কসরের নামাজ কত দিন ও দুই ওয়াক্তের নামাজ একত্রে
কসরের নামাজ কত দিন ও দুই ওয়াক্তের নামাজ একত্রে >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায়ঃ ৪, অনুচ্ছেদঃ (৩৯-৪২)=৪টি
৩৯. অনুচ্ছেদঃ সফরকালে নামাজ কসর করা
৪০. অনুচ্ছেদঃ কত দিন পর্যন্ত কসর করা যাবে?
৪১. অনুচ্ছেদঃ সফরে নফল নামাজ আদায় করা
৪২. অনুচ্ছেদঃ দুই ওয়াক্তের নামাজ একত্রে আদায় করা
৩৯. অনুচ্ছেদঃ সফরকালে নামাজ কসর করা
৫৪৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ], আবু বাক্র, উমার ও উসমান [রাদি.] -এর সাথে একত্রে সফর করেছি। তাঁরা যুহর ও আসরের [ফরয] নামাজ দুই রাকআত দুই রাকআত আদায় করিয়াছেন। তাঁরা এর আগে বা পরে কোন [সুন্নাত বা নফল] নামাজ আদায় করেননি। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, আমাকে যদি এর [ফরযের] আগে অথবা পরে নামাজ আদায় করিতেই হত তবে আমি ফরয নামাজ পূর্ণ আদায় করতাম!
সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১০৭১], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ সংক্ষিপ্ত। এ অনুচ্ছেদে উমার, আলী, ইবনি আব্বাস, আনাস, ইমরান ইবনি হুসাইন ও আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ইবনি উমারের হাদীসটি হাসান গারীব। ইয়াহ্ইয়া ইবনি সুলাইমের সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এ হাদীসটি জেনেছি। মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈল [বুখারী] বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনি উমার সুরাকার সন্তানের সূত্রে, তিনি ইবনি উমার [রাদি.] -এর সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেনঃ আতিয়্যা আল-আওফী [রঃ] ইবনি উমার [রাদি.] -এর সূত্রে বর্ণনা করেনঃ “নাবী [সাঃআঃ] সফরে ফরয নামাযের পূর্বে এবং পরে নফল নামাজ আদায় করিতেন।” সহীহ্ সনদসূত্রে প্রমাণিত যে, নাবী [সাঃআঃ], আবু বাক্র ও উমার [রাদি.] সফরে নামাজ কসর করিতেন। উসমান [রাদি.] তাহাঁর খিলাফতের প্রথম দিকে সফরে কসর করিতেন। নাবী [সাঃআঃ]-এর বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তাবিঈ সফরে নামাজ কসর করিতেন। আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি সফরে সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করিতেন [কসর করিতেন না, বুখারী]। কিন্তু নাবী [সাঃআঃ] ও তাহাঁর বেশিরভাগ সাহাবী যেভাবে কসর করিয়াছেন তদানুযায়ী আমল করিতে হইবে। ঈমাম শাফি, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন। কিন্তু ঈমাম শাফি আরো বলেছেন, সফরে কসর করাটা ব্যক্তির ইচ্ছাধীন ব্যাপার। যদি কেউ পূর্ণ নামাজ আদায় করে তবে তার নামাজ হয়ে যাবে, নতুন করে তা আদায় করিতে হইবে না। কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৪৫. আবু নায্রাহ্ [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] -কে মুসাফিরের নামাজ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে হাজ্জ করেছি। তিনি চার রাকআতের পরিবর্তে দুই রাকআত আদায় করিয়াছেন। আবু বাক্র [রাদি.] -এর সাথেও হাজ্জ করেছি তিনিও দুই রাকআত আদায় করিয়াছেন। উমার [রাদি.] -এর সাথেও এবং তিনিও দুই রাকআত আদায় করিয়াছেন। আমি উসমান [রাদি.] -এর সাথেও হাজ্জ করেছি। তিনিও তাহাঁর খিলাফতের [প্রথম] ছয় অথবা আট বছর দুই রাকআতই আদায় করিয়াছেন।
-সহিহ। পূর্বের হাদীসের কারণে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৪৬. মুহাম্মাদ ইবনিল মুনকাদির ও ইবরাহীম ইবনি মাইসারা [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তাঁরা দুজনেই আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] -কে বলিতে শুনেছেনঃ আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে মাদীনায় যুহরের নামাজ চার রাকআত আদায় করেছি এবং যুল-হুলাইফায় আসরের নামাজ দুরাক্আত আদায় করেছি।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১০৮৫], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি সহিহ। কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৪৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] মক্কার উদ্দেশ্যে মাদীনা হইতে বের হলেন। এ সময় সারা বিশ্বের প্রতিপালক ছাড়া আর কারো ভয় তাহাঁর ছিল না। তিনি [চার রাক্আত ফরযের স্থলে] দুই রাকআত আদায় করিয়াছেন।
-সহিহ। ইরওয়া- [৩/৬]। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ । কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪০. অনুচ্ছেদঃ কত দিন পর্যন্ত কসর করা যাবে?
৫৪৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে মক্কার উদ্দেশ্যে মাদীনা হইতে রাওয়ানা হলাম। তিনি দুই রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইসহাক বলেন, আমি আনাস [রাদি.] -কে প্রশ্ন করলাম, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কত দিন মক্কায় ছিলেন? তিনি বলিলেন, দশ দিন।
-সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১০৭৭], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এ অনুচ্ছেদে ইবনি আব্বাস ও জাবির [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। “ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিত আছে যে, নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর কোন সফরে ঊনিশ দিন থাকলেন। তিনি বরাবর [চার রাকআত ফরযের স্থলে] দুই রাকআতই আদায় করিতে থাকলেন। ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, এজন্য আমরাও ঊনিশ দিন থাকলে দুই রাকআতই আদায় করে থাকি। যদি এরপর আরো বেশি দিন থাকতে হয় তবে আমরা পূর্ণ নামাজ আদায় করি।”
আলী [রাদি.] বলেন, যদি কোন ব্যক্তি সফরে দশ দিন থাকেন তবে সে পূর্ণ নামাজ আদায় করিবে। ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, যে ব্যক্তি পনের দিন থাকিবে সে পূর্ণ নামাজ আদায় করিবে। ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, যে ব্যক্তি পনের দিন থাকিবে সে পূর্ণ নামাজ আদায় করিবে। ইবনি উমার [রাদি.] -এর অপর মতে বার দিনের কথা উল্লেখ আছে। সাঈদ ইবনিল মুসায়্যাব [রঃ] বলেন, যে ব্যক্তি চার দিন থাকিবে সে চার রাকআত আদায় করিবে। কাতাদা ও আতা তাহাঁর এ মত বর্ণনা করিয়াছেন। দাঊদ ইবনি আবু হিন্দ তাহাঁর নিকট হইতে এর বিপরীত বর্ণনা করিয়াছেন।
এ ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে যথেষ্ট মতের অমিল রয়েছে। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ পনের দিনের সময়সীমা ঠিক করিয়াছেন। তাঁরা বলেছেন, যদি কমপক্ষে পনের দিন [সফর একই এলাকায়] থাকার নিয়াত করা হয় তবে পূর্ণ নামাজ আদায় করা। মালিক, শাফিঈ ও আহমাদ বলেন, যদি চার দিন একই জায়গায় থাকার নিয়াত করা হয় তবে পূর্ণ নামাজ আদায় করিতে হইবে। ইসহাক বলেন, শক্তিশালী মত হল ইবনি আব্বাসের হাদীসে বর্ণিত মত। তিনি এ হাদীসই অনুসরণ করিয়াছেন। তিনি বলেন, ইবনি আব্বাস [রাদি.] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট হইতে বর্ণিত তাহাঁর নিজের হাদীস অনুযায়ী আমল করিয়াছেন। এ হাদীসের মর্ম অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি সফরে কোথাও ঊনিশ দিন থাকার নিয়াত করে তবে সে পূর্ণ নামাজ আদায় করিবে।
বহুবিধ মত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বিদ্বানগণ একটি বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। তা হল, মুসাফির ব্যক্তি কোন স্থানে নির্দিষ্ট কতদিন থাকিবে তা যদি নির্ধারণ না করে থাকে বা তার নিয়াত না করে থাকে তবে সে কসরই আদায় করিতে থাকিবে, তা যত বছরই হোক না কেন। কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৪৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক সফরে গিয়ে ঊনিশ দিন থাকলেন। এ কয়দিন তিনি দুই রাকআত দুই রাকআত করে নামাজ আদায় করিলেন [চার রাকআত ফরযের পরিবর্তে] ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, আমরাও আমাদের [মাদীনার ও মক্কার] মধ্যেকার ঊনিশ দিনের পথে দুই রাকআত দুই রাকআত করে নামাজ আদায় করে থাকি। যখন এর চেয়ে বেশি দিন থাকি তখন চার রাকআতই আদায় করে থাকি।
-সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১০৭৫], বুখারী। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব হাসান সহিহ। কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪১. অনুচ্ছেদঃ সফরে নফল নামাজ আদায় করা
৫৫০. বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আঠার মাস রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সঙ্গী ছিলাম। আমি তাকে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর যুহরের [ফরজ নামাযের] পূর্বে দু রাকাআত [সুন্নাত] নামাজ ছেড়ে দিতে দেখিনি।
যঈফ, যঈফ আবু দাঊদ [১১২] এ অনুচ্ছেদে ইবনি উমার [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমি মুহাম্মাদকে [ঈমাম বুখারীকে] এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি এটা লাইস ইবনি সাদের সূত্রেই জেনেছি এবং তিনি আবু বুসরার নাম বলিতে পারেননি, তবে তাকে উত্তম ধারনা করিয়াছেন। ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সফরে নামাযের পূর্বে বা পরে সুন্নাত বা নফল নামাজ আদায় করিতেন না। অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনিরসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সফরে নফল নামাজ আদায় করিতেন। অতএব রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর পর আলিমদের মধ্যে মত পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। একদল সাহাবার মত হল, সফরে নফল নামাজ আদায় করিবে। ঈমাম আহমাদ ও ইসহাক এই মতের পক্ষে। অপর একদল বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সফরে ফরয নামাযের আগে বা পরে কোন নফল নামাজ নেই। যে লোক নফল নামাজ আদায় করিল না সে সম্মতি ও ফুরসতের সুযোগ গ্রহন করিল। আর যদি কেউ নফল আদায় করে তবে সে ফাযীলাত লাভ করিল। বেশিরভাগ বিদ্বানের মতে সফরে নফল এবং সুন্নাত নামাজ আদায় করাই ভাল। এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৫১. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাথে সফরে যুহরের নামাজ দুই রাকাআত আদায় করেছি। এরপর আরো দুই রাকাআত আদায় করেছি।
সনদ দুর্বল। তার বর্ণিত পূর্ববর্তী ৫৩৬ নং হাদীসের বিরোধী হওয়ার ফলে মতন ও মুনকার। আবু ঈসা বলেনঃ এটি হাসান হাদীস। ইবনি আবী লাইলা আতিয়্যাহ এবং নাফি এর সূত্রে ইবনি উমার হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৫২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নিজ এলাকায় থাকার সময় এবং সফরে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাথে নামাজ আদায় করেছি। বাড়িতে থাকার সময় তাহাঁর সাথে যুহরের [ফরয]নামাজ চার রাকাআত আদায় করেছি। অতঃপর দুই রাকাআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করেছি। সফরে তাহাঁর সাথে যুহরের [ফরয] নামাজ দুই রাকাআত আদায় করেছি। অতঃপর দুই রাকাআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করেছি। আসরের [ফরয] নামাজ দুই রাকাআত আদায় করেছি। তারপর তিনি আর কোন নামাজ আদায় করেননি। মাগরিবের [ফরয] নামাজ সফরে ও বাসস্থানে সমানভাবে তিন রাকাআত আদায় করেছি। এটা সফরে ও বাসস্থানে কম হয় না। আর এটাই হল দিনের বিতরের [বেজোড়] নামাজ। তারপর দুই রাকাআত [সুন্নাত] আদায় করেছি।
সনদ দুর্বল, মতন মুনকার। দেখুন পূর্বের হাদীস। আবু ঈসা বলেনঃ এটি হাসান হাদীস। আমি মুহাম্মাদকে বলিতে শুনিয়াছি, ইবনি আবী লাইলার বর্ণনাগুলোর মধ্যে এই বর্ণনাটিই আমার নিকট বেশী সুন্দর। তবে আমি তার কোন হাদীস বর্ণনা করিনা। এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৪২. অনুচ্ছেদঃ দুই ওয়াক্তের নামাজ একত্রে আদায় করা
৫৫৩. মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাবুকের যুদ্ধে ব্যস্ত থাকাকালে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগে নিজের তাঁবু ত্যাগ করলে যুহরের নামাজ দেরি করে আসরের সাথে একত্রে আদায় করিতেন। তিনি সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তাঁবু ত্যাগ করলে আসরের নামাজ এগিয়ে এনে যুহরের সাথে একত্রে আদায় করিতেন। তিনি মাগরিবের আগে তাঁবু ত্যাগ করলে মাগরিব দেরি করে ইশার সাথে একত্রে আদায় করিতেন। তিনি মাগরিবের পর তাঁবু ত্যাগ করলে ইশাকে এগিয়ে এনে মাগরিবের সাথে একত্রে আদায় করিতেন।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১১০৬], ইরওয়া [৫৭৮] এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ অনুচ্ছেদে আলী, ইবনি উমার, আনাস, আবদুল্লাহ ইবনি আমর, আয়িশাহ্, ইবনি আব্বাস, উসামা ইবনি যাইদ ও জাবির [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৪. আব্দুস সামাদ ইবনি সুলাইমান হইতে বর্ণীতঃ
আব্দুস সামাদ ইবনি সুলাইমান স্বীয় সানাদের কুতাইবার অর্থাৎ মুআযের হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। লাইসের সূত্রে কুতাইবা ছাড়া আর কেউ এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন বলে আমাদের জানা নেই। লাইস-ইয়াযীদ-আবুত তুফাইল-মুআয [রাদি.] -এর সূত্রে বর্ণনাটি গারীব। বিদ্বানদের নিকট আবুয-যুবাইর-আবুত তুফাইল-মুআয [রাদি.] -এর সনদে বর্ণিত হাদীসটি প্রসিদ্ধ যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাবুক যুদ্ধে যুহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করিয়াছেন।” ঈমাম শাফি, আহমাদ এবং ইসহাক এই মতের সমর্থক। তাঁরা বলেছেন, সফরে দুই ওয়াক্তের নামাজ একত্রে আদায় করিতে কোন অপরাধ নেই।
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৫৫. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তাহাঁর নিকট তাহাঁর কোন এক স্ত্রীর মুমূর্ষু অবস্থার খবর এলে তিনি তাড়াতাড়ি রওনা হলেন এবং পথ চলতে চলতে [পশ্চিম আকাশের লালিমা] অদৃশ্য হয়ে গেল। তারপর তিনি [বাহন হইতে] নেমে মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করিলেন। তারপর তিনি সফরসঙ্গীদের বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যখন তাড়াহুড়া করে যাওয়ার দরকার হত তখন তিনি এমনটিই করিতেন।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১০৯০], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ মারফূরূপে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। কসরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply