মসজিদে থুথু ফেলা, ঝগড়া, হারানো বস্তুর খোঁজ নিষেধ

মসজিদে থুথু ফেলা, ঝগড়া, হারানো বস্তুর খোঁজ নিষেধ

মসজিদে থুথু ফেলা, ঝগড়া, হারানো বস্তুর খোঁজ নিষেধ >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

মসজিদে থুথু ফেলা, ঝগড়া, হারানো বস্তুর খোঁজ নিষেধ

পরিচ্ছেদ – ৩০৯ঃ মসজিদে থুথু ফেলা নিষেধ। যদি থুথু ফেলা হয়ে থাকে তাহলে তা পরিক্ককার করা এবং যাবতীয় আবর্জনাদি থেকে মসজিদকে পবিত্র রাখার নির্দেশ
পরিচ্ছেদ – ৩১০ঃ মসজিদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ও হৈ-হল্লা করা, হারানো বস্তুর খোঁজ বা ঘোষণা করা, কেনা-বেচা করা, ভাড়া বা মজুরী বা ইজারা চুক্তি ইত্যাদি অনুরূপ কর্ম নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ৩১১ঃ [কাঁচা] রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
পরিচ্ছেদ – ৩১২ঃ জুমআর দিন খুৎবা চলাকালীন সময়ে দুই হাঁটুকে পেটে লাগিয়ে বসা অপছন্দনীয়

পরিচ্ছেদ – ৩০৯: মসজিদে থুথু ফেলা নিষেধ। যদি থুথু ফেলা হয়ে থাকে তাহলে তা পরিষ্কার করা এবং যাবতীয় আবর্জনাদি থেকে মসজিদকে পবিত্র রাখার নির্দেশ

১৭০২

আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

সূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘মসজিদের ভিতর থুথু ফেলা পাপ। আর তার কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) হল তা মাটিতে পুঁতে দেওয়া।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪১৫, মুসলিম ৫৫২, তিরমিজী ৫৭২, নাসাঈ ৭২৩, আবু দাঊদ ২৭৪, ৪৭৪, ৪৭৫, আহমাদ ১১৬৫১, ১২৩৬৪, ১২৪৭৯, ১২৭৭০, ১২৮০৪, ১৩০২১, ১৩০৩৮, ১৩০৮৮, ১৩২৩৫, ১৩৪৯৪, ১৩৫৩৫, ১৩৪৯৪, ১৩৫৩৬, ১৩৬৬১, দারেমী ১৩৯৫)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭০৩

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

একদা আল্লাহর রসূল সাঃআঃ কিবলার দিকের দেওয়ালে পোঁটা, থুথু কিম্বা শ্লেষ্মা দেখতে পেলেন। সুতরাং তিনি রগড়ে পরিষ্কার করে দিলেন।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪০৭, মুসলিম ৫৪৯, ইবনু মাজাহ ৭৬৪, আহমাদ ২৪৬৩০, ২৫৪০৬, মুওয়াত্তা মালিক ৪৫৭)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭০৪

আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় এ মসজিদসমূহ পেশাব ও নোংরা-আবর্জনার উপযুক্ত স্থান নয়। এসব তো মহান আল্লাহর জিকির এবং কুরআন তেলাওয়াত করার জন্য।’’ অথবা রসুলুল্লাহ সাঃআঃ অনুরূপ কিছু বলেছেন।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ২১৯, ২২১, ৬০২৫, মুসলিম ২৮৪, ২৮৫, তিরমিজী ১৪৭, নাসাঈ ৫৩, ৫৫, ৩২৯, ইবনু মাজাহ ৫২৮, আহমাদ ১১৬৭২, ১১৭২২, ১২২৯৮, ১২৫৭২, ১২৯৫৫, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৪, দারেমী ৭৪০)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১০: মসজিদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ও হৈ-হল্লা করা, হারানো বস্তুর খোঁজ বা ঘোষণা করা, কেনা-বেচা করা, ভাড়া বা মজুরী বা ইজারা চুক্তি ইত্যাদি অনুরূপ কর্ম নিষেধ

১৭০৫

আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আল্লাহর রসূল সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কাউকে হারানো জিনিস সন্ধান (ঘোষণা) করতে শোনে, সে যেন বলে, ‘আল্লাহ যেন তোমাকে তা ফিরিয়ে না দেন।’ কারণ, মসজিদ এর জন্য বানানো হয়নি।’’

(মুসলিম ৫৬৮, তিরমিজী ১৩২১, আবু দাঊদ ৪৭৩, ইবনু মাজাহ ৭৬৭, আহমাদ ৮৩৮২, ৯১৬১, দারেমী ১৪০১)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭০৬

উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যখন তোমরা কাউকে মসজিদের মধ্যে কেনা-বেচা করতে দেখবে, তখন বলবে, ‘আল্লাহ তোমার ব্যবসায়ে যেন লাভ না দেন।’ আর যখন কাউকে হারানো জিনিস খুঁজতে দেখবে, তখন বলবে, ‘আল্লাহ যেন তোমাকে তা ফিরিয়ে না দেন।’’

(মুসলিম ৫৬৮, তিরমিজী ১৩২১, আবু দাঊদ ৪৭৩, ইবনু মাজাহ ৭৬৭, আহমাদ ৮৩৮২, ৯১৬১, দারেমী ১৪০১)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭০৭

বুরাইদাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

একটি লোক মসজিদের মধ্যে (হারানো বস্তু সম্পর্কে) ঘোষণা পূর্বক বলল, ‘আমাকে আমার লাল উটের সন্ধান কে দিতে পারবে?’ রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বললেন, ‘‘তুমি যেন তা না পাও। মসজিদ সেই কাজের জন্য নির্মিত হয়েছে, যে কাজের জন্য নির্মিত হয়েছে।’’

(মুসলিম ৫৬৯, ইবনু মাজাহ ৭৬৫, আহমাদ ২২৫৩৫) [অর্থাৎ ইবাদতের জন্য, হারানো জিনিস খোঁজার জন্য নয়।]

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭০৮

আমর ইবনে শুআইব রাঃআঃ স্বীয় পিতা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর (আম্রের) দাদা থেকে বর্ণনা করিয়াছেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ নিষেধ করিয়াছেন মসজিদের মধ্যে কেনা-বেচা করতে, হারানো বস্তু সন্ধান করতে অথবা তাতে (অবৈধ) কবিতা আবৃত্তি করতে।

[আবু দাঊদ, তিরমিজী হাসান] (তিরমিজী ৩২২, আবু দাঊদ ১০৭৯, নাসাঈ ৭১৪, ৭১৫, ইবনু মাজাহ ৭৪৯)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭০৯

সাহাবী সায়েব ইবনে ইয়াযীদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মসজিদে নববীতে ছিলাম। এমন সময় একটি লোক আমাকে কাঁকর ছুঁড়ে মারল। আমি তার দিকে তাকাতেই দেখি, তিনি উমার ইবনুল খাত্তাব রাঃআঃ। তিনি বললেন, ‘যাও, ঐ দু’জনকে আমার নিকট নিয়ে এস।’ আমি তাদেরকে নিয়ে তাঁর কাছে এলাম। তিনি বললেন, ‘তোমরা কোথাকার?’ তারা বলল, ‘আমরা তায়েফের অধিবাসী।’ তিনি বললেন, ‘তোমরা যদি এই শহর (মদীনার) লোক হইতে, তাহলে আমি তোমাদেরকে অবশ্যই কঠোর শাস্তি দিতাম। তোমরা রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলছ!’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৭০)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১১: (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।

১৭১০

ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এই গাছ—অর্থাৎ রসুন —থেকে কিছু খায়, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৮৫৩, ৪২১৫, ৪২১৭, ৪২১৮, ৫৫২২, মুসলিম ৫৬১, আবু দাঊদ ৩৮২৫, ইবনু মাজাহ ১০১৬, আহমাদ ৪৭০১, ৪৭০৬, ৫৭৫২, ৬২৫৫, ৬২৭৪, ২৭৮৩৬, দারেমী ২০৫৩)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭১১

আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এই (রসুন) গাছ থেকে কিছু ভক্ষণ করল, সে যেন অবশ্যই আমাদের নিকটবর্তী না হয়, আর না আমাদের সাথে নামায পড়ে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৮৫৬, ৫৪৫১, মুসলিম ৫৬২, আহমাদ ২৭৮৩৩)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭১২

জাবের রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি (কাঁচা) রসূন অথবা পিঁয়াজ খায়, সে যেন আমাদের নিকট হইতে দূরে অবস্থান করে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৮৫৪, ৮৫৫, ৫৪৫২, ৭৩৫৯, মুসলিম ৫৬৪, তিরমিজী ১৮০৬, নাসাঈ ৭০৭, আবু দাঊদ ৩৮২২, আহমাদ ১৪৫৯৬, ১৪৬৫১, ১৪৭৩৯, ১৪৮৫০, ১৪৮৭৫)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭১৩

উমার ইবনে খাত্তাব রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি এক জুমআর দিন খুতবা দিলেন, সে খুতবায় তিনি বললেন, ‘‘….অতঃপর তোমরা হে লোক সকল! দুই শ্রেণীর এমন গাছ (সবজি) খেয়ে থাক; যা (কাঁচা অবস্থায়) খাওয়ার অনুপযুক্ত মনে করি; পিঁয়াজ আর রসুন। আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে দেখেছি, যখন তিনি মসজিদের মধ্যে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ঐ দুই (সবজি)র দুর্গন্ধ পেতেন, তখন তাকে (মসজিদ থেকে বহিষ্কার করতে) আদেশ দিতেন। ফলে তাকে বাকী’ (নামক জায়গা) পর্যন্ত বের করে দেওয়া হত। সুতরাং যে ঐ দুই সবজি খেতে চায়, সে যেন ঐগুলি রান্না করে তার গন্ধ মেরে খায়।’’

(মুসলিম ৫৬৭, ইবনু মাজাহ ৩৩৬৩, ১০১৪, নাসাঈ ৭০৩, আহমাদ ৯০, ৩৪৩)

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১২: জুমআর দিন খুৎবা চলাকালীন সময়ে দুই হাঁটুকে পেটে লাগিয়ে বসা অপছন্দনীয়

১৭১৪

মুআয ইবনে আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ জুমার দিনে ইমামের খুৎবা চলা অবস্থায় দুই হাঁটুকে পেটে লাগিয়ে বসতে নিষেধ করিয়াছেন।

[আবু দাঊদ, তিরমিজী হাসান] (আবু দাঊদ ১১১০, তিরমিজী ৫১৪, আহমাদ ১৫২০৩ )

হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

Comments

Leave a Reply