ওযুর পানি কি নাপাক এবং বিভিন্ন রকমের পানির বর্ণনা
ওযুর পানি কি নাপাক এবং বিভিন্ন রকমের পানির বর্ণনা >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ১, পবিত্রতা, হাদীস (৫২-৭২)
৪২.পরিচ্ছেদঃ পানির [পাক-নাপাক হওয়ার] ব্যাপারে পরিমাণ নির্ধারণ
৪৩.পরিচ্ছেদঃ পানির পরিমাণ নির্ধারণ না করা
৪৪.পরিচ্ছেদঃ বদ্ধ পানির বর্ণনা
৪৫.পরিচ্ছেদঃ সমূদ্রের পানি প্রসঙ্গে
৪৬.পরিচ্ছেদঃ বরফ দ্বারা উযূ করা
৪৭.পরিচ্ছেদঃ বরফের পানি দ্বারা উযূ করা
৪৮.পরিচ্ছেদঃ শিলাবৃষ্টি পানি দ্বারা উযূ সম্পর্কে
৪৯.পরিচ্ছেদঃ কুকুরের উচ্ছিষ্ট
৫০.পরিচ্ছেদঃ কুকুর পাত্রে মুখ দিলে পাত্রের জিনিস ঢেলে ফেলে দেয়ার নির্দেশ
৫১.পরিচ্ছেদঃ কুকুরের মুখ দেওয়া পাত্র মাটি দ্বারা মাজা সম্পর্কে
৫২.পরিচ্ছেদঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট
৫৩.পরিচ্ছেদঃ গাধার উচ্ছিষ্ট
৫৪.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি মহিলার উচ্ছিষ্ট
৫৫.পরিচ্ছেদঃ নারী-পুরুষের একত্রে উযূ করা
৫৬.পরিচ্ছেদঃ জুনুব {২} ব্যক্তির [গোসলের পর] অবশিষ্ট পানি
৪২.পরিচ্ছেদঃ পানির [পাক-নাপাক হওয়ার] ব্যাপারে পরিমাণ নির্ধারণ
৫২. আবদুল্লাহ ইব্ন উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে পানির [পাক-নাপাক হওয়ার] পরিমাণ এবং যে পানিতে চতুষ্পদ জন্তু ও হিংস্র জন্তু আসা-যাওয়া করে, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি [উত্তরে] বলেনঃ পানি যখন দুই কুল্লা হইবে তখন তা নাপাক হইবে না। {১}
{১} কুল্লা বলিতে বড় মশক বা মটকা উভয়কে বুঝায়। তৎকালে একটা মটকায় সাধারণত তিন মণের কিছু বেশি পানি ধরত। সে হিসেবে দুই মটকা পানির পরিমাণ দাঁড়ায় অনুমান সোয়া ছয় মণ। হানাফী ফকীহগণ দশ বর্গহাত বিশিষ্ট কুপের পানিকে বেশি পানি মনে করেন। এ পরিমাণ পানিতে কোন নাপাক বস্তু পড়ার কারণে যদি এর রং, স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট না হয় তাহলে তা নাপাক হইবে না।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৩.পরিচ্ছেদঃ পানির পরিমাণ নির্ধারণ না করা
৫৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
জনৈক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করে দেয়। কেউ কেউ [বাধা দিতে] উঠে দাঁড়ায়। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তাকে ছেড়ে দাও, তার পেশাবে বাধার সৃষ্টি করো না। সে ব্যক্তি পেশাব শেষ করলে তিনি এক বালতি পানি আনতে বলেন। তারপর তার পেশাবের উপর তা ঢেলে দেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৪. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ এক বেদুঈন ব্যক্তি মসজিদে পেশাব করে দেয়। নাবী [সাঃআঃ] এক বালতি পানি আনতে আদেশ করেন। তারপর ঐস্থানে পানি ঢেলে দেয়া হয়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৫. ইয়াহইয় ইবন সাঈদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি আনাস [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, এক বেদুঈন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে এবং পেশাব করিতে শুরু করে। এতে লোকেরা চিৎকার করে উঠল। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তাকে ছেড়ে দাও। তারা তাকে ছেড়ে দেয়। সে ব্যক্তি পেশাব শেষ করে। পরে তিনি এক বালতি পানি আনতে নির্দেশ দেন এবং তা পেশাবের উপর ঢেলে দেয়া হয়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ এক বেদুঈন মসজিদে এসে পেশাব করে দেয়। লোকেরা তাকে ধমক দিতে আরম্ভ করলো। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের কে বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও এবং তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কেননা তোমরা নম্র ব্যবহারের জন্য প্রেরিত হয়েছ, কঠোর ও রূঢ় আচরণের জন্যে নয়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৪.পরিচ্ছেদঃ বদ্ধ পানির বর্ণনা
৫৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃতোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে পেশাব না করে যেখানে সে পরে উযূ করিবে। {১}
{১} বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে পেশাব না করে, যাতে সে পরে গোসল করিবে। ঈমাম নাসাঈ [রহঃ] বলেনঃইয়াকূব [রহঃ] এ হাদিসখানা বর্ণনা করিতেন এক দীনার নিয়ে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৫.পরিচ্ছেদঃ সমূদ্রের পানি প্রসঙ্গে
৫৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করিল। সে বলিল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সমুদ্রে ভ্রমণ করি। আমাদের সঙ্গে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে থাকি। এ পানি দ্বারা যদি আমরা উযূ করি তবে [পানি নিঃশেষ হয়ে যাবে] আমরা পিপাসায় কষ্ট পাবো। [এমতাবস্থায়] আমরা কি সমুদ্রের পানি দ্বারা উযূ করব? জবাবে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং সমুদ্রের মৃত প্রাণীও হালাল। {১}
{১} সমুদ্রের মৃত প্রাণী ফুলে উঠার পূর্ব পর্যন্ত হালাল। আর এখানে সমুদ্রের মৃত প্রাণী দ্বারা মাছকেই বুঝানো হয়েছে। ঈমাম আবু হানীফা [রহঃ] এরই অনুসরণ করেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৬.পরিচ্ছেদঃ বরফ দ্বারা উযূ করা
৬০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজ আরম্ভ করার পর অল্পক্ষণ নীরব থাকতেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক; তাকবীর ও কিরাআতের মধ্যবর্তী নীরবতার সময় আপনি কি পড়েন? তিনি বলেনঃ আমি তখন পড়ি ঃ
اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ
আল্ল-হুম্মা বা-‘ইদ বায়নী ওয়া বায়না খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা- বা-আদতা বায়নাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিব, আল্ল-হুম্মা নাকিনী মিন খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইউনাক্কস্ সাওবুল আবইয়াযু মিনাদ দানাস, আল্ল-হুম্মাগ সিলনী মিন খত্বা-ইয়া-ইয়া বিসসালজি ওয়াল মায়ি ওয়াল বারাদ
“হে আল্লাহ! পূর্ব পশ্চিমের মধ্যে আপনি যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করিয়াছেন তেমনি আমার ও আমার অপরাধসমূহের মধ্যে দূরত্ব করে দিন। হে আল্লাহ! আমার গুনাহসমূহ থেকে আমাকে পবিত্র করুন যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পবিত্র করা হয়। হে আল্লাহ! আমার গুনাহসমূহ্ থেকে আমাকে ধৌত করে দিন বরফ, পানি এবং শিলাবৃষ্টির পানি দ্বারা।”
সহীহ: বুখারী ৭৪৪, মুসলিম ৫৯৮, ইবনু মাজাহ ৫০৮, নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৭.পরিচ্ছেদঃ বরফের পানি দ্বারা উযূ করা
৬১. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পড়তেনঃ
اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ
“হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাহসমূহ বরফের পানি এবং বৃষ্টির ঠান্ডা পানি দ্বারা ধৌত করে দিন এবং আমার অন্তরকে গুনাহসমূহ থেকে পবিত্র করে দিন যেমন আপনি সাদা কাপড় পবিত্র করিয়াছেন ময়লা থেকে।”
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৮.পরিচ্ছেদঃ শিলাবৃষ্টি পানি দ্বারা উযূ সম্পর্কে
৬২. যুবায়ের ইবনি নুফায়র [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি আউফ ইবনি মালিক [রাঃআঃ]-এর নিকট গমন করি। তখন তিনি বলেছিলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক মৃত ব্যক্তির জানাযার নামাজের সময় যে দোয়া পড়েছিলেন আমি তা শুনিয়াছি। তিনি পড়েছিলেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَأَوْسِعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ
“আল-হুম্মাগফির লাহু ওয়ারহামহু ওয়া আ-ফিহী ওয়া’ ফু আনহু ওয়া আকরিম নুযুলাহু ওয়া আওসি মুদখলাহু ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াসসালজি ওয়াল বারাদি ওয়া নাকিহী মিনাল খত্বা-ইয়া- কামা- ইউনাক্কস্ সাওবুল আবইয়াযু মিনাদ দানাস
“হে আল্লাহ্! আপনি তাকে মাফ করে দিন এবং তার উপর রহম করুন। তাকে আরাম দিন এবং ক্ষমা করুন! তার আতিথেয়তাকে সম্মানজনক করুন। তার কবর প্রশস্ত করুন এবং তাকে পানি, বরফ ও শিলাবৃষ্টির পানি দ্বারা ধৌত করুন। তাকে গুনাহ থেকে পবিত্র করুন যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পবিত্র করা হয়।”
সহীহ: মুসলিম ৯৬৩, তিরমিযী ১০২৫, ইবনু মাজাহ ১৫০০, ইওয়াউল গালীল (১/৪২)।, নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৯.পরিচ্ছেদঃ কুকুরের উচ্ছিষ্ট
৬৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যদি তোমাদের কারও পাত্র থেকে কুকুর পান করে তবে সে যেন তার পাত্রটি সাতবার ধৌত করে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৬৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কারও পাত্রে যখন কুকুর মুখ দেবে, তখন সে যেন পাত্রটি সাতবার ধৌত করে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৬৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি নাবী [সাঃআঃ] থেকে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫০.পরিচ্ছেদঃ কুকুর পাত্রে মুখ দিলে পাত্রের জিনিস ঢেলে ফেলে দেয়ার নির্দেশ
৬৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে সে যেন পাত্রের জিনিস ঢেলে ফেলে দেয়। তারপর যেন তা সাতবার ধুয়ে ফেলে।
আবু আবদুর রহমান বলেনঃ [পাত্রের জিনিস ঢেলে ফেলে দেয়] এই কথায় [সনদের উর্ধ্বতন রাবী] আলী ইবনি মুসহিরকে কেউ অনুসরণ করেছে বলে আমি জানি না।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫১.পরিচ্ছেদঃ কুকুরের মুখ দেওয়া পাত্র মাটি দ্বারা মাজা সম্পর্কে
৬৭. আব্দুল্লাহ ইবনি মুগাফফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশ্য শিকার ও ছাগপালের পাহারাদারীর জন্য কুকুর রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছেন যে, কোন পাত্রে যখন কুকুর মুখ দেয় তখন তা সাতবার ধৌত করিবে এবং অষ্টমবারে মাটি দ্বারা মেজে নেবে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫২.পরিচ্ছেদঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট
৬৮. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
একদিন তাহাঁর নিকট আগমন করেন। তারপর কাবশা কিছু কথা বলেনঃ যার অর্থ হচ্ছে, আমি আবু কাতাদা [রাঃআঃ]-এর জন্য উযূর পানি রাখি। ইত্যবসরে একটি বিড়াল এসে পাত্র থেকে পানি পান করে। আবু কাতাদা [রাঃআঃ] পাত্রটি কাত করে দিলে বিড়ালটি পানি পান করে। কাবশা বলেনঃ আবু কাতাদা [রাঃআঃ] আমাকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে ভাতিজী! [আমি বিড়ালকে পাত্র থেকে পানি পান করিয়েছি দেখে] তুমি আশ্চর্যান্বিত হয়েছ কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, বিড়াল অপবিত্র নয়। কারণ যে সব প্রাণী প্রতিনিয়ত তোমাদের আশে পাশে থাকে, তাহাদের মধ্যে বিড়ালও একটি।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৩.পরিচ্ছেদঃ গাধার উচ্ছিষ্ট
৬৯. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ঘোষণাকারী এসে বললো ঃআল্লাহ ও তাহাঁর রাসূল [সাঃআঃ] তোমাদেরকে গাধার গোশত [খেতে] নিষেধ করিয়াছেন। কেননা তা অপবিত্র।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৪.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি মহিলার উচ্ছিষ্ট
৭০. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি হাড় থেকে গোশত কামড়ে নিতাম। তারপর আমি যেখানে মুখ রাখতাম রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–ও সেখানে তাহাঁর মুখ রাখতেন। অথচ তখন আমি ঋতুমতি ছিলাম। আমি পাত্র থেকে পানি পান করতাম। তারপর তিনি সে স্থানে মুখ রাখতেন, যেখানে আমি মুখ রাখতাম। অথচ আমি তখন ঋতুমতি ছিলাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৫.পরিচ্ছেদঃ নারী-পুরুষের একত্রে উযূ করা
৭১. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যামানায় নারী-পুরুষ একত্রে উযূ করিতেন। {১}
{১} মুহাদ্দিস-ই সিন্ধী [রহঃ] বলেনঃ একত্রে উযূ করার ঘটনা পর্দার নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের অথবা তা ছিল পর্যায়ক্রমিক। হযরত ইবনি উমর [রাঃআঃ] তা-ই বুঝিয়েছেন। রুষ একত্রে উযূ করিতেন।নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫৬.পরিচ্ছেদঃ জুনুব {২} ব্যক্তির [গোসলের পর] অবশিষ্ট পানি
৭২. উরওয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
আয়িশাহ [রাঃআঃ] তাহাঁর নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সাথে একই পাত্রে গোসল করিতেন।
{২} জুনুব – যে ব্যক্তির জন্য গোসল ফরয। নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply