কাবা শরিফের ভিতরে নামায এর মাসায়েল

কাবার শরিফের ভিতরে নামায এর মাসায়েল

কাবার শরিফের ভিতরে নামায এর মাসায়েল >> আল হিদায়া ফিকহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

কিতাবঃ আল হিদায়া, ত্রয়োবিংশ অনুচ্ছেদ : কাবার অভ্যন্তরে নামাজ

কাবার অভ্যন্তরে ফরয ও নফল নামাজ আদায় জাইয। উভয় বিষয়ে ইমাম শাফিঈ (রঃআঃ) এর ভিন্ন মত রহিয়াছে। আর শূধু ফরযের ব্যাপারে মালিক (রঃআঃ) এর ভিন্ন মত রহিয়াছে।
আমাদের দলিল রাসূলূল্লাহ্ (সাঃআঃ) মক্কা বিজয়ের দিন কাবা ঘরের অভ্যন্তরে নামাজ আদায় করেছেন।
আর এ কারণে যে, অভ্যন্তরীণ নামাজের যাবতীয় শর্ত সম্পন্ন হইয়াছে। এতে কেবলামুখী হওয়াও পালিত হইয়াছে। কেননা সমগ্র কাবা সম্মুখে রাখা শর্ত নয়।

ইমাম যদি কাবার ভিতরে জামাআতের ইমামতি করেন, আর তখন মুক্তাদীদের কেউ ইমামের পিঠের দিকে নিজের পিঠ দিয়ে দাড়ায় তবুও জাইয হবে। কেননা সে কেবলামুখী রহিয়াছে আপন ইমামকে ভুলের উপর রহিয়াছে বলেও সে মনে করে না। চিন্তা করে কিবলা নির্ধারণের বিষয়টি এর বিপরীত।

আর তাহাদের মাঝে যে ইমামের দিকে পিঠ দিয়ে দাড়াবে, তার নামায জাইয হবে না। কেননা যে তার ইমামের চেহারার দিকে পিঠ দিয়ে দাড়াবে, তার নামায জাইয হবে না। কেননা সে তার ইমামের অগ্রবর্তী হয়ে গেছে। ইমাম যদি মাসজিদুল হারামে নামাজ পড়ান আর লোকেরা কাবার চারপাশে হালকা করে দাড়ায় এবং ইমামের নামাজে ইকতিদা করে নামাজ পড়ে তা হলে তাহাদের মধ্যে যে কাবার দিকে ইমামের চেয়ে অধিক নিকটবর্তী হয়, তারও নামাজ জাইয হবে, যদি সে পাশে না দাড়িয়ে থাকে, যে পাশে ইমাম আছেন। কেননা একই পার্শ্বে হওয়ার বেলায়ই অগ্রবর্তিতা ও পশ্চাদবর্তিতা প্রকাশ পাবে।

এ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ (রঃআঃ) ভিন্নমত পোষণ করেন। কারণ, আমাদের মতে কাবা হল আসমান পর্যন্ত খোলা স্থল ও শূন্য স্থান, ভবন নয়। আর ভবন তো স্থানান্তরিতও হতে পারে। এ জন্যই তো কেউ জাবালে আবূ কূবায়স এর চূড়ায় উঠে নামাজ আদায় করিলে তার নামাজ জাইয হবে। অথচ ভবন তো তার সম্মুখে বিদ্যমান নেই। অবশ্য কাবার পাশে আদায় মাকরূহ। কেননা এতে কাবার প্রতি অসম্মান করা হয় এবং এ সম্পর্কে নাবী (সাঃআঃ) থেকে নিষেধাজ্ঞা বর্ণীত আছে। – কাবার শরিফের ভিতরে নামায এর মাসায়েল


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply