কুরআনের সিজদা সমূহ ও মহিলাদের মসজিদে যাতায়াত
কুরআনের সিজদা সমূহ ও মহিলাদের মসজিদে যাতায়াত >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায়ঃ ৪, অনুচ্ছেদঃ (৪৭-৫৬)=১৪টি
৪৭. অনুচ্ছেদঃ কুরআনের সিজদাসমুহ
৪৮. অনুচ্ছেদঃ মহিলাদের মসজিদে যাতায়াত
৪৯. অনুচ্ছেদঃ মসজিদে থুথু ফেলা মাকরূহ
৫০. অনুচ্ছেদঃ সূরা ইনশিকাক ও সূরা ইকরার সাজদাহ্ প্রসঙ্গে
৫১. অনুচ্ছেদঃ সূরা আন্-নাজমের সাজদাহ্
৫২. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি সূরা নাজমে সাজদাহ্ করে না
৫৩. অনুচ্ছেদঃ সূরা সাদ -এর সাজদাহ্
৫৪. অনুচ্ছেদঃ সূরা হাজ্জের সাজদাহ্
৫৫. অনুচ্ছেদঃ তিলাওয়াতের সিজদায় পাঠের দুআ
৫৬. অনুচ্ছেদঃ কারো রাতের নিয়মিত তিলাওয়াত ছুটে গেলে সে তা দিনে পূর্ণ করে নিবে
৪৭. অনুচ্ছেদঃ কুরআনের সিজদাসমুহ
৫৬৮. আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাথে [কুরাআনে] এগারটি সিজদা করেছি যার মধ্যে সূরা নাজমের সিজদাটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যঈফ, ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[১০৫৫]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৬৯. আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু দারদা [রাদি.] এর সূত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে………পূর্বোক্ত হাদীসের মতো।
যঈফ, প্রাগুক্ত। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি পূর্ব বর্ণিত আব্দুল্লাহ ইবনি ওয়াহাবের হাদীস হইতে বেশী সহীহ। তিনি আরও বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আলী, ইবনি আব্বাস, আবু হুরাইরাহ, ইবনি মাসউদ, যাইদ ইবনি সাবিত এবং আমর ইবনি আস [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি আরও বলেনঃ আবু দারদার এ হাদীসটি গারীব। এটি আমরা কেবল উমার ইবনি হায়্যান আদ-দিমাশকীর বরাতে সাঈদ ইবনি আবু হিলাল হইতেই জেনেছি। এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস
৪৮. অনুচ্ছেদঃ মহিলাদের মসজিদে যাতায়াত
৫৭০. মুজাহিদ [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সময় আমরা ইবনি উমার [রাদি.] -এর কাছে হাজির ছিলাম। তিনি বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা মহিলাদেরকে রাতের বেলা মসজিদে যাওয়ার সম্মতি দাও। তাহাঁর [ইবনি উমারের] ছেলে বললো, আল্লাহ তাআলার কসম! তাহাদেরকে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি কখনো দিব না। কেননা তারা এটাকে মওকা হিসেবে গ্রহন করিবে। ইবনি উমার বলিলেন, আল্লাহ তোমার অমঙ্গল করিয়াছেন এবং করবেন! আমি বলছি, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন [অনুমতি দিতে], আর তুমি বলছো, অনুমতি দিব না।
-সহিহ। সহিহ আবু দাউদ- [৫৭৭], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদের স্ত্রী যাইনাব ও যাইদ ইবনি খালিদ [রাদি.] হইতে ও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ইবনি উমারের হাদীসটি হাসান সহিহ। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪৯. অনুচ্ছেদঃ মসজিদে থুথু ফেলা মাকরূহ
৫৭১. তারিক ইবনি আবদুল্লাহ আল-মুহারিবী [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তুমি নামাজ আদায়কালে তোমার ডান দিকে থুথু ফেল না, বরং তোমার পিছনে অথবা বাঁ দিকে অথবা বাঁ পায়ের নীচে থুথু ফেল।
-সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১০২১]। এ অনুচ্ছেদে আবু সাঈদ, ইবনি উমার, আনাস ও আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ তারিকের হাদীসটি হাসান সহিহ। আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করার কথা বলেছেন। ওয়াকী [রঃ] বলেন, রিবঈ ইবনি হিরাশ [খিরাশ] ইসলামে কখনও মিথ্যা বলেননি। আবদুর রহমান ইবনি মাহদী বলেন, কুফায় সবচেয়ে বিশ্বস্ত হলেন, মানসূর ইবনিল মুতামির। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মসজিদে থুথু ফেলা গুনাহের কাজ। এর জরিমানা হলো তা মাটিতে পুঁতে ফেলা।
-সহিহ। রওজ- [৪৮], সহিহ আবু দাউদ- [৪৯৪], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০. অনুচ্ছেদঃ সূরা ইনশিকাক ও সূরা ইকরার সাজদাহ্ প্রসঙ্গে
৫৭৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ইক্বরা বিসমি রব্বিকা ও ইযাস সামাউন শাক্কাত সূরা দুটিতে সাজদাহ্ করেছি।
-সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১০৫৮], মুসলিম। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
অপর একটি সূত্রে আবু হুরাইরার নিকট হইতেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসের সনদে চারজন তাবিঈ রয়েছেন তারা পরস্পরের নিকট হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। বেশিরভাগ বিদ্বান এ হাদীসের উপর আমল করিয়াছেন তাহাদের মতে উল্লেখিত সূরা দুটিতে সাজদাহ্ আছে।
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫১. অনুচ্ছেদঃ সূরা আন্-নাজমের সাজদাহ্
৫৭৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সূরা নাজম-এ সাজদাহ্ করিয়াছেন। মুসলিম, মুশরিক, জ্বিন ও মানুষ সবাই তাহাঁর সাথে সাজদাহ্ করিয়াছেন।
-সহিহ। বুখারী, কিস্সাতুল গারানীক-[১৮, ২৫, ৩১ পৃঃ], বুখারী। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এ অনুচ্ছেদে ইবনি মাসউদ ও আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। একদল বিদ্বানের মতে সূরা নাজম-এ সাজদাহ্ রয়েছে। একদল সাহাবা ও তাবিঈনের মতে মুফাসসাল সূরাসমূহে কোন সাজদাহ্ নেই। মালিক ইবনি আনাস এই মতের সমর্থক। কিন্তু প্রথম দলের মতই বেশি সহিহ। সুফিয়ান সাওরী, ইবনিল মুবারাক, শাফিঈ ও আহমাদ প্রথম মতের সমর্থক। [অর্থাৎ মুফাসসাল সূরায় সাজদাহ্ আছে]। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি সূরা নাজমে সাজদাহ্ করে না
৫৭৬. যাইদ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]কে সূরা নাজম পাঠ করে শুনালাম, কিন্তু তিনি সাজদাহ্ করেননি।
-সহিহ। সহিহ আবু দাঊদ- [১২৬৬], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেনঃ যাইদ ইবনি সাবিতের হাদীসটি হাসান সহিহ। কিছু আলিম উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, যেহেতু যাইদ ইবনি সাবিত [রাদি.] সাজদাহ্ করেননি তাই রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]ও সাজদাহ্ করেননি। তাহাদের মতে তিলাওয়াতকারী সিজদা না করলে শ্রোতার উপর সাজদাহ্ করা ওয়াজিব হয় না। কতক বলেন, শ্রবণকারীর উপরও সাজদাহ্ করা ওয়াজিব, এটা ছেড়ে দেয়ার কোন অনুমতি নেই। যদি ওযূহীন অবস্থায় শুনে তবে ওযূ করার পর সাজদাহ্ করিবে। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ একথা বলেছেন। ইসহাকও একই রকম মত দিয়েছেন। অপর একদল বিদ্বান বলেছেন, যে ব্যক্তি সাজদাহ্ করিতে চায় এবং তার ফাযীলাত [সাওয়াব] লাভের ইচ্ছে করে শুধুমাত্র সেই সাজদাহ্ করিবে। সাজদাহ্ ছেড়ে দেয়ারও অনুমতি আছে। অর্থাৎ সে ইচ্ছা করলে সাজদাহ্ নাও করিতে পারে। তাহাঁর উপরে উল্লেখিত যাইদ [রাদি.] -এর মারফূ হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করিয়াছেন। তাঁরা বলেন, যদি সাজদাহ্ করা ওয়াজিব হতো তবে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যাইদ [রাদি.] -কে সাজদাহ্ করিতে বাধ্য করিতেন এবং তিনি [সাঃআঃ] নিজেও সাজদাহ্ করিতেন। তাঁরা উমার [রাদি.] -এর হাদীসও নিজেদের দলীল হিসেবে গ্রহণ করিয়াছেন। “তিনি মিম্বারের উপর [জুমুআর খুতবায়] সাজদাহ্র আয়াত পাঠ করিলেন, তারপর মিম্বার থেকে নেমে সাজদাহ্ করিলেন। উল্লেখিত সাজদাহ্র আয়াতটি তিনি [উমার] পরবর্তী জুমুআর দিনও [খুতবার মধ্যে] পাঠ করিলেন। লোকেরা সাজদাহ্ দেওয়ার প্রস্তুতি নিল। তিনি বলিলেন, সাজদাহ্ করা আমাদের জন্য আবশ্যক নয়, হ্যাঁ, যে চায় [সে করিতে পারে]। উমার [রাদি.] -ও সাজদাহ্ করিলেন না এবং লোকেরাও সাজদাহ্ করলো না।” [বুখারীতেও এ হাদীস উল্লেখিত হয়েছে]। একদল আলিম এই মত অবলম্বন করিয়াছেন। ঈমাম শাফি এবং আহমাদও এ মত সমর্থন করিয়াছেন। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৩. অনুচ্ছেদঃ সূরা সাদ -এর সাজদাহ্
৫৭৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামকে সূরা সাদ -এ সাজদাহ্ করিতে দেখেছি। ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেনঃ এটা ওয়াজিব সাজদাহ্র অন্তর্ভুক্ত নয়।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১২৭০]। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। উল্লেখিত সাজদাহ্ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। একদল সাজদাহ্ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী, ইবনিল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এই মতের পক্ষপাতি। অপর দল বলেছেন, এটাতো একজন নাবীর [দাঊদ আলাইহিস্ সালামের] তাওবাহ্র সাজদাহ্ ছিল। অতএব এ সূরায় কোন সাজদাহ্ নেই। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৪. অনুচ্ছেদঃ সূরা হাজ্জের সাজদাহ্
৫৭৮. উকবা ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! সূরা হাজ্জকে অত্যন্ত অধিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কেননা এর মধ্যে দুটি সাজদাহ্ রয়েছে। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। যে ব্যক্তি এই সাজদাহ্ দুটো না করে সে যেন এই দুটো [সাজদাহ্র আয়াত] পাঠ না করে।
-হাসান। সহীহ আবু দাঊদ- [১২৬৫], মিশকাত- [১০৩০] আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটির সনদ খুব একটা শক্তিশালী নয়। সূরা হাজ্জের সাজদাহ্র ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। উমার ইবনিল খাত্তাব ও আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] বলেছেন, সূরা হাজ্জকে সম্মানিত করা হয়েছে। কারণ এতে দুটো সাজদাহ্ রয়েছে। ইবনিল মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন। অপর এক দল বলেছেন, সূরা হাজ্জে একটি মাত্র সাজদাহ্। সুফিয়ান সাওরী, মালিক ও কুফাবাসীগণ এই মত গ্রহণ করিয়াছেন। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৫৫. অনুচ্ছেদঃ তিলাওয়াতের সিজদায় পাঠের দুআ
৫৭৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি আজ রাতে নিজেকে স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি ঘুমিয়ে আছি, আমি যেন একটি গাছের পিছনে নামাজ আদায় করছি। আমি তিলাওয়াতের সাজদাহ্ করলাম এবং গাছটিও আমার সাজদাহ্র সাথে সাথে সাজদাহ্ করলো। আমি গাছটিকে বলিতে শুনলাম-
arbi
“হে আল্লাহ! এই সাজদাহ্র বিনিময়ে তোমার কাছে আমার জন্য সাওয়াব নির্ধারণ করে রাখ, এর বিনিময়ে আমার একটি গুনাহ দূর কর, এটাকে তোমার কাছে আমার জন্য সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখ এবং এটা আমার নিকট হইতে গ্রহণ করে নাও, যেভাবে তুমি তোমার বান্দা দাঊদ [আঃ] -এর নিকট গ্রহণ করেছিলে।” ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাজদাহ্র আয়াত পাঠ করিলেন এবং সাজদাহ্ করিলেন। ইবনি আব্বাস [রাদি.] আবার বলিলেন, আমি তাঁকে তখন সেই গাছের দুআটির মতো পাঠ করিতে শুনলাম, যে সম্পর্কে ইতিপূর্বে লোকটি তাঁকে জানিয়েছিল।
-হাসান। ইবনি মাজাহ- [১০৫৩]। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। উপরোক্ত সূত্রেই কেবল আমরা হাদীসটি জেনেছি। এ অনুচ্ছেদে আবু সাঈদ [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৫৮০. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতের বেলা তিলাওয়াতের সাজদাহইতে এই দুআ পাঠ করিতেনঃ
سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ
“আমার চেহারা সেই মহান সত্তার জন্য সাজদাহ্ করলো যিনি নিজ শক্তি ও সামর্থ্যে একে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং এতে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দান করিয়াছেন।”
-সহীহ। সহীহ আবু দাঊদ- [১২৭৩]। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬. অনুচ্ছেদঃ কারো রাতের নিয়মিত তিলাওয়াত ছুটে গেলে সে তা দিনে পূর্ণ করে নিবে
৫৮১. আবদুর রহমান ইবনি আবদুল ক্বারী [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমি উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] -কে বলিতে শুনিয়াছি, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের নিয়মিত ও নির্দিষ্ট পরিমাণ [কুরআন] তিলাওয়াত অথবা তার অংশবিশেষ বাকী রেখে ঘুমিয়ে গেল এবং ফজর ও যুহরের মাঝামাঝি সময়ে তা পাঠ করে নিল, সে যেন তা রাতেই পাঠ করে নিয়েছে বলে গণ্য হইবে।
-সহীহ। ইবনি মাজাহ- [১৩৪৩], মুসলিম। আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহিহ। আবু সাফওয়ানের নাম আব্দুল্লাহ্ ইবনি সাঈদ, হুমাইদীসহ স্বনামধন্য ঈমামগণ তাহাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। কুরআনের সিজদা সমূহ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply