হজের তালবিয়া কিরূপ – কারো পক্ষ হইতে হাজ্জ করা

হজের তালবিয়া কিরূপ – কারো পক্ষ হইতে হাজ্জ করা

হজের তালবিয়া কিরূপ – কারো পক্ষ হইতে হাজ্জ করা >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ১১, অনুচ্ছেদঃ ২৭-৩০=৩০টি

অনুচ্ছেদ–২৭ঃ কারো পক্ষ হইতে হাজ্জ করা
অনুচ্ছেদ-২৮ঃ তালবিয়া কিরূপ?
অনুচ্ছেদ-২৯ঃ তালবিয়া পাঠ কখন বন্ধ করিবে?
অনুচ্ছেদ–৩০ঃ উমরাহ্‌কারী কখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করিবে?

অনুচ্ছেদ–২৭ঃ কারো পক্ষ হইতে হাজ্জ করা

১৮০৯. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ফাদল ইবনি আব্বাস [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর পিছনে তাহাঁর সওয়ারীতে বসা ছিলেন। এমতবস্থায় খাস্‌আম গোত্রীয় এক মহিলা এসে তাহাঁর কাছে বিধান জানতে চাইলেন। ফাদল মহিলাটির দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাচ্ছিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফাদলের মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে থাকলেন। মহিলা বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মহান শক্তিশালী আল্লাহ তাহাঁর বান্দাদের উপর হাজ্জ ফরয করেছেন। কিন্তু আমার পিতা খুব বৃদ্ধ, তিনি সওয়ারীর উপর স্থির থাকতে পারেন না। কাজেই আমি কি তার পক্ষ হইতে হাজ্জ করবো? তিনি বলিলেনঃ হাঁ। এটা বিদায় হাজ্জের সময়ের ঘটনা। {১৮০৯}

হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮১০. আবু রাযীন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমির গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা অতি বৃদ্ধ, হাজ্জ এবং উমরাহ আদায় করিতে তিনি অক্ষম এবং সওয়ারীতে সফর করিতেও অসমর্থ। তিনি বলিলেনঃ তোমার পিতার পক্ষ হইতে তুমি হাজ্জ ও উমরাহ আদায় করো। {১৮১০}

হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮১১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে বলিতে শুনলেন ঃ লাব্বাইকা আন শুবরুমা। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন ঃ শুবরুমা কে? লোকটি বললো, আমার ভাই কিংবা আমার বন্ধু। তিনি বলিলেনঃ তুমি কি নিজের হাজ্জ করেছো? সে বলিল, না। তিনি বলিলেনঃ প্রথমে তোমার নিজের হাজ্জ আদায় করে নাও, তারপর শুবরুমার পক্ষ হইতে হাজ্জ করো। {১৮১১}

হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৮ঃ তালবিয়া কিরূপ?

১৮১২. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর তালবিয়া ছিলো ঃ

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ

“লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নিমাতা লাকা ওয়াল-মুলকা লা শারীকা লাকা।”

নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] তার তালবিয়ার মধ্যে বর্ধিত করিতেন ঃ

لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ

লাব্বাইকা লাব্বাইকা লাব্বাইকা

হে রব! আমি উপস্থিত [তিনবার] এবং সৌভাগ্য ও করুণা আপনার হাতেই এবং আকর্ষণ আপনাতেই। আমাদের কাজের প্রতিদানও আপনার অনুগ্রহের উপর নির্ভরশীল। {১৮১২}

হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮১৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইহরাম বাঁধলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী ইবনি উমার বর্ণিত হাদিসের তালবিয়ার উল্লেখ করেন। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা তালবিয়াতে যাল-মাআরিজ ইত্যাদি বাক্য বলতো। নাবী [সাঃআঃ] তা শুনতেন, অথচ তিনি তাহাদেরকে কিছুই বলিতেন না। {১৮১৩}

সহিহ। সামনে এর দীর্ঘ হাদিস আসছে [১৯০৫]। হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮১৪. খাল্লাদ ইবনিস সায়িব আল-আনসারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতার হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আমার কাছে জিবরাঈল [আঃ] এসে নির্দেশ দিলেন, আমি যেন আমার সাহাবী এবং যারা আমার সাথে রয়েছে তাহাদেরকে আদেশ করি, তারা যেন তাহাদের ইহলাল বা তালবিয়া যে কোনো একটি উঁচু আওয়াযে পাঠ করে। {১৮১৪}

হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৯ঃ তালবিয়া পাঠ কখন বন্ধ করিবে?

১৮১৫. আল-ফাদল ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার পূর্ব পর্যন্ত তালবিয়া পড়েছেন। {১৮১৫}

হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮১৬, আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সকালে মিনা থেকে আরাফাহর দিকে রওয়ানা হই। তখন আমাদের মধ্যে কেউ তালবিয়া পাঠ করেছেন এবং কেউ তাকবীর পাঠ করেছেন।

হজের তালবিয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ–৩০ঃ উমরাহ্‌কারী কখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করিবে?

১৮১৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ উমরাহ আদায়কারী হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা পর্যন্ত তালবিয়া পড়তে থাকিবে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল মালিক ইবনি সুলাইমান এবং হাম্মাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে ইবনি আব্বাস [রাদি.] সূত্রে এটি মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। {১৮১৭}


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply