রমজান মাস কত দিনে – বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা
রমজান মাস কত দিনে – বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ২২ঃ সাওম [রোজা], হাদীস (২০৯০-২১৫১)
১.পরিচ্ছেদ :সাওম [রোজা] ফরয হওয়া
২.পরিচ্ছেদ: মামার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
৩.পরিচ্ছেদ: রমযান মাসকে শুধু রমযান বলার অনুমতি
৪.পরিচ্ছেদ: বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা
৫.পরিচ্ছেদঃ রমযান মাসের চাঁদ দেখার ব্যাপারে একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা এবং এ ব্যাপারে সিমাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসে সুফিয়ান[রাঃআঃ]-এর বর্ণনা পার্থক্য
৬.পরিচ্ছেদঃ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করা এবং আবু হুরাইরা রাঃআঃ] থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনা পার্থক্য
৭.পরিচ্ছেদঃ উবায়দুল্লাহ্ ইবনি উমার থেকে এ হাদিসের সনদের পার্থক্য বর্ণনা
৮.পরিচ্ছেদঃ আমর ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় সনদের পার্থক্য
৯.পরিচ্ছেদঃ মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক রিবয়ী ইবনি হিরাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনায় সনদের পার্থক্য
১০.পরিচ্ছেদঃ যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে উক্ত রেওয়াত বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা
১১.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-এর হাদীস-এর বর্ণনা
১২.পরিচ্ছেদঃ ইসমাইল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে সাদ ইবনি মালিক থেকে হাদীস বরননায় পার্থক্য
১৩.পরিচ্ছেদঃ ইয়াহয়া ইবনি আবী কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্রে আবু সালামা থেকে উক্ত হাদীদ বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা
১৪.পরিচ্ছেদঃ আব্দুল মালিক ইবনি আবু সুলাইমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্রে এ হাদীস বর্ণনায় সনদের পার্থক্য
১৫.পরিচ্ছেদঃ সেহরি বিলম্বে খাওয়া
১৬.পরিচ্ছেদঃ সেহরি এবং ফজরের সালাতের মধ্যকার ব্যবধান
১৭.পরিচ্ছেদঃ হিশাম ও সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক কাতাদার বর্ণনায় পার্থক্য
১৮.পরিচ্ছেদ ঃ সুলায়মান ইবনি মিহরান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে সেহরি বিলম্বে খাওয়ার শব্দ ও সনদের পার্থক্য বর্ণনা
১.পরিচ্ছেদ :সাওম [রোজা] ফরয হওয়া
২০৯০. তালহা ইবনি উবায়দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এলোমেলো চুল বিশিষ্ট এক বেদুঈন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে বললো, ইয়া রসুলুল্লাহ! আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে নামাজসমূহ ফরয করিয়াছেন সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলিলেন, আল্লাহ তাআলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করিয়াছেন। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করিবে। তারপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তা}আলা আমার উপর যে সাওম [রোজা] ফরয করিয়াছেন সে সমন্ধে অবহিত করুন। তিনি বলিলেন, রমযান মাসের সাওম [রোজা]। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করিবে। অতঃপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে যাকাত ফরয করিয়াছেন সে সমন্ধে অবহিত করুন। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে ইসলামী শরীয়ার আহকাম সম্পর্কে অবহিত করিলেন। অতঃপর সে বললো, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করিয়াছেন আমি অতিরিক্ত কোন নফল ও আদায় করবনা এবং আল্লাহ তাআলা আমার উপর যা যা ফরয করিয়াছেন তাতে কোন কম করব না। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে কৃতকার্য হইয়া যাবে অথবা তিনি বলিলেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরআনে আমাদের নিষেধ করা হইয়াছে যেন নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর কাছে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন না করি। তাই আমরা মনে মনে আশংকা করতাম যেন গ্রাম থেকে কোন জ্ঞানী ব্যাক্তি এসে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করে। ইতিমধ্যে একজন গ্রাম্য ব্যক্তি এসে বলিল, হে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]! আমাদের কাছে আপনার দূত এসেছিলেন। তিনি আমাদের বলিলেন যে, আপনি নাকি দাবী করেন যে, আল্লাহ তাআলা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? তিনি বলিলেন যে, সে সত্যই বলেছে। অতঃপর সে প্রশ্ন করলঃ তবে আসমান কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা, অতঃপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীন-কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। তারপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীনে পাহাড়সমূহ কে স্হাপন করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। এরপর সে প্রশ্ন করলঃ তাতে উপকারী বৃক্ষসমূহ কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করিয়াছেন আর তাতে পাহাড়সমুহ স্হাপন করিয়াছেন এবং তাতে উপকারী বৃক্ষসমূহ সৃষ্টি করিয়াছেন- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি-আপনাকে রাসুল রুপে প্রেরন করিয়াছেন- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বলিলেন, হ্যা। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর স্বীয় ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললোঃ সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করিয়াছেন- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক বছর রমযানের রোজা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বলিল, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করিয়াছেন- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের মধ্যে রাহা খরচ বহনের উপর সামর্থ্যবানদের উপর হজ্জ ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললো, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করিয়াছেন- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করিয়াছেন- আমি-এগুলোর উপর কোন কিছু কখনো বৃদ্ধিও করবো না আর এর থেকে [কিছু] হ্রাসও করবো না। যখন সে ফিরে গেলো, তখন নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, যদি সে তার কথায় সত্যবাদী হইয়া থাকে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯২. আনাস ইবন্ মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে উটের উপর আরোহণ করে এক ব্যক্তি আসলো এবং সেই উটকে মসজিদের [আঙ্গিনায়] বসালো ও বাঁধলো আর উপস্থিত লোকদের জিজ্ঞাসা করলোঃ তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] কে? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন উপস্থিতদের মধ্যে ঠেস দিয়ে বসা ছিলেন। আমরা তাকে বললাম, এই ঠেস দিয়ে বসা ফর্সা ব্যক্তি। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সেই ব্যক্তি বললোঃ হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত! তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। তখন সেই ব্যাক্তি বললোঃ হে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশ্নের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করব। আপনি কিছু মনে করবেন না। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন কর। তখন সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে শপথ দিয়ে বলছি আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন” নিশ্চয়ই। সে বললো, এখন আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাত-দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করিতে নির্দেশ দিয়েছেন? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন” নিশ্চয়ই। অতপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে বছরের এ [রমযান] মাসে সাওম [রোজা] পালন করিতে নির্দেশ দিয়েছেন? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ নিশ্চয়। “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ নিশ্চয়ই, “-হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন” তারপর সে ব্যাক্তি বললোঃ আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দূতরূপে এসেছি এবং আমার নাম হল দিমাম ইবনি ছালাবা; আমি সাদ ইবনি বাক্র গোত্রের লোক।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯৩. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মসজিদে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে উটের উপর আরোহণ করে এক ব্যক্তি আসলো এবং সেই উটকে মসজিদের [আঙ্গিনায়] বসিয়ে বেঁধে ফেললো। অতঃপর বললোঃ তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-কে? তিনি তখন আমাদের মধ্যে ঠেস দিয়ে বসা ছিলেন। তখন আমরা তাকে বললাম, এই ঠেস দিয়ে বসা ফর্সা ব্যক্তি। তৎপর সে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বললোঃ হে আলে মুত্তালিবের বংশজাত। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। অতঃপর সে বললোঃহে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশের ব্যাপারে আপনার সাথে কঠোরতা অবলম্বন করবো। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন করো। সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভূ এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভূর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে প্রত্যেক বছরের এ [রমযান] মাসে সাওম [রোজা] পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাবী বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আলাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। অতঃপর সে বললো, আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দূত স্বরূপ এসেছি; আর আমার নাম হল দিমাম ইবনি ছালাবা আমি সাদ ইবনি বাক্র গোত্রের লোক।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] নিজ সাহাবীদের সাথে ছিলেন, ইতিমধ্যে একজন গ্রাম্য ব্যক্তি তাহাদের কাছে এসে বললোঃ তোমাদের মধ্যে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত কে? সাহাবীগণ বললেনঃ এই হেলান দেওয়া লালবর্ন মিশ্রিত ফর্সা ব্যক্তি। হামযা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ [আর-বি] শব্দের অর্থ হল লালবর্ন মিশ্রিত ফর্সা। অতঃপর সেই ব্যক্তি বললোঃ আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো। আর প্রশ্নের ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কঠোরতা অবলম্বন করবো। তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন কর। সে বললোঃ আমি আপনার প্রভৃ এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে আপনাকে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে প্রেরণ করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো”, তারপর সে বললোঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করবো। আল্লাহ তা-আলা কি আপনাকে রাতদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো”। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের ধন-সম্পদ থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে বার মাসের মধ্যে এ [রমযান] মাসে সাওম [রোজা] পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বলিলেন, নিশ্চয়ই, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের মধ্যে রাহা খরচ বহনের উপর সামর্থ্যবানদের জন্য কাবা ঘরের হজ্জ করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন”। তারপর সে বললোঃ আপনার উপর আমি বিশ্বাস স্হাপন করলাম এবং আপনাকে সত্যবাদীরূপে মেনে নিলাম। আর আমার নাম হল দিমাম ইবনি ছালাবা।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯৫. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] অন্যান্য লোকদের তূলনায় অত্যধিক দানশীল ব্যাক্তি ছিলেন। রমযান মাসে যখন জিবরাঈল [আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাহাঁর সাথে সাক্ষাৎ করিতেন তখন তিনি অত্যধিক দানশীল হইয়া যেতেন। আর জিবরাঈল [আলাইহি ওয়াসাল্লাম] রমযানের প্রত্যেক রাত্রে তাহাঁর সাথে সাক্ষাৎ করিতেন এবং তাঁকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] বলেন, যখন জিবরাঈল [আলাইহি ওয়াসাল্লাম] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে সাক্ষাত করিতেন তখন তিনি প্রবাহমান বায়ু অপেক্ষাও অত্যধিক দানশীল হইতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯৬. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] উল্লেখযোগ্য কোন অভিশাপ দিতেন না। আর যখন জিবরাঈল [আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর অবতরণের সময় নিকটবর্তী হত যিনি তাঁকে কুরআন শিক্ষা দিতেন, তখন তিনি প্রবামান বায়ূ অপেক্ষাও অত্যধিক দানশীল হইতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে বেঁধে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে বেঁধে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০৯৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১০০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১০১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানকে শূংখলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১০২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রমযান মাস আসে করে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খূলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২১০৩. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এই রমযান মাস যা তোমাদের কাছে আগমন করেছে। এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
১.পরিচ্ছেদ: মামার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
২১০৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] ফরয ব্যতীত রমযানের তারাবীহ্র নামাজ আদায় করার জন্যও উৎসাহিত করিতেন। তিনি বলিতেন যে,যখন রমযান আগমন করে জান্নাতের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১০৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন রমযান আগমন করে তখন রহমতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২১০৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমাদের নিকট রমযান উপস্থিত হইয়াছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের উপরে আল্লাহ তাআলা অত্র মাসের সওম ফরয করিয়াছেন। এ মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, আর আল্লাহর অবাধ্য শয়তানদের গলায় লোহার বেড়ী পরানো হয়। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১০৭. আরফাজা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমরা উতবা ইবনি ফারকাদের অসুস্হতা দেখিতে গিয়ে আমরা সেখানে রমযান মাস সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি ব্যাপারে আলোচনা করছ? আমরা বললাম, রমযান মাস সম্পর্কে। তিনি বলিলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, রমযান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের গলায় লোহার শিকল পরানো হয়। এবং প্রত্যেক রাতে একজন আহবানকারী ডাক দিয়ে বলে, হে কল্যাণকামীগণ তোমরা নেক কাজ কর, হে পাপিষ্ঠগণ তোমরা পাপকর্ম থেকে বিরত থাকো।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২১০৮. আরফাজা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি একটি ঘরে অবস্হান করছিলাম যেখানে উতবা ইবনি ফারকাদ [রাঃআঃ] ছিলেন। আমি একটি হাদীস বর্ণনা করিতে চাইলাম, কিন্তু সেখানে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে একজন সাহাবীও উপস্থিত ছিলেন, যিনি হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে আমার চেয়ে অধিক অভিজ্ঞ ছিলেন। তিনি নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমযান মাসের ব্যাপারে বলেছেন, রমযান মাসে আসমানের দরজাসমূহ খূলে দেয়া হয়, আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, আর প্রত্যেক দুষ্টু শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। প্রত্যেক রাতে একজন আহবানকারী আহবান করিতে থাকে, হে কল্যাণকামীগণ তোমরা নেক কাজ কর, হে পাপিষ্ঠগণ তোমরা পাপ হইতে বিরত থাকো।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিচ্ছেদ: রমযান মাসকে শুধু রমযান বলার অনুমতি
২১০৯. আবু বাক্রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ কখনও এরুপ বলবে না, আমি পূরা রমযানের সাওম [রোজা] পালন করেছি অথবা আমি পূরা রমযান মাসে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করেছি। রাবী বলেন, কেন তিনি এরুপ বলা অসমীচীন মনে করিয়াছেন তা আমার জানা নেই। হয়তো বা এর মধ্যে নিজ প্রশংসা বা অসাবধানতা আছে বলেই তিনি এরুপ বলাকে সমীচীন মনে করেননি।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২১১০. ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একজন আনসারী মহিলাকে বলেছিলেন, যখন রমযান এসে যাবে তখন তুমি একটি উমরাহ্ আদায় করিবে। কেননা রমযানের একটি উমরাহ্ একটি হজ্জের সমপরিমাণ।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদ: বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা
২১১১. কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
একদা উম্মে ফাযল [রাঃআঃ] তাঁকে মুআবিয়া [রাঃআঃ]-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাহাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্হান করলে জুমূআর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতঃপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বলিলেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু-আর রাত্রে দেখেছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করিলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমুআর রাত্রে নিজে দেখেছিলে? আমি বললামঃ হ্যাঁ, অন্যান্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম [রোজা] পালন করেছে এবং মুআবিয়া [রাঃআঃ]-ও সাওম [রোজা] পালন করিয়াছেন। তিনি বলিলেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম [রোজা] পালন করিতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম [রোজা] পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মূআবিয়া অথবা তাহাঁর সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বলিলেন, না, বরং আমাদেরকে নাবী [সাঃআঃ] এরুপই নির্দেশ দিয়েছেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ রমযান মাসের চাঁদ দেখার ব্যাপারে একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা এবং এ ব্যাপারে সিমাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসে সুফিয়ান[রাঃআঃ]-এর বর্ণনা পার্থক্য
২১১২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এক বেদুঈন এসে বললো যে, আমি চাঁদ দেখেছি, তখন রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলিলেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই এবং মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] তার বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘোযণা দিলেন যে, তোমরা সবাই সাওম [রোজা] পালন কর।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২১১৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে একজন বেদূঈন এসে বলিলেন যে, আমি রাত্রে চাঁদ দেখেছি, তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দেও যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে বেলাল! তুমি লোকদের সামনে ঘোযণা করে দাও যে, তারা যেন সাওম [রোজা] পালন করে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২১১৪. ইকরিমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
মুরসাল সুত্রে এই হাদীসটি বর্নিত।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২১১৫. ইকরিমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
মুরসাল সুত্রে এই হাদীসটি বর্নিত।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২১১৬. আব্দুর রহমান ইবনি যায়দ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রমযান বা শাবান মাসের সন্দেহযূক্ত দিনে লোকদের উদ্দেশ্য করে বললেনঃ শুন, আমি একবার রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের সাথে বসা ছিলাম। আমি তাহাদের প্রশ্ন করলে তাঁরা আমার কাছে বর্ননা করিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] পালন কর এবং চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] ভঙ্গ কর আর চাঁদ দেখেই কুরবানী কর। তবে হ্যাঁ, [শাবান মাসের ২৯ তারিখে] যদি আকাশে মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে তোমরা মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে নেবে। তবে দুজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলে তোমরা সাওম [রোজা] পালন করিবে এবং ভঙ্গ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করা এবং আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনা পার্থক্য
২১১৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] পালন করিবে এবং চাঁদ দেখেই সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১১৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] পালন করিবে এবং চাঁদ দেখেই সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১১৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তোমরা [রমযানের] চাঁদ দেখ তখন সাওম [রোজা] পালন কর। আর যখন তোমরা [শাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখ তখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ কর। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন সাওম [রোজা] পালন করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১২০. আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেছেনঃ যখন তোমারা চাঁদ দেখ তখন সাওম [রোজা] পালন করিবে। যখন [শাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখ সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। তবে হ্যাঁ, আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২১২১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমযানের আলোচনা করছিলেন, তখন তিনি বললেনঃ যতক্ষন পর্যন্ত তোমরা চাঁদ দেখিতে না পাও সাওম [রোজা] পালন করিবে না। আবার যতক্ষন পর্যন্ত [সাওয়ালের] চাঁদ দেখিতে না পাও তোমরা সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে না। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে তোমরা মাসের দিন গুণে নেবে [ত্রিশ দিন পূর্ন করিবে]।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ উবায়দুল্লাহ্ ইবনি উমার থেকে এ হাদিসের সনদের পার্থক্য বর্ণনা
২১২২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেছেনঃ যতক্ষন পর্যন্ত [রমযানের] চাঁদ দেখিতে না পাও তোমরা সাওম [রোজা] পালন করিবে না। এবং যতক্ষন পর্যন্ত [শাওয়ালের] চাঁদ দেখিতে না পাও তোমরা সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে না। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে তোমরা দিন গুণে নেবে [ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে]।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১২৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] চাঁদের ব্যাপারে আলোচনা করে বললেনঃ যখন তোমরা [রমযানের] চাঁদ দেখবে সাওম [রোজা] পালন করিবে আর যখন তোমরা [সাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখবে তখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে তোমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ আমর ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় সনদের পার্থক্য
২১২৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমরা [রমযান মাসের] চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] পালন করিবে এবং [শাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে [শাবান মাসের দিন গণনা করে] ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১২৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আশ্চর্যবোধ করি ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে যে রমযান মাস আসার পূর্বেই সাওম [রোজা] পালন করে, অথচ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, যখন তোমরা [রমযানের] চাঁদ দেখবে তখন সাওম [রোজা] পালন করিবে আর [শাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখবে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে [শাবান মাসের দিন গণনা করে] ত্রিশ দিন পৃর্ণ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক রিবয়ী ইবনি হিরাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনায় সনদের পার্থক্য
২১২৬. হুযায়ফা ইবনি ইয়ামান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, তোমরা রমযান মাসের চাঁদ না দেখার পূর্বে কিংবা শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে রমযানের সাওম পালন করিবে না। এরপর তোমরা রমযানের সাওম [রোজা] পালন করিতে থাকিবে যতক্ষন পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখবে কিংবা তার পূর্বেই রমযানের মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হইবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১২৭. মুহাম্মাদ ইবনি বাশ্শার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমরা রমযান মাসের চাঁদ না দেখার পূর্বে কিংবা শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে রমযানের সাওম [রোজা] পালন করিবে না। এরপর তোমরা রমযানের সাওম [রোজা] পালন করিতে থাকিবে যতক্ষন পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখবে কিংবা তার পূর্বেই রমযান মাস ত্রিশ দিন হইবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১২৮. রিবয়ী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, যখন তোমরা রমযান মাসের চাঁদ দেখবে তখন সাওম [রোজা] পালন করিবে আর যখন [শাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখবে তখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। তবে হ্যাঁ যদি আকাশে মেঘাছন্ন থাকে তাহলে শাবান মাসকে ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে। তবে এর পূর্বেই চাঁদ দেখলে রমযানের সাওম [রোজা] পালন করিবে। এরপর রমাযানের সাওম [রোজা] পালন করিতে থাকরে যতক্ষণ পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখবে বা তার পূর্বেই রমযান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হইবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২১২৯. ইকরিমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ননা করিয়াছেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমরা [রমযানের] চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] পালন করিবে এবং [শাওয়ালের] চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। তবে হ্যাঁ, তোমাদের এবং চাঁদের মাঝখানে যদি মেঘ আড়াল হয় তাহলে তোমরা [শাবান] মাসকে ত্রিশ দিন পূর্ন করিবে। চাঁদ দেখার পুর্বেই সাওম [রোজা] পালন দ্বারা রমযান মাসকে সংবর্ধনা জানাবে না।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৩০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমরা রমযানের পূর্বে সাওম [রোজা] পালন করিবে না। বরং তোমরা চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] পালন করিবে এবং চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] ভঙ্গও করিবে। তবে হ্যাঁ, যদি চাঁদকে মেঘ আড়াল করে দেয় তবে তোমরা [শাবান] মাসকে ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে উক্ত রেওয়াত বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা
২১৩১. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] শপথ করেছিলেন যে, তিনি এক মাস বিবিদের কাছে যাবেন না। অতঃপর তিনি উত্রিশ দিন হওয়ার পর [আমার ঘরে প্রবেশ করলে] আমি বললাম, আপনি কি এক মাসের শপথ করেছিলেন না? আমি তো মাসকে ঊনত্রিশ দিন গণনা করেছি। রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ মাসটি ছিল ঊনত্রিশ দিনের।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৩২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সর্বদা লালায়িত ছিলাম যে, উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ]-কে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর বিবিদের মধ্য থেকে ঐ দুজন বিবি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব যাদের সস্পর্কে আল্লাহ পাক বলেছেনঃ
إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا [التحريم: 4]
যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হইয়া আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুঁকে পড়েছে- আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন।] রাবী এ হাদীসকে বিস্তারিত বর্ণনা করিয়াছেন। এবং এ ব্যাপারে উমার [রাঃআঃ] বলেন যে, হাফসা [রাঃআঃ] এ ঘটনা আয়িশা [রাঃআঃ]-এর কাছে প্রকাশ করায় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন যে, নিজ বিবিদের থেকে ঊনত্রিশ রাত বিচ্ছিন্ন রইলেন। আয়িশা [রাঃআঃ] বলেন, তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] অত্যধিক ক্রোধবশত বলেছিলেন, যখন আল্লাহ তাআলা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে তাহাদের ঘটনা ব্যক্ত করেছিলেন যে, আমি তাহাদের ঘরে এক মাস পর্যন্ত প্রবেশ করব না। যখন ঊনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত হইয়া গেল রসুলুল্লাহ[সাঃআঃ] আয়িশা [রাঃআঃ]-এর ঘরে প্রবেশ করিলেন এবং তাঁকে দিয়েই পূনরায় বিবিদের ঘরে যাওয়া শুরু করিলেন, তখন আয়িশা [রাঃআঃ] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিলেন ইয়া রসুলুল্লাহ। আপনি তো শপথ করেছিলেন যে, আপনি আমাদের ঘরে একমাস পর্যন্ত প্রবেশ করবেন না; আজকে তো আমরা ঊনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত করলাম, আমরা তো তা গননা করে রেখেছি। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন যে, মাসটি ঊনত্রিশ রাত্রের ছিল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-এর হাদীস-এর বর্ণনা
২১৩৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার কাছে জিবরাঈল [আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এসে বললো যে, মাসটি ঊনত্রিশ দিনের।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৩৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, মাসটি ঊনত্রিশ দিনের।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১২.পরিচ্ছেদঃ ইসমাইল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে সাদ ইবনি মালিক থেকে হাদীস বরননায় পার্থক্য
২১৩৫. সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত যে, তিনি এক হাত অন্য হাতের উপর মেরে বলিলেন যে, মাস এত দিনের হয়, মাস এতদিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, তৃতীয় বারে তিনি একটি আঙ্গুল কমিয়ে দিলেন [ঊনত্রিশ দিনেরও হয়]।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৩৬. সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]- বলেছেন যে, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়। অর্থাৎ ঊনত্রিশ দিনের [২৯ দিনেরও হয়]।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৩৭. মুহাম্মাদ ইবনি সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয় এবং মুহাম্মাদ ইবনি -উবায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার রূপ বর্ননা করিতে গিয়ে তিনবার নিজ হাতে তালি দিলেন, অতঃপর তৃতীয়বারে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল বন্ধ করে ফেললেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৩.পরিচ্ছেদঃ ইয়াহয়া ইবনি আবী কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্রে আবু সালামা থেকে উক্ত হাদীদ বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা
২১৩৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনের হয় আবার কখনো ত্রিশ দিনের হয়। যখন তোমরা [রমযানের] চাঁদ দেখবে তখন সাওম [রোজা] পালন করিবে, আর যখন [শাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখবে তখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। তবে হ্যাঁ, যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ন করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৩৯. আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনের হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৪০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেন যে, আমরা হলাম উম্মাতে উম্মিয়্যা। [মা এর শিশু সন্তানের মত] আমরা ভাল করে লিখা জানি না আর ভাল করে হিসাবও জানি না।১ মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়। এরকম তিনবার বলে তিনি ঊনত্রিশ দিনের উল্লেখ করিলেন।
১. সৌর মাসের হিসাবন কঠিন বলে চান্দ্র মাস হিসাবে চাঁদ দেখে আমরা সাওম [রোজা] পালনে আদিষ্ট হইয়াচ্ছি।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৪১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, আমরা হলাম [মা এর শিশু সন্তানের ন্যায়] অজ্ঞ উম্মাত, [ভাল করে] হিসাবও জানি না এবং [ভাল করে] লিখতেও জানি না। আর মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়, মাস এত দিনের হয়। এবং তৃতীয় বারে বৃদ্ধ আঙুল বন্ধ করে ফেললেন। [২৯ দিন বুঝাবার জন্য]। আর মাস এরকম, এরকম এরকম, পূর্ণ ত্রিশ দিনেরও হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৪২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, মাস এত দিনের হয়। ইবনি উমার [রাঃআঃ] থেকে জাবালা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যে বর্ণনা করিয়াছেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুবা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন যে, ইবনি উমার [রাঃআঃ] দুবার তাহাঁর হস্ত প্রসারিত করে এবং তৃতীয়বারে হস্তদ্বয়ের অঙ্গুলিসমুহ থেকে একটি অঙ্গুলি নামিয়ে ফেলে বলিতে চেয়েছেন যে, মাস ঊনত্রিশ দিনেরও হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৪৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাস [কখনো] ঊনত্রিশ দিনেরও হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৪৪. আব্দুলাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমরা সেহরি [ভোর রাত্রের খাওয়া] খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২১৪৫. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, তোমরা সেহরি খাও। উবায়দুল্লাহ তিনি বলেন যে, আমি পুরোপুরি জানি না যে, এ হাদিসের বাক্য কিরূপ ছিল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২১৪৬. আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৪.পরিচ্ছেদঃ আব্দুল মালিক ইবনি আবু সুলাইমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্রে এ হাদীস বর্ণনায় সনদের পার্থক্য
২১৪৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৪৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৪৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৫০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৫১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply