নামাজের মধ্যে দোয়া ও ছন্দযুক্ত শব্দ ব্যবহার না করা

নামাজের মধ্যে দোয়া ও ছন্দযুক্ত শব্দ ব্যবহার না করা

নামাজের মধ্যে দোয়া ও ছন্দযুক্ত শব্দ ব্যবহার না করা >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

নামাজের মধ্যে দোয়া ও ছন্দযুক্ত শব্দ ব্যবহার না করা

৮০/১৭. অধ্যায়ঃ সলাতের ভিতর দুআ পাঠ
৮০/১৮. অধ্যায়ঃ সালাতের পরে দুআ। [২৩]
৮০/১৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তুমি দুআ করিবে…… (সুরা আত তাওবাহ ৯/১০৩) আর যিনি নিজেকে বাদ দিয়ে কেবল নিজের ভাই-এর জন্য দুআ করেন
৮০/২০. অধ্যায়ঃ দুআর মধ্যে ছন্দযুক্ত শব্দ ব্যবহার অপছন্দ করা হয়েছে ।
৮০/২১. অধ্যায়ঃ কবূল হবার দৃঢ় আশা নিয়ে দুআ করিবে। কারণ কবূল করিতে আল্লাহকে বাধা দানকারী কেউ নেই।
৮০/২২. অধ্যায়ঃ তাড়াহুড়া না করলে বান্দার দুআ কবূল হয়ে থাকে।

৮০/১৭. অধ্যায়ঃ সলাতের ভিতর দুআ পাঠ

৬৩২৬. আবু বাক্‌র সিদ্দিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একবার তিনি নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট বলিলেন, আপনি আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি সলাতে দুআ করব। তিনি বলিলেন, তুমি সালাতে পড়বেঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ 

“আল্লাহুম্মা ইন্নী জ্বলামতু নাফসী জুলমান কাছীরও ওয়ালা ইয়াগফিরু যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগ ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নকা আন্তাল গফুরুর রাহীম” “হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক অধিক যুল্‌ম করেছি। আপনি ছাড়া আমার গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই। অতএব আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আর আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু।”

ظَلَمْتُ إِنِّي اللَّهُمَّ
كَثِيرًاظُلْمًا نَفْسِي
الذُّنُوبَ يَغْفِرُ وَلاَ
فَاغْفِرْ أَنْتَإِلاَّ
مِنْ مَغْفِرَةً لِي
عِنْدِكَ

(আঃপ্রঃ- ৫৮৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৪)

৬৩২৭. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, (আল্লাহরবাণী) – “…… সালাতে স্বর উঁচু করিবে না আর অতি ক্ষীণও করিবে না……।”

(সুরা আল-ইসরাঃ ১১০) এ আয়াতটি দুআ সম্পর্কেই অবতীর্ণ করা হয়েছে।(আঃপ্রঃ- ৫৮৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৫)

৬৩২৮. আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আমরা সালাতে বলতামঃ আস্সালামু আলাল্লাহ, আস্সালামু আলা ফুলানিন্। তখন একদিন নাবী সাঃআঃ আমাদের বললেনঃ আল্লাহ তাআলা নিজেই সালাম। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন সালাতে বসবে, তখন সে যেন

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ 

আল্লাহুম্মা ইন্নী জ্বলামতু নাফসী জুলমান কাছীরও ওয়ালা ইয়াগফিরু যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগ ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নকা আন্তাল গফুরুর রাহীম” “হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক অধিক যুল্‌ম করেছি। আপনি ছাড়া আমার গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই। অতএব আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আর আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু।”

পর্যন্ত পড়ে। সে যখন এতটুকু পড়বে তখন আসমান যমীনের আল্লাহর সব নেক বান্দাদের নিকট তা পৌঁছে যাবে। তারপর বলবে,

أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدٍا عَبْدُه” وَرَسُوْلُه

তারপর হাম্দ সানা যা ,ইচ্ছে পড়তে পারবে।

[৮৩১] আঃপ্রঃ- ৫৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৬)

৮০/১৮. অধ্যায়ঃ সালাতের পরে দুআ। [২৩]

৬৩২৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

গরীব সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)! ধনী লোকেরা তো উচ্চমর্যাদা ও চিরস্থায়ী নিয়ামত নিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে গেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তা কেমন করে? তাঁরা বললেনঃ আমরা যে রকম সলাত আদায় করি, তাঁরাও সে রকম সলাত আদায় করেন। আমরা যেমন জিহাদ করি, তাঁরাও তেমন জিহাদ করেন এবং তাঁরাও তাদের অতিরিক্ত মাল দিয়ে সদাকাহ-খয়রাত করেন; কিন্তু আমাদের কাছে সম্পদ নেই। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের একটি আমাল বাতলে দেব না, যে আমাল দ্বারা তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের মর্যাদা লাভ করিতে পারবে, আর তোমাদের পরবর্তীদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারবে, আর তোমাদের মত আমাল কেউ করিতে পারবে না, কেবলমাত্র যারা তোমাদের মত আমাল করিবে তারা ব্যতীত। সে আমাল হলো তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ১০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০ বার আলহামদু লিল্লাহ এবং ১০ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করিবে।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৭)

৬৩৩০. মুগীরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

মুগীরাহ (রাদি.) আবু সুফ্‌ইয়ানের পুত্র মুআবিয়াহ (রাদি.) -এর নিকট এক পত্রে লিখেন যে, নাবী (সাঃআঃ) প্রত্যেক সালাতে সালাম ফিরানোর পর বলিতেনঃ

 لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বইতা, ওয়ালা মু‘ত্বিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ জালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মাবূদ নেই। তিনি একক। তাহাঁর কোন শরীক নেই। মূলক্‌ তাহাঁরই, প্রশংসা তাহাঁরই। তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। হে আল্লাহ আপনি কাউকে যা দান করেন তাতে বাধা দেয়ার কেউ নেই। আর আপনি যাকে কোন কিছু দিতে বিরত থাকেন তাকে তা দেয়ার মতো কেউ নেই। ধনীর ধন তাকে তোমা হইতে উপকার দিতে পারে না।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৮)

৮০/১৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তুমি দুআ করিবে…… (সুরা আত তাওবাহ ৯/১০৩) আর যিনি নিজেকে বাদ দিয়ে কেবল নিজের ভাই-এর জন্য দুআ করেন

আবু মূসা (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) দুআ করেন, হে আল্লাহ! আপনি উবায়দ আবু আমিরকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আপনি আবদুল্লাহ ইবনু ক্বায়সের গুনাহ ক্ষমা করে দিন।

৬৩৩১. সালামাহ ইবনু আকওয়া (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একবার আমরা নাবী (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে খায়বার অভিযানে বের হলাম। সেনাবাহিনীর এক ব্যক্তি বললেনঃ ওহে আমির! যদি আপনি আপনার ছোট ছোট কবিতা থেকে কিছুটা আমাদের শুনাতেন? তখন তিনি সওয়ারী থেকে নেমে হুদী গাইতে গাইতে বাহন হাঁকিয়ে নিতে শুরু করিলেন। তাতে উল্লেখ করলেনঃ আল্লাহ তাআলা না হলে আমরা হিদায়াত পেতাম না। (রাবী বলেন) এছাড়া আরও কিছু কবিতা তিনি আবৃত্তি করিলেন, যা আমি স্মরণ রাখতে পারিনি। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ এ উট চালক লোকটি কে? সাথীরা বললেনঃ উনি আমির ইবনু আকওয়া। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তার উপর রহম করুন। তখন দলের একজন বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তার দুআয় আমাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করলে ভাল হতো না? এরপর যখন মুজাহিদগণ কাতারবন্দী হয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিলেন, এ সময় আমির (রাদি.) তাহাঁর নিজের তলোয়ারের অগ্রভাগের আঘাতে আহত হলেন এবং এ আঘাতের ফলে তিনি মারা গেলেন। এদিন লোকেরা সন্ধ্যার পর (পাকের জন্য) বিভিন্নভাবে অনেক আগুন জ্বালালেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ এ সব আগুন কিসের? এসব আগুন দিয়ে তোমরা কী জ্বাল দিচ্ছ। তারা বললেনঃ আমরা গৃহপালিত গাধার মাংস জ্বাল দিচ্ছি। তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ হাঁড়িতে যা আছে, তা সব ফেলে দাও এবং হাঁড়িগুলোও ভেঙ্গে ফেল। এক ব্যক্তি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! হাঁড়িতে যা আছে তা ফেলে দিলে এবং পাত্রগুলো ধুয়ে নিলে চলবে না? তিনি বললেনঃ তবে তাই কর।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৯)

৬৩৩২. ইবনু আবু আওফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

ইবনু আবু আওফা (রাদি.) বর্ণনা করিতেন, যখন কেউ কোন সদাকাহ নিয়ে নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট আসতো তখন তিনি দুআ করিতেনঃ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ فُلاَنٍ 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা আলি ফুলান, হে আল্লাহ! আপনি অমুকের পরিবারের উপর রহম অবতীর্ণ করেন।

একবার আমার আব্বা তাহাঁর কাছে কিছু সদাকাহ নিয়ে এলে তিনি বললেনঃ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِي أَوْفَى

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা আলি আবু আওফা, হে আল্লাহ! আপনি আবু আওফার পরিবারের উপর দয়া করুন।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮০)

৬৩৩৩। জারীর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ তুমি কি যুল-খালাসাহকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করিবে? সেটা ছিল এক মূর্তি। লোকেরা এর পূজা করতো। সেটাকে বলা হতো ইয়ামানী কাবা। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসুল! আমি অশ্ব পৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটা থাবা মারলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ! আপনি তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হিদায়াতকারী ও হিদায়াতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন। তখন আমি আমারই গোত্র আহমাসের পঞ্চাশ জন যোদ্ধাসহ বের হলাম। সুফ্‌ইয়ান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, তিনি কোন কোন সময় বলেছেনঃ আমি তোমার গোত্রের একদল যোদ্ধার মধ্যে গেলাম। তারপর আমি সেই মূর্তিটার কাছে গিয়ে সেটা জ্বালিয়ে ফেললাম। এরপর আমি নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে এসে বললামঃ হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কসম! আমি যুল-খালাসাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মত করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দুআ করিলেন।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮১)

৬৩৩৪। আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন উম্মু সুলায়ম (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) -কে বললেনঃ আনাস তো আপনারই খাদিম। তখন তিনি বললেনঃ

اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

আল্লাহুম্মাকছির মালুহু ওয়া ওয়ালাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। হে আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দিন এবং আপনি তাকে যা কিছু দান করিয়াছেন, তাতে বারাকাত দিন।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮২)

৬৩৩৫। আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) এক লোককে মাসজিদে কুরআন তিলাওয়াত করিতে শুনলেন। তখন তিনি বললেনঃ

رَحِمَهُ اللَّهُ

রহিমাল্লাহু, আল্লাহ তার উপর দয়া করুন।

সে আমাকে অমুক অমুক আয়াত মনে করিয়ে দিয়েছে, যা আমি অমুক অমুক সুরা থেকে ভুলে গিয়েছিলাম।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৩)

৬৩৩৬। আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একদা নাবী (সাঃআঃ) গানীমতের মাল বণ্টন করে দিলে এক লোক মন্তব্য করলেনঃ এটা এমন বণ্টন যার মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টির খেয়াল রাখা হয়নি। আমি তা নাবী (সাঃআঃ)-কে জানালে তিনি রাগান্বিত হলেন। এমনকি আমি তাহাঁর চেহারার মধ্যে গোস্বার চিহ্ন দেখিতে পেলাম। তিনি বললেনঃ

 يَرْحَمُ اللَّهُ مُوسَى

ইয়ার হামুল্লাহু মুসা, আল্লাহ মুসা (আঃ) -এর প্রতি দয়া করুন,

তাঁকে এর চেয়ে বেশী কষ্ট দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ করিয়াছেন।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৪)

৮০/২০. অধ্যায়ঃ দুআর মধ্যে ছন্দযুক্ত শব্দ ব্যবহার অপছন্দ করা হয়েছে ।

৬৩৩৭. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, তুমি প্রতি জুমুআহয় লোকেদের হাদীস শোনাবে। যদি এতে তুমি ক্লান্ত না হও তবে সপ্তাহে দু বার। আরও অধিক করিতে চাও তবে তিনবার। আরও অধিক নাসীহাত করে এ কুরআনের প্রতি মানুষের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করো না। লোকেরা তাদের কথাবার্তায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তুমি তাদের কাছে এসে তাদের নির্দেশ দেবে- আমি যেন এমন হালাতে তোমাকে না পাই। কারণ এতে তাদের কথায় বিঘ্ন সৃষ্টি হইবে এবং তারা বিরক্ত হইবে। বরং তুমি এ সময় নীরব থাকবে। যদি তারা আগ্রহ নিয়ে তোমাকে নাসীহাত দিতে বলে তাহলে তুমি তাদের নাসীহাত দেবে। আর তুমি দুআর মধ্যে ছন্দযুক্ত কবিতা বর্জন করিবে। কারণ আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) ও তাহাঁর সাহাবীগণকে তা বর্জন করিতে দেখেছি।

(আঃপ্রঃ- ৫৮৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৫)

৮০/২১. অধ্যায়ঃ কবূল হবার দৃঢ় আশা নিয়ে দুআ করিবে। কারণ কবূল করিতে আল্লাহকে বাধা দানকারী কেউ নেই।

৬৩৩৮. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ দুআ করলে দুআর সময় দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে দুআ করিবে এবং এ কথা বলবে না

اللَّهُمَّ إِنْ شِئْتَ فَأَعْطِنِي

আল্লাহুম্মা ইন সি,তা ফা,তিনি, হে আল্লাহ! আপনার ইচ্ছে হলে আমাকে কিছু দিন।

কারণ আল্লাহকে বাধ্য করার কেউ নেই।

[৭৪৬৪; মুসলিম ৪৫/৩৭, হাদীস ২৬১৮] আঃপ্রঃ- ৫৮৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৬)

৬৩৩৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কখনো এ কথা বলবে না যে, হে আল্লাহ! আপনার ইচ্ছে হলে আমাকে ক্ষমা করুন।

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي

আল্লাহুম্মাগ ফিরলি আল্লাহুম্মার হামনি, হে আল্লাহ! আপনার ইচ্ছে হলে আমাকে দয়া করুন।

বরং দৃঢ় আশা নিয়ে দুআ করিবে। কারণ আল্লাহকে বাধ্য করার কেউ নেই।

[৭৪৭৭; মুসলিম ৪৮/৩, হাদীস ২৬৭৯, আহমাদ ৯৯৭৫] আঃপ্রঃ- ৫৮৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৭)

৮০/২২. অধ্যায়ঃ তাড়াহুড়া না করলে বান্দার দুআ কবূল হয়ে থাকে।

৬৩৪০. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দুআ কবূল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দুআ করলাম। কিন্তু আমার দুআ তো কবূল হলো না।

[মুসলিম ৪৮/২৪, হাদীস ২৭৩৫, আহমাদ ১৩০০৭]আঃপ্রঃ- ৫৮৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৮)


Posted

in

by

Comments

One response to “নামাজের মধ্যে দোয়া ও ছন্দযুক্ত শব্দ ব্যবহার না করা”

Leave a Reply