নামাজে ভুল হলে সাহু সিজদা -পাঁচ রাকাত নামাজ পরলে?

নামাজে ভুল হলে সাহু সিজদা -পাঁচ রাকাত নামাজ পরলে?

নামাজে ভুল হলে সাহু সিজদা -পাঁচ রাকাত নামাজ পরলে? >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ১১, নামাজ আরম্ভ করা, হাদীস (১২২২-১২৬৩)

১.পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় রাকআতে তাশাহ্‌হুদ না পড়ে যে ভুলে দাঁড়িয়ে যায় সে কি করিবে ?
২.পরিচ্ছেদঃ যে দুরাকআতের পর ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেলল এবং কথা বলে ফেলল সে কি করিবে?
৩.পরিচ্ছেদঃ দুসিজদা সম্পর্কে আবু হুরাইরা [রা]-এর রেওয়ায়তের মধ্যে পার্থক্য
৪.পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর সন্দেহ হলে যা স্মরণ আছে তার উপর নামাজ শেষ করা
৫.পরিচ্ছেদঃ [নামাজ আদায়কালে সন্দেহ হলে] ভেবে দেখা
৬.পরিচ্ছেদঃ যে পাঁচ রাকআত নামাজ আদায় করলে সে কি করিবে?
৭.পরিচ্ছেদঃ যে নামাজের কিছু ভুলে যায় সে কি করিবে?
৮.পরিচ্ছেদঃ সহুর দুসিজদায় তাকবীর বলা।
৯.পরিচ্ছেদঃ যে রাকাতে নামাজ শেষ হইবে তাতে কিভাবে বসতে হইবে।

১.পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় রাকআতে তাশাহ্‌হুদ না পড়ে যে ভুলে দাঁড়িয়ে যায় সে কি করিবে ?

১২২২. আবদুল্লাহ ইবনি বুহায়না [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের সাথে দু’রাক’আত নামাজ আদায় করে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বসলেন না। মুসল্লীরাও তাহাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেল। যখন তিনি তাহাঁর নামাজ শেষ করিলেন এবং আমরা সবাই তাহাঁর সালাম ফিরাবার অপেক্ষায় ছিলাম, তিনি তাকবীর বলিলেন এবং বসা অবস্থায় সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সিজদা করিলেন। তারপর [শেষ] সালাম ফিরালেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৩. আবদুল্লাহ ইবনি বুহায়না [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি নামাজে [এমন সময়] দাঁড়িয়ে গেলেন যখন তাহাঁর উপর বসা প্রয়োজন ছিল, তারপর বসা অবস্থায় সালাম ফিরাবার পূর্বে দু’টি সিজদা করিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২.পরিচ্ছেদঃ যে দুরাকআতের পর ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেলল এবং কথা বলে ফেলল সে কি করিবে?

১২২৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আমাদের সাথে অপরাহ্নের [জোহর ও আসর] দুনামাজের এক নামাজ আদায় করিলেন। রাবী বলেন, আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] বলেছেন যে, তবে কোন নামাজ তা আমি ভুলে গেছি। তারপর তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আমাদের সহ দুরাকআত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। এরপর মসজিদে প্রস্থে রাখা একটি কাঠ খন্ডের দিকে অগ্রসর হয়ে তাতে ঠেস দিলেন যেন তিনি রাগান্বিত, আর সব কাজে অগ্রে থাকা সাহাবীগণ মসজিদের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলেন এবং বলিতে লাগলেন, নামাজ কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ? তাঁদের মধ্যে আবু বকর এবং উমর [রা]-ও ছিলেন। তাঁরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে কথা বলিতে সংকোচবোধ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরো একজন সাহাবী ছিলেন যার হাত কিছুটা লম্বা ছিল। [রাবী বলেন] তাঁকে যুল ইয়াদাইন {১} [দুহাত বিশিষ্ট] বলা হত। তিনি বলেন, “ইয়া রসূলুল্লাহ! আপনি কি ভুলে গেছেন না নামাজ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে?” রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমি ভুলেও যাইনি এবং নামাজ সংক্ষিপ্তও হয়নি। রাবী বলেন, তারপর নাবী [সাঃআঃ] সমবেত সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, যুল ইয়াদাইন যা বলছে তা কি ঠিক ? সাহাবীগণ বলিলেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি মসজিদে ফিরে আসলেন এবং যা ছুটে গিয়েছিল তা আদায় করে নিয়ে সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বলে পূর্বের মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ একটা সিজদা করিলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে তাকবীর বলিলেন আবার তাকবীর বলে পূর্বের মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ আরো একটা সিজদা করিলেন। পরে মাথা উঠিয়ে তাকবীর বলিলেন।

