সেহরির ফজিলত – ছাতু এবং খোরমা দ্বারা সেহরি খাওয়া

সেহরির ফজিলত – ছাতু এবং খোরমা দ্বারা সেহরি খাওয়া

সেহরির ফজিলত – ছাতু এবং খোরমা দ্বারা সেহরি খাওয়া >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ২২ঃ সাওম [রোজা], হাদীস (২১৬২-২১৭১)

১.পরিচ্ছেদঃ সেহরি বিলম্বে খাওয়া
২.পরিচ্ছেদঃ সেহরি এবং ফজরের সালাতের মধ্যকার ব্যবধান
৩.পরিচ্ছেদঃ হিশাম ও সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক কাতাদার বর্ণনায় পার্থক্য
৪.পরিচ্ছেদ ঃ সুলায়মান ইবনি মিহরান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে সেহরি বিলম্বে খাওয়ার শব্দ ও সনদের পার্থক্য বর্ণনা ৫.পরিচ্ছেদঃ সেহরির ফযীলত
৬.পরিচ্ছেদঃ সেহরি খাওয়ার জন্য আহবান করা
৭.পরিচ্ছেদঃ সেহরিকে সকালের খাদ্য বলে নামকরণ
৮.পরিচ্ছেদঃ আমাদের সাওম [রোজা] এবং আহলে কিতাবের সাওমের মধ্যে পার্থক্য
৯..পরিচ্ছেদঃ ছাতু এবং খোরমা দ্বারা সেহরি খাওয়া
১০.পরিচ্ছেদঃ ফজর কখন হইবে?

১.পরিচ্ছেদঃ সেহরি বিলম্বে খাওয়া

২১৫২. যির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর কাছে বললামঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে আপনি কখন সেহরি খেতেন? তিনি বললেনঃ খুব ভোরেই। তবে হ্যাঁ, তখনো সূর্য উদয় হত না [ভোর রাত্রের শেষের দিকে]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২১৫৩. যির ইবনি হুবায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আমি হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর সাথে সেহরি খেলাম। অতঃপর নামাজ আদায় করার জন্য বের হলাম। যখন আমরা মসজিদে পৌছে দুরাকআত নামাজ আদায় করলাম [ফজরের সুন্নাত]। তখনই [জামাআতের] ইকামাত বলা হল। উভয়ের মাঝখানে মাত্র অল্প কিছুক্ষণ সময়ের ব্যবধান ছিল।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৫৪. সিলাহ ইবনি যূফার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর সাথে সেহরি খেলাম। অতঃপর মসজিদে গিয়ে দুরাকাআত ফজরের নামাজ [সুন্নাত] আদায় করলাম। তারপরই সালাতের [জামাআতের] ইকামাত দেয়া হল এবং আমরা নামাজ [ফজরের ফরয] আদায় করলাম।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২.পরিচ্ছেদঃ সেহরি এবং ফজরের সালাতের মধ্যকার ব্যবধান

২১৫৫. যায়দ ইবনি ছাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সেহরি খেলাম। অতঃপর নামাজ আদায়ের জন্য দাড়িয়ে গেলাম। রাবী বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, এতভয়ের মধ্যকার ব্যবধান কতক্ষণ ছিল? তিনি বললেনঃ কোন ব্যক্তির পঞ্চাশ আয়াত পড়ার সম পরিমাণ সময়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩.পরিচ্ছেদঃ হিশাম ও সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক কাতাদার বর্ণনায় পার্থক্য

২১৫৬. যাহাদ ইবনি ছাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সেহরি খেলাম। অতঃপর [ফজরের] নামাজ আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম। রাবী বলেনঃ সম্ভবত আনাস [রাঃআঃ] জিজ্ঞাসা করছিলেন, উভয়ের মাঝখানের ব্যবধান কতক্ষণ ছিল? তখন তিনি বলেছিলেন কোন ব্যাক্তির পঞ্চাশ আয়াত পড়ার সমপরিমান সময় [এর ব্যবধান ছিল]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৫৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এবং যায়দ ইবনি ছাবিত [রাঃআঃ] একত্রে সেহরি খেলেন। অতঃপর উভয়ে ফজরের নামাজ শুরু করে দিলেন। রাবী বলেনঃ আমরা আনাস [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তাঁদের সেহরি শেষ করা এবং নামাজ শুরু করার মধ্যকার ব্যবধান কতক্ষণ ছিল? তিনি বলেনঃ কোন ব্যক্তির পঞ্চাশ আয়াত পড়ার সমপরিমাণ সময়।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪.পরিচ্ছেদ ঃ সুলায়মান ইবনি মিহরান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে সেহরি বিলম্বে খাওয়ার শব্দ ও সনদের পার্থক্য বর্ণনা

২১৫৮. আবু আতিয়্যা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা [রাঃআঃ]-কে বললামঃ আমাদের মধ্যে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এমন দু-জন সাহাবী আছেন, যাদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সেহরি বিলম্বে খান। আর দ্বিতীয়জন ইফতার বিলম্বে করেন এবং সেহরি তাড়াতাড়ি খান। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন যে, তাঁদের মধ্যে কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সেহরি বিলম্বে খান? আমি বললাম আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ]। তিনি {আয়িশা [রাঃআঃ]} বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরকমই করিতেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৫৯. আবু আতিয়্যা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা [রাঃআঃ]-কে বললাম যে, আমাদের মধ্যে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এমন দুজন সাহাবী আছেন যাদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, সেহরি বিলম্বে খান। অন্যজন ইফতার বিলম্বে করেন এবং সেহরি তাড়াতাড়ি খান। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন যে, কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সেহরি বিলম্বে খান? আমি বললামঃ আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] তখন তিনি বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরকমই করিতেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৬০. আবু আতিয়্যা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, একদা আমি এবং মাসরুক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আয়িশা [রাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম। তখন মাসরুক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আয়িশা [রাঃআঃ]-কে বলিলেন যে, আমাদের মাঝে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এমন দুজন সাহাবী আছে, তাঁরা উভয়েই সওয়াব পাওয়ার আকাঙ্ক্ষী। তন্মধ্যে একজন মাগরিবের নামাজ এবং ইফতার বিলম্বে করেন। আর অপরজন মাগরিবের নামাজ এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করেন। তখন আয়িশা [রাঃআঃ] জিজ্ঞাসা করিলেন যে, কে মাগবিবের নামাজ এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, মাসরুক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বললেনঃ আব্দুলাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ]। তখন আয়িশা [রাঃআঃ] বললেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ রকমই করিতেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৬১. আবু আতিয়্যা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি এবং মাসরুক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আয়িশা [রাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম এবং বললামঃ হে মুমিনদের মাতা! আমাদের মধ্যে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এমন দুজন সাহাবী আছেন যাঁদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, এবং মাগরিবের নামাজও তাড়াতাড়ি করেন। আর অন্যজন ইফতার বিলম্বে করেন এবং মাগরিবের নামাজও বিলম্বে আদায় করেন। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন যে, তাঁদের মধ্যে কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং মাগরিবের নামাজ তাড়াতাড়ি আদায় করেন? আমরা বললামঃ আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ]। তখন তিনি বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও এরকমই করিতেন। [রাবী বলেনঃ ] দ্বিতীয় সাহাবী ছিলেন আবু মুসা [রাঃআঃ]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫.পরিচ্ছেদঃ সেহরির ফযীলত

২১৬২. ইসহাক ইবনি মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি একদা নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম যখন তিনি সেহরি খাচ্ছিলেন। তখন তিনি বলিলেন যে, এতে বরকত রয়েছে, আল্লাহ তাআলা এ বরকত তোমাদেরকেই দান করিয়াছেন। অতএব তোমরা একে ছাড়বে না।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬.পরিচ্ছেদঃ সেহরি খাওয়ার জন্য আহবান করা

২১৬৩. ইরবায ইবনি সারিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রমযান মাসে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সেহরি খাওয়ার জন্য আহবান করিতে এবং বলিতে শুনিয়াছি যে, তোমরা সকালে পবিত্র আহারের দিকে এস।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭.পরিচ্ছেদঃ সেহরিকে সকালের খাদ্য বলে নামকরণ

২১৬৪. মিকদাম ইবনি মাদী কারিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমরা ভোর রাত্রের খাদ্য অবশ্যই খাবে। কেননা সেটাই সকাল বেলার পবিত্র খাবার।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৬৫. খালিদ ইবনি মাদান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে বলেছেনঃ তোমরা সকাল বেলার পবিত্র আহারের দিকে এসো অর্থাৎ সেহরির দিকে এস।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৮.পরিচ্ছেদঃ আমাদের সাওম [রোজা] এবং আহলে কিতাবের সাওমের মধ্যে পার্থক্য

২১৬৬. আমর ইবনি আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, আমাদের সাওম [রোজা] এবং আহলে কিতাব-এর সাওমের মধ্যে পার্থক্য হল সেহরি খাওয়া। [আমরা সেহরি খাই কিন্তু ইয়াহুদ ও খ্রিস্টানরা তা খায় না]।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৯.পরিচ্ছেদঃ ছাতু এবং খোরমা দ্বারা সেহরি খাওয়া

২১৬৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, [একদা] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেহরির সময় বলিলেন যে, হে আনাস! আমি সাওম [রোজা] পালন করার ইচ্ছা করেছি, তুমি আমাকে কিছু খাবার দাও। তখন আমি তাহাঁর কাছে কিছু খোরমা এবং পানীয় একটি পাত্র আনলাম। এগুলো আমি বেলাল [রাঃআঃ]-এর [সেহরি] আযান দেওয়ার পর এনেছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে আনাস! একজন লোক তালাশ করে আন সে আমার সাথে আহার করিবে। তখন আমি যায়দ ইবনি ছাবিত [রাঃআঃ]-কে ডাকলাম, তিনি এসে বললেনঃ আমি কিছু ছাতূর পানি পান করেছি এবং সাওম [রোজা] পালন করার ইচ্ছা করেছি। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমিও তো সাওম [রোজা] পালন করার ইচ্ছা করেছি। অতঃপর তাহাঁর সাথে সেহরি খেলেন এবং দাঁড়িয়ে গিয়ে দুরাকাআত নামাজ [ফজরের সূন্নাত] আদায় করে ফজরের ফরয নামাজ আদায় করার জন্য বের হইয়া গেলেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৬৮. বারা ইবনি আযিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ তাহাদের কেউ যদি রাত্রের আহার না করেই ঘুমিয়ে পড়ত তবে তার জন্য সেই রাত্রে এবং পরের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছু খাওয়া ও পান করা বৈধ ছিল না। [আরবী আছে] এই আয়াত অবতীর্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত [এ নিয়ম ছিল]। রাবী বলেন, এই আয়াত আবু কায়স ইবনি আমর [রাঃআঃ] সম্পর্কেও অবতীর্ণ হইয়াছিল। তিনি সাওম [রোজা] পালন করে মাগরিবের পর নিজ স্ত্রীর কাছে এসে বলিলেন যে, আহার করার মত কিছু আছে কি? তার স্ত্রী বলিলেন, আমার কাছে তো আহার করার মত কিছু নেই। তবে আমি আপনার জন্য রাত্রের আহারের সন্ধানে বের হচ্ছি। তারপর তাহাঁর স্ত্রী বের হইয়া গেলেন। ইতিমধ্যে তিনি মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন এবং ঘুমিয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর স্ত্রী তাহাঁর কাছে ফিরে এসে তাকে নিদ্রিত অবস্থায় পেয়ে জাগিয়ে দিলেন কিন্তু তিনি কিছুই না খেয়েই রাত্র কাটিয়ে সকাল থেকে সাওম [রোজা] পালনরত থাকলেন। দুপুর হলে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললেন। এ ঘটনাটি এ আয়াত অবর্তীর্ন হওয়ার পূর্বেই সংঘটিত হইয়াছিল। তার পরেই আল্লাহ তাআলা এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াত অবর্তীর্ন করেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৬৯. আদি ইবনি হাতিম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আল্লাহর বানীঃ

حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ [البقرة: 187]

সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন, এ হল রাত্রের অন্ধকার এবং দিনের শুভ্রতা।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১০.পরিচ্ছেদঃ ফজর কখন হইবে?

২১৭০. ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেছেন যে, তোমাদের মধ্যে যারা নিদ্রিত তাহাদের জাগ্রত করার জন্য এবং তোমাদের মধ্যে যারা তাহাজ্জ্বুদের নামাজ আদায়রত আছে তাহাদেরকে বিরত করার জন্য বিলাল [রাঃআঃ] রাত্রে আযান দেয়। অতঃপর তিনি নাবী [সাঃআঃ] উভয় হাতের কব্জি দ্বারা ইঙ্গিত করে দেখালেন যে এরূপ চিহ্ন প্রকাশ পাওয়া ফজর হওয়ার লক্ষণ নয়। বরং ফজর হওয়ার লক্ষণ হল এরকম চিহ্ন প্রকাশ পাওয়া। এই বলে তিনি স্বীয় তর্জনী অঙ্গূলিদ্বয় দ্বারা ইঙ্গিত করিলেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২১৭১. সামুরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন যে, বিলাল [রাঃআঃ]-এর আযান এবং এই শুভ্রতা যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলে না দেয়, যতক্ষণ না এ রকম, এ রকমভাবে প্রভাতের আলোর রেখা প্রকাশ পায় অর্থাৎ দিগন্তে। আবু দাঊদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন যে, এরপর তিনি স্বীয় হম্ভদ্বয় লম্বালম্বি ভাবে ডানে বামে ছড়িয়ে দিলেন।

রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply