ইসতিসকার নামাজের মাসআলা – হেদায়া মূল কিতাব
ইসতিসকার নামাজের মাসআলা – হেদায়া মূল কিতাব >> আল হিদায়া ফিকহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
কিতাবঃ আল হিদায়া, ঊনবিংশ অনুচ্ছেদ : ইসতিসকার নামাজ
ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) বলেন, ইসতিসকার এর জন্য জামাআতসহ নামাজ আদায় করা সুন্নাত নয়। তবে লোকেরা যদি একা একা নামাজ পড়ে নেয় তবে তা জাইয। আসলে ইসতিসকা হল দুআ ও ইসতিগফার।
কেননা আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন- তখন আমি বললাম, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা চাও। নিসন্দেহে তিনি ক্ষমাশীল।
তাছাড়া রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ইসতিসকা করেছেন. কিন্তু তার থেকে নামাজ আদায় করা বর্ণীত হয়ানি।
সাহেবাইনের বলেন, ইমাম দুরাকআত নামাজ আদায় করবেন। কেননা, বর্ণীত আছে যে, নাবী করিম (সাঃআঃ) দুই রাকাআত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন, ঈদের নামাজের মত। ইব্ন ‘আব্বাস (রাঃআঃ) একথা বর্ণনা করেছেন।
আমাদের বক্তব্য এই যে, তিনি নামাজ আদায় করেছেন, আবার কখনো পড়েননি। সুতরাং এটি সুন্নাত নয়।
মাবসূত কিতাবে ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর মতে এককভাবে উল্লেখ করা হইয়াছে।
উভয় রাকাআতে কিরাত উচ্চৈস্বরে পড়বে। ঈদের নামাজের উপর কিয়াস করে।
অতপর (ইমাম) খুতবা দিবেন। কেননা বর্ণীত আছে যে, নাবী (সা) খুতবা দিয়েছেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর মতে তা হবে ঈদের খুতবার মত (দুই খুতবা বিশিষ্ট)। আর ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) এর মতে তা খুতবা একটিই।
ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর মতে (ইসতিসকার জন্য) কোন খুতবা নেই। কেননা, খুতবা হল জামাআতের অনুগামী। আর তার মতে (ইসতিসকার নামাজে) জামাআত নেই।
দুআর সময় কিবলামুখী হবে। কেননা, হাদিসে আছে যে, নাবী করিম (সাঃআঃ) কিবলামূখী হইয়াছেন এবং আপন চাদর উলটিয়েছেন।
আর ইমাম সাহেব আপন চাদর উলটাবেন।
এর দলিল আমাদের বর্ণীত হাদিস।
গ্রন্থকার বলেন, এ হল ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর মত। আর ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর মতে চাদর উলটাবে না। কেননা এ তো দুআ। সুতরাং অন্যান্য দুআর সাথেই একে বিবেচনা করিতে হবে।
আর ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ)যে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তা ছিল সুলক্ষণ গ্রহণ হিসাবে।
তবে মুকতাদীরা তাহাদের চাদর উল্টাবে না। কেননা এমন বর্ণীত হয়নি যে, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সাহাবায়ে কিরামকে তা করার আদেশ করেছেন।
যিম্মী অধিবাসীগণ ইসতিসকার নামাজে হাযির হবে না। কেননা ইসতিসকার হল রহমত নাযিলের প্রার্থনা করার জন্য, অথচ তাহাদের উপর তো গযব নাযিল হওয়ার কথা। – ইসতিসকার নামাজের মাসআলা
Leave a Reply