{১} যুল ইয়াদাইন সাহাবীর নাম হল খিরবাক ইবনি আমর।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুরাকআত নামাজের পর সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। তখন তাঁকে যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ] বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ], নামাজ কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে নাকি আপনি ভুলে গেছেন ? তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, যুল ইয়াদাইন কি সত্যি বলছে ? সাহাবীগণ বলিলেন, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়ালেন এবং দুরাকআত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরালেন। তারপর তাকবীর বলে পূর্বের সিজদার মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ একটা সিজদা করিলেন। পরে মাথা ওঠালেন এবং পূর্বের সিজদার মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ আরো একটা সিজদা করে মাথা ওঠালেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একদা] আমাদের নিয়ে আসরের নামাজ আদায় করিলেন। তিনি দুরাকাআতের পর সালাম ফিরিয়ে ফেললে যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ] দাঁড়িয়ে বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ ! নামাজ কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে নাকি আপনি ভুলে গেছেন? তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, এর কোনটাই না। যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ] বলিলেন, নিশ্চয়ই এতদুভয়ের কোন একটা হইবে ইয়া রসূলুল্লাহ! তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাহাবীগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, যুল ইয়াদায়ন কি সত্যি বলছে? সাহাবীগণ বলিলেন, হ্যাঁ। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অবশিষ্ট নামাজ পুরা করিলেন এবং সালামের পর বসা অবস্থায় দুটি সিজদা করিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জোহরের দুরাকাআত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরালেন। তখন সাহাবীগণ বলিলেন, নামাজ কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ? তখন তিনি দাঁড়িয়ে দুরাকাআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর সালাম ফিরিয়ে দুটি সিজদা করিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদা নামাজ আদায়কালে দ্বিতীয় রাকআতে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। নামাজ শেষ করে ফেলার সময় যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ] তাঁকে পেয়ে বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! নামাজ কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে না আপনি ভুলে গেছেন? তিনি বলিলেন, নামাজ সংক্ষিপ্তও করা হয়নি আর আমিও ভুলিনি। যুল ইয়াদয়ন [রাঃআঃ] বলিলেন, আপনাকে যিনি সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন তাহাঁর শপথ! [নিশ্চয় এতদুভয়ের কোনটা হয়েছে] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ] কি সত্য বলছে ? সাহাবীগণ বলিলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি তাঁদের নিয়ে [আর] দুরাকাআত নামাজ আদায় করিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ভুল করে [একদা] দুরাকাআতের পরই সালাম ফিরিয়ে ফেললেন, তখন তাঁকে যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ] বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! নামাজ কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, না আপনি ভুলে গেছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, যুল ইয়াদায়ন কি সত্য বলছে? সাহাবীগণ বলিলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি দাঁড়িয়ে নামাজ পূর্ণ করে নিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জোহর অথবা আসরের নামাজ আদায়কালে দুরাকাআতের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করিলেন। তখন তাঁকে যুল ইয়াদায়ন ইবনি আমর [রাঃআঃ] বলিলেন, সালায় কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, না আপনি ভুলে গেছেন? নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, যুল ইয়াদায়ন কী বলছে? সাহাবীগণ বলিলেন, ইয়া নাবী আল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] সে সত্যই বলছে, তখন তিনি তাঁদের নিয়ে যে দুরাকাআত কম হয়েছিল, তা আদায় করে নিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩১. আবু বকর ইবনি সুলায়মান ইবনি আবু হাসমা [রহঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুরাকাআত নামাজ আদায় করলে যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ] তাঁকে অনুরূপ বলেছিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩.পরিচ্ছেদঃ দুসিজদা সম্পর্কে আবু হুরাইরা [রা]-এর রেওয়ায়তের মধ্যে পার্থক্য

১২৩২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সে দিন সালামের পূর্বে বা পরে সিজদা করেন নি।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ শায

১২৩৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে অনুরূপ বর্ণিত।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুল ইয়াদায়ন [রাঃআঃ]-এর দিন সালামের পর দু’ সিজদা করেছিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

১২৩৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] স্বীয় ভুলের কারণে সালামের পর সিজদা করেছিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩৬. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী করীম [সাঃআঃ] তাঁদের নিয়ে নামাজ আদায়কালে ভুল করে ফেললেন এবং দু’ সিজদা করে সালাম ফিরালেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩৭. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসরের নামাজের তিন রাকাআত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে ঘরে প্রবেশ করিলেন, তখন খিরবাক [রাঃআঃ] নাম্মী এক সাহাবী তাহাঁর কাছে এসে বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! নামাজ কি সংক্ষিপ্ত হয়েছে? তখন তিনি রাগান্বিত হয়ে চাদর সামলাতে সামলাতে বের হয়ে বলিলেন, এ কি সত্য বল্‌ছে? সাহাবীগণ বলিলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি দাঁড়িয়ে সে রাকাআত আদায় করিলেন এবং সালাম ফিরিয়ে সে রাকাআতের জন্য দু’সিজদা করিলেন ও সালাম ফিরালেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪.পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর সন্দেহ হলে যা স্মরণ আছে তার উপর নামাজ শেষ করা

১২৩৮. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ নামাজে সন্দেহ করে তখন সে যেন সন্দেহ ত্যাগ করে দৃঢ় বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। যখন সমাপ্তি সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে যায় তখন বসা অবস্থায় দু’টি সিজদা করিবে। যদি সে পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তা হলে এ দু’টি সিজদা তাহাঁর [ঐ পাঁচ রাকাআত] নামাজকে জোড় [দু’রাকাআত] বানিয়ে দেবে। আর যদি সে চার রাকাআত আদায় করে থাকে, তা হলে এ দু’সিজদা শয়তানের জন্য অপমানের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

১২৩৯. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, যখন [তোমাদের] কেউ বুঝতে না পারে যে, সে তিন রাকাআত আদায় করেছে না চার রাকাআত? তখন সে যেন আরো এক রাকাআত আদায় করে নেয়, এবং বসা অবস্থায় তার পরে দু’টি সিজদা করে নেয়। যদি সে পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তা হলে এ দু’টি সিজদা তাহাঁর নামাজকে জোড় [দু’রাকাআত] বানিয়ে দেবে, আর যদি সে চার রাকাআত আদায় করে থাকে তা হলে এ দু’সিজদা শয়তানের জন্য অপমানের কারণ হইবে।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫.পরিচ্ছেদঃ [নামাজ আদায়কালে সন্দেহ হলে] ভেবে দেখা

১২৪০. আব্দুল্লাহ [ইবনি মাসঊদ] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের কারো যদি নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয় তা হলে সে যেন ভেবে দেখে। যা সে সঠিক মনে করে তা পূর্ণ করিবে, তারপর দু’টি সিজদা করে নেবে। রাবী বলেন, আমি হাদিসের কিছু শব্দ যেরকম ভাবে ইচ্ছা করেছিলাম সে রকমভাবে বুঝে উঠতে পারিনি।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪১. আব্দুল্লাহ [রা]১ হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের কারো যদি নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয়, তখন সে যেন ভেবে দেখে এবং নামাজ শেষে দু’টি সিজদা করে নেয়।

{১ আব্দুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ]}

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪২. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একদা] নামাজ আদায়কালে কিছু বাড়িয়ে অথবা কমিয়ে ফেল্‌লেন। যখন তিনি সালাম ফিরালেন তখন আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! নামাজে কি কোন কিছু ঘটেছে? তিনি বলিলেন, যদি নামাজে কোন কিছু ঘটে থাকত তা হলে আমি তা তোমাদের জানিয়ে দিতাম, কিন্তু আমি তো একজন মানুষ, আমিও ভুলে যেতে পারি যেমনিভাবে তোমরা ভুলে যেতে পার। অতএব, তোমাদের কারো যদি তার নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয় তা হলে সে যেন ভেবে দেখে যে, কোন্‌টা সঠিকের কাছাকাছি। যা সঠিক বলে মনে হয় তার উপর ভিত্তি করে নামাজ শেষ করিবে। তারপর সালাম ফিরিয়ে দু’টি সিজদা করে নেবে।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪৩. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একদা] নামাজ আদায়কালে কিছু বাড়িয়ে অথবা কমিয়ে ফেল্‌লেন। যখন তিনি সালাম ফিরালেন, আমরা বললাম, ইয়া নাবী আল্লাহ! নামাজে কি কিছু ঘটেছে? তিনি বলিলেন, তা কি? তখন তিনি যা করিয়াছেন আমরা তাঁকে সে সম্পর্কে অবহিত করলাম। তখন তিনি পা গুটিয়ে কিবলার দিকে মুখ করে সহুর [ভুলের] জন্য দু’টি সিজদা করিলেন। তারপর আমাদের দিকে ফিরে বলিলেন, যদি নামাজে কিছু ঘটে থাকত তাহলে তা আমি তোমাদের অবহিত করে দিতাম। তারপর বলিলেন, আমিও তো একজন মানুষ, তোমরা যেমন ভুলে যেতে পার আমিও তেমনিভাবে ভুলে যেতে পারি। অতএব, যদি তোমাদের কারো নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয় তা হলে সে যেন ভেবে দেখে কোন্‌টা সঠিক, তারপর সালাম ফিরিয়ে সহুর [ভুলের] জন্য দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪৪. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একদিন] জোহরের নামাজ আদায় করে মুসল্লীদের দিকে মুখ ফিরালেন তখন তারা বলিল, নামাজে কি কিছু ঘটেছে? তিনি বলিলেন, তা কি? তখন মুসল্লীগণ তাহাঁর কৃত কাজ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করিলেন। তখন তিনি তাহাঁর পা গুটিয়ে নিলেন, এবং কিবলার দিকে মুখ করে দু’টি সিজদা করিলেন ও সালাম ফিরালেন। তারপর তাহাদের দিকে ফিরে বলিলেন, আমিও তো একজন মানুষ, তোমরা যেমন ভুলে যেতে পার আমিও তেমনিভাবে ভুলে যেতে পারি। যদি আমি ভুলে যাই তা হলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। তিনি আরো বলেন, যদি নামাজে কিছু ঘটে থাকত তা হলে আমি তোমাদের তা জানিয়ে দিতাম। তিনি আরো বলিলেন, তোমাদের কারো যদি নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয় তবে সে যেন ভেবে দেখে যা সঠিকের কাছাকাছি বলে মনে হয় তার উপর ভিত্তি করে নামাজ শেষ করে নেয় ও দু’টি সিজদা করে।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪৫. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

মুসল্লীর নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হলে সে যেন কোন্‌টা সঠিক তা ভেবে দেখে, তারপর নামাজ শেষ করে বসা অবস্থায় দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪৬. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, যে মুসল্লী নামাজে সন্দেহে পতিত হয় সে যেন কোনটা সঠিক তা ভেবে দেখে তারপর দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪৭. ইবরাহীম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, সাহাবীগণ বলিতেন, কেউ যদি নামাজে সন্দেহে পতিত হয় তা হলে সে যেন কোন্‌টা সঠিক তা ভেবে দেখে তারপর দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

১২৪৮. আব্দুল্লাহ ইবনি জা’ফর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে মুসল্লীর নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয়, সে যেন সালাম ফিরাবার পর দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২৪৯. আব্দুল্লাহ ইবনি জাফর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে মুসল্লীর নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয় সে যেন সালাম ফিরাবার পর দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২৫০. আব্দুল্লাহ ইবনি জাফর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, যে মুসল্লীর নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয় সে যেন সালাম ফিরাবার পর দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২৫১. আব্দুল্লাহ ইবনি জাফর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে মুসল্লীর নামাজে সন্দেহের উদ্রেক হয়, সে যেন দু’টি সিজদা করে নেয়। রাবী হাজ্জাজ [রহঃ] বলেন, সালামের পর; রাবী রাওহ্‌ [রহঃ] বলেন, বসা অবস্থায়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২৫২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন নামাজ আদায় করিতে দাঁড়ায় তখন শয়তান এসে তাহাঁর নামাজে ভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ফলে সে বুঝতে পারে না কত রাকআত নামাজ আদায় করেছে। অতএব, যখন তোমাদের কেউ এরূপ অবস্থার সম্মুখীন হয় তখন সে যেন বসা অবস্থায় দু’টি সিজদা করে নেয়।১

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যখন নামাজের জন্য আযান দেওয়া হয় তখন শয়তান পৃষ্ঠ প্রদর্শনপূর্বক পালাতে থাকে। আর তার থেকে আওয়ায সহকারে বায়ু বের হইতে থাকে। আর যখন ইকামাত শেষ হয় তখন সে পুনঃ আগমন পূর্বক মুসল্লীদের মনে নানা খটকা সৃষ্টি করিতে থাকে, ফলে মুসল্লী বুঝতে পারে না যে, সে কত রাকাআত আদায় করিল। অতএব, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ তা অনুভব করে তবে সে যেন দু’টি সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬.পরিচ্ছেদঃ যে পাঁচ রাকআত নামাজ আদায় করলে সে কি করিবে?

১২৫৪. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] একদিন জোহরের নামাজ পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেললেন। তখন তাকে বলা হল, নামাজ কি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? তিনি বলিলেন, তা কিভাবে? সাহাবীগন বলিলেন, আপনি পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেলেছেন। তখন তিনি তার পা গুটিয়ে দুটি সিজদা করে নিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৫. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদিন সাহাবীগনকে নিয়ে একদিন জোহরের নামাজ পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেললেন। তখন সাহাবীগন বলিলেন, আপনি পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেলেছেন। তখন তিনি সালামের পর বসা অবস্থায় দুটি সিজদা করে নিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

১২৫৬. ইবরাহীম ইবন সুওয়ায়দ [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আলকামা [রহঃ] একদিন পাঁচ রাকআত নামাজ আদায় করে ফেললেন। তখন তাঁকে বলা হলে তিনি বলিলেন, আমি [অনুরূপ] করিনি। {ইবরাহীম [রহঃ] বলেন} আমি আমার মাথার দ্বারা ইশারা করলাম নিশ্চয়ই [আপনি পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেলেছেন]। তিনি বলিলেন, হে অন্ধ! তুমি [এরুপ] সাক্ষ্য দিচ্ছ? আমি বললাম হ্যা; তখন তিনি দুটি সিজদা করিলেন তারপর আমাদের হাদিস বর্ণনা করিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৭. শাবী [রহঃ] হইতে বর্ণীত

যে, [একদা] আলকামা ইবন কায়স [রহঃ] নামাজে ভুল করে ফেললে [নামাজ শেষে] কথা বলার পর লোকেরা তাঁকে স্মরন করিয়ে দিলে তিনি বলিলেন, হে আওয়ার! ঘটনা কি এরুপই? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বাহু বন্ধন খুলে ফেলে সহুর [ভুলের] জন্য দুটি সিজদা করিলেন, এবং বলিলেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরুপই করেছিলেন। রাবী বলেন, আমি হাকাম [রহঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, আলকামা [রহঃ] সে দিন পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেলছিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৮. ইবরাহীম [রহঃ] হইতে বর্ণীত

যে, আলকামা [রহঃ] [একদা] পাঁচ রাকআত নামাজ আদায় করে ফেললেন। সালাম ফিরালে ইবরাহীম ইবন সুওয়ায়দ [রহঃ] বলিলেন, হে আবু শিবল [আলকামা] [রহঃ]! আপনি পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেলেছেন। তখন তিনি বলিলেন, হে আওয়ার! ঘটনা কি এরুপই? পরে সহুর জন্য দুটি সিজদা করিলেন, তারপর বলিলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরুপই করেছিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৯. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অপরাহ্নের দুনামাজের এক নামাজে পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেললে তাঁকে বলা হল, নামাজ কি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? তিনি বলিলেন, তা কিভাবে? সাহাবীগন বলিলেন, আপনি পাঁচ রাকআত আদায় করে ফেলেছেন। তখন তিনি বলিলেন, আমিও তো একজন মানুষ! তোমরা যেরুপ ভুলে যেতে পার আমিও তদ্রুপ ভুলে যেতে পারি। তোমাদের যেরূপ স্মরন থাকে আমারও তদ্রুপ স্মরন থাকে। তারপর দুটি সিজদা করে নামাজ শেষ করে নিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৭.পরিচ্ছেদঃ যে নামাজের কিছু ভুলে যায় সে কি করিবে?

১২৬০. [ইউসুফ] [রহঃ] হইতে বর্ণীত

যে, মুয়াবিয়া [রাঃআঃ] [একদিন] তাহাদের সামনে নামাজ আদায় করিলেন। তিনি নামাজে এমন সময় দাঁড়িয়ে গেলেন, যখন তাহাঁর উপর বসা প্রয়োজন ছিল। মুসল্লীরা সুবহানাল্লাহ বললে তিনি দাঁড়ানো অবস্থায়ই থাকলেন। নামাজে শেষ করার পর বসা অবস্থায় দুটি সিজদা করিলেন, তারপর মিম্বারের উপর বসে বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে মুসল্লি তার নামাজে কোন কিছু ভুলে যায় সে যেন এ দুটি সিজদার ন্যায় [দুটি] সিজদা করে নেয়।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৮.পরিচ্ছেদঃ সহুর দুসিজদায় তাকবীর বলা।

১২৬১. আব্দুল্লাহ ইবন বুহায়না [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদা জোহরের দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বসলেন না। যখন নামাজ শেষ করিলেন তখন বসা অবস্থায় সালাম ফিরবার পূর্বে দুটি সিজদা করিলেন, প্রত্যেক সিজদায় তাকবীর বলিলেন, অন্য মুসল্লীরাও ভুলে না বসার জন্য তার সঙ্গে ঐ দুসিজদা করে নিলেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৯.পরিচ্ছেদঃ যে রাকাতে নামাজ শেষ হইবে তাতে কিভাবে বসতে হইবে।

১২৬২. আবু হুমায়দ সাঈদী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন নাবী [সাঃআঃ] যখন ওই রাকাআতে পৌছতেন, যে দুরাকাআতের পর নামাজ শেষ হইবে তখন তার বাম পা নিতম্বের নিচ দিয়ে ডান পাশে বের করে দিতেন এবং নিতম্বের নিচ দিয়ে পা বের করা অবস্থায় নিতম্বের উপর বসতেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৬৩. ওয়াইল ইবন হুজুর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি, তিনি যখন নামাজ আরম্ভ করিতেন তাহাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করিতেন, আর যখন রুকু করিতেন ও রুকু থেকে মাথা ওঠাতেন, আর তাহাঁর বাম হাত বাম উরুর উপর এবং ডান হাত ডান উরুর উপর রাখতেন এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলী দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে ইশারা করিতেন।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply