সফরকালীন রোজা বিধান -মুসাফির ও ঋতুবতী মহিলার সাওম

সফরকালীন রোজা বিধান -মুসাফির ও ঋতুবতী মহিলার সাওম

সফরকালীন রোজা বিধান -মুসাফির ও ঋতুবতী মহিলার সাওম >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ২২ সাওম [রোজা] হাদীস (২২৫৫-২৩২০)

১.পরিচ্ছেদঃ সফরকালীন সাওম [রোজা] মাকরূহ হওয়া
২.পরিচ্ছেদঃ যে কারনে সফরে সাওম [রোজা] পালন সম্পর্কে উক্ত বক্তব্য দেওয়া হইয়াছে এবং এ বিষয়ে জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ্‌ থেকে বর্ণিত সনদে মুহাম্মাদ ইবনি আব্দুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর বর্ণনা পার্থক্য
৩.পরিচ্ছেদঃ আলী ইবনি মুবারক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনায় সনদের বিভিন্নতা
৪.পরিচ্ছেদঃ জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনাকারীর ব্যক্তির নাম
৫.পরিচ্ছেদঃ মুসাফির থেকে সাওম [রোজা] মুলতবীকরণ এবং আমর ইবনি উমাইয়া [রাঃআঃ] থেকে আওযায়ী কর্তৃক রেওয়াত বর্ণনায় সনদের বিভিন্নতা
৬.পরিচ্ছেদঃ এ হাদীসে মুয়াবিয়া ইবনি সাল্লাম ও আলী ইবনিল মুবারক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনার বিভিন্নতা
৭.পরিচ্ছেদঃ সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালনকারীর উপর সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীর ফযীলত
৮.পরিচ্ছেদ: সফরকালীন সাওম [রোজা] পালনকারী বাড়িতে অবস্থানকালীন সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীর ন্যায়
৯.পরিচ্ছেদঃ সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করা এ বিষয়ে ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-এর হাদীসে বর্ণনাভেদের উল্লেখ
১০.পরিচ্ছেদঃ মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনার পার্থক্য
১১.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ]-এর হাদীসে সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনার ইখতিলাফের উল্লেখ
১২.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে হামযা [রাঃআঃ] কর্তৃক হাদীসে উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনা পার্থক্যের উল্লেখ
১৩.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনাভেদের উল্লেখ
১৪.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে আবু নাযরাহ মুনযির ইবনি মালিক ইবনি কাতআ থেকে বর্ণিত পার্থক্যের উল্লেখ
১৫.পরিচ্ছেদঃ মুসাফিরের জন্য কিছু সাওম [রোজা] পালন করার কিছু সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেলার অনুমতি
১৬.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসে ব্যতিত অবস্থানকালে সাওম [রোজা] শুরু করে তারপর সফর শুরু করে, তার জন্য সাওম [রোজা] ভঙ্গ করার অনুমতি
১৭.পরিচ্ছেদঃ গর্ভবতী এবং স্তন্য দানকারিণী মহিলা থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী করা
১৮.পরিচ্ছেদঃ আল্লহর বাণীঃ [আরবী আছে] -এর তফসীর
১৯.পরিচ্ছেদঃ ঋতুবতী মহিলার উপর থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী করা
২০.পরিচ্ছেদঃ রমযান মাসে ঋতুবতী মহিলা পবিত্র হলে বা মুসাফির [বাড়িতে] ফিরে এলে তারা কি দিনের অবশিষ্ট সময় সাওম [রোজা] পালন করিবে?

১.পরিচ্ছেদঃ সফরকালীন সাওম [রোজা] মাকরূহ হওয়া

২২৫৫. কাব ইবনি আসিম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করা সওয়াবের কাজ নয়।১

১. হানাফী আলীমগণের মতে, সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালনে সামর্থে হলে সাওম [রোজা] পালন করা উত্তম।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৫৬. সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন যে, সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করা সাওয়াবের কাজ নয়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২.পরিচ্ছেদঃ যে কারনে সফরে সাওম [রোজা] পালন সম্পর্কে উক্ত বক্তব্য দেওয়া হইয়াছে এবং এ বিষয়ে জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ্‌ থেকে বর্ণিত সনদে মুহাম্মাদ ইবনি আব্দুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর বর্ণনা পার্থক্য

২২৫৭. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] দেখলেন যে, কিছু লোক একজন লোককে ঘিরে রেখেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলে তারা বলিল যে, এই ব্যক্তিকে সাওম [রোজা] পরিশ্রান্ত করে ফেলেছে। তখন রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলিলেন, সফরকালীন অবস্তায় সাওম [রোজা] পালন করা সওয়াবের কাজ নয়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৫৮. জাবির ইবনি আব্দূল্লাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গেলেন যিনি গাছের ছায়ায় [বসা] ছিলেন আর তার উপর পানি ছিটানো হচ্ছিল, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] জিজ্ঞাসা করিলেন যে, তোমাদের এ সাথীর কি হল? তারা উত্তর দিল, ইয়া রসুলুল্লাহ! সে সাওম [রোজা] পালন করছিল, তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করা সওয়াবের কাজ নয়। তোমরা আল্লাহ প্রদত্ত সুযোগের সদ্যবহার কর; যে সুযোগ আল্লাহ তাআলা তোমাদের দিয়েছেন, তোমরা তা গ্রহণ কর।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৫৯. মুহাম্মাদ ইবনি আন্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করা সওয়াবের কাজ নয়। তোমরা আল্লাহ প্রদত্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার কর এবং তা গ্রহণ কর।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৩.পরিচ্ছেদঃ আলী ইবনি মুবারক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনায় সনদের বিভিন্নতা

২২৬০. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করা সওয়াবের কাজ নয়। তোমরা আল্লাহ প্রদত্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার কর এবং তা গ্রহণ কর।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৬১. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করা সওয়াবের কাজ নয়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪.পরিচ্ছেদঃ জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনাকারীর ব্যক্তির নাম

২২৬২. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

সফররত অবস্থায় ছায়া দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বলিলেন যে, সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করা সওয়াবের কাজ নয়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৬৩. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কা বিজয়ের বছর মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হলেন এবং সাওম [রোজা] পালন করেই কুরাউল গামীম নামক উপত্যকা পর্যন্ত পৌঁছলেন। সাহাবীগণও সাওম [রোজা] পালন করিতে লাগলেন। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে সংবাদ পৌঁছল যে, সাহাবীদের জন্য সাওম [রোজা] পালন করা কষ্টদায়ক হইয়া পড়েছে। তখন তিনি আসরের পরে এক পেয়ালা পানি চাইলেন এবং তা পান করে ফেললেন। আর সাহাবীগণ [এ দৃশ্য] দেখছিল এবং কিছু সাহাবী সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেললেন আর কিছু সাহাবী সাওম [রোজা] পালন করিতে থাকলেন। যখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে সংবাদ পৌঁছল যে, কিছু সাহাবী এখনো সাওম [রোজা] পালন করিয়াছেন তিনি বলিলেন যে, তারা অপরাধী।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৬৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে মাররুজ্‌ জাহ্‌রান নামক স্থানে কিছু খানা নিয়ে আসা হলে তিনি আবু বকর [রাঃআঃ] এবং উমার [রাঃআঃ]-কে বলিলেন, তোমরা দুজন কাছে এসো এবং খাও। তাঁরা উভয়ে বলিলেন আমরা সাওম [রোজা] পালন করছি। তখন তিনি বলিলেন, তোমাদের সাথীদ্বয়ের জন্য হাওদা প্রস্তুত কর এবং তাহাদেরকে সহযোগিতা কর।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৬৫. আবু সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাররুজ জাহ্‌রান নামক স্থানে দ্বিপ্রহরের আহার করছিলেন আর তার সাথে আবু বকর এবং উমার [রাঃআঃ]-ও ছিলেন। তখন তিনি [তাঁদেরকে] বলিলেন, এসো খাও।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২২৬৬. আবু সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এবং আবু বকর ও উমার [রাঃআঃ] মাররুজ জাহ্‌রান নামক স্থানে ছিলেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৫.পরিচ্ছেদঃ মুসাফির থেকে সাওম [রোজা] মুলতবীকরণ এবং আমর ইবনি উমাইয়া [রাঃআঃ] থেকে আওযায়ী কর্তৃক রেওয়াত বর্ণনায় সনদের বিভিন্নতা

২২৬৭. আমর ইবনি উমাইয়া দমরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার সফর থেকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে আসলাম। তিনি বলিলেন, হে আবু উমাইয়া! দ্বিপ্রহরের আহার গ্রহণের জন্য অপেক্ষা কর। আমি বললাম যে, আমি সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন, আসো আমার কাছে আসো, যাতে আমি তোমাকে মুসাফিরের সম্পর্কে বিধান বলিতে পারি। আল্লাহ তাআলা মুসাফির থেকে সাওম [রোজা] কে মুলতবী রেখেছেন আর অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] রহিত করে দিয়েছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৬৮. আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, হে আবু উমাইয়া! তুমি কি দ্বিপ্রহরের খানা পর্যন্ত অপেক্ষা করিবে না? আমি বললাম, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন, আসো আমার কাছে আসো; আমি তোমাকে মুসাফির সম্পর্কে বিধান অবহিত করি। আল্লাহ তাআলা মুসাফির থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] রহিত করে দিয়েছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৬৯. আবু উমাইয়া দমরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে সফর থেকে আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। যখন আমি চলে যেতে উদ্যত হলাম, তিনি বললেনঃ দ্বিপ্রহরের আহারের জন্য অপেক্ষা কর, হে আবু উমাইয়া [রাঃআঃ]! আমি বললাম, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ [সাঃআঃ]! আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন, কাছে এসো; আমি তোমাকে মুসাফিরের বিধান সস্পর্কে অবহিত করি। আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজকে [নামায/নামাজ] রহিত করিয়াছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৭০. আবু উমাইয়া দমরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি একবার সফর থেকে রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] কাছে আসলেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবু উমাইয়া [রাঃআঃ]! দ্বিপ্রহরের খানার অপেক্ষা কর। আমি বললাম, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। কাছে এসো; আমি তোমাকে মুসাফিরের বিধান সস্পর্কে অবহিত করি। আল্লাহ তাআলা মুসাফির থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজকে [নামায/নামাজ] রহিত করিয়াছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২২৭১. আবু উমাইয়া দমরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি একবার সফর থেকে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর কাছে আসলেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবু উমাইয়া [রাঃআঃ]! দ্বিপ্রহরের খানার অপেক্ষা কর। আমি বললাম, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। কাছে এসো; আমি তোমাকে মুসাফিরের বিধান সস্পর্কে অবহিত করি। আল্লাহ তাআলা মুসাফির থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজকে [নামায/নামাজ] রহিত করিয়াছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৬.পরিচ্ছেদঃ এ হাদীসে মুয়াবিয়া ইবনি সাল্লাম ও আলী ইবনিল মুবারক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনার বিভিন্নতা

২২৭২. আবু উমাইয়া দমরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি একবার সফর থেকে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর কাছে আসলেন আর তখন তিনি সাওম [রোজা] পালন করছিলেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ তুমি কি দ্বিপ্রহরের আহার করা পর্যন্ত অপেক্ষা করিবে না? তিনি বলিলেন, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি কাছে এসো; আমি তোমাকে মুসাফিরের সাওমের [রোজা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম] বিধান সস্পর্কে অবহিত করি। আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজকে [নামায/নামাজ] রহিত করিয়াছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২২৭৩. আবু উমাইয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি এক সফর থেকে নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর কাছে আসলেন এরপর উক্তরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২২৭৪. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছে অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] এবং মুলতবী রেখেছেন সাওম [রোজা]-কে। আর গর্ভবর্তী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মহিলা থেকেও মুলতবী করে দিয়েছেন সাওম [রোজা]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২২৭৫. আনাস ইবনি মালিক আল কুশাইরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আমার প্রাপ্য উটের ব্যাপারে সফর করে যেতে যেতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাছে পৌঁছলাম। তখন তিনি খাচ্ছিলেন অথবা বলেন যে, তিনি আহার গ্রহণ করছিলেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেলেনঃ কাছে এসো এবং খানা খাও। আমি বললাম, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] রহিত করিয়াছেন এবং সাওম [রোজা] মুলতবী করে দিয়েছেন। আর গর্ভবর্তী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মহিলা থেকেও মুলতবী করে দিয়েছেন সাওম [রোজা]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২২৭৬. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে [বনূ হাওয়াজেন এর সাথে লড়াইয়ে প্রাপ্ত] আমার ভাগের উট নেওয়ার জন্য আসলাম। তাহাঁর কাছে গিয়ে দেখলাম যে তিনি আহার করছেন। তিনি আমাকেও আহার করিতে ডাকলেন। আমি বললাম যে, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন, কাছে এসো; আমি তোমাকে এ ব্যাপারে অবহিত করব। আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে সাওম [রোজা] মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] রহিত করে দিয়েছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২২৭৭. সুওয়ায়দ ইবনি নাস্‌র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি কোন প্রয়োজনে নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম। তখন তিনি দ্বিপ্রহরের আহার করছিলেন। তিনি বলিলেন, খেতে এসো। আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন, কাছে এসো; আমি তোমাকে সাওমের বিধান সস্পর্কে অবহিত করব। আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে সাওম [রোজা] মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] রহিত করে দিয়েছেন। আর গর্ভবর্তী এবং দুগ্ধদানকারী মহিলাকেও সাওম [রোজা] মুলতবী রাখার সুযোগ দিয়েছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২২৭৮. সুওয়ায়দ ইবনি নাসর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবুল আলা ইবনিল শিখ্‌খীর অপর এক ব্যক্তি থেকে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২২৭৯. কুতায়বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

বালহারীশ গোত্রের এক ব্যক্তির পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার মুসাফির অবস্হায় নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম। তখন আমি সাওম [রোজা] পালন করছিলাম আর তিনি আহার গ্রহণ করছিলেন। তিনি বলিলেন, এসো, আমি বললাম, আমিতো সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন, এসো, তুমি কি আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে কি কি মুলতবী করে দিয়েছেন তা জান না? আমি বললাম, মুসাফিরের উপর থেকে কি কি মুলতবী করে দিয়েছেন? তিনি বলিলেন, সাওম [রোজা] এবং অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২২৮০. আব্দুর রহমান ইবনি মুহাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

বালহারীশ গোত্রের এক ব্যক্তির পিতা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি যথায় ইচ্ছা সফর করতাম। একবার আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম। তখন তিনি আহার করছিলেন। তিনি বলিলেন, এসো, খাও। আমি বললাম আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমি তোমাকে সাওম [রোজা] সস্পর্কে অবহিত করব। আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে সাওম [রোজা] মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] রহিত করে দিয়েছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২২৮১. [আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সফর করছিলাম। একবার রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম। তখন তিনি আহার করছিলেন আর আমি সাওম [রোজা] পালন করছিলাম। তিনি বলিলেন, এসো, আমি বললাম- আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন, তুমি কি জান, আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে কি কি মুলতবী করে রেখেছেন? আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কি কি মূলতবী করে রেখেছেন? তিনি বলিলেন, সাওম [রোজা] এবং অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২২৮২. গায়লান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার আবু কিলাবা [রাঃআঃ]-এর সাথে সফরে বের হলাম। খানা উপস্তিত করা হলে আমি বললাম, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তখন তিনি বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার সফরে বের হইয়াছিলেন, তখন তার সামনে খানা উপস্থিত করা হলে তিনি এক ব্যক্তিকে বলেছিলেন, কাছে এসো এবং খাও। তখন সে ব্যক্তি বলেছিল যে, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছিলেন, আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের উপর থেকে সফরের অবস্হায় সাওম [রোজা] মুলতবী এবং অর্ধেক নামাজ [নামায/নামাজ] রহিত করে দিয়েছেন। অতএব তুমি এসো এবং খাও। অতঃপর আমি কাছে গেলাম এবং খেলাম।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭.পরিচ্ছেদঃ সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালনকারীর উপর সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীর ফযীলত

২২৮৩. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক সফরে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। আমাদের মধ্যে কিছু সাওম [রোজা] পালনকারী লোকও ছিলেন আর কিছু সাওম [রোজা] ভঙ্গকারী লোকও ছিলেন। একদিন গরম পড়লে আমরা একটি ছায়াযূক্ত স্থানে উপনীত হলাম; সাওম [রোজা] পালনকারীরা বিশ্রাম নিতে লাগলেন আর সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীরা সওয়ারী উটগুলোকে পানি পান করাতে লাগলেন। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আজ তো সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীরা সমুদয় সওয়াব নিয়ে গেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৮.পরিচ্ছেদ: সফরকালীন সাওম [রোজা] পালনকারী বাড়িতে অবস্থানকালীন সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীর ন্যায়

২২৮৪. আব্দুর রহমান ইবনি আউফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বলা হল যে, সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করা বাড়িতে অবস্হানকালে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করার ন্যায়। [সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন দ্বারা যদি সাওম [রোজা] পালনকারী পরিশ্রান্ত হইয়া যায় তবে তার জন্য সাওম [রোজা] ভঙ্গ করাই উত্তম।]

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল মাওকুফ

২২৮৫. আব্দুর রহমান ইবনি আউফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালনকারী ব্যক্তি বাড়িতে অবস্হানকালে সাওম [রোজা] ভঙ্গকারী ব্যক্তির ন্যায়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

২২৮৬. আব্দুর রহমান ইবনি আউফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করা বাড়িতে অবস্হানকালে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করার ন্যায়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৯.পরিচ্ছেদঃ সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করা এ বিষয়ে ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-এর হাদীসে বর্ণনাভেদের উল্লেখ

২২৮৭. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] একবার রমযান মাসে সফরে বের হলেন। যখন কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন একটি দূধের পেয়ালা আনা হলে তিনি এবং তার সাহাবীগণ তা পান করিলেন এবং সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেললেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২২৮৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মদীনায় সাওম [রোজা] শুরু করে [সফর করে] কুদায়দ নামক স্থানে আসলেন এবং সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে মক্কায় পৌঁছলেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৮৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] শুরু করে কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং এক পেয়ালা দুগ্ধ চেয়ে নিয়ে পান করে তিনিও সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেললেন এবং তার সাহাবীগণও সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেললেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১০.পরিচ্ছেদঃ মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনার পার্থক্য

২২৯০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং সাওম [রোজা] শুরু করিলেন। যখন উস্‌ফান১ নামক স্থানে পৌঁছলেন, এক পেয়ালা দুধ চেয়ে নিয়ে তা পান করিলেন। শুবা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ননায় “রমযান মাসে” এ উল্লেখ রয়েছে। ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] বলিতেন, যাহার ইচ্ছা হল সাওম [রোজা] পালন করিবে আর যাহার ইচ্ছা হয় সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেলবে।

১. মক্কার অদূরে অবস্থিত একটি গ্রামের নাম।রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার রমযানে সফর করিলেন এবং সাওম [রোজা] শুরু করে উসফান নামক স্থানে পৌছেলেন। অতঃপর একটি [দূধের] পাত্র চেয়ে নিয়ে তা দিনের বেলায় পান করিলেন। লোকজন তাঁকে দেখছিল। তারপর সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেললেন। [সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিতে থাকলেন মক্কা পৌঁছা পর্যন্ত।]

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯২. আওয়াম ইবনি হাওশাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলিলেন, আমি মুজাহিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বললাম, সফর অবস্থায় সাওম [রোজা] [কি পালন করিতে হইবে?] তিনি বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] [সফর অবস্হায় কখনো] সাওম [রোজা] পালন করিতেন [আবার কখনো] সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিতেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২২৯৩. মুজাহিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার রমযান মাসে সাওম [রোজা] শুরু করে তা সফরের মধ্যে ভঙ্গ করে ফেলেছিলেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১১.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ]-এর হাদীসে সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনার ইখতিলাফের উল্লেখ

২২৯৪. হামযা ইবনি আমর আসলামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন, যদি। অতঃপর তিনি এমন কিছু বাক্য ব্যবহার করিলেন যাহার অর্থ হল যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯৫. হইতে বর্ণিতঃ

অনুবাদ পাওয়া যায়নি

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২২৯৬। হামযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] সম্পর্কে জিজ্ঞানা করলে তিনি বললেনঃ যদি তোমার সাওম [রোজা] পালন করিতে ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর, আর যদি সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিতে ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯৭. হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন, যদি তোমার সাওম [রোজা] পালন করিতে ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর, আর যদি তোমার সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেলতে ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯৮. হামযা ইবনি আমর আসলামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বলিলেন, যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২২৯৯. হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ যদি তোমার সাওম [রোজা] পালন করিতে ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর। আর যদি তোমার সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিতে ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩০০. হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যূগে বিরামহীন সাওম [রোজা] পালন করতাম। তাই অমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি সফরকালীন অবস্হায় বিরামহীন সাওম [রোজা] পালন করি। তিনি বলিলেন, যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩০১. হামযা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]! আমি বিরামহীন সাওম [রোজা] পালনকারী ব্যক্তি। তাই আমি কি সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করব? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩০২. হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করিলেন আর তিনি-সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালনকারী ব্যক্তি ছিলেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১২.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে হামযা [রাঃআঃ] কর্তৃক হাদীসে উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনা পার্থক্যের উল্লেখ

২৩০৩. হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বললেনঃ আমি সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করার সামর্থ্য রাখি, তাতে কি আমার কোন অসুবিধা হইবে? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন যে, সেটা হল আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি সুযোগ। অতএব, যে ব্যক্তি তার-সদ্ব্যবহার করিল সে ভাল কাজ করিল আর যে ব্যক্তি সাওম [রোজা] পালন করিতে ভালবাসে তার কোন অসুবিধা নেই।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৩.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনাভেদের উল্লেখ

২৩০৪. হামযা ইবনি আমর আসলামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

যে, তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আমি সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করিতে পারব? তিনি বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন করিবে আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেলবে।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩০৫. হামযা ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আমি সর্বদা সাওম [রোজা] পালনকারী ব্যক্তি, আমি কি সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করব? তিনি বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর, আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩০৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, হামযা [রাঃআঃ] রাসুলুল্লাহ, [সাঃআঃ]-কে বললেনঃ ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি কি সফরকালীন অবস্থায় সাওম [রোজা] পালন করব? আর তিনি অধিক সাওম [রোজা] পালনকারী ছিলেন। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩০৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ হামযা [রাঃআঃ] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি কি সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] পালন করব? তিনি বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

২৩০৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

হামযা আসলামী [রাঃআঃ] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন আর তিনি সর্বদা সাওম [রোজা] পালনকারী ব্যক্তি ছিলেন। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] পালন কর আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৪.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে আবু নাযরাহ মুনযির ইবনি মালিক ইবনি কাতআ থেকে বর্ণিত পার্থক্যের উল্লেখ

২৩০৯. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ আমরা একবার রমযান মাসে সফর করছিলাম। আমাদের কতেক সাওম [রোজা] পালনকারী ছিলেন আর কতেক সাওম [রোজা] ভঙ্গকারী ছিলেন। কিন্তু আমাদের সাওম [রোজা] পালনকারীরাও সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীদের তিরস্কার করছিলেন না আর সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীরাও সাওম [রোজা] পালনকারীদের তিরস্কার করছিলেন না।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩১০. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা একবার নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে সফর করছিলাম। আমাদের মধ্যে কতেক সাওম [রোজা] পালনকারী ছিলেন আর কতেক সাওম [রোজা] ভঙ্গকারী ছিলেন কিন্তু আমাদের সাওম [রোজা] পালনকারীরাও সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীদের তিরস্কার করছিলেন না আর সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীরাও সাওম [রোজা] পালনকারীদের তিরস্কার করছিলেন না।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩১১. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে একবার সফর করছিলাম, আমাদের কতেক সাওম [রোজা] পালন করছিলেন আর কতেক সাওম [রোজা] ভঙ্গ করছিলেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩১২. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সফর করছিলেন, তখন সাওম [রোজা] পালনকারীরা সাওম [রোজা] পালন করিতেন আর সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীরা সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিতেন। কিন্তু সাওম [রোজা] পালনকারীরাও সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীদের তিরস্কার করিতেন না আর সাওম [রোজা] ভঙ্গকারীরাও সাওম [রোজা] পালনকারীদের তিরস্কার করিতেন না।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৫.পরিচ্ছেদঃ মুসাফিরের জন্য কিছু সাওম [রোজা] পালন করার কিছু সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেলার অনুমতি

২৩১৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ মক্কা বিজয়ের বছর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমযান মাসে সাওম [রোজা] পালন অবস্হায় বের হলেন। যখন কাদীদ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেললেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৬.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসে ব্যতিত অবস্থানকালে সাওম [রোজা] শুরু করে তারপর সফর শুরু করে, তার জন্য সাওম [রোজা] ভঙ্গ করার অনুমতি

২৩১৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার সফর করছিলেন এবং সাওম [রোজা] শুরু করে উসফান নামক স্হানে পৌঁছলেন। তারপর একটি পাত্র চেয়ে নিয়ে দিনের বেলায়ই পান করিলেন যাতে লোকজন দেখিতে পায়। অতঃপর সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেললেন এবং মক্কায় প্রবেশ করে রমযান মাসে মক্কা বিজয় করে ফেললেন। ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সফরকালীন অবস্হায় সাওম [রোজা] শুরু করে তারপর তা ভঙ্গ করে ফেলেছিলেন। তাই যাহার ইচ্ছা হয় সে সাওম [রোজা] পালন করিবে আর যাহার ইচ্ছা হয় সে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেলবে।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৭.পরিচ্ছেদঃ গর্ভবতী এবং স্তন্য দানকারিণী মহিলা থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী করা

২৩১৫. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

সাহাবীদের থেকে এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে মদীনায় আসলেন। তখন তিনি দ্বিপ্রহরের আহার করছিলেন। নাবী [সাঃআঃ] তাঁকে বলিলেন যে, খেতে এসো। তিনি বললেনঃ আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। নাবী [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন যে,। আল্লাহ তাআলা মুসাফির, গর্ভবর্তী এবং স্তন্য দানকারিণী মহিলার উপর থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী, অর্ধেক নামাজকে রহিত করে দিয়েছেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

১৮.পরিচ্ছেদঃ আল্লহর বাণীঃ [আরবী আছে] -এর তফসীর

২৩১৬. সালামা ইবনি আকওয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন

وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ [البقرة: 184]

আছে] আয়াত অবর্তীর্ন হল তখন আমাদের মধ্যে যারা ইচ্ছা করত সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে ফেলত এবং ফিদয়া দিত। যখন তার পরবর্তী আয়াতঃ [আরবী আছে] অবর্তীর্ন হল উক্ত আয়াতের হুকুমকে রহিত করে দিল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩১৭. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহ তাআলার বাণীঃ

وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ [البقرة: 184]

অর্থঃ আর যাদের সাওম [রোজা] পালন করার সামর্থ্য আছে তারা ইচ্ছা করলে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করে একজন মিসকীনকে তার বিনিময়ে খাদ্য দান করিতে পারবে]-এর ব্যাখ্যায় বর্ণিত আছেঃ যাদের সাওম [রোজা] করিতে খুব বেশী কষ্ট হয় তারা প্রত্যেকটি সাওমের পরিবরর্তে ফিদয়া স্বরূপ একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করিবে। আর যে ব্যক্তি আরো অধিক দান করিবে তা তার জন্য উত্তম হইবে-এই আয়াতের হুকুম রহিত হয়নি আর যদি তোমরা সাওম [রোজা] পালন কর তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম। অত্র আয়াতে সাওম [রোজা] পালনে সামর্থ্যবানদের অব্যাহতি দেওয়া হয়নি বরং অক্ষম এবং এমন অসুস্হ ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে যাদের রোগ মুক্তির আশা নেই।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৯.পরিচ্ছেদঃ ঋতুবতী মহিলার উপর থেকে সাওম [রোজা]-কে মুলতবী করা

২৩১৮. মুআযা আদাবীয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

এক মহিলা আয়েশা [রাঃআঃ]-এর কাছে জিজ্ঞাসা করিল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হইবে তখন কি সে নামাজ কাযা করিবে? তিনি বলিলেন, তুমি কি হারূরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম [রোজা] কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু নামাজ কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৩১৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যদি আমার উপর রমযানের সাওম [রোজা] অনাদায়ী থেকে যেত তবে আমি তা পূনরায় শাবান মাস না আসা পর্যন্ত কাযা করতাম না।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২০.পরিচ্ছেদঃ রমযান মাসে ঋতুবতী মহিলা পবিত্র হলে বা মুসাফির [বাড়িতে] ফিরে এলে তারা কি দিনের অবশিষ্ট সময় সাওম [রোজা] পালন করিবে?

২৩২০. মুহাম্মাদ ইবনি সায়ফী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আশুরার দিন জিজ্ঞাসা করিলেন যে, আজ কি তোমরা কেউ কিছু খেয়েছ? তারা বলিলেন, আমাদের কেউ কেউ সাওম [রোজা] পালন করছে আর কেউ কেউ সাওম [রোজা] ভঙ্গ করেছে। তখন তিনি বলিলেন, তবে তোমরা অবশিষ্ট দিন পূর্ন করে ফেল [না খেয়ে খাক]। আর মক্কা ও মদীনার আশে পাশেও সংবাদ পাঠাও তারাও যেন তাহাদের দিনের অবশিষ্ট অংশ পূর্ন করে ফেলে।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply