উশর আদায়ের নিয়ম মাসালা ও উসূলকারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী

উশর আদায়ের নিয়ম মাসালা ও উসূলকারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী

উশর আদায়ের নিয়ম মাসালা ও উসূলকারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী >> আল হিদায়া ফিকহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

কিতাবঃ আল হিদায়া, তৃতীয় অনুচ্ছেদ উশর উসূলকারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী

কোন ব্যবসায়ী যখন পণ্যদ্রব্যসহ উশর উসূলকারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করে আর বলে যে, মাত্র কয়েক মাস হলো এ সম্পদ আমি লাভ করেছি, কিংবা আমার উপর ঋণের দায় রহিয়াছে, আর একথা সে শপথ করে বলে, তাহলে তার কথা বিশ্বাস করা হবে।

উশর উসূলকারী ঐ ব্যাক্তিকে বলা হয়, শাসক যাকে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে জাকাত উসূল করার জন্য রাস্তার উপর নিযুক্ত করেন। সুতরাং তাহাদের মধ্যে যারা বর্ষপূর্তির কথা কিংবা ঋণ হতে মুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে, সে মূলত জাকাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করল। আর কসমসহ অস্বীকারকারীর কথাই গ্রহণীয়।

তদ্রুপ যদি সে বলে যে, আমি অন্য কোন উসূলকারীর নিকট উশর আদায় করেছি। এটি এ ক্ষেত্রে, যদি ঐ বছর অন্য কোন উশর উসূলকারী থাকে। কেননা সে আমানত যথাস্থানে আদায় করার দাবী করছে। পক্ষান্তরে যদি এ বছর অন্য কোন উশর উসূলকারী নিযুক্ত হয়ে না থাকে (তাহলে তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে না)। কেননা, সুনিশ্চিত ভাবেই তার মিথ্যাবাদতা প্রকাশ পেয়ে গেছে।

তদ্রুপ যদি সে বলে যে, আমি নিজেই আদায় করে দিয়েছি। অর্থাত্ আমি শহরের দরিদ্রদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছি। কেননা শহরে থাকা অবস্থায় জাকাত আদায় করার বিষয়টি তার উপরই ন্যস্ত ছিলো। আর জাকাত উসূলের কর্তৃত্ব পথ অতিক্রমের কারণে। কেননা সে তখন তার হিফাযতে প্রবেশ করেছে।

গবাদি পশুর জাকাত সম্পর্কেও প্রথমোক্ত তিন ক্ষেত্রে একই হুকুম। কিন্তু চতুর্থ ক্ষেত্রে অর্থাত্ যদি সে বলে যে, আমি নিজেই শহরের দরিদ্রদের মাঝে বন্টন  করেছি, তবে কসম করে বললেও তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে না।

ইমাম শাফিঈ (রঃআঃ) বলেন, বিশ্বাস করা হবে। কেননা সে হকদারের নিকট হক পৌছে দিয়েছে।

আমাদের দলিল এই যে, গবাদি পশুর জাকাত গ্রহণ করার অধিকার হলো রাষ্ট্র পরিচালকের। সুতরাং তা বাতিল  করার অধিকার তার নেই। অপ্রকাশ্য সম্পদের হুকুম ভিন্ন।

আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, প্রথমটিই যাকাতে গণ্য। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় বার উসূল করা হচ্ছে শাসন ভিত্তিক।

আর কারো কারো মতে দ্বিতীয়টিই হলো জাকাত। এবং প্রথমটি নফলে রূপান্তরিত হবে। এ-ই বিশুদ্ধ মত।

গবাদি পশু ও বানিজ্য-পণ্যের যে সকল ক্ষেত্রে তার কথা গ্রহণ করা হবে, সে ক্ষেত্রে জামেউস-সগীর এর বর্ণনার লিখিত সনদ বের করে দেখানোর  শর্ত আরাপ করেননি। কিন্তু মাবসূত-এর বর্ণনায় এ শর্ত আরোপ করেছেন। আর তা ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর পক্ষ হতে হাসান ইব্‌ন যিয়াদ বর্ণনা করেছেন। কেননা সে একটি দাবী করেছে আর তার দাবীর সত্যতার সপক্ষে একটি প্রমাণ রহিয়াছে। সুতরাং তা প্রদর্শন করা আবশ্যক হবে।

প্রথম মতের পক্ষে দলিল এই যে, হস্তান্তরের সংগে অন্য হস্তাক্ষরের সাদৃশ্য রহিয়াছে। সুতরাং তা প্রমাণ রূপে গ্রহণযোগ্য হবে না।

ইমাম মুহম্মদ (রঃআঃ) বলেন, যে ক্ষেত্রে মুসলমানের কথা সত্য বলে গ্রহণ করা হবে, সে ক্ষেত্রে যিম্মির কথাও সত্য বলে গ্রহণ করা হবে। কেননা মুসলমানদের কাছ থেকে যা নেওয়া হয়, তার কাছ থেকে নেওয়া হয় তার দ্বিগুণ। সুতরাং দ্বিগুণকে বাস্তবায়িত করার প্রেক্ষিতে (এ ক্ষেত্রেও) উপরোক্ত শর্তাবলী বিবেচনা করা হবে।

হারবী (ব্যবসায়ীর) এর দাবী সত্য বলে গ্রহণ করা হবে না, কিন্তু যদি দাসীদের ব্যাপারে বলে যে, এরা আমার উম্মু ওয়ালদ। কিংবা যদি সংগের বালকদের সম্পর্কে বলে যে, এরা আমার সন্তান। কেননা, হিফাযতের লক্ষ্যেই তার কাছ থেকে শুল্ক গ্রহণ করা হয়।আর তার মালিকানাধীন সম্পদই শুধু হিফাজতের মুখাপেক্ষী। তবে তার অধীনস্ত বালকের নসবের স্বীকৃত দান তার জন্য বৈধ। সুতরাং উম্মু ওয়ালাদের (মাতৃত্বের) স্বীকৃতি দানও বৈধ হবে। কেননা মাতৃত্ব নসবের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং তাহাদের ক্ষেত্রে সম্পদগুণ লুপ্ত হয়ে গেলো। আর শুল্ক গ্রহণ একমাত্র মালের উপরই ওয়াজিব।

ইমাম কুদুরী(রঃআঃ) বলেন, গ্রহণ করবে মুসলমানের নিকট থেকে দশমাংশের এক-চতুর্থাংশ, যিম্মীর নিকট থেকে দশমাংশের অর্ধেক এবং হারবীর নিকট থেকে পূর্ণ দশমাংশ। হযরত উমর (রাঃআঃ) তার শুল্ক আদায়কারীদের প্রতি এরূপ নির্দেশই জারী করেছিলেন।

হারবী যদি পঞ্চাশ দিরহাম সংগে নিয়ে পথ অতিক্রম করে তাহলে তার নিকট থেকে কিছুই গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু যদি তাহারা এ্ই পরিমাণের ক্ষেত্রে আমাদের নিকট থেকে গ্রহণ করে থাকে। (তখন আমরাও গ্রহণ করবো)। কেননা তাহাদের নিকট থেকে নেওয়া হয় মুলত পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে। মুসলিম ও যিম্মীর বিষয়টি এর বিপরীত। কেননা (মুসলমানের ক্ষেত্রে) উশূলকৃত অর্থ হলো জাকাত কিংবা (যিম্মীর ক্ষেত্রে) যাকাতের দ্বিগুণ। সুতরাং নিসাব পূর্ণ হওয়া জরুরী। এটা জামেউস সাগীর এর মাসআলা। পক্ষান্তরে (মাবসূত-এর) কিতাবুয জাকাত অধ্যায়ে রহিয়াছে যে, অল্প পরিমাণের ক্ষেত্রে তাহাদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে না, যদিও তাহারা অনুরূপ পরিমাণ আমাদের নিকট হতে গ্রহণ করে থাকে। কেননা অল্প পরিমাণ সর্বদাই ছাড়যোগ্য। তাছাড়া তা নিরাপত্তার মুখাপেক্ষী নয়।

ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) বলেন, কোন হারবী যদি দুশ দিরহাম সংগে নিয়ে পথ অতিক্রম করে আর তাহারা আমাদের নিকট হতে কি পরিমাণ গ্রহণ করে তা জানা না থাকে তবে তার নিকট থেকে দশমাংশ গ্রহণ করা হবে।  কেননা উমর (রাঃআঃ) বলেছেন, যদি তোমরা জানতে অক্ষম হও তবে দশমাংশ গ্রহণ কর।

আর যদি জানা যায় যে, তাহারা আমাদের নিকট থেকে উপরের এক-চতুর্থাংশ কিংবা উশরের অর্ধেক গ্রহণ করে, তাহলে তার নিকট হতে সেই পরিমাণই গ্রহণ করা হবে। কিন্তু যদি তাহারা সবটুকু নিয়ে নেয় তবে সবটুকু নেয়া হবে না, কেননা তা গাদ্দারী (আর গাদ্দারী মুসলিমের জন্য শোভনীয় নয়)। আর যদি তাহারা কিছুই না নেয় তবে (আমাদের উশর উসূলকারীও) কিছু নেবে না।

যাতে আমাদের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে শুল্ক নেয়া থেকে তাহারা বিরত থাকে।

তাছাড়া উত্তম চরিত্র প্রদর্শনের ব্যাপারে আমরাই অধিক হকদার।

ইমাম কুদূরী বলেন, হারবী যদি উসূলকারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করে এবং সে তার কাছ থেকে উশর আদায় করে থাকে, অতঃপর যদি সে দ্বিতীয় বার অতিক্রম করে তবে বর্ষপূর্তির পূর্বে তার নিকট থেকে পুনঃউশর গ্রহণ করা হবে না। কেননা প্রতিবার অতিক্রমের সময় শুল্ক গ্রহণের পরিণাম হলো তার সম্পদ বিনাশ করা। অথচ শুল্ক গ্রহণের অধিকার হল তার সম্পদের হিফাজতের কারণে। ( উশর আদায়ের নিয়ম মাসালা )

তাছাড়া প্রথম নিরাপত্তা দানের কার্যকারিতা এখনও অব্যাহত রহিয়াছে। বর্ষপূর্তির পর নিরাপত্তার নবায়ন হবে। কেননা তাকে এক বছরের অধিক অবস্থানের অবকাশ দেওয়া হয় না। আর বর্ষপূর্তির পর পুনরায় শুল্ক গ্রহণ দ্বারা তার সম্পদ নিঃশেষিত হবে না।

উশর আদায় করার পর যদি সে দারূল হারবে ফিরে গিয়ে একই দিনে ফিরে আসে তাহলে পুনরায় তার নিকট হতে উশর গ্রহণ করা হবে। কেননা সে নতুন নিরাপত্তা নিয়ে ফিরে এসেছে। আর দারূল হারবে গিয়ে ফিরে আসায় শুল্ক গ্রহণ সম্পদ নিঃশেষে পরিণত হয় না।

কোন যিম্মী যদি শরাবে কিংবা শূকর নিয়ে পথ অতিক্রম করে তবে শরাবের উশর গ্রহণ করা হবে কিন্তু শূকরের উশর গ্রহণ করা হবে না।

শবারের উশর গ্রহণের অর্থো হলো তার মূল্যের উশর গ্রহণ করা।

ইমাশ শাফিঈ (রঃআঃ) বলেন, উভয়টির উশর গ্রহণ করা হবে না। কেননা (মুসলমানের কাছে) এ দুটির মূল্য নেই।

ইমাম যুফার (রঃআঃ) বলেন, উভয়টিরই উশর গ্রহণ করা হবে। কেননা সম্পদ হওয়ার ক্ষেত্রে তাহাদের নিকট উভয়টিই সমান।

ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) বলেন, যদি উভয়টি এক সংগে নিয়ে অতিক্রম করে তাহলে উভয়টির উশর গ্রহণ করা হবে। সম্ভবতঃ তিনি শূকরকে শরাবের অনুগামী ধরেছেন। কিন্তু যদি উভয়টিকে আলাদা ভাবে নিয়ে যায় তবে শরাবের উশর নেয়া হবে কিন্তু শুকরের উশর নেয়া হবে না।

যাহিরী রিওয়ায়াত মুতাবিক এই পার্থক্যের কারণ এই যে, মূল্য নির্ভর বস্তু মুল বস্তুর হুকুম রাখে। আর শূকর এই শ্রেণীভূক্ত।

পক্ষান্তরে সমতুল্য বস্তুর ক্ষেত্রে মূল্য মূল বস্তুর হুকুম রাখে না। আর শরাব এই শ্রেণীভূক্ত।

তাছাড়া শুল্ক গ্রহণের অধিকার বর্তে হেফাজতের জন্য। আর মুসলমান সিরকায় রূপান্তরিত করার উদ্দেশ্যে তার নিজস্ব সংরক্ষণ করিতে পারে। সুতরাং অন্যের শরাবও সে সংরক্ষণ করিতে পারিবে। পক্ষান্তরে নিজস্ব মালিকানায় শূকর সে সংরক্ষণ করিতে পারে না। বরং ইসলাম গ্রহণের সংগে সংগে তা ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব। সুতরাং অন্যের শূকরও সে সংরক্ষণ করিতে পারিবে না।

তাগলাবী গোত্রের কোন শিশু বা স্ত্রীলোক যদি সম্পদ নিয়ে অতিক্রম করে, তবে শিশুর (সম্পদের) উপর ঐ পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা তাহাদের পুরুষ লোকের উপর আরোপ করা হয়। এর কারণ আমরা গবাদি পশুর ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছি। ( উশর আদায়ের নিয়ম মাসালা )

যে ব্যক্তি উশর উশুলকারীর সম্মুখ দিয়ে একশ দিরহাম নিয়ে অতিক্রম করলো এবং একথা জানালো যে, তার ঘরে আরও একশ দিরহাম রহিয়াছে এবং সেটার বর্ষপূর্তি হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় যে একশ দিরহাম নিয়ে যাচ্ছে, তার জাকাত উসূল করা হবে না। কেননা নিসাব পরিমাণ কম। আর তার ঘরে যা আছে, সেটা উশর আদায়কারীর নিরাপত্তাধীনে আসেনি।

যদি সে অন্যের প্রদত্ত পুজি রূপে দুশ দিরহাম নিয়ে যায়, তবে তার নিকট থেকে উশর উসূল করা হবে না। কেননা সে জাকাত আদায় করার অনুমতিপ্রাপ্ত নয়।

ইমাম কুদূরী (রঃআঃ) বলেন, মুদারাবা-এর ক্ষেত্রেও একই হুকুম। অর্থাত্ মুদারাবা ভিত্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তি যদি উশর উশলকারীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করে (তবে উক্ত মাল থেকে উশর উসূল করা হবে না)

ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) প্রথমে বলতেন যে, উশর উসূলকারীর মুদারাবার মাল থেকে উশর উসূল করবে। কেননা (পুজির উপর) মুদারিব-এর হক অধিক দৃঢ়। এ জন্যই পুজিদাতা ব্যবসার কোন ক্ষেত্রে তাকে বাধা দিতে পারে না। যখন পুজির অর্থ ব্যবসায়ের পণ্যে রূপান্তরিত হয়ে যায়। সুতরাং সে মালিকের স্থলবর্তী হয়ে যাবে।

পরবর্তীতে তিনি কুদূরীতে উল্লেখিত মতামতের দিকে রুজু করেছেন, আর এ-ই সাহেবাইনেরও মত।

কেননা প্রকৃত পক্ষে সে উক্ত পুজির মালিক নয়। এবং জাকাত আদায়ের ব্যাপারে মালিকের নায়েব বা স্থলবর্তীও নয়। কিন্তু যদি পুজির সংগে এই পরিমাণ মুনাফা থেকে থাকে, যাতে তার অংশ নিসাব পরিমাণ পৌছে, তবে তার নিকট হতে জাকাত গ্রহণ করা হবে। কেননা সে তা তার মালিক।

ব্যবসায়ের অনুমতিপ্রাপ্ত কোন দাস যদি দুশ দিরহাম নিয়ে অতিক্রম করে এবং তার উপর ঋণের কোন দায় না থাকে, তবে তার নিকট থেকে উশর গ্রহণ করা হবে।

ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) বলেন, আমি জানি না ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এ সিদ্ধান্ত থেকে রুজু করেছেন কিনা। তবে মুদারাবা-এর ক্ষেত্রে তার দ্বিতীয় বক্তব্যের কিয়াস তো এই যে, তার নিকট থেকে উশর গ্রহণ করা হবে না। আর এ-ই সাহেবাইনের মত। কেননা,তার অধীনে যে সম্পদ রহিয়াছে, তার মালিক তার মনিব। তার শুধু ব্যবসা পরিচালনার অধিকার রহিয়াছে। সুতরাং সে মুদারিবের মত হয়ে গেল।

আর উভয়ের মধ্যে পার্থক্যের কারণ হিসাবে বলা হয় যে, দাস নিজের জন্যই যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ কারণেই কোন দায়িত্ব মনিবের দিকে রুজু হয় না। সুতরাং সে নিজেই নিরাপত্তা লাভের মুখাপেক্ষী। পক্ষান্তরে মুদারিব নায়েব বা স্থলবর্তী রূপে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাই দা্য়-দায়িত্ব পুজিদাতার দিকে রুজু হয়। তাই পুজি দাতাই হচ্ছে নিরাপত্তার মুখাপেক্ষী। সুতরাং মুদারবের ক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর পূর্ব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অর্থ অনুমতিপ্রাপ্ত দাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

তবে অনুমতিপ্রাপ্ত দাসের সংগে তার মনিবও যদি উপস্থিত থাকে তাহলে মনিবের নিকট হতে উশর গ্রহণ করা হবে। কেননা (আসলে) মালিকানা তো তারই। কিন্তু দাসের উপর যদি তার সম্পদ বেষ্টনকারী ঋণের দায় থাকে, তাহলে উশর নেয়া হবে না। কেননা তার মালিকানা নেই কিংবা তার সম্পদ দায়বদ্ধ।

ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) বলেন, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার কেউ যদি তাহাদের নিয়োগকৃত এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করে আর সে তার কাছ থেকে উশর গ্রহণ করে থাকে, তবে বৈধ সরকারের আশের তার কাছ থেকে দ্বিতীয় বার জাকাত উসূল করবে।

অর্থাত্ যখন সে বৈধ শাসকের নিয়োগকৃত এর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করবে। কেননা, ত্রুটি তার পক্ষ থেকেই হয়েছে, যেহেতু সে খারিজী এর সম্মুখ দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করেছে। ( উশর আদায়ের নিয়ম মাসালা )


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply