নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করা সম্পর্কে

নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করা সম্পর্কে

নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করা সম্পর্কে হাদিস >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৩, অধ্যায়ঃ ৬

  • অধ্যায়ঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৫১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার সাথে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দেখা হল। আমি তখন [বীর্যপাতের কারনে] নাপাক ছিলাম। তিনি আমার হাত ধরলেন এবং আমি তার সাথে চলতে থাকলাম যে পর্যন্ত না তিনি বসলেন। তখন আমি চুপিসারে সরে পড়লাম এবং যথাস্থানে এসে গোসল করে নিলাম। অতঃপর আবার তাহাঁর কাছে চলে গেলাম। তিনি তখনো সেখানে বসা আছেন। তিনি বললেন, তুমি কোথায় ছিলে হে আবু হুরাইরাহ্‌। আমি [সম্পূর্ণ] বিষয়টি তাহাঁর কাছে [খুলে] বললাম। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ মুমিন [কখনো] অপবিত্র হয় না।

এটা বোখারী [২৮৫ হাঃ]-এর বর্ণনা। অনুরুপ অর্থবোধক হাদিস মুসলিমও বর্ণনা করিয়াছেন এবং বোখারীর কথার পর তার বর্ণনায় এ কথাও আছে আমি উত্তরে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বললাম যখন আমার সাথে আপনার দেখা হল তখন আমি নাপাক ছিলাম। তাই গোসল না করে আপনার সাথে বসাটা ঠিক মনে করলাম না। বোখারীর আর একটি বর্ণনাও এভাবে এসেছে।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ২৮৫, মুসলিম ৩৭১। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৫২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উমার [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করে বললেন, [কোন সময়] রাতে তার নাপাকী হয়ে গেলে [তৎক্ষণাৎ তার কী করা উচিৎ]? রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, তখন তুমি ওযু করিবে, তোমার গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে নিবে, অতঃপর ঘুমাবে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ২৯০, মুসলিম ৩০৬। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৫৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] নাপাক অবস্থায় ঘুমাতেন অথবা কিছু খাওয়ার ইচ্ছে করলে তখন সলাতের ওযূর মতো ওযূ করিতেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ২৮৮, মুসলিম ৩০৫; শব্দবিন্যাস মুসলিমের। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৫৪. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করার পর আবারো যদি সঙ্গম করিতে চায়, তাহলে সে যেন মধ্যখানে [সলাতের ওযূর মত] ওযূ করে নেয়। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৩০৮। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৫৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর স্ত্রীদের নিকট যেতেন একই গোসলে। [অর্থাৎ মধ্যখানে শুধু ওযূ করিতেন, গোসল করিতেন না]। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৩০৯, নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৫৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] সবসময় আল্লাহর স্মরনে মগ্ন থাকতেন। {১}

ইবনি আব্বাস [রাদি.]- এর হাদিস, যা মাসাবীহের সংকলক এখানে বর্ণনা করিয়াছেন, আমি কিতাবুল আত্বইমাতে বর্ণনা করব ইনশা-আল্লা-হ।

{১} সহীহ : মুসলিম ৩৭৩। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-এর কোন এক স্ত্রী [মায়মূনাহ্‌] একটি গামলাতে পানি নিয়ে গোসল করিলেন। এ গামলার পানি দিয়ে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উযূ করিতে চাইলে পবিত্র স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো নাপাক ছিলাম [আমি তো এর থেকে পানি উঠিয়ে গোসল করেছি]। তিনি [সাঃআঃ] বললেন, পানি তো নাপাক হয় না। দারিমীও এরূপই বর্ণনা করিয়াছেন। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৬৮, তিরমিজি ৬৫, ইবনি মাজাহ ৩৭০,দারিমী ৭৩৪। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৫৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আর শারহে সুন্নাহইতেও ইবনি আব্বাস থেকে মায়মূনাহ্‌-এর সূত্রে মাসাবীহ-এর শব্দে বর্ণনা করিয়াছেন।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

৪৫৯. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নাপাকীর পর গোসল করিতেন। অতঃপর আমার গোসল করার পূর্বে আমাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের গরম অনুভব করিতেন। {১}

ঈমাম তিরমিজিও এরূপই বর্ণনা করিয়াছেন, আর শারহু সুন্নাহইতেও মাসাবীহর শব্দে বর্ণনা করা হয়েছে।

{১} জইফ : ইবনি মাজাহ ৫৮০। কারণ এর সানাদে হুরায়স থেকে শরীক-এর বর্ণনা রয়েছে। আর শরীক ইবনি আবদুল্লাহআল ক্বযী খারাপ স্মৃতিশক্তিজনিত কারণে ত্রুটিপূর্ণ হলেও ওয়াকী তার মুতাবায়াত করায় সে ত্রুটি দূরীভূত হয়েছে। কিন্তু হুরায়স ইবনি আবু মাত্বার দুর্বল রাবী যাকে ঈমাম বোখারী ও ঈমাম নাসায়ী পরিত্যাগ করিয়াছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৬০. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] পায়খানা হইতে বেরিয়ে [উযূ করার আগে] আমাদেরকে কুরআন মাজীদ পড়াতেন এবং আমাদের সাথে গোশ্‌ত খেতেন। নাপাকী ব্যতীত কোন কিছু তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত হইতে ফিরিয়ে রাখতে পারত না। {১} ইবনি মাজাহ অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

1] জইফ : আবু দাউদ ২২৯, নাসায়ী ২৬৫, ইবনি মাজাহ ৫৯৪। কারণ এর সানাদে আবদুল্লাহ বিন সালিমাহ্ নামে একজন মতভেদপূর্ণ রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৬১. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঋতুবতী স্ত্রীলোক ও নাপাক ব্যক্তি কুরআন মাজীদের কিয়দংশও পড়তে পারবে না। {১}

{১} মুনকার : তিরমিজি ১৩১। কারণ ইসমাঈল ইবনি আইয়্যাশ এর ব্যাপারে ঈমাম বোখারী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন যে, সে হিজায ও ইরাক্ববাসীদের থেকে মুনকার হাদিস বর্ণনা করে। অর্থাৎ- তার তাদের থেকে বর্ণিত হাদিসগুলো মুনকার। এমনকি ঈমাম আহমাদ সেগুলোকে বাতিল বলেছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ মুনকার

৪৬২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদে নাবাবীর দিক হইতে ফিরিয়ে দাও। আমি মাসজিদকে ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য জায়িয মনে করি না। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ২৩২, যঈফুল জামি ৬১১৭। কারণ এর সানাদে জামরাহ্ বিনতু দাজাজাহ্ নামে একজন দুর্বল রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৬৩. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ঘরে কোন ছবি বা কুকুর বা নাপাক ব্যক্তি থাকে সে ঘরে [রহমাতের] মালাক প্রবেশ করেন না। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ২২৭, নাসায়ী ২৬১, যঈফুত্ তারগীব ১৩১। কারণ এর সানাদে গোলযোগ ও অপরিচিত রাবী রয়েছে। তবে لَا جُنُبٌ অংশটুকু ব্যতীত হাদিসটি সহীহ যা বোখারী মুসলিমে রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ অন্যান্য

৪৬৪. আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এমন তিন ব্যক্তি আছে, মালায়িকাহ্‌ যাদের ধারে কাছেও যান না-[১] কাফিরের মৃতদেহ [২] খালূক্ব ব্যবহারকারী ও [৩] নাপাক ব্যক্তি, উযূ না করা পর্যন্ত। {১}

{১} হাসান লিগয়রিহী : আবু দাউদ ৪১৮০, সহীহুত্ তারগীব ১৭৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান লিগাইরিহি

৪৬৫. আবদুল্লাহ ইবনি আবু বাকর ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি আমর ইবনি হাযম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আম্‌র ইবনি হায্‌ম-এর কাছে যে চিঠি লিখেছেন তাতে এ কথাও লেখা ছিল যে, পবিত্র লোক ছাড়া যেন কোন ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ না করে। {১}

{১} সহীহ : মালিক ৪৬৮, দারাকুত্বনী, সহীহুল জামি ৭৭৮০। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৬৬. নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইবনি উমার কোন কাজে গেলে আমিও তার সাথে গেলাম। তিনি তাহাঁর কাজ শেষ করিলেন। সেদিন তাহাঁর কথার মধ্যে এ কথাটি ছিল, তিনি বললেন, এক ব্যক্তি কোন একটি গলি দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রস্রাব বা পায়খানা সেরে বের হলেন। ঐ লোকটির সাথে তাহাঁর [সাঃআঃ]-এর দেখা হলে সে সালাম দিল। কিন্তু তিনি [সাঃআঃ] তার সালামের উত্তর দিলেন না। লোকটি যখন অন্য গলির দিকে মোড় নিচ্ছিল, তিনি [সাঃআঃ] [তায়াম্মুম করার জন্য] দেওয়ালে দুই হাত মেরে মুখমণ্ডলে মাসেহ করিলেন। অতঃপর আবার দেওয়ালে হাত মেরে কনুইসহ দুহাত মাসাহ করিলেন [অর্থাৎ তায়াম্মুম করিলেন]। এরপর লোকটির সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেন, তোমাকে সালামের উত্তর দিতে পারিনি। কারণ আমি বে-উযূ ছিলাম, এটাই ছিল [তোমার সালামের উত্তর দিতে আমার] বাধা। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ৩৩০। ঈমাম আবু দাউদ বলেন, মুহাম্মাদ ইবনি সাবিত তায়াম্মুম বিষয়ে দুর্বল হাদিস বর্ণনা করেছে। আর তিনি দুর্বল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৬৭. মুহাজির ইবনি কুনফুয [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তিনি নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এলেন। তিনি [সাঃআঃ] তখন প্রস্রাব করছিলেন। তিনি [সাঃআঃ] কে সালাম দিলেন। কিন্তু তিনি [সাঃআঃ] [প্রস্রাবের পর] যে পর্যন্ত না উযু করিলেন তার সালামের কোন উত্তর দিলেন না। এরপর তিনি [সাঃআঃ] ওজর পেশ করে বললেন, উযু না করে আমি আল্লাহর নাম নেয়া পছন্দ করিনি [এ কারনেই তোমার সালামের উত্তর দেইনি]। {১}

ঈমাম নাসায়ীও এ হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন, “যে পর্যন্ত উযু না করিলেন” বাক্য পর্যন্ত। ওজর পেশ করার কথা তিনি বলেননি। তার স্থানে বর্ণনা করিয়াছেন, যখন উযু করিলেন, তার সালামের উত্তর দিলেন। {2]

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৭, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৮৩৪। {2] নাসায়ী ৩৮। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪৬৮. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] [আমার বিছানায়] নাপাক হয়ে যেতেন, অতঃপর ঘুমাতেন, আবার জাগতেন, আবার ঘুমাতেন। {১}

{১} জইফ : আহমাদ ২৬০১২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৬৯. শুবাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইবনি আব্বাস [রাদি.] নাপাক হলে যখন গোসল করিতেন তখন প্রথমে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের উপর সাতবার পানি ঢালতেন, তারপর স্বীয় লজ্জাস্থান ধুতেন। একবার তিনি কতবার পানি ঢেলেছেন ভুলে গেলে আমাকে জিজ্ঞেস করিলেন। আমি বললাম, আমার স্মরণ নেই। তিনি বললেন, তোমার মায়ের মৃত্যু হোক। স্মরণ রাখতে কে তোমাকে বাধা দিয়েছিল? তারপর তিনি সালাতের উযুর মত উযু করে নিজের সারা শরীরে পানি ঢাললেন এবং বললেন, এভাবে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পবিত্রতা লাভ করিতেন। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ২৪৬। কারণ শুবাহ্ সর্বসম্মতক্রমে দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৭০. আবু রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সকল স্ত্রীর নিকট ঘুরে বেড়ালেন। তিনি এর নিকট একবার, তার নিকট একবার গোসল করিলেন। আবু রাফি [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসুল! সবশেষে একবারই মাত্র কেন গোসল করিলেন না? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, প্রত্যেকবার গোসল করা হচ্ছে বেশী পবিত্রতা, বেশী আনন্দদায়ক ও বেশী পরিচ্ছন্নতা। {১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ২১৯, আহমাদ ২৩৩৫০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

৪৭১. হাকাম ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ,

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মহিলাদের উযুর [গোসলের পর] অবশিষ্ট পানি দিয়ে উযু করিতে পুরুষদেরকে নিষেধ করিয়াছেন। {১}

তিরমিজি এ শব্দগুলো বেশি ব্যবহার করিয়াছেন যে, “তিনি নিষেধ করিয়াছেন যে, মহিলাদের উযুর অবশিষ্ট পানি দিয়ে”। তিরমিজি আরও বলেছেন যে, এ হাদিসটি হাসান ও সহীহ।

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৮২, ইবনি মাজাহ ৩৭৩, তিরমিজি ৬৪, ইরওয়া ১১। নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৭২. হুমায়দ আল হিম্ইয়ারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেলাম, যিনি চার বছর পর্যন্ত রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাহচর্য লাভ করেছিলেন, যেমন আবু হুরাইরাহ [রাদি.] তাহাঁর সাহচর্য লাভ করেছিলেন। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন পুরুষের অবশিষ্ট পানি দিয়ে স্ত্রীলোকদের গোসল করিতে এবং স্ত্রীলোকদের অবশিষ্ট পানি দিয়ে পুরুষের গোসল করিতে। পরবর্তী রাবী মুসাদ্দাদ এ কথা অতিরিক্ত বলেছেন, বরং উভয়েই যেন একই সাথে অঞ্জলি ভরে গোসল করে। {১}

ঈমাম আহমাদ প্রথম দিকে এ কথা বৃদ্ধি করিয়াছেন, আমাদের প্রত্যেক দিন চুল আঁচড়াতে ও গোসলের জায়গায় প্রসাব করিতে তিনি [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন। {2]

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৮১, নাসায়ী ২৩৮। {2] সহীহ : আহমাদ ১৬৫৬৪, সহীহুত্ তারগীব ১৫৪।m নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা  -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৭৩. আব্দুল্লাহ ইবনি সারজিস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি মাজাহ এ হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন আব্দুল্লাহ ইবনি সারজিস [রাদি.] হইতে।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply