সালাতুল কুসুফ নামাজ এর মাসালা -ফিকহ গ্রন্থ

সালাতুল কুসুফ নামাজ এর মাসালা -ফিকহ গ্রন্থ

সালাতুল কুসুফ নামাজ এর মাসালা -ফিকহ গ্রন্থ >> আল হিদায়া ফিকহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

কিতাবঃ আল হিদায়া, অষ্টাদশ অনুচ্ছেদ : সালাতুল কুসূফ

ইমাম কুদূরী (রঃআঃ) বলেন, যখন সূর্যগ্রহণ হবে তখন ইমাম নফলের অনুরূপ দুরাকাআত নামাজ আদায় করবেন। প্রতি রাকাআতে একটি রুকই হবে।

ইমাম শাফিঈ (রঃআঃ) বলেন, (প্রতি রাকাআতে) দুটি রুকু হবে। তার দলিল হল ‘আইশা (রাঃআঃ) বর্ণীত হাদিস।
আমাদের দলিল হল ইব্‌ন উমার (রাঃআঃ) বর্ণীত হাদিস। আর যেহেতু (ইমামের সংগে ) নৈকট্যের কারণে বিষয়টি পুরুষদের কাছেই অধিকতর প্রকাশিত সেহেতু ইব্‌ন উমর (রাঃআঃ) বর্ণীত রিওয়ায়াতই অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
উভয় রাকাআতে (ইমাম) কিরাত দীর্ঘ করবেন।

ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর মতে (ইমাম) নীরবে কিরাত পড়বেন। আর সাহেবাইনের মতে উচ্চৈস্বরে পড়বেন। ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর থেকে ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর অনুরূপ মতও বর্ণীত হইয়াছে।
কিরাত দীর্ঘ করার বক্তব্যটি উত্তম হিসাবে গণ্য। সুতরাং ইচ্ছা করিলে ইমাম কিরাত সংক্ষিপ্ত করিতে পারেন। কেননা, সুন্নাত হল গ্রহণের সময়টিকে নামাজ ও দুআ দ্বারা পরিপূর্ণ করা। সুতরাং একটিকে সংক্ষিপ্ত করিলে অন্যটিকে দীর্ঘ করবে। নীরবে এবং উচ্চৈস্বরে কিরাত পড়ার ব্যাপারে সাহেবাইনের দলিল হল ‘আইশা (রাঃআঃ) বর্ণীত হাদিস যে, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাতে উচ্চৈস্বরে কিরাত পড়েছেন।
ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর দলিল হল ইব্‌ন ‘আব্বাস ও সমুরাহ ইব্‌ন জুন্দুর (রাঃআঃ) এর রিওয়ায়াত। আর অগ্রাধিকারের প্রদানের কারণ পূর্বে বর্ণীত হইয়াছে। আর কেন হবে না? এটা তো দিনের নামাজ, আর দিনের নামাজ হল নিশব্দ।

নামাজের পর সূর্য গ্রহণ মুক্ত হওয়া পর্যন্ত দুআ করবে। কেননা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন- যখন তোমরা এ ধরনের ভয়াবহ কোন অবস্থা দেখিতে পাবে, তখন তোমরা দুআর মাধ্যেমে আল্লাহর অভিমুখী হবে।
আর দুআসমূহের ক্ষেত্রে নিয়ম হল তা নামাজের পরে হওয়া।
যে ইমাম জুমুআর নামাজ পড়ান, তিনিই সালাতুল কুসুফ পড়াবেন। তিনি উপস্থিত না হলে লোকেরা একা একা নামাজ আদায় করবে।

(ইমামতির জন্য কে অগ্রবর্তী হবে, এই) ফিতনা হতে বাচার জন্য।
চন্দ্র গ্রহণের ক্ষেত্রে জামাআত নেই। কেননা রাত্রিকালে সমবেত হওয়া কষ্টকর। কিংবা সংকট সৃষ্টির আশংকা রহিয়াছে। আর প্রত্যেকে একা একা নামাজ আদায় করবে।কেননা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন- যখন তোমরা এই ধরনের ভয়ংকর কিছু দেখিতে পাবে, তখন তোমরা নামাজের আশ্রয় গ্রহণ করবে।
সূর্য গ্রহণের নামাজ (জুমুআর মত ) কোন খুতবা নেই। কেননা তা হাদিসে বর্ণীত হয়নি। – সালাতুল কুসুফ নামাজ


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply