উপহার ও দান দেওয়ার ক্ষেত্রে উপর প্রাধান্য দেওয়া মাকরূহ
উপহার ও দান দেওয়ার ক্ষেত্রে উপর প্রাধান্য দেওয়া মাকরূহ >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ৩৫৩ : উপহার ও দান দেওয়ার ক্ষেত্রে পিতার এক সন্তানকে অন্য সন্তানের উপর প্রাধান্য দেওয়া মাকরূহ
1/1782 عَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ أبَاهُ أتَى بِهِ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلاَماً كَانَ لِي، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا ؟» فَقَالَ: لاَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «فَأَرْجِعهُ» .
وَفي رِوَايةٍ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «أَفَعَلْتَ هذَا بِوَلَدِكَ كُلِّهِمْ ؟» قَالَ: لاَ، قَالَ: «اِتَّقُوا الله وَاعْدِلُوا فِي أَوْلاَدِكُمْ» فَرَجَعَ أَبِي، فَرَدَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ .
وفي روايةٍ : فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «يَا بَشيرُ أَلَكَ وَلَدٌ سِوَى هَذَا ؟» فَقَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «أكُلَّهُمْ وَهَبْتَ لَهُ مِثْلَ هذَا ؟» قَالَ: لاَ، قَالَ: «فَلاَ تُشْهِدْنِي إِذاً فَإِنِّي لاَ أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ».
وفي روايةٍ : «لاَ تُشْهِدْنِي عَلَى جَوْرٍ» .
وفي رواية : «أَشْهِدْ عَلَى هذَا غَيْرِي !» ثُمَّ قَالَ: «أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي البِرِّ سَواءً؟» قَالَ: بَلَى، قَالَ: «فَلا إِذاً» . متفق عليه
১/১৭৮২। নু’মান ইবনি বাশীর রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তাহাঁর পিতা তাঁকে নিয়ে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর দরবারে হাজির হয়ে বলিলেন, ‘আমি আমার এই ছেলেকে একটি গোলাম দান করেছি। [কিন্তু এর মা আপনাকে সাক্ষী রাখতে বলে।]’ নবী সাঃআঃ জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘‘তোমার সব ছেলেকেই কি তুমি এরূপ দান করেছ?’’ তিনি বলিলেন, ‘না।’ নবী সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘তাহলে তুমি তা ফেরৎ নাও।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমার সব ছেলের সঙ্গেই এরূপ ব্যবহার দেখিয়েছ?’’ তিনি বলিলেন, ‘না।’ রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা কর। সুতরাং আমার পিতা ফিরে এলেন এবং ঐ সাদকাহ [দান] ফিরিয়ে নিলেন।’’
আর এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘হে বাশীর! তোমার কি এ ছাড়া অন্য সন্তান আছে?’’ তিনি বলিলেন, ‘জী হ্যাঁ।’ [রসূল সাঃআঃ] বলিলেন, ‘‘তাহাদের সকলকে কি এর মত দান দিয়েছ?’’ তিনি বলিলেন, ‘জী না।’ [রসূল সাঃআঃ] বলিলেন, ‘‘তাহলে এ ব্যাপারে আমাকে সাক্ষী মেনো না। কারণ আমি অন্যায় কাজে সাক্ষ্য দেব না।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘আমাকে অন্যায় কাজে সাক্ষী মেনো না।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘এ ব্যাপারে তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সাক্ষী মানো।’’ অতঃপর তিনি বলিলেন, ‘‘তুমি কি এ কথায় খুশী হইবে যে, তারা তোমার সেবায় সমান হোক?’’ বাশীর বলিলেন, ‘জী অবশ্যই।’ তিনি বলিলেন, ‘‘তাহলে এরূপ করো না।’’ [বুখারী ও মুসলিম] [1]
[1] সহীহুল বুখারী ২৫৮৬, ২৫৮৭, ২৬৫০, মুসলিম ১৬২৩, তিরমিযী ১৩৬৭, নাসায়ী ৩৬৭২-৩৬৮৫, আবূ দাউদ ৩৫৪২, ইবনু মাজাহ ২৩৭৫, ২৩৭৬, আহমাদ ১৭৮৯০, ১৭৯০২, ১৭৯১১, ১৭৯৪৩, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৭৩
Leave a Reply