কুরবানীর পশুর কিলাদা মালা ও যাবতীয় বিবরন
কুরবানীর পশুর কিলাদা ও যাবতীয় নিয়ম কানুন >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ২৪ঃ হজ্জের বিধি-বিধানসমূহ (২৭৭১-২৮১৫)
১.পরিচ্ছেদঃ হাদীকে [কুরবানীর পশুকে] ইশআর করা {১}
২.পরিচ্ছেদঃ [পশুর] কোন্দিকে ইশ্আর করা হইবে?
৩.পরিচ্ছেদঃ উটের শরীর থেকে রক্ত মুছে ফেলা
৪.পরিচ্ছেদঃ কিলাদা পাকান
৫.পরিচ্ছেদঃ কিলাদা তৈরীর উপকরণ
৬.পরিচ্ছেদঃ হাদী [কুরবানীর] পশুকে কিলাদা পরান
৭.পরিচ্ছেদঃ উটকে কিলাদা পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি হাদী [কুরবানীর জন্তু] পাঠায়নি তার জন্য হজ্জ ভংগ করে উমরা করা বৈধ
৮.পরিচ্ছেদঃ ছগলকে কিলাদা পরান
৯.পরিচ্ছেদঃ কুরবানীর জন্তুকে দুটি জুতা দ্বারা কিলাদা পরান
১০.পরিচ্ছেদঃ কিলাদা পরানোর সময়ে ইহরাম বাঁধতে হইবে কি?
১১.পরিচ্ছেদঃ কুরবানীর জন্তুকে কিলাদা পরানোর দ্বারা কি ইহরাম বাঁধা সাব্যস্ত হয়?
১২.পরিচ্ছেদঃ কুরবানীর জন্তু পরিচালনা করা
১৩.পরিচ্ছেদঃ বাদানায় [কুরবানীর উটে] আরোহণ করা
১৪.পরিচ্ছেদঃ যাহার চলতে কষ্ট হয়, তার জন্য কুরবানীর উটে আরোহণ
১৫.পরিচ্ছেদঃ বাদানার [কুরবানীর জন্তুর] উপর সংগত মাত্রায় আরোহণ করা
১৬.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি হাদী [কুরবানীর জন্তু] পাঠায়নি তার জন্য হজ্জ ভংগ করে উমরা করা বৈধ
১.পরিচ্ছেদঃ হাদীকে [কুরবানীর পশুকে] ইশআর করা {১}
২৭৭১. মিসওয়ার ইবনি হাকাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁরা বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হুদায়বিয়ার ঘটনার সময় তাহাঁর হাজারের অধিক কয়েকশত সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন। যখন তাঁরা যুলহুলায়ফা পৌঁছলেন, তখন তিনি [কুরবানীর পশুর] গলায় কালাদা পরালেন এবং ইশ্আর করিলেন এবং উমরাহ্র ইহ্রাম বাঁধলেন। [সংক্ষিপ্ত]
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৭২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উটের ইশআর করেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ [পশুর] কোন্দিকে ইশ্আর করা হইবে?
২৭৭৩. ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উটের ডান দিকে ইশআর করেন এবং রক্ত মুছে ফেলেন, আর এভাবে তার ইশ্আর করেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিচ্ছেদঃ উটের শরীর থেকে রক্ত মুছে ফেলা
২৭৭৪. ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] যখন যুলজুলায়ফায় পৌঁছলেন, তখন তিনি আদেশ করিলেন তাহাঁর উটকে ইশ্আর করিতে। তারপর তাহাঁর উটের কুজের ডানদিকে ইশ্আর করা হলো, তার রক্ত মুছে ফেললেন এবং তার গলায় দুখানা জুতার কিলাদা বা মালা লাগালেন। আর যখন সেটি তাঁকে নিয়ে বায়দায় পৌঁছলেন, তখন তিনি ইহ্রাম বাঁধলেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ কিলাদা পাকান
২৭৭৫. আয়েশা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মদীনা থেকে কুরবানীর জন্তু পাঠাতেন। আমি তাহাঁর কুরবানীর জন্তুর কিলাদা {১} পাকিয়ে দিতাম। তারপর তিনি মুহরিম যা বর্জন করে তার কিছুই বর্জন করিতেন না।
{১} কিলাদা হজ্জের হাদী পশুর জন্য তৈরী বিশেষ ধরনের মালা।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৭৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর জন্তুর] কিলাদা {১} পাকাতাম। তিনি সেগুলো পাঠিয়ে দিতেন। পরে হাদীর পশু তার যথাস্থানে [হারামে] পৌঁছার পূ্ববর্তী সময় পর্যন্ত তিনি ঐ সমস্ত কাজই করিতেন, যা একজন হালাল ব্যক্তি করে থাকে। {২}
{২} অর্থাৎ নিজে হজ্জে না গিয়ে শুধু হাদী পাঠালে তার দ্বারা ইহরাম সাব্যস্ত হয় না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৭৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর জন্তুর] কিলাদা পাকাতাম। তারপর তিনি মদীনায় অবস্থান করিতেন, ইহরাম বাঁধতেন না। [অর্থাত ইহরাম বেঁধেছেন বলে সাব্যস্ত হত না।]
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৭৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর জন্তুর] কিলাদা পাকাতাম। তারপর তিনি তাহাঁর হাদীকে তা পরিয়ে [মক্কাভিমুখে] পাঠিয়ে দিতেন। পরে তিনি মদীনায় অবস্থান করিতেন এবং মুহরিম যা পরিহার করে, তার কিছুই পরিহার করিতেন না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৭৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি যেন দেখিতে পাচ্ছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাদীর [কুরবানীর] বকরীর জন্য আমি যে কিলাদা প্রস্তুত করতাম, [তা আমার এখনও মনে আছে] তারপর তিনি হালাল অবস্থায় অবস্থান করিতেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ কিলাদা তৈরীর উপকরণ
২৭৮০. উম্মুল মুমিনীন [হযরত আয়েশা] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ঐ সব কিলাদা তৈরী করেছিলাম— তুলা দ্বারা, যা আমার নিকট ছিলো। তারপর নাবী [সাঃআঃ] আমাদের মধ্যেই অবস্থান করিতেন। এরপর তিনি সে সব কাজ করিতেন যা একজন হালাল ব্যক্তি তার স্ত্রীর সংগে করে থাকে। আর যা কোন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে করে থাকে।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ হাদী [কুরবানীর] পশুকে কিলাদা পরান
২৭৮১. নাবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী হাফসা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিত হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুল্লাহ! মানুষের কি হলো, তারা তো উমরা করে হালাল হইয়া গেছে, আর আপনি উমরা আদায় করার পর হালাল হলেন না? তিনি বললেনঃ আমি মাথার চুল জমাট করেছি এবং আমার হাদীকে [কুরবানীর পশুকে] কিলাদা পরিয়েছি। অতএব আমি [হাদী] যবাই না করা পর্যন্ত হালাল হবো না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৮২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] যুলহুলায়ফায় গমন করেন, তখন হাদীর [কুরবানীর পশুর] কুঁজের ডান দিকে ইশআর করেন। তারপর তা থেকে রক্ত মুছে ফেলেন, আর তাকে দুখানা জুতার [চপ্পলের] কিলাদা পরিয়ে দেন। এরপর তাহাঁর উটনীর উপর আরোহণ করেন। যখন উটনী তাঁকে নিয়ে বায়দায় স্থির হইয়া দাঁড়াল। তখন তিনি তালবিয়া পাঠ করিলেন এবং জুহরের সময় ইহরামের দুআ পড়ে ইহরাম বাঁধেন। আর হজ্জের তালবিয়া পাঠ করিলেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ উটকে কিলাদা পরান
২৭৮৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নিজ হাতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর] উটের কিলাদা পাকিয়েছি। তারপর তিনি সেগুলোকে কিলাদা পরালেন এবং ইশআর করিলেন এবং তা বায়তুল্লাহ অভিমুখী করে [কিলাদাসহ] পাঠিয়ে দিলেন। তারপর তিনি অবস্থান করিলেন অথচ যে সব বস্তু তাহাঁর জন্য হালাল ছিল, তার কোনটাই তাহাঁর জন্য হারাম হয়নি।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৮৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর] উটের কিলাদা পাকিয়েছি। অথচ তিনি ইহরাম বাঁধেন নি [ইহিরামকারী বিবেচিত হয়নি] এবং কোন কাপড়ও পরিত্যাগ করেন নি।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ ছগলকে কিলাদা পরান
২৭৮৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদী ছাগলের কিলাদা পাকাতাম।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৮৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বকরীকে হাদী রূপে পাঠাতেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৮৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার বকরীকে হাদী [কুরবানীর পশু] রূপে পাঠালেন, এবং তিনি সেগুলোকে কিলাদা পরালেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৮৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদী ছাগলের [কুরবানীর পশুর] কিলাদা পাকাতাম। তারপর তিনি মুহরীম [সাব্যস্ত] হইতেন না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৮৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদী ছাগলের কিলাদা পাকাতাম। তারপর তিনি মুহরীম [সাব্যস্ত] হইতেন না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৯০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা বকরী ছাগলকে কিলাদা পরিয়ে দিতাম। পরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা পাঠিয়ে দিতেন এবং তিনি হালাল অবস্থায়ই থাকতেন। কোন কিছুর ব্যাপারে [ইহরামকারী] সাব্যস্থ্য হইতেন না। [এ সময় তিনি কোন কিছু বর্জন করিতেন না।]
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ কুরবানীর জন্তুকে দুটি জুতা দ্বারা কিলাদা পরান
২৭৯১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন যুল-হুলায়ফায় আগমন করিলেন, তখন হাদীর [কুরবানীর জন্তুর] ডান দিকে ইশআর করিলেন। তারপর তার রক্ত মুছে ফেললেন। পরে তাকে দুটি জুতার কিলাদা পরালেন। তারপর তিনি তাহাঁর উটনীতে আরোহণ করিলেন। যখন তা তাঁকে নিয়ে বায়দায় স্থির হইয়া দাঁড়াল, তখন তিনি হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। তিনি জুহরের সময় হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন এবং হজ্জের তালবীয়া পাঠ করিলেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ কিলাদা পরানোর সময়ে ইহরাম বাঁধতে হইবে কি?
২৭৯২. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁরা [সাহাবিগন [রাঃআঃ] এমন ছিলেন যে, যখন তাঁরা মদীনায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে উপস্থিত থাকতেন, তখন তিনি [রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]] হাদী [মকাভিমুখে] [কুরবানীর জন্তু] পাঠিয়ে দিতেন। সে সময় যাহার ইচ্ছা ইহরাম বাঁধতেন, আর যাহার ইচ্ছা ইহরাম বাঁধতেন না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃ কুরবানীর জন্তুকে কিলাদা পরানোর দ্বারা কি ইহরাম বাঁধা সাব্যস্ত হয়?
২৭৯৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আমার নিজের হাতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর পশুর] কিলাদা পাকাতাম। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিজ হাতে তা তাহাদের কিলাদারূপে পরিয়ে দিতেন। তারপর তা আমার আব্বার সাথে [মক্কায়] পাঠিয়ে দিতেন। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানীর জন্তু জবাই না করা পর্যন্ত ঐ সকল কোন বিষয়ই পরিত্যাগ করিতেন না, যা তাহাঁর জন্য আল্লাহ তায়ালা হালাল করেছিলেন। {১}
{১} অর্থাৎ তিনি মুহরিম ব্যক্তির ন্যায় নিষেধাজ্ঞা পালন করিতেন না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৯৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর পশুর] কিলাদা পাকিয়ে দিতেম। তারপর তিনি মুহরিম ব্যাক্তি যা পরিত্যাগ করে থাকে, ঐরূপ কোন বস্তু পরিত্যাগ করিতেন না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৯৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর জন্তুর] কিলাদা পাকাতাম। তারপর তিনি কিছুই পরিত্যাগ করিতেন না। [হযরত আয়েশা [রাঃআঃ] বলেনঃ ] আর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ [যিয়ারত] ব্যতীত অন্য কিছু হজ্জ [এ ইহরামের কারণে নিষিদ্ধ বিষয়]- কে হালাল করে দেয় বলে আমাদের জানা নাই। {২}
{২} তওয়াফে যিয়ারত না করা পর্যন্ত হাজীদের জন্য স্ত্রীসম্ভোগ হালাল নয়।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৯৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীর [কুরবানীর জন্তুর] কিলাদা পাকিয়ে দিতাম। হাদী কিলাদা পরান অবস্থায় বের করা হতো। অথচ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখনও মদীনায় অবস্থান করিতেন এবং তাহাঁর স্ত্রীদের [সম্ভোগ] থেকে বিরত থাকতেন না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৯৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমার স্মরণ আছে। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদী [কুরবানীর জন্তু] বকরীর কিলাদা পাকিয়ে দিতাম। তারপর তিনি তা পাঠিয়ে দিতেন। এরপর তিনি আমাদের মধ্যে হালাল অবস্থায় অবস্থান করিতেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১২.পরিচ্ছেদঃ কুরবানীর জন্তু পরিচালনা করা
২৭৯৮. জাফর ইবনি মুহাম্মাদ তার পিতা থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তাঁকে জাবির [রাঃআঃ] সূত্রে বর্ণনা করিতে শুনেছেন। তিনি জাবির [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর হজ্জের সময় [তাহাঁর সাথে] হাদী চালিয়ে নিয়েছেন।]
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৩.পরিচ্ছেদঃ বাদানায় [কুরবানীর উটে] আরোহণ করা
২৭৯৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, বাদানা [কুরবানীর উট] হাঁটিয়ে নিয়ে চলছে। তিনি বললেনঃ এতে আরোহণ কর। সে বললো ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ-তো বাদানা [কুরবানীর উট]। তিনি দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বারে তাকে বললেনঃ দুর্ভোগ তোমার জন্য! তুমি তাতে আরোহণ কর।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮০০. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে তার বাদানা [কুরবানীর উট] হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বললেনঃ এতে আরোহণ কর। সে বললো এ-তো বাদানা [কুরবানীর উট]। তিনি আবার বললেনঃ এতে আরোহণ কর। তিনি চতুর্থবারে বললেনঃ তুমি এতে আরোহণ কর। দুর্ভোগ তোমার জন্য!
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৪.পরিচ্ছেদঃ যাহার চলতে কষ্ট হয়, তার জন্য কুরবানীর উটে আরোহণ
২৮০১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে তার বাদানা [কুরবানীর উট] হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ পথ চলতে চলতে সে ক্লান্ত হইয়া পড়ছিলো। তিনি বললেনঃ এতে আরোহণ কর। সে বললোঃ এ-তো বাদানা [কুরবানীর উট]। তিনি আবার বললেনঃ বাদানা [কুরবানীর উট] হলেও তুমি এতে আরোহণ কর।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৫.পরিচ্ছেদঃ বাদানার [কুরবানীর জন্তুর] উপর সংগত মাত্রায় আরোহণ করা
২৮০২. আবু যুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] কে বাদানার কুরবানীর জন্তুর] উপর আরোহণ করা সম্বন্ধে প্রশ্ন করিতে শুনি। তিনি বললেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনিয়াছি, এতে সংগতরূপে আরোহণ কর। যখন তুমি তাতে বাধ্য হও, অন্য একটি সওয়ারী না পাওয়া পর্যন্ত।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি হাদী [কুরবানীর জন্তু] পাঠায়নি তার জন্য হজ্জ ভংগ করে উমরা করা বৈধ
২৮০৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাথে বের হলাম। আর হজ্জ ব্যতীত আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। পরে আমরা যখন মক্কায় পৌঁছলাম তখন বায়তুল্লাহ তওয়াফ করলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আদেশ করলেনঃ যে হাদী [কুরবানীর জন্তু] সাথে নিয়ে আসেনি, সে যেন হালাল হইয়া যায়। ফলে, যে হাদী [কুরবানীর জন্তু] সাথে নিয়ে আসেনি সে হালাল হইয়া গেল। আর তাহাঁর স্ত্রী হাদী [কুরবানীর জন্তু] সাথে আনেন নি; তাঁরাও হালাল হইয়া গেলেন। আয়েশা [রাঃআঃ] বলেনঃ আমি ঋতুমতী হইয়াছিলাম। তাই আমি বায়তুল্লাহর তওয়াফ করলাম না। এরপর যখন [হজ্জ শেষে] মুহাসসাব [নামক স্থানে] রাত হল, তখন আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! অন্য লোক তো এক হজ্জ ও এক উমরাহ নিয়েই প্রত্যাবর্তন করিবে, আর আমি শুধু এক হজ্জ নিয়েই প্রত্যাবর্তন করবো? তিনি বললেনঃ তুমি কি আমাদের মক্কা আগমনের রাতে বায়তুল্লাহর তওয়াফ করনি? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে তানঈম চলে যাও এবং উমরার ইহরাম করে আস। এরপর তোমার ওয়াদা পূর্ণ হওয়ার [আমার সাথে একত্রিত হওয়ার] স্থান হইবে অমুক অমুক জায়গা।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮০৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাথে বের হলাম। হজ্জ ব্যতীত আমাদের আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা যখন মক্কার নিকটবর্তী হলাম, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আদেশ করলেনঃ যাহার সাথে হাদী [কুরবানীর জন্তু] রয়েছে, সে যেন তার ইহরাম অবস্থায় থাকে। আর যাহার সাথে হাদী [কুরবানীর জন্তু] নেই, সে যেন হালাল হইয়া যায়।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮০৫. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা নাবী [সাঃআঃ] এর সাহাবিগণ শুধু হজ্জের ইহরাম করেছিলাম, তার সাথে আর কোন কিছুর নিয়্যত ছিল না। যিলহাজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখ ভোরে আমরা মক্কায় উপনীত হলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে আদেশ করলেনঃ তোমরা হালাল হইয়া যাও, আর একে উমরা করে ফেল। [অর্থাৎ হজ্জের নিয়্যতের ইহরামকে উমরার নিয়্যতে পরিবর্তিত করে ফেল।] আমাদের পক্ষ থেকে তাহাঁর নিকট এখবর পৌঁছালো যে, আমরা বলছি, আমাদের ও আরাফার [উকুফের] মধ্যে মাত্র পাঁচ দিন বাকী থাকতে আমাদেরকে তিনি হালাল হইতে আদেশ করিলেন? তাহলে কি আমরা এমন অবস্থায় মিনায় উপস্থিত হবো, যখন আমাদের পুরুষাংগুলো বীর্য নির্গত করব? নাবী [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে আমাদেরকে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ তোমরা যা বলেছ তা আমার নিকট পৌঁছেছে। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে অধিক নেককার এবং মুত্তাকী [আল্লাহ ভীরু]। যদি [আমার সংগে] হাদী [কুরবানীর জন্তু] না থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হইয়া যেতাম আর পরে যা বুঝতে পেরেছি, তা যদি পূর্বে বুঝতাম, তাহলে হাদী [কুরবানীর জন্তু] সাথে আনতাম না। বর্ণনাকারী বলেনঃ ইত্যবসরে আলী [রাঃআঃ] ইয়ামান থেকে আগমন করিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি কিসের ইহিরাম বেঁধেছ? তিনি বললেনঃ নাবী [সাঃআঃ] যাহার ইহরাম বেঁধেছেন তার। তিনি বললেনঃ তাহলে হাদী [কুরবানীর জন্তু] সহ ইহরাম অবস্থায় থাক। বর্ণনাকারী বলেনঃ সুরাকা ইবনি মালিক ইবনি জুশুম [রাঃআঃ] বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি বলেন, আমাদের এ উমরা কি এ বছরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? তিনি বললেনঃ চিরদিনের জন্য।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮০৬. সুরাকা ইবনি মালিক ইবনি জুশুম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার কি অভিমত, আমাদের এ উমরা কি এ-বছরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? রাসুলুল্ললাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তা চিরদিনের জন্য।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮০৭. আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, সুরাকা [রাঃআঃ] বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তামাত্তু হজ্জ [এক ইহরামে উমরা ও হজ্জ] করিলেন, তাহাঁর সঙ্গে আমরাও তামাত্তু করলাম। পরে আমরা বললামঃ এটা কি বিশেষভাবে আমাদের জন্য, না চিরদিনের জন্য? তিনি বললেনঃ চিরদিনের জন্য।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮০৮. বিলাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! হজ্জ পরিত্যাগ [করে উমরা] করার বিধান কি বিশেষভাবে আমাদের জন্য, না সকল লোকের জন্য? তিনি বললেনঃ বরং বিশেষভাবে আমাদের জন্য।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২৮০৯. আবু যর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তামাত্তু হজ্জ সম্বন্ধে বলেনঃ এর অনুমতি শুধু আমাদের জন্যই দান করা হইয়াছে। [অর্থাৎ হজ্জ পরিত্যাগ করে উমরা করার অনুমতি শুধু আমাদের জন্য ছিল।]
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২৮১০. আবু যর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তামাত্তু হজ্জ সম্বন্ধে বলেনঃ এটা তোমাদের জন্য নয় এবং এতে তোমাদের কোন হিসসা নেই। এটা [পরিত্যাগ করার অনুমতি] শুধু আমরা মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] এর সাহাবীদের [অনুমোদিত] জন্য।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
২৮১১. আবু যর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তামাত্তু হজ্জ আমাদের জন্য [বিশেষ] সুযোগের অনুমোদন ছিলো।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
২৮১২. আবদুর রহমান ইবনি আবু শাছা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক সময় আমি ইবরাহীম নখঈ এবং ইবরাহীম তায়মীর সাথে ছিলাম। আমি বললামঃ আমি ইচ্ছা করেছি এ বছর হজ্জ ও উমরা একত্রে করবো। তখন ইবরাহীম বললেনঃ তোমার পিতা হলে এর ইচ্ছা করিতেন না। তিন বলেনঃ ইবরাহীম তায়মী তাহাঁর পিতার সূত্রে আবু যর [রাঃআঃ] থেকে বলেন, তিনি বলেছেনঃ তামাত্তু হজ্জ তো মাদের জন্য খাস ছিল।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
২৮১৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জাহিলী যুগে লোক মনে করতো হজ্জের মাসে উমরা করা পৃথিবীতে শুরুতর পাপ। তারা মুহাররম মাসকে সফর মাস সাব্যস্ত করতো। এবং তারা বলতো [আরবী] যখন উটের পিঠে ক্ষত শুকিয়ে যায়, উটের পশম বৃদ্ধি পায় এবং সফর অর্থাৎ [তাসের বিশ্বাসানুযায়ী] অতিবাহিত হয়। অথবা বলতোঃ সফর মাস এসে যায়, তখন উমরা হালাল হইয়া যায়, যে উমরা করিতে চায় তার জন্য। তারপর নাবী [সাঃআঃ] এবং তাহাঁর সাহাবিগন যিলহাজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখের ভোরে হজ্জের ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মক্কায় উপস্থিত হন। তিনি তাহাদেরকে আদেশ করেন, তারা যেন হজ্জকে উমরায় [পরিবর্তিত] করে ফেলে। এটি তাহাদের নিকট কষ্টকর মনে হলো। তাঁরা বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন ধরনের হালাল? তিনি বললেনঃ পরিপূর্ণ হালাল।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮১৪. মুসলিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উমরার ইহরাম বাঁধলেন, আর তার সাহাবিগন হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। যাদের সাথে হাদী [কুরবানীর জন্তু] ছিল না, তিনি তাহাদেরকে আদেশ করিলেন যেন তারা হালাল হইয়া যায়। আর যাদের সাথে হাদী [কুরবানীর জন্তু] ছিল না, তাহাদের মধ্যে ছিলেন তালহা ইবনি উবায়দুল্লাহ এবং অন্য এক ব্যক্তি। অতএব, তাঁরা দুজন হালাল হইয়া গেলেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮১৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এই উমরা আমরা [হজ্জের সফরে পালন করার] সহজ সুযোগ লাভ করলাম। অতএব যাহার সাথে হাদী [কুরবানীর জন্তু] নেই, সে যেন সর্বোতভাবে হালাল হইয়া যায়। কেননা, উমরা হজ্জের মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া গেল। [অর্থাৎ এখন থেকে হজ্জ ও উমরা একত্রে করা বৈধ হল।]
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply