আযান সম্পর্কে হাদিস

আযান সম্পর্কে হাদিস

আযান সম্পর্কে হাদিস >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৪

  • অধ্যায়ঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ

৬৪১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, [সলাতে শারীক হবার জন্য ঘোষণা প্রসঙ্গে] আগুন জ্বালানো ও শিঙ্গায় ফুঁক দেবার প্রস্তাব হল। এটাকে কেউ কেউ ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথা বলে উল্লেখ করেন। তারপর তিনি [সাঃআঃ] বিলালকে নির্দেশ দিলেন আযান জোড়া শব্দে ও ইক্বামাত বেজোড় শব্দে দেয়ার জন্য। হাদিস বর্ণনাকারী ইসমাঈল বলেন, আমি আবু আইয়ূব আনসারীকে [ইক্বামাত বেজোড় দেয়া সম্পর্কে] জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তবে

قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ

“ক্বদ ক্বা-মাতিস সলা-হ্‌ ছাড়া”

[অর্থাৎ- ক্বদ ক্বা-মাতিস সলা-হ্‌ জোড় বলিতে হবে।] {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৬০৩-৬০৫, মুসলিম ৩৭৮, নাসায়ী ৬২৭, ইবনি মাজাহ ৭২৯, সহীহ ইবনি খুযাইমাহ্ ৩৬৭, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৬৭৮। আযান সম্পর্কে হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৬৪২. আবু মাহযূরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] স্বয়ং আমাকে আযান শিখিয়েছেন। তিনি আযানে বললেন, বল :

اَللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ

أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُولُ اللهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُولُ اللهِ

ثُمَّ تَعُودُ فَتَقُولُ

أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُولُ اللهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ

لَا إِلهَ إِلَّا اللَّهُ

[১] আল্ল-হু আকবার, [২] আল্ল-হু আকবার, [৩] আল্ল-হু আকবার, [৪] আল্ল-হু আকবার; [১] আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, [২] আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, [১]আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ, [২] আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ। তারপর [তিনি] বললেন, তুমি আবার বল, [১] আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, [২] আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, [১] আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ, [২] আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ, [১] হাইয়্যা আলাস সলা-হ, [২] হাইয়্যা আলাস সলা-হ, [১] হাইয়্যা আলাল ফালা-হ, [২] হাইয়্যা আলাল ফালা-হ। [১] আল্ল-হু আকবার, [২] আল্ল-হু আকবার। লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৩৭৯, আবু দাউদ ৫০৩, নাসায়ী ৬৩২, ইবনি মাজাহ ৭০৮। আযান সম্পর্কে হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৬৪৩. [আবদুল্লাহ] ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময় আযানের বাক্য দু দুবার ও ইক্বামাতের বাক্য এক একবার ছিল। কিন্ত

 قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ

ক্বদ ক্ব-মাতিস্‌ সলা-হ্‌”

কে মুয়ায্‌যিন দুবার করে বলিতেন। {১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ৫১০, নাসায়ী ৬২৮, দারিমী ১১৯৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

৬৪৪. আবু মাহযূরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তাকে উনিশ বাক্যে আযান আর সতের বাক্যে ইক্বামাত শিক্ষা দিয়েছেন। {১}

{১} সহীহ : আহমাদ ২৬৭০৮, আবু দাউদ ৫০২, তিরমিজি ১৯২, নাসায়ী ৬৩০, ইবনি মাজাহ ৭০৯, দারিমী ১১৯৭, সহীহুল জামি ২৭৬৪। আযান সম্পর্কে হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৬৪৫. আবু মাহযূরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি [রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে] বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে আযানের নিয়ম শিখিয়ে দিন। তিনি {আবু মাহযূরাহ্‌ রাদি.] বলেন, [আমার কথা শুনে] তিনি আমার অথবা এবং বললেন, বল :

 اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ

আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার,আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার।

এ বাক্যগুলো তুমি খুব উচ্চৈঃস্বরে বলবে। এরপর তুমি নিম্নস্বরে বলবে,

أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ 

আশ্‌হাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, আশ্‌হাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ

এবং

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُولُ اللهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُولُ اللهِ

আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ, আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ।

তুমি পুনরায় উচ্চৈঃস্বরে শাহাদাত বাক্য বলবে :

أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللّهُ

আশ্‌হাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, আশ্‌হাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ,

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُولُ اللهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُولُ اللهِ

আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ, আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ,

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ

হাইয়্যা আলাস্‌ সলা-হ্‌, হাইয়্যা আলাস্‌ সলা-হ্‌;

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

হাইয়্যা আলাল ফালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ।

এ আযান ফাজ্‌রের সলাতের জন্য হলে বলবে,

الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنْ النَّوْمِ الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِّنْ النَّوْمِ

আস্‌সলা-তু খয়রুম মিনান্‌ নাওম, আস্‌সলা-তু খয়রুম মিনান্‌ নাওম।

اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ

আল্ল-হু আকবর, আল্ল-হু আকবার।

ا إِلهَ إِلَّا اللّهُ

লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৫০০। যদিও হাদিসের এ সানাদটি দুর্বল কিন্তু তার অনেকগুলো শাহিদ বর্ণনা থাকায় তা সহীহের স্তরে উন্নিত হয়েছে। আযান সম্পর্কে হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৬৪৬. বিলাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] আমাকে বললেন : ফাজ্‌রের সলাত ব্যতীত কোন সলাতেই তাসবীব করিবে না। {১}

কিন্ত তিরমিজি এ হাদিসের সমালোচনা করে বলেন, এ হাদিসের এক বর্ণনাকারী আবু ইসরাঈল মুহাদ্দিসদের মতে নির্ভরযোগ্য নন।

{১} জইফ : তিরমিজি ১৯৮, ইবনি মাজাহ ৭১৫, যঈফুল জামি ৬১৯১। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ আবু ইসরাঈল এ হাদিসটি হাকাম ইবনি উয়ায়নাহ্ থেকে শ্রবণ করেননি। বরং তিনি এটি হাসান থেকে উমারাহ্ তারপর হাকাম এ সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। আর এ উমারাহ্ খুবই দুর্বল রাবী। তবে হাদিসটি অর্থগতভাবে সহীহ, কারণ اَلصَّلَاةُ خَيْرُ مِّنَ النَّوْم ফজরের [ফজরের] সলাত [সালাত/নামায/সলাত] ছাড়া অন্য কোন সলাতে বলা হয় না।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৬৪৭. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] বিলালকে বললেন, যখন আযান দিবে ধীর গতিতে [উচ্চকণ্ঠে] দিবে এবং যখন ইক্বামাত দিবে দ্রুতগতিতে [নিচু স্বরে] দিবে। তোমরা আযান ও ইক্বামাতের মধ্যে এ পরিমাণ বিরতি রাখবে যাতে খাদ্য গ্রহণকারী খাওয়া, পানরত লোক পান করা, পায়খানা প্রস্রাবে রত লোক হাজাত পূর্ণ করিতে পারে। আর আমাকে না দেখা পর্যন্ত তোমরা সলাতে কাতারবদ্ধ হবে না। {১}

তিরমিজি বলেন, এ হাদিসকে আমরা আবদুল মুন্‌ইম ছাড়া আর কারও থেকে শুনিনি আর এর সানাদ মাজহূল-অজানা।

{১} খুবই জইফ বা দুর্বল : তিরমিজি ১৯৫। এর সানাদে আবদুল মুন্ইম নামে একজন মাজহুল বা অপরিচিত রাবী রয়েছে। আর আমর ইবনি যায়দ আল আসওয়ারী তার মুতাবায়াত করেছে যিনি ঈমাম যাহাবীর ভাষ্য মতে একজন মাতরুক রাবী। আর তাদের উভয়ের উসতাদ ইহ্ইয়া ইবনি মুসলিম আল বাক্কা একজন দুর্বল রাবী। তবে হাদিসের وَلَا تَقُوْمُوْا حَتّى تَرَوْنِيْ অংশটুকু সহীহ হাদীসে প্রমাণিত।এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল

৬৪৮. যিয়াদ ইবনি হারিস আস্ সুদায়ী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে নির্দেশ দিলেন ফাজ্‌রের সলাতের আযান দিতে। আমি আযান দিলাম। তারপর [সলাতের সময়] বিলাল ইক্বামাত দিতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কথন বললেন, সুদায়ীর ভাই আযান দিয়েছে। আর যে আযান দিবে সে ইক্বামাতও দিবে। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ৫১৪, তিরমিজি ১৯৯, ইবনি মাজাহ ৭১৭, ইরওয়া ৫৩৭, সিলসিলাতুয্ যঈফাহ্ ৩৫। কারণ এর সানাদে আবদুর রহমান ইবনি যিয়াদ আল-আফরিকী রয়েছে যিনি একজন দুর্বল রাবী।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

অধ্যায়ঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৬৪৯. [আবদুল্লাহ] ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মুসলিমরা মাদীনায় হিজরত করে আসার পর সলাতের জন্য অনুমান করে একটা সময় ঠিক করে নিতেন। সে সময় সকলে একত্রিত হইতেন। কারণ তখনও সলাতের জন্য কেউ আহ্বান করত না। একদিন এ বিষয় নিয়ে তারা আলোচনায় বসতেন। কেউ বললেন, নাসারাদের মতো ঘণ্টা বাজানো হোক। আবার কেউ বললেন, ইয়াহূদীদের মতো শিঙ্গার ব্যাবস্থ করা হোক। তখন উমার [রাদি.] বলেন, তোমরা কি একজন লোক পাঠিয়ে দিয়ে মানুষকে সলাতের জন্য আহ্বান করিতে পারবে? তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, বিলাল! উঠ, সলাতের জন্য আহ্বান কর [আযান দাও]। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৬০৪, মুসলিম ৩৭৭, নাসায়ী ৬২৬, তিরমিজি ১৯০, আহমাদ ৬৩৫৭। আযান সম্পর্কে হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৬৫০. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ ইবনি আবদ রব্বিহী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাতের জন্য একত্রিত হওয়ার জন্য ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশ দিলেন। [সেদিন] আমি স্বপ্নে দেখলাম : এক লোক একটি ঘণ্টা নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি কি এ ঘণ্টাটা বিক্রি করিবে? সে বলিল, তুমি এ ঘণ্টা দিয়ে কী করিবে? আমি বললাম, আমরা এ ঘণ্টা বাজিয়ে মানুষকে সলাতের জামাআতে ডাকব। সে ব্যক্তি বলিল, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম পন্থা বলে দিব না? আমি বললাম, হ্যাঁ অবশ্যই। সে বলিল, তুমি বল, আল্ল-হু আকবার আযানের শেষ বাক্য পর্যন্ত আমাকে বলে শুনাল। এভাবে ইক্বামাতও বলে দিল। ভোরে উঠে আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট স্বপ্নে যা দেখলাম সব তাঁকে তা বললাম। তিনি বললেন, ইনশাআল্লাহ এ স্বপ্ন সত্য। এখন তুমি স্বপ্নে যা দেখেছে বিলালের সাথে দাঁড়িয়ে তাকে বলিতে থাক। আর সে আযান দিতে থাকুক। কারণ তার কণ্ঠস্বর তোমার চেয়ে জোরালো। অতএব আমি বিলালের সাথে দাঁড়িয়ে গিয়ে তাকে বলিতে লাগলাম। আর তিনি আযান দিতে থাকলেন। বর্ণনাকারী বলেন, উমার [রাদি.] নিজ বাড়ী থেকে আযানের শব্দ শুনে তাড়াতাড়ি নিজ চাদর টানতে টানতে বেরিয়ে এসে [নবী [সাঃআঃ]-এর দরবারে] বলিতে লাগলেন, হে আল্লাহর রসূল! সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমিও একই স্বপ্ন দেখেছি। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, আলহাম্‌দু লিল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা। {১}

কিন্তু ইবনি মাজাহ ইক্বামাতের কথা উল্লেখ করেননি। ঈমাম তিরমিজি বলেছেন- হাদিস সহীহ। তবে তিনি ঘণ্টার কথা উল্লেখ করেননি।

{১} হাসান সহীহ : আবু দাউদ ৪৯৯, দারিমী ১১৮৭, তিরমিজি ১৮৯, ইবনি মাজাহ ৭০৬, ইরওয়া ২৪৬। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ

৬৫১. আবু বাকরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-এর সাথে ফাজ্‌রের সলাতের জন্য বের হলাম। তখন তিনি [সাঃআঃ] যার নিকট দিয়েই যেতেন, তাকে সলাতের জন্য আহ্বান করিতেন অথবা নিজের পা দিয়ে তাকে নেড়ে দিয়ে যেতেন। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ১২৬৪। কারণ এর সানাদে আবুল ফাযল আল আনসারী নামে একজন মাজহূল বা অপরিচিত রাবী রয়েছে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৬৫২. ঈমাম মালিক হইতে বর্ণীতঃ

একজন মুয়ায্‌যিন উমারকে ফাজ্‌রের সলাতের জন্য জাগাতে এলে তাকে নিদ্রিত পেলেন। তখন মুয়ায্‌যিন বললেন,

 الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّوْمِ 

“আস্‌সলা-তু খয়রুম মিনান্‌ নাওম”

[সলাত ঘুম থেকে উত্তম]। উমার [রাদি.] তাকে এ বাক্যটি ফাজ্‌রের সলাতের আযানে যোগ করার নির্দেশ দিলেন। {১}

{১} জইফ : মুয়াত্ত্বা মালিক ১৫৪। কারণ এর সানাদটি মুরসাল বা মুযাল।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৬৫৩. আবদুর রহমান ইবনি সাদ ইবনি আম্মার ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [দাদা] ছিলেন মাসজিদে কুবায় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুয়ায্‌যিন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিলালকে [আযানের সময়] তার দুই আঙ্গুল দুই কানের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার হুকুম দিলেন এবং বললেন, এভাবে [আঙ্গুল] রাখলে তোমার কণ্ঠষ্বর উঁচু হবে। {১}

{১} জইফ : ইবনি মাজাহ ৭১০, ইরওয়া ২৩১। কারণ এর সানাদে আম্মার, সাদ, আবদুর রহমান- তিনজন দুর্বল রাবী রয়েছে। এ বিষয় সুনান আত তিরমিজিতে সহীহ হাদিস রয়েছে তা হলোঃ অর্থাৎ-عَنْ عَوْن بْن أَبِيْ جُحَيْفَةَ عَن أَبِيْه قَالَ : رَأَيْتُ بِلَالً يُؤَذِّنُ وَيَدُوْرُ وَيَتْبَعُ فَاهُ هَاهُنَا وَهَاهُنَا وَإِصْبَعَاهُ فِى أُذُنَيْهِ وَرَسُوْلُ اللهِ ﷺ فِىْ قُبَّةٍ لَهٗ حَمْرَاءَ আবু জুহায়ফাহ্ বলেন, আমি বিলাল [রাদি.]-কে আযান দেয়ার সময় তার মুখমণ্ডলটি এদিক-ওদিক ফিরাতে দেখেছি। এমতাবস্থায় তার আঙ্গুল তার কর্ণে ছিল এবং রসূল সাঃআঃ তার লাল তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply