নামাজ ব্যাতিত উজু, ঋতুমতী স্ত্রি ও বীর্যের বর্ণনা
নামাজ ব্যাতিত উজু, ঋতুমতী স্ত্রি ও বীর্যের বর্ণনা >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ১, পবিত্রতা, হাদীস (২৫৫-৩০৯)
১.পরিচ্ছেদঃ পানাহার করিতে চাইলে জুনুব ব্যক্তির জন্য উযূ করা
২.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি আহার করিতে ইচ্ছা করলে শুধু তার উভয় হাত ধৌত করা
৩.পরিচ্ছেদঃ পানাহারের ইচ্ছা করলে জুনুব ব্যক্তির শুধু উভয় হাত ধৌত করা
৪.পরিচ্ছেদঃ নিদ্রার ইচ্ছা করলে জুনুব ব্যক্তির উযূ করা
৫.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি নিদ্রা যেতে ইচ্ছা করলে উযূ করা এবং লজ্জাস্থান ধৌত করা
৬.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি যদি উযূ না করে
৭.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি পুনঃ সহবাস করিতে চাইলে
৮.পরিচ্ছেদঃ গোসল না করে একাধিক স্ত্রীর নিকট গমন করা
৯.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকা
১০.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তিকে স্পর্শ করা ও তার সাথে বসা
১১.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি স্ত্রীর খেদমত নেয়া
১২.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে ঋতুমতির চাটাই বিছানো
১৩.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করা
১৪.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর মাথা ধৌত করা
১৫.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির সঙ্গে খাওয়া এবং তার ভুক্তাবশেষ পান করা
১৬.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির ভুক্তাবশেষ আহার করা
১৭.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির সাথে শয়ন করা
১৮.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির শরীরের সাথে শরীর মিলানো
১৯.পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “তারা তোমাকে হায়য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে” -এর ব্যাখ্যা
২০.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি হায়য অবস্থায় আল্লাহর নিষেধ সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও সহবাস করে তার উপর কি ওয়াজিব হইবে
২১.পরিচ্ছেদঃ মুহরিম {১} মহিলা ঋতুমতী হলে কি করিবে
২২.পরিচ্ছেদঃ ইহ্রামের সময় নিফাসওয়ালী {২} নারীরা কি করিবে
২৩.পরিচ্ছেদঃ হায়যের রক্ত কাপড়ে লাগলে
২৪.পরিচ্ছেদঃ কাপড়ে যদি বীর্য লাগে
২৫.পরিচ্ছেদঃ কাপড় থেকে বীর্য ধৌত করা
২৬.পরিচ্ছেদঃ কাপড় থেকে বীর্য ঘষে ফেলা
২৭.পরিচ্ছেদঃ খাদ্য গ্রহণ করেনি এমন শিশুর পেশাব প্রসঙ্গে
২৮.পরিচ্ছেদঃ ছোট বালিকার পেশাব প্রসঙ্গে
২৯.পরিচ্ছেদঃ হালাল পশুর পেশাব প্রসঙ্গে
৩০.পরিচ্ছেদঃ হালাল পশুর উদরস্থ গোবর কাপড়ে লাগা প্রসঙ্গে
৩১.পরিচ্ছেদঃ থুথু কাপড়ে লাগা প্রসঙ্গে
১.পরিচ্ছেদঃ পানাহার করিতে চাইলে জুনুব ব্যক্তির জন্য উযূ করা
২৫৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাবাত অবস্থায় যখন আহার করিতে অথবা নিদ্রা যেতে ইচ্ছা করিতেন তখন তিনি উযূ করিতেন। আমর তাহাঁর বর্ণনায় বলেছেন, নামাজের উযূর মত উযূ।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি আহার করিতে ইচ্ছা করলে শুধু তার উভয় হাত ধৌত করা
২৫৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাবাত অবস্থায় নিদ্রার ইচ্ছা করলে উযূ করিতেন আর আহার করার ইচ্ছা করলে উভয় হাত ধৌত করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩.পরিচ্ছেদঃ পানাহারের ইচ্ছা করলে জুনুব ব্যক্তির শুধু উভয় হাত ধৌত করা
২৫৭. আবু সালামা [রহঃ] হইতে বর্ণীত
আয়িশাহ [রাঃআঃ] বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাবাত অবস্থায় নিদ্রার ইচ্ছা করলে উযূ করিতেন। আর যখন পানাহারের ইচ্ছা করিতেন তখন উভয় হাত ধুতেন, তারপর পানাহার করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪.পরিচ্ছেদঃ নিদ্রার ইচ্ছা করলে জুনুব ব্যক্তির উযূ করা
২৫৮. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাবাত অবস্থায় নিদ্রার ইচ্ছা করলে নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে নামাজের উযূর ন্যায় উযূ করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৫৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
উমর [রাঃআঃ] বলেছেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! আমাদের কেউ জানাবাত অবস্থায় নিদ্রা যাবে কি? তিনি বললেনঃ যদি উযূ করে নেয়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি নিদ্রা যেতে ইচ্ছা করলে উযূ করা এবং লজ্জাস্থান ধৌত করা
২৬০. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ উমর [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর নিকট উল্লেখ করিলেন যে, রাতে তিনি জানাবাতগ্রস্ত হন। [এরপর ঘুমাতে চাইলে কি করবেন?] তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ এরূপ হলে তুমি উযূ করিবে এবং লজ্জাস্থান ধৌত করিবে, তারপর ঘুমাবে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৬.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি যদি উযূ না করে
২৬১. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ঘরে ছবি, কুকুর বা জুনুব ব্যক্তি থাকে, সে ঘরে ফেরেশ্তা প্রবেশ করে না। {১}
{১} অর্থাৎ রহমত ও বরকতের ফেরেশ্তা প্রবেশ করেন না।নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৭.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তি পুনঃ সহবাস করিতে চাইলে
২৬২. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন তোমাদের কেউ পুনঃ সহবাস করিতে চাইলে সে উযূ করে নেবে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৮.পরিচ্ছেদঃ গোসল না করে একাধিক স্ত্রীর নিকট গমন করা
২৬৩. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একই গোসলে একরাতে তাহাঁর সকল সহধর্মিণীর নিকট গমন করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬৪. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একই গোসলে সকল স্ত্রীর নিকট গমন করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৯.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকা
২৬৫. আবদুল্লাহ ইবনি সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি এবং অন্য দু-ব্যক্তি আলী [রাঃআঃ]-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শৌচাগার হইতে বের হয়ে কুরআন পড়তেন এবং আমাদের সাথে গোশ্ত খেতেন। জানাবাত অবস্থা ব্যতীত তাঁকে কোন কিছুই কুরআন পাঠ হইতে বিরত রাখত না।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬৬. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাবাতের অবস্থা ব্যতীত সর্বাবস্থায়ই কুরআন তিলাওয়াত করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১০.পরিচ্ছেদঃ জুনুব ব্যক্তিকে স্পর্শ করা ও তার সাথে বসা
২৬৭. হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখনই তাহাঁর সাহাবীগণের কারো সাথে সাক্ষাৎ করিতেন, তাহাঁর সাথে মুসাফাহা করিতেন এবং তার জন্য দোয়া করিতেন। হুযায়ফা বলেন, একদিন ভোরে আমি তাহাঁর দেখা পেলাম। তাঁকে দেখে আমি দূরে সরে গেলাম। তারপর যখন কিছু বেলা হলো, আমি তাহাঁর নিকট এলাম। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে দেখলাম, তারপর তুমি আমার থেকে দূরে সরে গেলে? আমি বললাম, আমি জুনুব অবস্থায় ছিলাম। আমার ভয় হলো, এমতাবস্থায় আপনি আমাকে স্পর্শ করে না বসেন। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ মুসলমান নাপাক হয় না। {১}
{১} অর্থাৎ জানাবাতের কারণে মুসলমান এরূপ নাপাক হয় না-যাতে কেউ তাকে স্পর্শ করিতে পারবে না।নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬৮. হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তাহাঁর জানাবাত অবস্থায় তাহাঁর সঙ্গে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দেখা হলো। [হুযায়ফা বলেন] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার দিকে আসছেন দেখে আমি বললাম, আমি জানাবাত অবস্থায় আছি। তিনি বললেনঃ মুসলমান নাপাক হয় না।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তাহাঁর সাথে মদীনার কোন এক রাস্তায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-সাক্ষাৎ হলো, তখন তিনি ছিলেন জানাবাত অবস্থায়। সেজন্য তিনি সন্তর্পণে সরে পড়লেন এবং গোসল করিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে দেখিতে পেলেন না। যখন পুনরায় আসলেন, তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আবু হুরাইরা! তুমি কোথায় ছিলে? তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার সাথে যখন আপনার সাক্ষাৎ হয়েছিল তখন আমি জানাবাত অবস্থায় ছিলাম। আমি গোসল করার পূর্বে আপনার সাথে বসাকে খারাপ মনে করলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সুব্হানাল্লাহ! মুমিন নাপাক হয় না।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১১.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি স্ত্রীর খেদমত নেয়া
২৭০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদে ছিলেন, হঠাৎ তিনি বললেনঃ হে আয়িশাহ আমাকে কাপড়টি দাও। তিনি বললেনঃ আমি তো নামাজ হইতে বিরত আছি। তিনি বললেনঃ হায়য তোমার হাতে নয়, পরে আয়িশাহ [রাঃআঃ] তাঁকে কাপড় দিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭১. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ মসজিদ হইতে আমাকে জায়নামাযটি এনে দাও। তিনি বললেনঃ আমি তো হায়য অবস্থায় আছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমার হায়য তোমার হাতে নয়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭২. আবু মুআবিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আমাশ [রাঃআঃ] থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১২.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে ঋতুমতির চাটাই বিছানো
২৭৩. মান্বুয [রহঃ] হইতে বর্ণীত
বর্ণিত। মায়মূনা [রাঃআঃ] বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিজ মাথা আমাদের কারো কোলে রেখে কুরআন তিলাওয়াত করিতেন অথচ [যার ক্রোড়ে মাথা রাখতেন] তিনি তখন ঋতুমতি। আর আমাদের কেউ ঋতুবতী অবস্থায় মসজিদে চাটাই বিছিয়ে দিতেন। {২}
{১} মানবূয ইবনি আবু সুলায়মান মক্কী [রহঃ]।{২} অর্থাৎ মসজিদের বাইরে থেকে চাটাই বিছিয়ে দিতেন।নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৩.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করা
২৭৪. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমাদের ঋতুমতি কারো কোলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৪.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর মাথা ধৌত করা
২৭৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইতিকাফ অবস্থায় আমার দিকে তাহাঁর মাথা বের করে দিতেন আর আমি তা ধুয়ে দিতাম অথচ তখন আমি ঋতুমতি।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ হইতে তাহাঁর মাথা আমার দিকে বের করে দিতেন আর আমি তা ধুয়ে দিতাম, অথচ তখন আমি ঋতুমতি।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৭. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম অথচ তখন আমি ঋতুমতি।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৮. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
[অর্থাৎ তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম অথচ তখন আমি ঋতুমতি ]।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৫.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির সঙ্গে খাওয়া এবং তার ভুক্তাবশেষ পান করা
২৭৯ ুরায়হ [রহঃ] হইতে বর্ণীত
আমি আয়িশাহ [রাঃআঃ] কে প্রশ্ন করলামঃ হায়য অবস্থায় স্ত্রী কি তার স্বামীর সঙ্গে খেতে পারে ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে ডাকতেন, আমি তাহাঁর সঙ্গে খেতাম অথচ তখন আমি ঋতুমতি। আর তিনি হাড় নিতেন এবং বলিতেন, আল্লাহর কসম, তুমি আগে খাও। তারপর আমি তার কিছু অংশ চিবাতাম এবং রেখে দিতাম। পরে তিনি তা চিবাতেন। হাড়টির ঐখানেই মুখ দিতেন যেখানে আমি মুখ দিয়েছিলাম। আর তিনি পানীয় আনিয়ে বলিতেনঃ আল্লাহর কসম, তুমি এটি আগে পান কর। তখন আমি পাত্রটি নিয়ে তা পান করতাম এবং আমি রেখে দিলে তিনি উঠিয়ে তা থেকে পান করিতেন। আর আমি পেয়ালার যেখানে মুখ দিয়েছিলাম তিনি সেখানেই মুখ দিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮০. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] সেখানে মুখ রাখতেন যেখানে মুখ রেখে আমি পান করতাম। তিনি আমার ভুক্তাবশেষ থেকে পান করিতেন অথচ তখন আমি ঋতুমতি।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির ভুক্তাবশেষ আহার করা
২৮১. মিকদাম ইবনি শুরায়হ হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি আয়িশাহ [রাঃআঃ]- কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে পাত্র দিতেন আমি তা থেকে পান করতাম অথচ তখন আমি ঋতুমতি। তারপর আমি তাঁকে সে পাত্র দিতাম আর তিনি আমার পান করার জায়গা তালাশ করে সে জায়গায় তাহাঁর মুখ রাখতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮২. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি হায়য অবস্থায় পাত্র থেকে পান করতাম এবং তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দিতাম। আমি যেখানে মুখ রেখে পান করতাম তিনি সেখানে মুখ রাখতেন। আমি হায়য অবস্থায় হাড় চিবাতাম তারপর তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দিতাম। আর তিনি আমার মুখ রাখার স্থানে মুখ রাখতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির সাথে শয়ন করা
২৮৩. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে একই চাদরে শায়িত ছিলাম, হঠাৎ আমার হায়য দেখা দিল। আমি সরে পড়লাম এবং আমার হায়যের কাপড় পরিধান করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি কি ঋতুমতি হয়েছ ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি আমাকে ডাকলেন আর আমি তাহাঁর সঙ্গে একই চাদরে শয়ন করলাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮৪. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি এবং রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একই চাদরে রাত্রিযাপন করতাম অথচ তখন আমি ঋতুমতি। যদি আমার কোন কিছু তাহাঁর শরীরে লাগত, তখন তিনি ঐ স্থানই ধুয়ে নিতেন এর বেশি ধুতেন না। আর এ অবস্থাতেই তিনি নামাজ আদায় করিতেন, আবার তিনি বিছানায় ফিরে আসতেন। যদি আমার কোন কিছু তাহাঁর শরীরে লাগত, তিনি শরীরের ঐ অংশটুকু ধুয়ে নিতেন, এর বেশি ধুতেন না। আর এ অবস্থাতেই তিনি নামাজ আদায় করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতির শরীরের সাথে শরীর মিলানো
২৮৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমাদের কেউ ঋতুমতি অবস্থায় থাকলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে ইযার {১} পরার আদেশ দিতেন। তারপর তিনি তার শরীরের সাথে শরীর লাগাতেন।
{১} নিম্নাঙ্গে পরিধেয় বস্ত্র।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমাদের কেউ ঋতুমতি থাকলে তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে তার ইযার পরিধান করিতে বলিতেন। তারপর তিনি তার শরীরে শরীর লাগাতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮৭. মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর কোন সহধর্মিণীর হায়য অবস্থায় যখন তার পরনে ইযার থাকত যা হাঁটু ও রানের মধ্যস্থল পর্যন্ত পৌঁছে, তখন তিনি তার শরীরে শরীর মিলাতেন। লায়সের হাদীসে আছে, তিনি [সহধর্মিণী] ঐ ইযার দ্বারা [দেহের মধ্যাংশ] আবৃত করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৯.পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “তারা তোমাকে হায়য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে” -এর ব্যাখ্যা
২৮৮. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ ইয়াহূদীদের স্ত্রীরা যখন ঋতুমতি হত তখন তারা তাহাদের সাথে একত্রে পানাহার করত না এবং তারা ঘরে তাহাদের সাথে একত্রে অবস্থানও করত না। অতএব সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিলেন। তখন আল্লাহ তা’য়ালা আয়াতটি {১} নাযিল করিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের আদেশ করিলেন তারা যেন তাহাদের স্ত্রীদের সাথে পানাহার করে ও ঘরে একত্রে অবস্থান করে এবং তাহাদের সাথে সহবাস ব্যতীত আর সব কিছু করা বৈধ মনে করে।
এতে ইয়াহূদীরা বলিল, আমাদের রীতিনীতির কোনটিরই রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিরোধীতা না করে ছাড়বেন না। উসায়দ ইব্ন হুযায়র ও আব্বাদ ইব্ন বিশ্র [রাঃআঃ] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট গমন করে একথাটি জানালেন এবং প্রশ্ন করিলেন, আমরা হায়য অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে সহবাস করব কি? এতে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চেহারা রক্তিম হয়ে গেল, তখন তারা ধারণা করিলেন যে, তিনি রাগান্বিত হয়েছেন এবং উভয়ই সেখান থেকে প্রস্থান করিলেন। ইত্যবসরে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কিছু হাদীয়ার দুধ গ্রহন করিলেন। তখন তিনি সাহাবীদ্বয়-এর অনুসন্ধানে লোক পাঠালেন। তাহাদের ডেকে আনা হল এবং উভয়কে তিনি দুধ পান করালেন। এতে জানা গেল যে, তাহাদের প্রতি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাগ করেন নি।
{১} লোকে তোমাকে রজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল। তা অশূচি। [২ ঃ২২২]নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২০.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি হায়য অবস্থায় আল্লাহর নিষেধ সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও সহবাস করে তার উপর কি ওয়াজিব হইবে
২৮৯. ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি তিনি রাসূলুল্লাহ [স] হইতে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বর্ণনা করেনঃ যে ব্যক্তি হায়য অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করে, সে এক দীনার অথবা অর্ধ দীনার {২} সাদকা করিবে।
{২} সে যুগে দীনার স্বর্ণমুদ্রাকে বলা হত। এ যুগেও কোন কোন দেশের মুদ্রাকে দীনার বলা হয়।নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২১.পরিচ্ছেদঃ মুহরিম {১} মহিলা ঋতুমতী হলে কি করিবে
২৯০. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃ]-এর সঙ্গে হজ্জের নিয়তে বের হলাম। যখন আমরা সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলাম, আমার হায়য আসল। তারপর রাসূলুল্লাহ [সাঃ] আমার নিকট আসলেন, তখন আমি কাঁদছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করিলেন। তোমার কি হল? তোমার কি হায়য হয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ এমন একটি ব্যাপার যা আল্লাহ্ তাআলা আদম কন্যাদের জন্য অবধারিত করিয়াছেন। অতএব, তুমি হজ্জের সকল আহকাম আদায় কর তবে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করিবে না। রাসূলুল্লাহ [সাঃ] তাহাঁর সহধর্মিণীদের পক্ষ থেকে গরু কুরবানী দিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২২.পরিচ্ছেদঃ ইহ্রামের সময় নিফাসওয়ালী {২} নারীরা কি করিবে
২৯১. জা’ফর ইব্ন মুহাম্মদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমাকে আমার পিতা বলেছেন, আমরা জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] এর নিকট গমন করে তাকে রাসূলুল্লাহ [স]-এর বিদায় হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসূলূল্লাহ [স] যুলক্বা’দা মাসের পাঁচ দিন অবশিষ্ট থাকতে হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হলেন। আমরাও তাহাঁর সাথে বের হলাম। যখন তিনি যুল-হুলায়ফা পৌঁছলেন, তখন আসমা বিন্তে উমায়স [রাঃআঃ] মুহাম্মদ ইব্ন আবু বকরকে প্রসব করিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ [স]-এর নিকট জিজ্ঞাসা করে পাঠালেনঃ আমি এখন কি করব? তিনি বললেনঃ তুমি গোসল কর তারপর পট্টি পরে নাও এবং ইহরাম বাঁধ।
{২} গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান প্রসবের পর যে কিছুদিন রক্ত বের হয়, সে সময়কালকে নিফাস বলা হয়।নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৩.পরিচ্ছেদঃ হায়যের রক্ত কাপড়ে লাগলে
২৯২. আদী ইব্ন দীনার [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি উম্মে কায়স বিনত মিহসান [রাঃআঃ]-কে রাসূলুল্লাহ [স]এর নিকট হায়যের রক্ত কাপড়ে লাগার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিলেন, কাঠ দ্বারা তা ঘষে নিবে এবং কুলপাতা মিশ্রিত পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলবে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৯৩. আস্মা বিনত আবু বকর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
এক মহিলা রসূলুল্লাহ [স]-এর নিকট কাপড়ে লাগা হায়যের রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ তা খুঁটবে, তারপর পানি দিয়ে রগড়াবে, তারপর তা ধুয়ে নেবে আর তাতেই নামাজ আদায় করিবে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৪.পরিচ্ছেদঃ কাপড়ে যদি বীর্য লাগে
২৯৪. মুআবিয়া ইব্ন আবু সুফয়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি একবার রসূলুল্লাহ [স]-এর সহধর্মিণী উম্মে হাবীবা [রাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করিলেন, রাসূলুল্লাহ [স] যে কাপড়ে সহবাস করিতেন তাতে কি তিনি নামাজ আদায় করিতেন? তিনি বলিলেন হ্যাঁ। যদি তাতে কোন নাপাকী না দেখিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৫.পরিচ্ছেদঃ কাপড় থেকে বীর্য ধৌত করা
২৯৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ [স]-এর কাপড় হইতে জানাবাতের নাপাকী ধুতাম, তারপর তিনি নামাজের জন্য বের হইতেন অথচ পানির চিহ্ন তাহাঁর কাপড়ে বিদ্যামান থাকত।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬.পরিচ্ছেদঃ কাপড় থেকে বীর্য ঘষে ফেলা
২৯৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাপড় থেকে জানাবাতের নাপাকী ঘষে ফেলতাম। আর এক সময় বলেছেনঃ কাপড় থেকে বীর্য ঘষে ফেলতাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৯৭. আয়িশাহ[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেছেনঃ আমার মনে আছে যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাপড় থেকে জানাবাতের নাপাকী ঘষে ফেলার অতিরিক্ত কিছু করতাম না।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৯৮. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাপড় থেকে তা ঘষে ফেলতাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৯৯. য়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাপড়ে তা দেখতাম আর তা ঘষে ফেলতাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০০. য়িশাহ[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমার মনে পড়ে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাপড় থেকে জানাবাতের চিহ্ন ঘষে ফেলতাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০১. য়িশাহ[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমার মনে পড়ে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাপড় থেকে জানাবাতের চিহ্ন ঘষে পরিষ্কার করতাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭.পরিচ্ছেদঃ খাদ্য গ্রহণ করেনি এমন শিশুর পেশাব প্রসঙ্গে
৩০২. উম্মে কায়স বিনতে মিহসান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি খাদ্য গ্রহণ করেনি তাহাঁর এমন একটি ছোট শিশুকে নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর নিকট উপস্থিত হলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে তাহাঁর কোলে বসালেন, সে তাহাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি কিছু পানি আনিয়ে তা কাপড়ে ঢেলে দিলেন, তা ধুলেন না।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০৩. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর নিকট একটি শিশু আনা হল। সে তাহাঁর কোলে পেশাব করে দিল। তিনি কিছু পানি আনালেন এবং তা পেশাবের উপর ঢেলে দিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮.পরিচ্ছেদঃ ছোট বালিকার পেশাব প্রসঙ্গে
৩০৪. বুস্ সামহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
{১} থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ছোট মেয়ের পেশাব ধুয়ে ফেলতে হয় আর ছোট ছেলের পেশাবের উপর পানি ছিটাতে {২} হয়।
{১} তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর খাদেম ছিলেন।{২} আয়িশাহ[রাঃআঃ]থেকে বর্ণিত হাদীসে ছোট ছেলের পেশাবে পানি ঢেলে দেয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে এবং এ হাদীসে পানি ছিটিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আর উদ্দেশ্য এ নয় যে, পেশাব না ধুয়ে কেবল পানি ছিটিয়ে দিলে পাক হইবে। বরং এর অর্থ এই যে, ছোট ছেলের পেশাব হালকাভাবে ধৌত করলেও চলবে। – অনুবাদক নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৯.পরিচ্ছেদঃ হালাল পশুর পেশাব প্রসঙ্গে
৩০৫. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
উকল গোত্রের কিছু লোক রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাহাদের ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিল। তারপর তারা বলিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমরা দুগ্ধবতী পশু রাখি; আমরা কৃষিকাজের লোক নই। মদীনার আবহাওয়া তাহাদের উপযোগী হলো না। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদেরকে কিছু উট ও একজন রাখাল প্রদানের নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তাহাদের উটের প্রতিপালনের কাজে মদীনার বাইরে যেতে এবং উটের দুধ ও এর পেশাব পান করার নির্দেশ দিলেন। যখন তারা সুস্থ হয়ে গেল এবং হাররা নামক স্থানে অবস্থান করিল, তখন তারা ইসলাম ত্যাগ করিল। আর তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে গেল।এ খবর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর নিকট পৌঁছলে তিনি তাহাদের পেছনে অনুসন্ধানকারী দল পাঠালেন এবং তাহাদের গ্রেফতার করে আনা হল। তাহাদের চোখে লৌহ শলাকা গরম করে লাগান হল এবং হাত-পা কেটে দেয়া হল। পরে তাহাদের হাররার জমিতে ঐ অবস্থায় ফেলে রাখা হল। এভাবে তারা প্রাণ ত্যাগ করিল। {১}
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০৬. আনাস ইবনি মালিক[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ উরায়না গোত্রের কয়েকজন বেদুঈন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম কবূল করিল। মদীনায় বসবাস তাহাদের উপযোগী হল না। এমনকি তাহাদের রং ফ্যাকাসে হয়ে গেল এবং পেট স্ফীত হয়ে গেল।রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের আপন দুগ্ধবতী উষ্ট্রের পালের দিকে পাঠিয়ে দিলেন। আর তাহাদের তার দুধ ও পেশাব পান করার আদেশ দিলেন। এতে তারা সুস্থ হয়ে গেল। তারপর উটের রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে গেল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের খুঁজে আনার জন্য লোক পাঠালেন। তাহাদের ধরে আনা হলে তাহাদের হাত-পা কেটে দেওয়া হল এবং গরম শলাকা দিয়ে তাহাদের চোখ ফুঁড়ে দেওয়া হল। আমীরুল মুমিনীন আবদুল মালিক আনাস [রাঃআঃ]-এর নিকট এ হাদিস শুনে তাহাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করলেনঃ এ শাস্তি কি কুফরের জন্য, না গুনাহের জন্য। তিনি বলিলেন, কুফরের জন্য।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০.পরিচ্ছেদঃ হালাল পশুর উদরস্থ গোবর কাপড়ে লাগা প্রসঙ্গে
৩০৭. আমর ইবনি মায়মুন [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ] আমাদের নিকট বায়তুলমাল সম্পর্কিত একটি হাদিস বর্ণনা করিতে গিয়ে বলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বায়তুল্লাহর নিকট নামাজ আদায় করছিলেন। তখন একদল কুরায়শ তথায় উপবিষ্ট ছিল। তারা একটি উট যবেহ করেছিল। তাহাদের একজন বলিল, তোমাদের মধ্যে কে এর রক্তমাখা উদরস্থ গোবর [নাড়ি-ভূড়িসহ] নিয়ে তার কাছে গিয়ে অপেক্ষা করিতে পারবে, তারপর যখন সে সিজদায় কপাল ঠেকাবে তখন তা পিঠের উপর রেখে দিবে? আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] বলেন, তাহাদের সবচাইতে নিকৃষ্ট ব্যক্তিটি প্রস্তুত হল এবং গোবরযুক্ত নাড়ি-ভূঁড়ি নিয়ে অপেক্ষায় রইল। যখন তিনি সিজদায় গেলেন, তখন তা তাহাঁর পিঠের উপর রেখে দিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কন্যা ফাতিমা [রাঃআঃ]-এ খবর পেলেন-এ সময় তিনি ছিলেন অল্পবয়স্কা। তিনি দৌড়ে এলেন এবং তাহাঁর পিঠ হইতে তা সরিয়ে ফেললেন। তিনি নামাজ শেষ করে তিনবার বললেনঃ
اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ
আয় আল্লা্হ্! কুরায়শকে ধর। হে আল্লাহ্! আবু জাহল ইবনি হিশাম, শায়িবা ইবনি রবীআ, উৎবা ইবনি রবীআ, উকবা ইবনি আবু মুআয়ত প্রমুখকে পাকড়াও কর।
এভাবে তিনি কুরায়শদের সাতজনের নাম উল্লেখ করিলেন। আবদুল্লাহ বলেন, সেই আল্লাহ্র কসম যিনি তাহাঁর উপর কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছেন, আমি তাহাদের সকলকে বদরের দিন একই গর্তে মৃত অবস্থায় পতিত দেখেছি।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩১.পরিচ্ছেদঃ থুথু কাপড়ে লাগা প্রসঙ্গে
৩০৮. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর চাদরের একদিক উঠিয়ে তাতে থুথু ফেললেন, এরপর এক অংশের উপর অন্য অংশ চাপা দিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন সামনে অথবা তার ডানে থুথু না ফেলে। বরং বামদিকে কিংবা পায়ের নিচে ফেলে। অথবা এরকম [এ বলে] করে নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর কাপড়ে থুথু ফেললেন ও তা মললেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply