আঙ্গুরের নাম করম, সৌন্দর্য বর্ণনা ও দৃঢ়চিত্তে প্রার্থনা

আঙ্গুরের নাম করম, সৌন্দর্য বর্ণনা ও দৃঢ়চিত্তে প্রার্থনা

আঙ্গুরের নাম করম, সৌন্দর্য বর্ণনা ও দৃঢ়চিত্তে প্রার্থনা >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

পরিচ্ছেদ – ৩৩০ঃ আরবীতে আঙ্গুরের নাম ‘কর্ম’ রাখা মাকরূহ
পরিচ্ছেদ – ৩৩১ঃ শরয়ী কারণ যেমন বিবাহ প্রভৃতি উদ্দেশ্য ছাড়া কোন পুরুষের সামনে কোন নারীর সৌন্দর্য বর্ণনা করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ৩৩২ঃ হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও, তাহলে আমাকে ক্ষমা কর’ কারো এরূপ দুআ করা মাকরূহ; বরং দৃঢ়চিত্তে প্রার্থনা করা উচিত
পরিচ্ছেদ – ৩৩৩ঃ ‘আল্লাহ এবং অমুক যা চায় [তাই হইবে]’ বলা মকরূহ

আঙ্গুরের নাম করম, সৌন্দর্য বর্ণনা ও দৃঢ়চিত্তে প্রার্থনা

পরিচ্ছেদ – ৩৩০: আরবীতে আঙ্গুরের নাম ‘কর ম’ রাখা মকরূহ

১৭৪৯. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমরা আঙ্গুরের নাম ‘করম’ (বদান্য) রেখো না। কেননা, ‘করম’ (বদান্য) তো মুসলিম হয়।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৮২৬, ৬১৮১, ৬১৮৩, ৭৪৯১, মুসলিম ২২৪৬, আবু দাঊদ ৪৯৭৪, ৫২৭৪, আহমাদ ৭২০৪, ৭২১৬, ৭৪৬৬, ৭৬২৫, ৭৬৫৯, ৮৮৭২, ৮৮৯২, ৯৮০৭, ৯৯৯৪, ১০০৬১, ১০১০১, ১০২০০, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৪৬, দারেমী ২৭০০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৫০. ওয়ায়েল ইবনে হুজ্র রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আঙ্গুরকে ‘করম’ বলো না। বরং ‘ইনাব’ ও ‘হাবালাহ’ বল।’’

(মুসলিম ২২৪৮, দারেমী ২১১৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩১: শরয়ী কারণ যেমন বিবাহ প্রভৃতি উদ্দেশ্য ছাড়া কোন পুরুষের সামনে কোন নারীর সৌন্দর্য বর্ণনা করা নিষেধ

১৭৫১. ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘কোন মহিলা যেন অন্য কোন মহিলাকে (নগ্ন) কোলাকুলি না করে। (কারণ) সে পরে তার স্বামীর কাছে তা এমনভাবে বর্ণনা করিবে যে, যেন সে (তা শুনে) ঐ মহিলাকে প্রত্যক্ষভাবে দর্শন করছে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫২৪০, ৫২৪১, তিরমিজী ২৭৯২, আবু দাঊদ ২১৫০, আহমাদ ৩৫৮৬, ৩৬৫৯, ৪১৬৪, ৪১৭৯, ৪১০০, ৪৩৮১, ৪৩৯৩, ৪৪১০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩২: ‘হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও, তাহলে আমাকে ক্ষমা কর’ কারো এরূপ দুআ করা মাকরূহ; বরং দৃঢ়চিত্তে প্রার্থনা করা উচিত

১৭৫২. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন

اَللهم اغْفِرْ لِي إِنْ شِئْتَ: اَللهم ارْحَمْنِي إِنْ شِئْتَ

‘হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও, তাহলে আমাকে ক্ষমা কর’, হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও, তাহলে আমার প্রতি দয়া কর’ অবশ্যই না বলে। বরং যেন দৃঢ়চিত্তে প্রার্থনা করে। কারণ, তাঁকে কেউ বাধ্য করতে পারে না।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৩৩৯, ৭৪৭৭, মুসলিম ২৬৭৯, তিরমিজী ৩৪৯৭, আবু দাঊদ ১৪৮৩, আহমাদ ৭২৭২, ৯৬৫২, ৯৯৩৭, ১০১১৬, ১০৪৮৬, ২৭২৩৬, ২৭৪৫৬, মুওয়াত্তা মালিক ৪৯৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৫৩. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যখন দুআ করিবে, সে যেন দৃঢ়-সংকল্প হয়ে চায়। আর যেন না বলে যে,

اَللهم إِنْ شِئْتَ، فَأَعْطِنِي، فَإِنَّهُ لاَ مُسْتَكْرِهَ لَهُ

‘আল্লাহ গো! তুমি যদি চাও, তাহলে আমাকে দাও।’ কেননা, তাঁকে বাধ্য করার মত কেউ নেই।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৩৩৮, ৭৪৬৪, মুসলিম ২৬৭৮, আহমাদ ১১৫৬৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩৩: ‘আল্লাহ এবং অমুক যা চায় (তাই হবে)’ বলা মকরূহ

১৭৫৪. হুযাইফাহ ইবনে ইয়ামান রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমরা ‘আল্লাহ ও অমুক যা চায় (তাই হবে)’ বলো না, বরং বলো, ‘আল্লাহ যা চান, তারপর অমুক যা চায় (তাই হবে) ।’’

(আবু দাঊদ ৪৯৮০, আহমাদ ২২৭৫৪, ২২৮২৮, ২২৮৭২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

Comments

Leave a Reply