ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এবং যা থেকে বেচে থাকতে হবে

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এবং যা থেকে বেচে থাকতে হবে

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এবং যা থেকে বেচে থাকতে হবে >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ১১, অধ্যায়ঃ ১১

  • অধ্যায়ঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ

২৬৭৮

আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

জনৈক লোক রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে এসে জিজ্ঞেস করলো, মুহরিম কোন্ ধরনের পোশাক পরবে? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, জামা, পাগড়ি, পাজামা, টুপী, মোজা পরবে না। তবে যে লোকের জুতা নেই সে মোজা পরতে পারবে কিন্তু পায়ের গোড়ালির নিচ হইতে মোজাদ্বয়কে কেটে দিবে। এমন কোন কাপড়ও পরবে না যাতে জাফারানের ও ওয়ার্‌স-এর রং রয়েছে। [বোখারী, মুসলিম; বোখারীর এক বর্ণনায় আরো একটু বেশি আছে- মুহরিম নারী বোরকা পরবে না, হাত মোজাও পরবে না।]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৮০৩, মুসলিম ১১৭৭, নাসায়ী ২৬৬৯, মুয়াত্ত্বা মালিক ১১৬০, আহমাদ ৫১৬৬, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ২৫৯৯।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৭৯

আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে এক বক্তৃতায় বলিতে শুনিয়াছি, তিনি [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুহরিম যদি জুতা না পায় তবে মোজা পরতে পারবে এবং সেলাইবিহীন লুঙ্গি না পায় তবে পাজামা পরতে পারবে। [বোখারী, মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৮৪১, মুসলিম ১১৭৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১৫৭৭৯, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২৮০৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯০৬৬।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮০

ইয়ালা ইবনি উমাইয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা জিরানাহ্ নামক স্থানে নবী সাঃআঃ-এর সাথে ছিলাম। তখন তাহাঁর নিকট একজন বেদুঈন আসলো। তার পরনে ছিল জুব্বা আর শরীরে ছিল সুগন্ধি ছিটানো। সে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমি উমরা করার জন্য ইহরাম বেঁধেছি আর আমার গায়ে এসব আছে। তার কথা শুনে তিনি [সাঃআঃ] বললেন, তোমার শরীরে যে সুগন্ধি রয়েছে তা তিনবার করে ধুয়ে ফেলো, আর জুব্বা খুলে ফেলো। অতঃপর হজে যা কর উমরাতেও তাই কর। [বোখারী, মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ৪৩২৯, মুসলিম ১১৮০, আহমাদ ১৭৯৪৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩৩১।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮১

উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ ইহরাম অবস্থায় বিয়ে করিবে না, বিয়ে দেবে না এবং বিয়ের প্রস্তাবও দিবে না। [মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ১৪০৯, আবু দাউদ ১৮৪১, নাসায়ী ২৮৪২, মুয়াত্ত্বা মালিক ১২৬৮, আহমাদ ৪৯৬, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ২৬৪৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯১৫১, সহীহ ইবনি হিব্বান ৪১২৩, ইরওয়া ১০৩৭, সহীহ আল জামি ৭৮০৯।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮২

আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ মায়মূনাহ্ [রাদি.]-কে ইহরাম অবস্থায় বিয়ে করেছিলেন। [বোখারী, মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৮৩৭, মুসলিম ১৪১০, আবু দাউদ ১৮৪৪, আহমাদ ৩০৫২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৪২১০, সহীহ ইবনি হিব্বান ৪১৩১।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮৩

উম্মুল মুমিনীন মায়মূনাহ্ [রাদি.]-এর ভাগিনা ইয়াযীদ ইবনি আসম [রাহিমাহুল্লাহ] তাহাঁর খালা মায়মূনাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী সাঃআঃ মায়মূনাহ্ [রাদি.]-কে হালাল অবস্থায় [ইহরাম অবস্থায় নয়] বিয়ে করেছিলেন। [মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ১৪১১, তিরমিজি ৮৪৫, ইবনি মাজাহ ১৯৬৪, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১২৯৭১, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৪৫, মুসতাদ্রাক লিল হাকিম ৬৭৯৮, সুনানুল কুবরা লিল হাকিম ৯১৫৯, সহীহ ইবনি হিব্বান ৪১৩৬।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮৪

আবু আইয়ূব আল আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ ইহরাম অবস্থায় নিজের মাথা ধুতেন। [বোখারী, মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৮৪০, মুসলিম ১২০৫।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮৫

ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। [বোখারী, মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৮৩৫, মুসলিম ১২০২, নাসায়ী ২৮৪৭, আবু দাউদ ১৮৩৫, তিরমিজি ৮৩৯, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১৪৫৯১, আহমাদ ১৯২৩, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১০৮৫৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯১৪৭।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮৬

উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় চোখে ব্যথা অনুভব করে সে মুসাববার দিয়ে পট্টি বাঁধবে। [মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ১২০৪, দারিমী ১৯৭১, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ২৬৫৪, সহীহ আল জামি ৩৪৫।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮৭

মহিলা সাহাবী উম্মুল হুসায়ন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি উসামাহ্ ও বিলাল [রাদি.]-কে দেখেছি তাদের একজন রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর উটনীর লাগাম ধরে রেখেছে আর অপরজন কাপড় উপরে উঠিয়ে রোদ্র হইতে তাঁকে ছায়া দিচ্ছে জামারাতুল আক্বাবায় পাথর মারা পর্যন্ত। [মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ১২৯৮, আবু দাউদ ১৮৩১, আহমাদ ২৭২৫৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৫৫৩, সহীহ ইবনি হিব্বান ৩৯৪৯, ইরওয়া ১০১৮।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৮৮

কাব ইবনি উজরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার নবী সাঃআঃ মাক্কায় পৌঁছার আগে হুদায়বিয়ায় তাহাঁর [কাব-এর] নিকট দিয়ে গেলেন। তখন তিনি [কাব] ইহরাম অবস্থায় একটি হাঁড়ির তলায় আগুন ধরাচ্ছে, আর তার মুখমণ্ডল বেয়ে উকুন ঝরছিল। এটা দেখে তিনি [সাঃআঃ] বললেন, তোমার [গায়ের] পোকা কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? তিনি [কাব] বললেন, জি, হ্যাঁ। তখন তিনি [সাঃআঃ] বললেন, তাহলে তুমি তোমার মাথা মুণ্ডন করে ফেলো এবং ছয়জন মিসকীনকে এক ফারাক্ব খাবার খাওয়াও কিংবা তিনদিন সিয়াম পালন কর অথবা একটি পশু কুরবানী কর। বর্ণনাকারী বলেন, এক ফারাক্ব তিন সা-এর সমতুল্য। [বোখারী, মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ১২০১, তিরমিজি ৯৫৩, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৩৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৭১৮, সহীহ ইবনি হিব্বান ৩৯৭৯।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২৬৮৯

আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ নারীদেরকে তাদের ইহরামে হাত মোজা ও বোরকা এবং ওয়ারস্ [জাফরানে রঞ্জিত কাপড়] পরতে নিষেধ করিতে শুনেছেন। তারপর [ইহরামের পর] তারা যে কোন কাপড় পছন্দ করে পরতে পারবে- তা কুসুমী বা রেশমী হোক অথবা যে কোন ধরনের অলংকার অথবা পাজামা বা পিরান বা মোজা পরতে পারে। [আবু দাউদ]{১}

{১} হাসান সহীহ : আবু দাউদ ১৮২৭, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১৪২৩৬, মুসতাদ্রাক লিল হাকিম ১৭৮৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯০৪৫।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ

২৬৯০

আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম, তখন আরোহী দল আমাদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করতো। তারা আমাদের কাছাকাছি আসলে আমাদের সকলেই নিজ নিজ মাথার চাদর চেহারার উপর ঢেকে দিতাম। আর তারা চলে যেত আমরা তখন তা [খুলতাম] সরিয়ে নিতাম। [আবু দাউদ, আর ইবনি মাজাহ এর মর্মার্থ]{১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ১৮৩৩, আহমাদ ২৪০২১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯০৫১, ইবনি মাজাহ ২৯৩৫, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ২৬৯১। কারণ এর সনদে ইয়াযীদ ইবনি যিয়াদ একজন দুর্বল রাবী।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

২৬৯১

আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধিহীন তেল ব্যবহার করিতেন। [তিরমিজি]{১}

{১} সানাদ দুর্বল : তিরমিজি ৯৬২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১৪৮২০, আহমাদ ৫২৪২। কারণ এর সনদে ফারক্বদ আস্ সাবাখী একজন দুর্বল রাবী।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

অধ্যায়ঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২৬৯২

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] শীত অনুভব করে বললেন, নাফি! আমার গায়ে একটি কাপড় জড়িয়ে দাও। [নাফি বলেন] আমি তাহাঁর গায়ের উপর একটি ওভারকোট জড়িয়ে দিলাম। তখন তিনি [ইবনি উমার] বললেন, আমার গায়ে ওভারকোট জড়িয়ে দিলে অথচ রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ মুহরিমের জন্য তা নিষেধ করিয়াছেন। [আবু দাউদ]{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৮২৮, আহমাদ ৪৮৫৬, ইরওয়া ১০১২।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৯৩

আব্দুল্লাহ ইবনি মালিক ইবনি বুহায়নাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মক্কার পথে লুহা- জামাল নামক জায়গায় নিজের মাথার মাঝখানে শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। [বোখারী, মুসলিম]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৬৯৮, মুসলিম ২২০৩, আহমাদ ২২৯২৪, নাসায়ী ২৮৫০, সহীহ ইবনি হিব্বান ৩৯৫৩।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৯৪

আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ ইহরাম অবস্থায় ব্যথার কারণে তাহাঁর পায়ের পাতার উপর শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। [আবু দাউদ ও নাসায়ী]{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৮৩৭, আহমাদ ১২৬৮২, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ২৬৫৯, সহীহ ইবনি হিব্বান ৩৯৫২।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২৬৯৫

আবু রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ বিবি মায়মূনাহ্-কে হালাল অবস্থায় বিয়ে করেছিলেন এবং হালাল অবস্থায়ই তার সাথে মেলামেশা করেছিলেন। আর আমিই ছিলাম তাদের মধ্যে বার্তাবাহক। [আহমাদ, তিরমিজি; ঈমাম তিরমিজি হাদিসটি হাসান বলেছেন]{১}

{১} জইফ : তবে প্রথমাংশটুকু সহীহ। তিরমিজি ৮৪১, সহীহ ইবনি হিব্বান ৪১৩৫, ইরওয়া ১৪৬০/২। কারণ এর সনদে মাত্র আল ওয়ার্রাক অধিক ভুলকারী রাবী। তাই ঈমাম মালিক, সুলায়মান ইবনি বিলাল-এর মতো রাবীদের ওপর তার অতিরিত অংশে গ্রহণযোগ্য হবে না।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply