবু তালহা[রঃ] দেখিতে গেলাম। আবু সাঈদ [রাদি.] বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের অবহিত করেছেনঃ যে ঘরে [জীবজন্তুর] প্রতিকৃতি অথবা ছবি থাকে, সে ঘরে[রাহমাতের] ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। ইসহাক সন্দেহে নিপতিত হয়েছেন, ছবির কথা না প্রতিকৃতির কথা বলেছেন।

সহীহঃ গাইয়াতুল মারাম [১১৮], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৮০৬. আবু হুরাইরাহ্ [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেঃ জিবরীল[আ]আমার নিকট এসে বলিলেন, গতরাতে আমি আপনার নিকট এসেছিলাম, কিন্তু আপনার অবস্থানরত ঘরের দরজায় একটি পুরুষের প্রতিকৃতি, ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি সূক্ষ্ম কাপড়ের পর্দা এবং একটি কুকুর আমাকে ভিতরে প্রবেশ করিতে বাধা প্রদান করেছে। সুতরাং আপনি দরজার পাশে রাখা প্রতিকৃতিটির মাথা কেটে ফেলার আদেশ করুন, তাহলে সেটা গাছের আকৃতি হয়ে যাবে। আর পর্দাটিও কেটে ফেলতে বলুন আর তা দিয়ে সাধারণতঃ ব্যবহারের জন্য দুটি গদি বানানো যাবে এবং কুকুরটিকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিন। তারপর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] জিবরীলের পরামর্শ মুতাবিক কাজ করিলেন। আর কুকুর ছানাটি হাসান কিংবা হুসাইনের চৌকির নীচে বসা ছিল। যা হোক তিনি আদেশ করিলেন এবং সে মুতাবিক এটাকেও বের করে দেয়া হল।

সহীহঃ আদবুয যিফাফ নতুন সংস্করণ [১৯০-১৯৬]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আয়েশা ও আবু তাল্হা [রাঃ] হইতে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। পুরুষ ও নারীর পর্দা নিয়ে হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply