কাঁচা রসূন, পিঁয়াজ, লিক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয়

কাঁচা রসূন, পিঁয়াজ, লিক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয়

কাঁচা রসূন, পিঁয়াজ, লিক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

পরিচ্ছেদ – ৩১১ : [কাঁচা] রসূন, পিঁয়াজ, লিক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।

1/1710. عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ – يَعنِي : الثُّومَ – فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا» . متفق عَلَيْهِ . وفي روايةٍ لمسلم : «مَسَاجِدَنَا» .

১/১৭১০। ইবনি উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এই গাছ—অর্থাৎ রসুন —থেকে কিছু খায়, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়।’’ [বুখারী-মুসলিম] [1]

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘‘সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদসমূহের নিকটবর্তী না হয়।’’

2/1711. وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّا، وَلاَ يُصَلِّيَنَّ مَعَنَا» . متفق عَلَيْهِ

২/১৭১১। আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এই [রসুন] গাছ থেকে কিছু ভক্ষণ করিল, সে যেন অবশ্যই আমাদের নিকটবর্তী না হয়, আর না আমাদের সাথে নামায পড়ে।’’ [বুখারী ও মুসলিম] [2]

3/1712 وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَكَلَ ثُوماً أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلنَا، أَو فَلْيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا». متفق عَلَيْهِ، وَفِي رِوَايةٍ لِمُسْلِمٍ : «مَنْ أَكَلَ البَصَلَ، وَالثُّومَ، وَالكُرَّاثَ، فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، فَإِنَّ المَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ» .

৩/১৭১২। জাবের রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ  সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি [কাঁচা] রসূন অথবা পিঁয়াজ খায়, সে যেন আমাদের নিকট হইতে দূরে অবস্থান করে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে।’’ [বুখারী ও মুসলিম] [3]

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, ‘‘যে ব্যক্তি [কাঁচা] পিঁয়াজ, রসূন এবং লিক পাতা খায়, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়। কেননা, ফিরিশতাগণ সেই জিনিসে কষ্ট পান, যাতে আদম-সন্তান কষ্ট পায়।’’

4/1713 وَعَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنهُ : أَنَّهُ خَطَبَ يَومَ الجُمُعَةِ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ : ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأكُلُونَ شَجَرتَيْنِ مَا أَرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْن: البَصَلَ وَالثُّومَ. لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إِذَا وَجدَ ريحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فِي المَسْجِدِ أَمَرَ بِهِ، فَأُخْرِجَ إِلَى البَقِيعِ، فَمَنْ أَكَلَهُمَا، فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخاً. رواه مسلم

৪/১৭১৩। উমার ইবনি খাত্তাব রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি এক জুমার দিন খুতবা দিলেন, সে খুতবায় তিনি বলিলেন, ‘‘….অতঃপর তোমরা হে লোক সকল! দুই শ্রেণীর এমন গাছ [সবজী] খেয়ে থাক; যা [কাঁচা অবস্থায়] খাওয়ার অনুপযুক্ত মনে করি; পিঁয়াজ আর রসুন। আমি রসুলুল্লাহ  সাঃআঃ-কে দেখেছি, যখন তিনি মসজিদের মধ্যে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ঐ দুই [সবজি]র দুর্গন্ধ পেতেন, তখন তাকে [মসজিদ থেকে বহিষ্কার করিতে] আদেশ দিতেন। ফলে তাকে বাকী’ [নামক জায়গা] পর্যন্ত বের করে দেওয়া হত। সুতরাং যে ঐ দুই সবজী খেতে চায়, সে যেন ঐগুলি রান্না করে তার গন্ধ মেরে খায়।’’ [মুসলিম] [4]


[1] সহীহুল বুখারী ৮৫৩, ৪২১৫, ৪২১৭, ৪২১৮, ৫৫২২, মুসলিম ৫৬১, আবূ দাউদ ৩৮২৫, ইবনু মাজাহ ১০১৬, আহমাদ ৪৭০১, ৪৭০৬, ৫৭৫২, ৬২৫৫, ৬২৭৪, ২৭৮৩৬, দারেমী ২০৫৩

[2] সহীহুল বুখারী ৮৫৬, ৫৪৫১, মুসলিম ৫৬২, আহমাদ ২৭৮৩৩

[3] সহীহুল বুখারী ৮৫৪, ৮৫৫, ৫৪৫২, ৭৩৫৯, মুসলিম ৫৬৪, তিরমিযী ১৮০৬, নাসায়ী ৭০৭, আবূ দাউদ ৩৮২২, আহমাদ ১৪৫৯৬, ১৪৬৫১, ১৪৭৩৯, ১৪৮৫০, ১৪৮৭৫

[4] মুসলিম ৫৬৭, ইবনু মাজাহ ৩৩৬৩, ১০১৪, নাসায়ী ৭০৩, আহমাদ ৯০, ৩৪৩

Comments

Leave a Reply