তালবিয়া কখন পড়তে হয় এবং বিসমিল্লাহ না পড়া
তালবিয়া কখন পড়তে হয় এবং বিসমিল্লাহ না পড়া >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ২৪ঃ হজ্জের বিধি-বিধানসমূহ (২৪৭০-২৭৭০)
১.পরিচ্ছেদঃ তালবিয়া পাঠের সময় বিসমিল্লাহ না পড়া
২.পরিচ্ছেদঃ মুহরিম ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট নিয়্যত ব্যতীত হজ্জ আদায় করা
৩.পরিচ্ছেদঃ উমরার ইহরাম করলে তার সাথে হজ্জ সংযুক্ত করা যাবে কি?
৪.পরিচ্ছেদঃ কিরূপে তালবিয়া পড়তে হয়?
৫.পরিচ্ছেদঃ উঁচু স্বরে তালবিয়া পড়া
৬.পরিচ্ছেদঃ তালবিয়ায় করণীয়
৭.পরিচ্ছেদঃ [প্রসব পরবর্তী] নিফাসগ্রস্ত নারীর তালবিয়া পাঠ [ইহ্রাম বাঁধা]
৮.পরিচ্ছেদঃ উমরাহ্র তালবিয়া পাঠ [করে ইহ্রাম] কারিনী যদি ঋতুবতী হয় এবং হজ্জ অনাদায়ী হওয়ার আশংকা করে
৯.পরিচ্ছেদঃ হজ্জে শর্ত করা
১০.পরিচ্ছেদঃ শর্ত করার সময় কি বলবে?
১১.পরিচ্ছেদঃ যাকে হজ্জে বাধা দান করা হইয়াছে অথচ সে শর্ত করেনি সে কী বলবে?
১.পরিচ্ছেদঃ তালবিয়া পাঠের সময় বিসমিল্লাহ না পড়া
২৭৪০. জাফর ইবনি মুহাম্মাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, আমি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ]-এর নিকট গিয়ে তাঁকে নাবী করীম [সাঃআঃ]-এর হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মদীনায় নয় বছর [হজ্জ না করে] অবস্থান করেন। তারপর জনসাধারণের মধ্যে সংবাদ দেয়া হলো যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এ বছর হজ্জ করিতে যাবেন। এ সংবাদে মদীনায় বহু লোকের সমাগম হলো। সকলেই কামনা করছিলো যে, তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর অনুসরণ [করে হজ্জ সমাপণ] করবেন এবং তিনি যা করেন তা করবেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যিলকাদা মাসের পাঁচ দিন বাকী থাকতে মদীনা থেকে বের হন। আর আমরাও তাহাঁর সাথে বের হই। জাবির [রাঃআঃ] বলেনঃ এসময় নাবী করীম [সাঃআঃ] আমাদের মধ্যেই ছিলেন। তাহাঁর উপর কুরআন অবতীর্ণ হচ্ছিল আর তিনি এর মর্ম অনুধাবন করিতেন। তিনি তদনুযায়ী যা করিতেন, আমরাও তা করতাম। আমরা একমাত্র হজ্জের উদ্দেশ্যেই বের হইয়াছিলাম।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৪১. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা সফরে বের হলাম। হজ্জ ব্যতীত আমাদের আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। সারিফ নামক স্থানে পৌছার পর আমি ঋতুমতী হই। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার নিকট আসলেন। আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কি ঋতুস্রাব দেখা দিয়েছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ ইহা এমন বিষয় যা আল্লাহ তাআলা আদমের কন্যা সন্তানদের উপর নির্ধারিত করিয়াছেন। তুমি মুহরিম ব্যক্তি হজ্জের যে সকল কাজ করে তুমিও বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত তা করিতে থাক।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ মুহরিম ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট নিয়্যত ব্যতীত হজ্জ আদায় করা
২৭৪২. তারিক ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবু মূসা [রাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি ইয়ামান থেকে আসলাম। তখন নাবী করীম [সাঃআঃ] বাতহায় অবস্থানরত ছিলেন। যখন তিনি হজ্জ আদায় করেন। তিনি আমাকে বলেনঃ তুমি কি হজ্জ [-এর ইহরাম] করেছ? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি কিরূপ করেছ [নিয়্যত করেছ]? তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ “আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর ইহরামের ন্যায় ইহরাম করলাম। তিনি বললেনঃ তাহলে বায়তুল্লাহর তওয়াফ কর এবং সাফা মারওয়ার সাঈ কর এবং [ইহরাম ভঙ্গ করে] হালাল হইয়া যাও। আমি তা-ই করলাম। তারপর আমি এক মহিলার নিকট আসলাম, সে আমার মাথা বেছে দিল [উকুন বের করিল]। এরপর আমি লোকদেরকে এরূপ ফাতাওয়া দিতে লাগলাম। এমনকি উমার [রাঃআঃ]-এর খিলাফতকালেও। তখন তাঁকে এক ব্যক্তি বললোঃ হে আবু মূসা! এরূপ ফাতাওয়া দেয়া থেকে আপনি বিরত থাকুন। কেননা জানেন না আপনার পরে আমীরুল মুমিনীন হজ্জের আহকামে কি নতুন বিধান দিয়েছেন। আবু মূসা বললেনঃ হে লোকসকল! আমি যাকে ফাতওয়া দিয়েছি, সে যেন অপেক্ষা করে। কেননা আমীরুল মুমিনীন তোমাদের নিকট আগমন করিয়াছেন। তোমরা তাহাঁর অনুসরণ করিবে। উমার [রাঃআঃ] বললেনঃ আমারা যদি আল্লাহর কিতাব অনুসারে কাজ করিতে চাই তবে তিনি তো আমাদেরকে [হজ্জ ও উমরা স্বতন্ত্র রূপে] আহকাম পূর্ণ করিতে আদেশ করিয়াছেন। আর আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সুন্নত অনু্যায়ী কাজ করলে নাবী [সাঃআঃ] ইহরাম ভঙ্গ করেন নি, যতক্ষণ না কুরবানীর পশু যবাই –এর স্থানে পৌঁছে যেতো।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৪৩. জাফর ইবনি মুহাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমার পিতা আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ আমরা জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ]-এর নিকট এসে তাকে নাবী [সাঃআঃ]-এর হজ্জ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাদের নিকট বর্ণনা করলেনঃ আলী [রাঃআঃ] ইয়ামান থেকে আগমন করিলেন “হাদী” [কুরবানীর জন্তু] নিয়ে। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও মদীনা থেকে “হাদী” [কুরবানীর পশু] এনছিলেন। তিনি আলী [রাঃআঃ]-কে বললেনঃ তুমি কিসের ইহরাম [নিয়্যত] করেছ? তিনি বললেনঃ আমি বলেছিঃ হে আল্লাহ! আমি ইহরাম করছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যাহার ইহরাম করিয়াছেন। আর আমার সাথে রয়েছে “হাদী” [কুরবানীর পশু]। তিনি {রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]} বললেনঃ তাহলে তুমি [হজ্জ সম্পন্ন না করা পযর্ন্ত] হালাল হইবে না।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৪৪. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আলী [রাঃআঃ] ইয়ামানে তাহাঁর সাদাকা-জিযয়া আদায়ের কর্তব্য পালন করে আগমন করিলেন। তখন নাবী [সাঃআঃ] তাঁকে বললেনঃ হে আলী [রাঃআঃ]! তুমি কিরূপে ইহরাম করেছ? তিনি বললেনঃ নাবী [সাঃআঃ] যেরূপে ইহরাম করিয়াছেন। নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তাহলে তুমি “হাদী” [কুরবানীর জন্তু] সাথে রাখ এবং মুহরিম অবস্থায় থাক, যেমন তুমি আছো। রাবী বলেনঃ আলী [রাঃআঃ] তাহাঁর নিজের জন্য হাদী [কুরবানীর জন্তু] সাথে নিয়ে এসেছিলেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৪৫. বারা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আলী [রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম, যখন নাবী [সাঃআঃ] তাকে ইয়ামানে ছিলাম, যখন নাবী [সাঃআঃ] তাকে ইয়ামনের আমীর [প্রশাসক] নিযুক্ত করে পাঠান। তাহাঁর সঙ্গে আমি কিছু উকিয়া [রৌপ্য মুদ্রা] পেলাম। যখন আলী [রাঃআঃ] নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলেন। তখন আলী [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি ফাতিমা [রাঃআঃ]-কে পেলাম যে, সে তার ঘরকে নাদুহ {১} সুগন্ধি দ্বারা সুরভিত করে রেখেছে। আমি তাকে দোষারোপ করলাম [এবং তার নিকট থেকে দূরে রইলাম]। সে আমাকে বললেনঃ আপনার কি হলো? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবিগণকে [হালাল হওয়ার] আদেশ করিয়াছেন, এবং তাঁরা হালাল হইয়াছেন [ইহরাম ভঙ্গ করিয়াছেন]। আলী [রাঃআঃ] বলেনঃ আমি বললামঃ আমি তো রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ইহরামের অনুরূপ ইহরাম করেছি। তিনি বলেনঃ তারপর আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি করেছ? আমি বললামঃ আমি আপনার ইহরামের ন্যায় ইহরাম করেছি। তিনি বললেনঃ আমি তো হাদী [কুরবানীর পশু] সাথে এনেছি এবং কিরান হজ্জের নিয়্যাত করেছি।
{১} নাদুহ এক প্রকার সুগন্ধি, যাহার সৌরভ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিচ্ছেদঃ উমরার ইহরাম করলে তার সাথে হজ্জ সংযুক্ত করা যাবে কি?
২৭৪৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে বছর হাজ্জাজ ইবনি যুবায়র [রাঃআঃ]-এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য এসেছিল। তাঁকে বলা হলো যে, তাহাদের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যাবে এবং আমার ভয় হচ্ছে তারা আপনাকে হজ্জ বাঁধাগ্রস্ত করিবে। তিনি বললেনঃ “তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।” যদি অবস্থা তা-ই হয়, তা হলে আমি তা-ই করবো-যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] করেছিলেন। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি আমার উপর উমরা ওয়াজিব করে নিয়েছি [ইহরাম করেছি]। তারপর তিনি বের হলেন। পরে যখন তিনি বায়দা নামক স্থানে উপস্থিত হলেন, তখন বললেনঃ হজ্জ এবং উমরার অবস্থা একই। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার উমরার সাথে হজ্জও ওয়াজিব করে নিয়েছি [হজ্জের ও ইহরাম করলাম]। আর তিনি একটি হাদী [কুরবানীর পশু] এনেছিলেন, যা তিনি কুদায়াদ নামক স্থান থেকে ক্রয় করেছিলেন। তারপর তিনি হজ্জ এবং উমরাহ উভয়ের তালবিয়া পড়তে পড়তে চলতে থাকলেন। পরে তিনি মক্কায় আগমন করে বায়তুল্লাহর তওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার সাঈ করেন। এর অতিরিক্ত তিনি কিছু করেন নি। হাদী যবাই করিলেন না, মাথা মুন্ডালেন না, চুলও কাটলেন না এবং যে সকল বস্তু হারাম ছিল, তার কোনটি থেকে হালাল হলেন না। এভাবে কুরবানীর দিন উপস্থিত হলো। তারপর তিনি [হাদী] যবাই [কুরবানী] করিলেন ও মাথা মুণ্ডন করিলেন। তিনি মনে করিলেন যে, প্রথম তওয়াফ দ্বারাই হজ্জ ও উমরার তওয়াফ পূর্ণ করিয়াছেন। ইবনি উমার [রাঃআঃ] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপই করিয়াছেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ কিরূপে তালবিয়া পড়তে হয়?
২৭৪৭. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সাদিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তাহাঁর পিতা বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তালবিয়া পাঠ করিতে শুনিয়াছি। তিনি বলছিলেনঃ [অর্থঃ আমি হাযির, হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাযির! হাযির আমি হাযির! আপনার কোন শরীক নেই। হাযির আমি হাযির। সমস্ত প্রশংসা ও নিআমাত [এর অধিকার] আপনার এবং [সমগ্র] রাজত্ব; [এসবে] আপনার কোন শরীক-অংশীদার নেই। আর আবদুল্লাহ ইবনি উমার বলিতেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুলহুলায়ফায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিতেন। তারপর যখন তিনি যুলহুলায়ফা মসজিদের নিকট উটনীর উপর আরোহণ করিতেন, তখন তিনি ঐ সকল বাক্য দিয়ে তালবিয়া পাঠ করিতেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৪৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিতেনঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৪৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর তালবিয়া ছিলঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৫০. উবায়দুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর তালবিয়া ছিলঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ
ইবনি উমার [রাঃআঃ] তাতে আরও বাড়িয়ে বলেছেনঃ [আরবী] {১}
{১} অর্থঃ [শেষের অংশ] আমি হাযির! আপনার সমীপে সৌভাগ্য প্রত্যাশী, সৌভাগ্য প্রত্যাশী। যাবতীয় কল্যাণ আপনার দুহাতে অকর্ষণ ও প্রত্যাশা আপনার কাছেই এবং আমল ও [আপনার সমীপে]।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৫১. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ]-এর তালবিয়া ছিলঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২৭৫২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নাবী করীম [সাঃআঃ]-এর তালবিয়ার মধ্যে ছিলঃ [হে সত্যের ইলাহ, হাজির আপনার কাছে, হাযির!] আবু আবদুর রহমান বলেনঃ আবদুল আযীয ব্যতীত আবদুল্লাহ ইবনি ফজল থেকে অন্য কেউ এটা বর্ণনা করিয়াছেন বলে জানা নেই। ইসমাঈল ইবনি উমাইয়া তাহাঁর থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করিয়াছেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ উঁচু স্বরে তালবিয়া পড়া
২৭৫৩. খাল্লাদ ইবনি সাইব তার পিতা থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ জিবরাঈল [আঃ] আমার নিকট এসে আমাকে বলেনঃ হে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আপনি আপনার সাহাবীগণকে বলে দিন, তারা যেন উঁচু স্বরে তালবিয়া পাঠ করে।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ তালবিয়ায় করণীয়
২৭৫৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী করীম [সাঃআঃ] সালাতের পর তালবিয়া পাঠ করেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২৭৫৫. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বায়দা নামক স্থানে জুহরের নামাজ আদায় করে সওয়ার হলেন এবং বায়দার পাহাড়ে আরোহণ করিলেন আর জুহরের নামাজ আদায়ের পর হজ্জ ও উমরার তালবিয়া পাঠ করিলেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২৭৫৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ] এর হজ্জ সম্বন্ধে বলেনঃ যখন তিনি যুলহুলায়ফায় আগমন করেন, তখন তিনি নামাজ আদায় করেন এবং বায়দায় আসা পর্যন্ত নীরব থাকেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৫৭. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতাকে বলিতে শুনেছেনঃ তোমাদের এ বায়দা যাহার ব্যাপারে তোমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সম্বন্ধে অসত্য বলছো। কেননা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুলহুলায়ফার মসজিদ ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে তালবিয়া পড়া আরম্ভ করেন নি।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৫৮. ইব্ন শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
সালিম ইব্ন আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, আবদুল্লাহ ইব্ন উমার [রাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে যুলহুলায়ফায় তার সওয়ারীতে আরোহণ করিতে দেখেছি। পরে যখন সওয়ারীতে স্থির উপবিষ্ট হইতেন তখন তালবিয়া পাঠ করিতেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৫৯. ইব্ন উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন তাহাঁর সওয়ারীতে স্থির হইয়া উপবেশন করিতেন, তখন তালবিয়া পাঠ করিতেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৬০. উবায়দ ইব্ন জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ইব্ন উমার [রাঃআঃ] কে বললামঃ আমি আপনাকে দেখলাম যে, স্বীয় উটনী যখন স্থির হইয়া দাঁড়ায়, তখন আপনি তখন তালবিয়া পাঠ করেন? তিনি বল্লেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন তাহাঁর উটনী স্থির হইয়া দাঁড়াতে এবং চলতে উদ্যত হত, তখন তিনি তালবিয়া পাঠ করিতেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ [প্রসব পরবর্তী] নিফাসগ্রস্ত নারীর তালবিয়া পাঠ [ইহ্রাম বাঁধা]
২৭৬১. জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [মদীনায়] নয় বছর হজ্জ না করে অবস্থান করেন। তারপর তিনি লোকদেরকে হজ্জের ব্যাপারে ঘোষণা দিলেন। ফলে যে সওয়ার হইয়া অথবা পদব্রজে আসার ক্ষমতা রাখতো, এমন কেউ আসতে বাকী রইলো না। তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে হজ্জে বের [শরীক] হওয়ার জন্য ভিড়াভিড়ি করিল। এমনিভাবে তিনি [সাঃআঃ] যুলহুলাফায় পৌঁছলেন। সেখানে আসমা বিনত উমায়স মুহাম্মদ ইব্ন আবু বকরকে প্রসব করেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এ সংবাদ পাঠালে তিনি বলেনঃ গোসল করে এক খানা কাপড় দিয়ে মজবুত করে লজ্জাস্থান বেঁধে নাও, তারপর ইহ্রাম বাঁধ [তালবিয়া পাঠ কর]। তিনি তা-ই করেন। [সংক্ষিপ্ত]
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৬২. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আসমা বিনত উমায়স মুহাম্মদ ইব্ন আবু বকরকে ভুমিষ্ট করেন। তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট সংবাদ পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে, তাঁকে ঐ অবস্থায় কি করিতে হইবে? তখন তিনি তাকে গোসল করিতে এবং এক খানা কাপড় বেঁধে নিয়ে তালবিয়া পড়তে আদেশ করেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ উমরাহ্র তালবিয়া পাঠ [করে ইহ্রাম] কারিনী যদি ঋতুবতী হয় এবং হজ্জ অনাদায়ী হওয়ার আশংকা করে
২৭৬৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে হজ্জের তালবিয়া পাঠ করিতে করিতে গমন করলাম, আর আয়েশা [রাঃআঃ] গেলেন উমরাহ্র তালবিয়া পড়তে পড়তে। আমরা যখন সরিফ নামক স্থানে পৌঁছলাম, তখন আয়েশা [রাঃআঃ] ঋতুমতি হলেন। তারপর যখন আমরা মক্কায় পৌঁছলাম, আমরা কাবা শরীফের তাওয়াফ এবং সাফা এবং মারওয়ার সাঈ করলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে আদেশ করিলেন, যাহার সাথে হাদী [কুরবানীর পশু] নেই, সে যেন হালাল হইয়া যায় [ইহরাম ভঙ্গ করে]। রাবী বলেন- আমরা বললামঃ কোন ধরণের হালাল [হব]? তিনি বললেনঃ সকল কিছুই হালাল হইবে। [যা ইহরামের কারণে হারাম হইয়াছিল]। পরে আমরা স্ত্রী সহবাস করলাম, সুগন্ধি ব্যাবহার করলাম এবং আমাদের [ব্যবহার্য] কাপড় পরিধান করলাম অথচ আমাদের ও আরাফার মধ্যে চার রাতের ব্যবধান ছিল। তারপর আমরা ৮ই জিলহজ্জের দিন [হজ্জের] তালবিয়া পাঠ করলাম [ইহ্রাম বাঁধলাম] এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আয়েশা [রাঃআঃ] এর নিকট গিয়ে দেখলেন, তিনি কাঁদছেন। তিনি বললেনঃ তোমার অবস্থা কি? আয়েশা [রাঃআঃ] বললেনঃ আমার অবস্থা হলো আমার ঋতু আরম্ভ হইয়াছে, লোকজন তো হালাল হইয়াছে [ইহরাম ভঙ্গ করেছে] অথচ আমি হালাল হইনি [ইহরাম ভঙ্গ করিনি] আর আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফও করিনি। এখন লোকজন তো হজ্জ আদায়ের জন্য যাচ্ছে। তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ ইহা এমন এক ব্যাপার, যা আল্লাহ্ তাআলা আদম [আঃ] এর কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করিয়াছেন। অতএব তুমি গোসল কর এবং হজ্জের নিয়ত কর। তারপর তিনি তা-ই করিলেন এবং বিভিন্ন অবস্থান স্থলে অবস্থান করিলেন। এরপর যখন তিনি পবিত্র হলেন। তখন বায়তুল্লাহর [ফরয] তওয়াফ করিলেন এবং সাফা ও মারওয়ায় সাঈ করিলেন। এরপর নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ এখন তুমি তোমার হজ্জ ও উমরা থেকে হালাল [উভয়ের ইহরাম ভঙ্গ করলে।] আয়েশা [রাঃআঃ] বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমার মনে এ দুঃখ যে আমি বায়তুল্লাহর তওয়াফ করিনি, অথচ হজ্জ করেছি। তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবদুর রহমান! তাকে নিয়ে যাও এবং তানঈম হইতে উমরাহ্ করাও। সেটা ছিল মুহাসসবের [পূর্বে উমরার জন্য] রাত্র। {১}
{১} মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মুহাসসাব নামক স্থানে অবস্থানের রাত্রি।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৬৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা বিদায় হজ্জে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে বের হলাম। আমরা উমরাহ্র [তালবিয়া পড়লাম]। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ যাহার সাথে হাদী কুরবানীর জন্তু রয়েছে, সে যেন উমরাহ্র সাথে হজ্জেরও [ইহ্রাম] নিয়্যত করে এবং এ দুয়ের কাজ সমাধা করার পূর্বে যেন [ইহ্রাম ভঙ্গ না করে], তারপর আমি হায়েয অবস্থায় মক্কায় পোঁছলাম। ফলে আমি বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করিতে পারলাম না এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈও না। আমি এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্মীপে অনুরোধ করলাম। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার মাথার চুলের বেণী খুলে ফেল, মাথার চুল আঁচড়াও এবং হজ্জের ইহ্রাম [নিয়্যত] কর। উমরা ছেড়ে দাও। তখন আমি তাই করলাম। যখন হজ্জ শেষ করলাম, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে আবদুর রাহমান ইব্ন আবু বকর [রাঃআঃ]- এর সাথে তানঈম পাঠিয়ে দিলেন। তখন আমি উমরা করলাম। তিনি বললেনঃ ইহাই তোমার [ছেড়ে দাও] উমরার স্থান। অতএব যারা উমরার ইহ্রাম [নিয়্যত] করেছিলেন, তারা কাবার তওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করিলেন। পরে তারা হালাল হলেন। তারা মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর তাহাদের হজ্জের জন্য আর একটি তওয়াফ করিলেন। কিন্তু যারা হজ্জে ও উম্রার একত্রে নিয়্যত করেছিলেন তারা একটিই তওয়াফ করিলেন [ফরয হিসেবে]।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ হজ্জে শর্ত করা
২৭৬৫. ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
দুবাআ [রাঃআঃ] হজ্জের ইচ্ছা করিলেন। তাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আদেশ করিলেন, যেন তিনি শর্ত করে নেন। তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর নির্দেশে তা-ই করিলেন।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ শর্ত করার সময় কি বলবে?
২৭৬৬. ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
দুবাআ বিন্ত যুবায়র ইব্ন আবদুল মুত্তালিব নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি হজ্জের ইচ্ছা করেছি। এখন আমি কি বলবো ? তিনি বললেনঃ তুমি বলবেঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ
“লাব্বায়ক আল্লাহুম্মা লাব্বায়ক,
পৃথিবীতে আমার ইহ্রাম খোলার স্থান ঐটি যেখানে আমাকে আটকে দিবেন।“ কারণ তোমার জন্য তোমার রবের নিকট তা-ই রয়েছে, যা তুমি শর্ত করেছো।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২৭৬৭. ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
দুবাআ বিন্ত যুবায়র রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমি অসুস্থ মহিলা অথচ আমি হজ্জ করার মনস্থ করেছি। অতএব, আমাকে কি বলে ইহ্রাম করিতে আদেশ করেন? তিনি বলেনঃ তুমি ইহ্রাম বাঁধার সময় শর্ত করে বলবেঃ যেখানে [হে আল্লাহ্] আমাকে আটকে দেবেন, সেখানে আমার হালাল হওয়ার স্থান।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৬৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুবা,আ [রাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হলে দুবাআ বল্লেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ ! আমি অসুস্থ অথচ আমি হজ্জের ইচ্ছা করেছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি হজ্জে যাবে এবং শর্ত করিবে যে, [হে আল্লাহ্] আপনি আমাকে যেখানে বাধাগ্রস্থ করবেন, সেখানে আমি হালাল হব।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃ যাকে হজ্জে বাধা দান করা হইয়াছে অথচ সে শর্ত করেনি সে কী বলবে?
২৭৬৯. সালিম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ইব্ন উমার [রাঃআঃ] হজ্জে [হালাল হওয়ার] শর্ত করা অস্বীকার করে বলিতেনঃ তোমাদের জন্য কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যথেষ্ট নয়? যদি তোমাদের কেউ হজ্জে বাধাপ্রাপ্ত হয়, যে বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ এবং সাফা এবং মারওয়ার সাঈ করিবে। তারপর সর্বপ্রকার [ইহ্রাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ থেকে] হালাল হইয়া যাবে, এবং পরবর্তী বছর হজ্জ করিবে ও হাদী [কুরবানীর জন্তু] যবাই করিবে। আর যদি হাদী না পায়, তবে সিয়াম পালন করিবে।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৭৭০. সালিম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি হজ্জে শর্ত করিতে অপছন্দ করিতেন। তিনি বলিতেনঃ তোমাদের জন্য কি তোমাদের নাবী [সাঃআঃ] এর সুন্নত যথেষ্ট নয়? তিনি শর্ত করেন নি। যদি কোন বাঁধাদানকারী তোমাদের কাউকে আটকে দেয়, তবে সে যেন বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ ও সাফা- মারওয়ার সাঈ করে। তারপর মাথা মুন্ডন করে অথবা চুল কাটে এবং হালাল হইয়া যায়। আর পরের বৎসর তার জন্য হজ্জ আদায় করা ওয়াজিব হইবে।
হজ্জের বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply