যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না

যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না

যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৬, অধ্যায়ঃ ৩

  • অধ্যায়ঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ

১৮২১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] একদিন পথে পড়ে থাকা একটি খেজুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি [সাঃআঃ] বললেনঃ এ খেজুর যাকাত বা সদাক্বাহ্ হবার সন্দেহ না থাকলে আমি উঠিয়ে খেয়ে নিতাম।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ২৪৩১, মুসলিম ১০৭১, মুসান্নাফ আবদুর রায্যাক্ব ১৮৬৪২, সহীহ আত তারগীব ১৭৩৬, ইরওয়া ১৫৫৯। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮২২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একবার নবী [সাঃআঃ] এর নাতি হাসান ইবনি আলী সদাক্বার খেজুর হইতে একটি খেজুর উঠিয়ে মুখে পুরলেন। [তা দেখে] নবী বললেন, খেজুরটি মুখ থেকে বের করে ফেলো। [তিনি এ কথাটি এভাবে বললেন যেন হাসান তা মুখ থেকে বের করে ফেলে দেয়]। তারপ.র তিনি তাঁকে বললেন, তুমি কি জান যে, আমরা [বানী হাশিম] সদাক্বার মাল খেতে পারি না।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : ১৪৯১, মুসলিম ১০৬৯, আহমাদ ৯৩০৮, দারিমী ১৬৮২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩২৩১, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৪৪৭৭। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮২৩. আবদুল মুত্ত্বালিব ইবনি রবীআহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এ সদাক্বাহ্ অর্থাৎ যাকাত মানুষের সম্পদের ময়লা ব্যতীত কিছু নয়। তাই এটা মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর জন্য এবং তাহাঁর বংশধরদের জন্যও হালাল নয়

। [মুসলিম] {১},{১} সহীহ : মুসলিম ১০৭২, নাসায়ী ২৬০৯, আহমাদ ১৭৫১৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২৪০১, ইরওয়া ৮৭৯, সহীহ আল জামি আল সগীর ২২৬৪। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮২৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট কোন খাবার এলে তিনি জিজ্ঞেস করিতেন, এটা হাদিয়্যাহ্ না সদাক্বাহ্? সদাক্বাহ্ বলা হলে তিনি [সাঃআঃ] তাহাঁর সাথীদেরকে বলিতেন, তোমরা খাও। তিনি [সাঃআঃ] নিজে খেতেন না। আর হাদিয়্যাহ্ বলা হলে তিনি [সাঃআঃ] তাহাঁর হাত বাড়াতেন ও সাহাবীদেরকে সাথে নিয়ে খেতেন।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ২৫৭৬, মুসলিম ১০৭৭, আহমাদ ৮০১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১২০৪৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৬০৮, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৪৬৪৫। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮২৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বারীরাহ্ [ক্রীতদাসীর] ব্যাপারে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়।[প্রথম] সে স্বাধীন হবে, তার স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বহাল রাখা বা না রাখার ক্ষেত্রে তার স্বাধীনতা থাকিবে। [দ্বিতীয়] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ মীরাসের অধিকার তারই থাকিবে, যে তাকে আযাদ করেছে। [তৃতীয়] {একদিন] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] ঘরে এলেন। তখন গোশ্‌ত রান্না করা হচ্ছিল। ঘরে বানানো রুটি ও তরকারী তাহাঁর সামনে আনা হলে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেন, আমি একটি পাতিলে গোশ্‌ত দেখলাম। বলা হলো, জি হ্যাঁ। তবে এ গোশ্‌ত বারীরাকে সদাক্বাহ দেয়া হয়েছে, আপনি তো সদাক্বাহ খান না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেন, এ গোশ্‌ত বারীরার জন্য সদাক্বাহ্ হলে আমাদের জন্য হাদিয়্যাহ্।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, ১} সহীহ : বোখারী ৫০৯৭, ৫২৭৯, মুসলিম ১০৭৫, নাসায়ী ৩৪৪৭, মুয়াত্ত্বা মালিক ২০৭৩, আহমাদ ২৫৪৫২, ইবনি হিব্বান ৫১১৬, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৬১২। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮২৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাদিয়্যাহ্ গ্রহণ করিতেন এবং বিনিময়ে তিনি তাকেও [হাদিয়্যাহ্] দিতেন।

[বোখারী] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ২৫৮৫, আবু দাউদ ৩৫৩৬, আত তিরমিজি ১৯৫৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১২০২০, মুখতাসার আশ শামায়েল ৩০৬, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৪৯৯৯। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮২৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন,রসূলুললাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমাকে যদি বকরীর একটি খুরের জন্যও দাওয়াত দেয়া হয় আমি তা গ্রহণ করব। আর আমার কাছে যদি হাদিয়্যাহ্ হিসেবে ছাগলের একটি বাহুও আসে তাও গ্রহণ করব।

[বাখারী] {১},{১} সহীহ : বোখারী ২৫৬৮, ৫১৭৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৪৫৯২। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮২৮.আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সে ব্যক্তি মিসকীন নয়,যে লোকের কাছে হাত পাতে। আর তারা তাকে এক বা দুমুষ্টি অথবা একটি কি দুটি খেজুর দান করে। বরং মিসকীন ওই ব্যক্তি যে কদর্পকহীন। কিন্তু তার বাহ্যিক বেশভূষার কারণে মানুষেরা বুঝতে পারে না সে মুখাপেক্ষী। তাকে সদাক্বাহ্ দেয়া যায়। আর সেও কোন কিছুর জন্য লোকদের কাছে হাত বাড়াতে পারে না।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ১৪৭৯, মুসলিম ১০৩৯, নাসায়ী ২৫৭২, মুয়াত্ত্বা মালিক ৩৪১৪, ইবনি হিব্বান ৩৩৫২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩১৪৭, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৬০৩, সহীহ আত তারগীব ৮২৮, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৫৩৮৪। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৮২৯. আবু রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বানী মাখযুম-এর এক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়কারী করে পাঠালেন। যাবার সময় সে ব্যক্তি আবু রাফিকে বলিল, আপনিও আমার সাথে চলুন। এতে কিছু অংশ আপনিও পেয়ে যাবেন। আবু রাফি বললেন, না, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস না করে আমি যেতে পারি না। তাই তিনি তাহাঁর কাছে গেলেন। তাঁকে তার সাথে যাবার অনুমতি চাইলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সদাক্বাহ্ আমাদের [বানী হাশিমের] জন্য হালাল নয়। আর কোন গোত্রের দাস তাদের মধ্যেই গণ্য [তুমি তো আমাদেরই দাস]।

[তিরমিজি,আবু দাউদ,নাসায়ী] {১}.{১} সহীহ : আত তিরমিজি ৬৫৭, নাসায়ী ২৬১২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১০৭০৭, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১৪৬৮, সুনানুল কুবরা লিল কুবরা ১৩২৪২, ইরওয়া ৮৮০, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ১৬১৩। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮৩০. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যাকাতের মাল ধনীদের জন্য হালাল নয়, সুস্থ সবলদের [খেটে খেতে সক্ষম] জন্যও নয়।

[তিরমিজি, আবু দাউদ, দারিমী] {১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১৬৩৪, আত তিরমিজি ৬৫২, মুসান্নাফ আবদুর রায্যাক্ব ৭১৫৫, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১০৬৬৩, আহমাদ ৬৫৩০, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৪৭৮, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৭২৫১। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮৩১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এ হাদিসটিকে আহ্‌মাদ, নাসায়ী ও ইবনি মাজাহ আবু হুরাইরাহ হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। ।{১}

যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮৩২. উবায়দুল্লাহ ইবনি আদী ইবনি খিয়ার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমাদেরকে দুব্যক্তি জানিয়েছেন যে, বিদায় হাজ্জে মানুষের মধ্যে যাকাতের মাল বণ্টন করার সময় তারা উভয়ে নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে উপস্থিত ছিলেন। তারা এ মালের কিছু অংশ নেবার জন্য আগ্রহ দেখান। দুজন বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [যাকাত নেবার আগ্রহ দেখে] আমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত চোখ বুলালেন। আমাদেরকে সুস্থ সবল দেখে বললেন, তোমরা যাকাত নিতে চাইলে আমি দিতে পারি। [কিন্তু মনে রাখবে,] সদাক্বাহ্ ও যাকাতের সম্পদে ধনীদের কোন অংশ নেই। আর সুস্থ সবল এবং পরিশ্রম করিতে সক্ষম লোকদের জন্য সদাক্বাহ্ ও যাকাত নয়।

[আবু দাউদ, নাসায়ী] {১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১৬৩৩, আহমাদ ২৩০৬৩, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ২৩৯০, দারাকুত্বনী ১৯৯৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৫৯৮, ইরওয়া ৮৭৬, সহীহ আল জামি আস্ সহীহ ১৪১৯। যাকাত কাদের কে দেওয়া যাবে ও যাবে না -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৮৩৩. আত্বা ইবনি ইয়াসার হইতে বর্ণীতঃ

আত্বা ইবনি ইয়াসার মুরসাল পদ্ধতিতে বর্ননা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ধনী লোকের জন্য যাকাতের মাল হালাল নয়। তবে পাঁচ অবস্থায় [১] আল্লাহর পথে জিহাদকারী ধনী {যখন কাছে যুদ্ধ সরঞ্জাম নেই] [২] যাকাত আদায়ে নিযুক্ত ধনী, [৩] জরিমানার হুকুমপ্রাপ্ত ধনী {যা তাকে পরিশোধ করিতে হবে। অথচ ঐ সময় এ পরিমাণ সম্পদ তার নেই], [৪] নিজ মালের পরিবর্তে যাকাতের মাল ক্রয়কারী ধনী, [৫] আর ওই ধনীর জন্যও হালাল, যার প্রতিবেশী যাকাতের মাল পেয়ে প্রতিবেশী ধনী ব্যক্তিকে কিছু তোহফা দিয়েছে।

[মালিক,আবু দাউদ] {১},{১} সহীহ লিগায়রিহী : আবু দাউদ ১৬৩৫, ইবনি মাজাহ ১৮৪১, মুয়াত্ত্বা মালিক ৯১৯, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক্ব ৭১৫১, ইরওয়া ৮৭০, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৭২৫০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ লিগাইরিহি

১৮৩৪। আবু দাউদ-এর এক বর্ণনায় আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

অথবা ইবনুস্ সাবীল অর্থাৎ বিপদগ্রস্ত মুসাফির ধনীও।।{১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ১৬৩৭, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১০৬৮১, আহমাদ ১১২৬৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩১৯৯, জইফ আল জামি আস্ সগীর ৬২০০। কারণ এর সানাদে ইবনি আত্বিয়্যাহ্ একজন দুর্বল রাবী যার হাদিস দ্বারা দলীল কায়েম হবে না। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১৮৩৫. যিয়াদ ইবনি হারিস আস সুদায়ী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন,আমি একবার নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম। তাহাঁর হাতে আমি বায়আত গ্রহণ করলাম। এরপর যিয়াদ একটি বড় হাদিস বর্ণনা করিতে গিয়ে বললেন,এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে তাঁকে বলিতে লাগলেন,আমাকে যাকাতের মাল থেকে কিছু দান করুন। তিনি বললেন,আল্লাহ যাকাত [বণ্টন করার ব্যাপারে কাকে দেয়া যাবে] তা নবীকে বা অন্য কাউকে কোন হুকুম দিতে রাজী হননি,বরং তিনি নিজে তা আটভাগে ভাগ করিয়াছেন। তুমি যদি এ [আট] ভাগের কোন ভাগে পড়ো আমি তোমাকেও যাকাত দিব

।[আবু দাউদ] {১}, {১} জইফ : আবু দাউদ ১৬৩০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩১২৬, ইরওয়া ৮৫৯, সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ১৩২০। শায়খ আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, এর সানাদে রাবী আবদুর রহমান ইবনি যিয়াদ আল আফরিক্বী স্মৃতিশক্তিগত ত্রুটির ফলে একজন দুর্বল রাবী যেমনটি ঈমাম যাহাবী, ইবনি মাঈন নাসায়ী এবং ইবনি হাজার [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

অধ্যায়ঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১৮৩৬. যায়দ ইবনি আসলাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন,[একদিন] আমীরুল মুমিনীন উমার ফারূক [রাদি.] দুধ পান করিলেন। তা তার খুব ভাল লাগলো। দুধ পরিবেশণকারীকে তিনি জিজ্ঞেস করিলেন,এ দুধ তুমি কোত্থেকে এনেছ? সে একটি কুয়ার নাম উল্লেখ করে বলিল,ওখানে গিয়ে দেখে যাকাতের অনেক উটকে পানি পান করানো হচ্ছে। উটের মালিকগণ দুধ দোহন করলে এর থেকে সামান্য দুধ নিয়ে আমি আমার মশকে ঢেলে নিয়েছি। এ সে দুধ। এ কথা শুনামাত্র উমার [রাদি.] নিজের মুখে হাত ঢুকিয়ে বমি করে দিলেন।

[মালিক,বায়হাক্বী] {১}, {১} জইফ : মুয়াত্ত্বা মালিক ৯২৪। কারণ হাদিসটি মুনক্বত্বি, যেহেতু যায়দ ইবনি আসলাম এবং উমার [রাযিঃ]-এর মাঝে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply