মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
1/1666 عَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «المَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ» . وَفِي روايةٍ : «مَا نِيحَ عَلَيْهِ» . متفق عليه
১/১৬৬৬। উমার ইবনি খাত্তাব রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘মৃত ব্যক্তিকে তার কবরের মধ্যে তার জন্য মাতম করে কান্না করার দরুন শাস্তি দেওয়া হয়।’’ [বুখারী ও মুসলিম] অন্য এক বর্ণনায় আছে, যতক্ষণ তার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, [ততক্ষণ মৃত-ব্যক্তির আযাব হয়।][1]
2/1667 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الخُدُودَ، وَشَقَّ الجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الجَاهِلِيَّةِ» . متفق عليه
২/১৬৬৭। ইবনি মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে [শোকের সময়] গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের ডাকের ন্যায় ডাক ছাড়ে।’’ [বুখারী ও মুসলিম] [2]
* [অর্থাৎ চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে মৃত ব্যক্তির বীরত্ব, দানশীলতা ও বিভিন্ন গুণ বর্ণনা করে, যেমন: ও আমার বাঘ! ও আমার চাঁদ! ও আমার রাজা! ইত্যাদি]
3/1668 وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ رضي الله عنه، قَالَ: وَجَعَ أَبُو مُوسَى رضي الله عنه، فَغُشِيَ عَلَيْهِ، وَرَأسُهُ فِي حِجْرِ امْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ، فَأَقْبَلَتْ تَصِيحُ بِرَنَّةٍ فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهَا شَيْئاً، فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ: أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ بَرِىءَ مِنْهُ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَرِيءٌ مِنَ الصَّالِقَةِ، وَالحَالِقَةِ، وَالشَّاقَّةِ . متفق عليه
৩/১৬৬৮। আবূ বুরদাহ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, [তাহাঁর পিতা] আবূ মুসা আশআরী রাঃআঃ যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর [ঐ সময়] তাহাঁর মাথা তাহাঁর এক স্ত্রীর কোলে রাখা ছিল এবং সে চিৎকার করে কান্না করিতে লাগল। তিনি [অজ্ঞান থাকার কারণে] তাকে বাধা দিতে পারলেন না। সুতরাং যখন তিনি চেতনা ফিরে পেলেন, তখন বলে উঠলেন, ‘আমি সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত, যে মহিলা থেকে আল্লাহর রসূল সাঃআঃ সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রসূল সাঃআঃ সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন, যে শোকে উচ্চ স্বরে মাতম করে কান্না করে, মাথা মুণ্ডন করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।’ [বুখারী ও মুসলিম] [3]
4/1669 وَعَنِ المُغِيرَةِ بنِ شُعبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : «مَنْ نِيحَ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ يُعَذَّبُ بِمَا نِيحَ عَلَيهِ يَومَ القِيَامَةِ» . متفق عليه
৪/১৬৬৯। মুগীরাহ ইবনি শু‘বাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি যে, ‘‘যার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, তাকে কিয়ামতের দিনে তার জন্য মাতম করার দরুন শাস্তি দেওয়া হইবে।’’ [বুখারী, মুসলিম][4]
5/1670 وَعَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ نُسَيْبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِندَ البَيْعَةِ أَنْ لاَ نَنُوحَ . متفق عليه
৫/১৬৭০। উম্মে আত্বিআহ নুসাইবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘বায়আতের সময় নবী সাঃআঃ আমাদের কাছে এই অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছেন যে, আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করব না।’ [বুখারী ও মুসলিম] [5]
6/1671 وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: أُغْمِيَ عَلَى عَبدِ اللهِ بْنِ رَوَاحَةَ رضي الله عنه فَجَعَلَتْ أُخْتُهُ تَبْكِي، وَتَقُولُ : وَاجَبَلاهُ، وَاكَذَا، وَاكَذَا : تُعَدِّدُ عَلَيْهِ . فقالَ حِينَ أَفَاقَ : مَا قُلْتِ شَيْئاً إِلاَّ قِيلَ لِي أَنْتَ كَذَلِكَ ؟! . رواه البخاري
৬/১৬৭১। নু’মান ইবন বাশীর রাঃআঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনি রাওয়াহাহ রাঃআঃ [একবার] অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাহাঁর বোন কান্না করিতে লাগলেন এবং বলিতে লাগলেন, ‘ও [আমার] পাহাড় গো! ও আমার এই গো! ও আমার ওই গো!’ এভাবে তাহাঁর একাধিক গুণ বর্ণনা করিতে লাগলেন। সুতরাং যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বলিলেন, ‘তুমি যা কিছু বলেছ, সে সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল যে, তুমি ঐরূপ ছিলে নাকি?’ [বুখারী] [6]
7/1672 وعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: اشْتَكَى سَعْدُ بنُ عُبَادَةَ شَكْوَى رَضِيَ اللهُ عَنهُ، فَأَتَاهُ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَعُودُهُ مَعَ عَبدِ الرَّحمانِ بْنِ عَوفٍ، وَسَعْدِ بنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعَبدِ اللهِ بنِ مَسعُود رضي الله عنه . فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ، وَجَدَهُ فِي غَشْيَةٍ فَقَالَ: «أَقَضَى ؟» قَالُوا : لاَ يَا رَسُولَ اللهِ، فَبكَى رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا رَأَى القَوْمُ بُكَاءَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَكَوْا، قَالَ: «أَلاَ تَسْمَعُونَ ؟ إِنَّ اللهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ العَيْنِ، وَلاَ بِحُزْنِ القَلْبِ، وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا – وَأَشَارَ إلَى لِسَانِهِ – أَو يَرْحَمُ» . متفق عليه
৭/১৬৭২। আব্দুল্লাহ ইবনি উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সা’দ ইবনি উবাদাহ রাঃআঃ একবার পীড়িত হলে আব্দুর রহমান ইবনি আওফ, সা’দ ইবনি আবী অক্কাস এবং আব্দুল্লাহ ইবনি মাসঊদদের সাথে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ তাহাঁর নিকট কুশল জিজ্ঞাসার জন্য গেলেন। যখন তিনি তাহাঁর নিকট উপস্থিত হলেন, তখন তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় পেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘‘ও কি মারা গেছে?’’ লোকেরা জবাব দিল, ‘হে আল্লাহর রসূল! না [মারা যায়নি]।’ তখন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ কেদে ফেললেন। সুতরাং লোকেরা যখন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে কান্না করিতে দেখল, তখন তারাও কাঁদতে লাগল। তিনি বলিলেন, ‘‘তোমরা কি শুনতে পাও না? নিঃসন্দেহে আল্লাহ চোখের অশ্রু ঝরাবার জন্য শাস্তি দেন না এবং আন্তরিক দুঃখ প্রকাশের জন্যও শাস্তি দেন না। কিন্তু তিনি তো এটার কারণে শাস্তি দেন অথবা দয়া করেন।’’ এই বলে তিনি নিজ জিভের প্রতি ইঙ্গিত করিলেন। [বুখারী ও মুসলিম][7]
8/1673 وَعَن أَبِي مَالِكِ الأَشْعَرِي رَضِيَ اللهُ عَنهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «النَّائِحَةُ إِذَا لَمْ تَتُبْ قَبلَ مَوْتِهَا تُقَامُ يَومَ القِيَامَةِ وَعَلَيْهَا سِربَالٌ مِنْ قَطِرَانٍ، وَدِرْعٌ مِنْ جَرَبٍ» . رواه مسلم
৮/১৬৭৩। আবূ মালেক আশআরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘মাতম-কারিণী মহিলা যদি মরণের পূর্বে তাওবাহ না করে, তাহলে আল-কাতরার পায়জামা এবং পাঁচড়ার জামা পরিহিতা অবস্থায় তাকে কিয়ামতের দিনে দাঁড় করানো হইবে।’’ [মুসলিম] [8]
9/1674 وَعَنْ أُسَيدِ بنِ أَبِي أُسَيدٍ التَّابِعِيِّ، عَنِ امْرَأةٍ مِنَ المُبَايِعَاتِ، قَالَتْ :كَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي المَعْرُوفِ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ لاَ نَعْصِيَهُ فِيهِ : أَنْ لاَ نَخْمِشَ وَجْهَاً، وَلاَ نَدْعُوَ وَيْلاً، وَلاَ نَشُقَّ جَيْباً، وَأَنْ لاَ نَنْشُرَ شَعْراً . رواه أبو داود بإسناد حسن
৯/১৬৭৪। উসাইদ ইবনি আবূ উসাইদ তাবেয়ী, এমন এক মহিলা থেকে বর্ণনা করেন, যিনি নবী সাঃআঃ-এর নিকট বায়আতকারিণী মহিলাদের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাঃআঃ যে সব সৎকর্ম করিতে ও তাতে তাহাঁর অবাধ্যতা না করিতে আমাদের কাছে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, সে সবের মধ্যে এটিও ছিল যে, [শোকাহত হয়ে] আমরা চেহারা খামচাব না, ধ্বংস ও সর্বনাশ কামনা করব না, বুকের কাপড় ছিঁড়ব না এবং মাথার চুল আলুথালু করব না।’ [আবূ দাঊদ হাসান সূত্রে] [9]
10/1675 وَعَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللهُ عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَا مِنْ مَيِّتٍ يَمُوْتُ فَيَقُوْمُ بَاكِيهِمْ فَيَقُولُ : وَاجَبَلاَهُ، وَاسَيِّدَاهُ، أَو نَحْوَ ذَلِكَ إِلاَّ وُكِّلَ بِهِ مَلَكَانِ يَلْهَزَانِهِ : أَهَكَذَا كُنْتَ؟» . رواه الترمذي، وقال :[ حديث حسن ]
১০/১৬৭৫। আবূ মুসা আশ‘আরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যখনই কোনো মৃত্যুগামী ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করে। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে রোদন-কারিণী রোদন করে এবং বলে, ‘ও আমার পাহাড় গো! ও আমার সর্দার গো!’ অথবা অনুরূপ আরও কিছু বলে, তখনই সেই মৃতের জন্য দু’জন ফিরিশতা নিযুক্ত করা হয়, যারা তার বুকে ঘুষি মেরে বলিতে থাকেন, ‘তুই কি ঐ রকম ছিলি নাকি?’ [তিরমিযী হাসান] [10]
11/1676 وَعَنْ أَبِيْ هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «اثْنَتَانِ فِي النَّاسِ هُمَا بِهِمْ كُفْرٌ : الطَّعْنُ فِي النَّسَبِ، وَالنِّيَاحَةُ عَلَى المَيِّتِ». رواه مسلم
১১/১৬৭৬। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘মানুষের মধ্যে দুটো আচরণ এমন পাওয়া যায়, যা তাহাদের ক্ষেত্রে কুফরীমূলক কর্ম; বংশে খোঁটা দেওয়া ও মৃতের জন্য মাতম করে কান্না করা।’’ [মুসলিম] [11]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৮৮, ১২৯০, ১২৯২, মুসলিম ৯২৭, তিরমিযী ১০০২, নাসায়ী ১৮৫৩, ১৮৫৮, ইবনু মাজাহ ১৫৯৩, আহমাদ ২৯০৩৮৮, ৪৮৫০, ৪৯৩৯, ৫২৪০, ৬১৪৭
[2] সহীহুল বুখারী ১২৯৪, ১২৯৭, ১২৯৮, ৩৫১৯, মুসলিম ১০৩, তিরমিযী ৯৯৯, নাসায়ী ১৮৬২, ১৮৬৪, ১৫৮৪, আহমাদ ৩৬৫০, ৪১০০, ৪১০৩, ৪৩৪৮, ৪৪১৬
[3] মুসলিম ১০৪, নাসায়ী ১৮৬১, ১৮৬৩, ১৮৬৫-১৮৬৭, আবূ দাউদ ৩১৩০, ইবনু মাজাহ ১৫৮৬, আহমাদ ১৯০৪১, ১৯০৫৩, ১৯১১৯, ১৯১২৯, ১৯১৯১, ১৯২৩০
[4] সহীহুল বুখারী ১২৯১, মুসলিম ৪, ৯৩৩, তিরমিযী ১০০০, আহমাদ ১৭৬৭৪, ১৭৭১৯, ১৭৭৩৭, ১৭৭৭৩
[5] সহীহুল বুখারী ১৩০৬, ৪৮৯২, ৭২১৫, মুসলিম ৯৩৬, নাসায়ী ৪১৭৯, ৪১৮০, আবূ দাউদ ৩১২৭, আহমাদ ২০২৬৭, ২৬৭৫৩, ২৬৭৬০
[6] সহীহুল বুখারী ৪২৬৮
[7] সহীহুল বুখারী ১৩০৪, মুসলিম ৯২৪
[8] মুসলিম ৯৩৪, ইবনু মাজাহ ১৫৮১, আহমাদ ২২৩৮৬, ২২৩৯৭, ২২৪০৫
[9] আবূ দাউদ ৩১৩১
[10] তিরমিযী ১০০৩, ইবনু মাজাহ ১৫৯৪
[11] মুসলিম ৬৭, তিরমিযী ১০০১, আহমাদ ৭৮৪৮, ৮৬৮৮, ৯১০১, ৯২৯১, ৯৩৯৭, ৯৫৬২, ১০০৫৭, ১০৪২৮, ১০৪৯০
Leave a Reply