জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস । নারীদের মসজিদে যাতায়াতে কঠোরতা

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস । নারীদের মসজিদে যাতায়াতে কঠোরতা

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস । নারীদের মসজিদে যাতায়াতে কঠোরতা >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ২, অনুচ্ছেদঃ ৪৭-৫৮ =১২টি

অনুচ্ছেদ-৪৭ জামাআত পরিত্যাগের ব্যাপারে সাবধান বাণী
অনুচ্ছেদ-৪৮ জামাআতে নামায আদায়ের ফাযীলাত
অনুচ্ছেদ-৪৯ নামায আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যাওয়ার ফাযীলাত
অনুচ্ছেদ-৫০ অন্ধকারে নামায আদায় করতে যাওয়ার ফাযীলাত
অনুচ্ছেদ-৫১ উযু করে মসজিদে যাওয়ার নিয়ম
অনুচ্ছেদ-৫২ কেউ জামাআতে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হয়েও জামাআত না পেলে
অনুচ্ছেদ-৫৩ নারীদের মসজিদে যাতায়াত সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৫৪ নারীদের মসজিদে যাতায়াতে কঠোরতা
অনুচ্ছেদ-৫৫ নামাজের জন্য দৌড়ানো
অনুচ্ছেদ-৫৬ একই মসজিদে দুবার জামাআত অনুষ্ঠান
অনুচ্ছেদ-৫৭ ঘরে নামায আদায়ের পর পুনরায় জামাআতে আদায় করা
অনুচ্ছেদ-৫৮ কোন ব্যক্তি জামাআতে নামায আদায়ের পর অন্যত্র আবার জামাআত পেলে শরীক হইবে কি?

অনুচ্ছেদ-৪৭ জামাআত পরিত্যাগের ব্যাপারে সাবধান বাণী

৫৪৭. আবু দারদা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে বলিতে শুনেছিঃ কোন জনপদে বা বনজঙ্গলে তিনজন লোক একত্রে বসবাস করা সত্ত্বেও তারা জামাআতে নামায আদায়ের ব্যবস্থা না করলে তাহাঁদের উপর শাইত্বান আধিপত্য বিস্তার করে। অতএব তোমরা জামাআতকে আঁকড়ে ধর। কারণ নেকড়ে (বাঘ) দলচ্যুত বকরীটিকেই খেয়ে থাকে। যায়িদাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, সায়িব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, এখানে জামাআত বলিতে নামাজের জামাআতকেই বোঝানো হয়েছে।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫৪৮. আবু হুরাইরাহ্‌ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, (লোকদেরকে জামাআতে) নামায আদায়ের নির্দেশ দেই এবং কাউকে লোকদের নামায আদায় করাবার হুকুম করি, অতঃপর লাকড়ি বহনকারী কিছু লোককে সাথে নিয়ে আমি বেরিয়ে পড়ি সেগুলো দ্বারা ঐসব লোকের ঘর-বাড়ি আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য যারা জামাআতে (নামায আদায় করতে) উপস্থিত হয়নি।

সহীহঃ বোখারি। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৪৯. আবু হুরাইরাহ্‌ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, আমি আমার যুবকদের লাকড়ির বোঝা জমা করার নির্দেশ দেই, অতঃপর যারা কোন কারণ ছাড়াই নিজ নিজ ঘরে নামায আদায় করে, সেগুলো দিয়ে তাহাঁদের ঘর জ্বালিয়ে দেই। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইয়াযীদ ইবনিল আসাম্মকে বললাম, হে আবুআওফ! রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) জামাআত বলিতে কি জুমুআর কথা বুঝিয়েছেন? তিনি বলেন, আমার দুকান বধির হোক, যদি আমি আবু হুরায়রা্‌ (রাঃআঃ) থেকে না শুনে থাকি। তিনি স্বয়ং রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি (নির্দিষ্টভাবে) জুমুআহ্‌ বা অন্য কিছুর উল্লেখ করেননি।

সহীহঃ (আরবী) কথাটি বাদে। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৫০. আবদুল্লা ইবনি মাসঊদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমরা সঠিকভাবে আযানের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি সবিশেষ নযর রাখবে। কেননা এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযই হচ্ছে হিদায়াতের পথ। মহান আল্লাহ তাহাঁর নাবী (সাঃআঃ) -এর জন্য হিদায়াতের এ পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমাদের (সাধারণ) ধারণা, স্পষ্ট মুনাফিক্ব ব্যতীত কেউ জামাআত থেকে অনুপস্থিত থাকতে পারে না। আমরা তো আমাদের মধ্যে এমন লোকও দেখেছি, যারা (দুর্বলতা ও অসুস্থতার কারণে) দুজনের উপর ভর করে (মসজিদে) যেত এবং তাকে (নামাজের) কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত। তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার ঘরে তার মসজিদ (নামাজের স্থান) নেই। তোমরা যদি মসজিদে আসা বাদ দিয়ে ঘরেই (ফরয) নামায আদায় কর তাহলে তোমরা তোমাদের নাবী (সাঃআঃ) এর সুন্নাতকেই বর্জন করলে। আর তোমরা তোমাদের নাবীর সুন্নাত ত্যাগ করলে অবশ্যই কুফরীতে জড়িয়ে পড়বে।

সহীহঃ মুসলিমে ___তোমরা অবশ্যই পথভ্রষ্ট হইবে শব্দে। আর এটাই মাহফূয। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৫১.ইবনি আব্বাস  (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়ায্‌যিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামাআতে নামায আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) নামায ক্ববুল হইবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করিলেন, ওজর কী? নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।

সহীহঃ ওজর সম্পর্কিত বাক্যটি বাদে। এছাড়া __ শব্দে মিশকাত। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৫২. ইবনি উম্মে মাকতূম (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী (সাঃআঃ) কে জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো অন্ধ, আমার ঘরও দূরে অবস্থিত। আমার একজন পথচালকও আছে, কিন্তু সে আমার অনুগত নয়। এমতাবস্থায় আমার জন্য ঘরে নামায আদায়ের অনুমতি আছে কি? রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? ইবনি উম্মে মাকতূম বলিলেন, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, তাহলে তোমার জন্য অনুমতির কোন সুযোগ দেখছি না।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৫৫৩. ইবনি উম্মে মাকতূম (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাদীনাহ্‌তে অনেক কীট-পতঙ্গ ও হিংস্র জন্তু রহিয়াছে (যদ্‌দ্বারা আক্রান্ত হবার আশংকা আছে, এরূপ অবস্থায়ও কি মসজিদে জামাআতে হাযির হইতে হইবে?)। নাবী (সাঃআঃ) বলেন, তুমি কি হাইয়্যাআলাস্‌-সলাহ্‌, হাইয়্যাআলাল-ফালাহ শুনতে পাও? (শুনতে পেলে) অবশ্যই জামাআতে আসবে।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪৮ জামাআতে নামায আদায়ের ফাযীলাত

৫৫৪. উবাই ইবনি কাব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাদের সাথে ফাজ্‌রের নামায আদায় করার পর বললেনঃ অমুক হাযির আছেন কি? সাহাবীগণ বললেনঃ না। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, এ দুওয়াক্ত (ফাজ্‌র ওইশা) নামাযই মুনাফিক্বদের জন্য বেশি ভারী হয়ে থাকে। তোমরা যদি এ দুওয়াক্ত নামাজে কী পরিমাণ সাওয়াব রহিয়াছে তা জানতে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তোমরা অবশ্যই এতে শামিল হইতে। জামাআতের প্রথম কাতার মালায়িকাহ্‌র (ফেরেশতাহাঁদের) কাতারের সমতুল্য। তোমরা যদি এর ফাযীলাত সম্পর্কে জানতে, তাহলে অবশ্যই তোমরা এজন্য প্রতিযোগিতা করতে। নিশ্চয় দুজনের জামাআত একাকী নামায আদায়ের চেয়ে উত্তম। তিনজনের জামাআত দুজনের জামাআতের চেয়ে উত্তম। জামাআতে লোক সংখ্যা যত বেশী হইবে মহান আল্লাহর নিকট তা ততই বেশি পছন্দনীয়।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫৫৫.উসমান ইবনিআফফান (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তিইশার নামায জামাআতে আদায় করিল, সে যেন অর্ধরাতইবাদাতে কাটালো। আর যে ব্যাক্তিইশা ও ফাজ্‌রের নামায জামাআতে আদায় করিল, সে যেন সারা রাতইইবাদাতে কাটালো।

সহীহঃ মুসলিম জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪৯ নামায আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যাওয়ার ফাযীলাত

৫৫৬. আবু হুরাইরাহ্‌ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মসজিদ থেকে যার (বাসস্থান) যত বেশী দূরে, সে তত বেশী সাওয়াবের অধিকারী।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৫৭. উবাই ইবনি কাব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার জানামতে মাদীনাহর নামায আদায়কারীদের মধ্যে এক ব্যক্তির বাসস্থান মসজিদ থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত ছিল। এ সত্ত্বেও তিনি সর্বদা পায়ে হেঁটে জামাআতে উপস্থিত হইতেন। আমি তাকে বললাম, আপনি একটি গাধা খরিদ করে নিলে গরম ও অন্ধকারে তাতে সওয়ার হয়ে আসতে পারতেন। তিনি বলিলেন, আমার ঘর মসজিদের নিকটবর্তী হোক, তা আমি অপছন্দ করি। একথা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) পর্যন্ত পৌছলে তিনি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি মসজিদে আসা ও মসজিদ থেকে ঘরে ফেরার বিনিময়ে সাওয়াব লাভের প্রত্যাশা করি (তাই এরূপ বলেছি)। তিনি বললেনঃ তুমি যা পাওয়ার আশা করেছ, আল্লাহ তোমাকে তাই দিয়েছেন। তুমি যে সাওয়াবের প্রত্যাশা করেছ তা পূর্ণরূপেই তোমার জন্য মঞ্জুর করিয়াছেন।

সহীহঃ মুসলিম জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৫৮. আবু উমামাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফারয নামাজের জন্য উযু করে নিজ ঘর থেকে বের হইবে, সে একজন ইহরামধারী হাজ্জীর সমান সাওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি চাশতের নামায আদায় করার জন্য বের হইবে, সে একজনউমরাহকারীর সমান সাওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামায আদায়ের পর থেকে আরেক ওয়াক্ত নামায আদায়ের মধ্যবর্তী সময়ে কোন বাজে কথা বা কাজ করিবে না, তাকে ইল্লিয়্যুন-এ লিপিবদ্ধ করা হইবে( অর্থাৎ তাহাঁর মর্যাদা সুউচ্চ হইবে)।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫৫৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি ঘরে ও বাজারে (একাকী) নামায আদায় অপেক্ষা জামাআতে নামায আদায় করলে পঁচিশ গুণ বেশি সাওয়াব পাবে। কেননা তোমাদের কেউ যখন উত্তমরূপে উযু করে শুধুমাত্র নামাজের উদ্দেশ্যেই মসজিদে যায়, এবং একমাত্র নামাযই তাকে (ঘর থেকে) বের করে, তাহলে মসজিদে পৌছা পর্যন্ত তাহাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং একটি করে গুনাহ ক্ষমা হয়। মসজিদে প্রবেশের করার পর সেখানে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজের জন্য অবস্থান করিবে ততক্ষণ তাকে সালতের মধ্যে গণ্য করা হইবে। সে যতক্ষণ পর্যন্ত তাহাঁর নামায আদায়ের স্থানে অবস্থান করে মালায়িকাহ তার জন্য এই বলে দুআ করতে থাকেঃ “হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। হে আল্লাহ! তার তওবাহ কবুল করুন।” যতক্ষণ পর্যন্ত সে কাউকে কষ্ট না দেয় অথবা তার উযু না ভাঙ্গে ততক্ষণ পর্যন্ত মালায়িকাহ(ফেরেশতাগণ) তার জন্য এরূপ দুআ করতে থাকে।

সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৬০. আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ জামাআতের সাথে এক ওয়াক্ত নামায (একাকী) পঁচিশ ওয়াক্ত নামায আদায়ের সমান। কেউ কোন খোলা মাঠে (জামাআতের সাথে) পূর্ণরূপে রুকু-সাজদাহ সহকারে নামায আদায় করলে সে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের সাওয়াব পাবে।

ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আবদুল ওয়াহিদ ইবনি যিয়াদ এ হাদিস বর্ণনা করেছেনঃ কোন ব্যক্তির মাঠে বা জঙ্গল (জামাআতে) নামায আদায় করা (অন্যত্র) জামাআতে নামাজের উপর কয়েকগুন বেশী সাওয়াব হইবে, অতঃপর পুরো হাদিস বর্ণনা করেন।

সহীহঃ বোখারিতে এর প্রথমাংশ। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫০ অন্ধকারে নামায আদায় করতে যাওয়ার ফাযীলাত

৫৬১. বুরায়দাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যারা অন্ধকার রাতে মসজিদে যাতায়াত করে তাহাঁদেরকে কিয়ামাতের দিন পূর্ণজ্যোতির সুসংবাদ দাও।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫১ উযু করে মসজিদে যাওয়ার নিয়ম

৫৬২. আবু সুমামাহ আল-হান্নাত হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তিনি মসজিদে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কাব ইবনি উজারাহর (রাঃআঃ) সাথে সাক্ষাত হয়। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমাকে আমার দু হাতের আঙ্গুলসমূহ পরস্পরের মধ্যে ঢুকিয়ে মটকাতে দেখিতে পেয়ে আমাকে এরূপ করতে নিষেধ করিলেন। তিনি আরো বলিলেন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ উত্তমরূপে উযু করে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলে সে যেন তার দু হাতের আঙ্গুল না মটকায়। কেননা সে তখন নামাজের মধ্যেই থাকে (অর্থাৎ ঐ অবস্থায় তাকে নামায আদায়কারী হিসেবেই গণ্য করা হয়)।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৬৩. সাঈদ ইবনিল মুসাইয়্যাব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক আনসারী সহাবীর মৃত্যু আসন্ন হলে তিনি বলেন, আমি তোমাদের নিকট কেবল সাওয়াব লাভের প্রত্যাশায় একটি হাদিস বর্ণনা করব। আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে বলিতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যখন উত্তমরূপে উযু করে নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন সে তার ডান পা উঠাতেই মহান আল্লাহ তাহাঁর জন্য একটি সাওয়াব লিখে দেন। এরপর বাম পা ফেলার সাথে সাথেই মহা সম্মানিত আল্লাহ তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। এখন তোমাদের ইচ্ছা হলে মসজিদের নিকট থাকিবে অথবা দূরে। অতপর সে যখন মসজিদে গিয়ে জামাআতের নামায আদায় করে তখন ক্ষমা করে দেয়া হয়। যদি জামাআত শুরু হয়ে যাওয়ার পর মসজিদে উপস্থিত হয় এবং অবশিষ্ট নামাজে শামিল হয়ে নামাজের ছুটে যাওয়া অংশ পূর্ণ করে, তাহলেও তাকে অনুরূপ (জামাআতে পূর্ণ নামায আদায়কারীর সমান সাওয়াব) দেয়া হয়। আর যদি সে (মসজিদে এসে) জামাআত সমাপ্ত দেখে একাকী নামায আদায় করে নেয়, তবুও তাকে ঐরূপ (ক্ষমা করে) দেয়া হয়।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫২ কেউ জামাআতে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হয়েও জামাআত না পেলে

৫৬৪. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে মসজিদে গিয়ে দেখিতে পেল লোকেরা নামায আদায় করে ফেলেছে। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ তাকেও জামাআতে শামিল হয়ে নামায আদায়কারীদের সমান সাওয়াব দান করবেন। অথচ তাহাঁদের সাওয়াব থেকে কিছুই কমানো হইবে না।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫৩ নারীদের মসজিদে যাতায়াত সম্পর্কে

৫৬৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর বাঁদীদেরকে আল্লাহর ঘরে (মসজিদে) যেতে নিষেধ করো না। তবে তারা বের হওয়ার সময় যেন সুগন্ধি ব্যবহার না করে।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৫৬৬. ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর বাঁদীদের আল্লাহর মসজিদে যেতে বাধা দিও না। {৫৬৫}

{৫৬৫} বুখারি (অধ্যায়ঃ জুমুআ, অনুচ্ছেদঃ মহিলাদেরকে রাতে (নামাজের জন্য) মসজিদে যেতে অনুমতি দিবে, হা/৯০০), মুসলিম (অধ্যায়ঃ নামায, অনুঃ নারীদের মসজিদে যাওয়া) নাফি সূত্রে। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৫৬৭. ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের নারীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাহাঁদের ঘরই তাহাঁদের জন্য উত্তম।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৬৮ আবদুল্লা ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা মহিলাদেরকে রাতের বেলা মসজিদে যেতে অনুমতি দাও। তখন তাহাঁর এক ছেলে (বিলাল) বলিল, আল্লাহর শপদ! আমি তাহাঁদেরকে (রাতের বেলা মসজিদে যেতে) অনুমতি দিব না। এটাকে তারা বাহানা হিসেবে গ্রহণ করিবে। আল্লাহর শপদ! আমি কখনো তাহাঁদেরকে অনুমতি দিব না। বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনেআবদুল্লা ইবনি উমার (রাঃআঃ) তাকে গালমন্দ করেন এবং ক্রোধান্বিত হয়ে বলেন, আমি তোমাকে বলছি, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমরা মহিলাদের অনুমতি দাও, আর তুমি কিনা বলছ, আমি তাহাঁদের অনুমতি দেব না।

সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫৪ নারীদের মসজিদে যাতায়াতে কঠোরতা

৫৬৯. রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সহধর্মিনীআয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) যদি আজকের মহিলাদের এরূপ অবস্থা দেখিতেন (যেমন সুগন্ধি লাগানো, বেপর্দা চলা), তাহলে অবশ্যই তিনি তাহাঁদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করে দিতেন। যেরূপ নিষেধ করে দেয়া হয়েছিল বনী ইসরাইলের মহিলাদের। বর্ণনাকারী ইয়াহইয়াহ বলেন, আমি আমরাহকে বললাম, বনী ইসরাইলের মহিলাদের কি নিষেধ করা হয়েছিল? তিনি বলিলেন হ্যাঁ।

সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম nজামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৭০. আবদুল্লা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ নারীদের জন্য ঘরের আঙ্গিনায় নামায আদায়ের চেয়ে তার গৃহে নামায আদায় করা উত্তম। আর নারীদের জন্য গৃহের অন্য কোন স্থানে নামায আদায়ের চেয়ে তার গোপন কামরায় নামায আদায় করা অধিক উত্তম।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৭১. ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ আমরা যদি এ দরজাটি কেবল মহিলাদের জন্য ছেড়ে দেই, তবে ভালই হয়। নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, অতঃপর ইবনি উমার (রাঃআঃ) মৃত্যু পর্যন্ত ঐ দরজা দিয়ে আর কখনো মসজিদে প্রবেশ করেননি।

সহীহঃ এটি পুনরাবৃত্তি হয়েছে ৪৬২ নং এ। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, হাদিসটি ইসমাইল ইবনি ইবরাহীম আইয়ূব হইতে, তিনি নাফি হইতে উমার (রাঃআঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। এটাই অধিক সহিহ। জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫৫ নামাজের জন্য দৌড়ানো

৫৭২. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে বলিতে শুনেছিঃ নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলে তোমরা নামাজের জন্য দৌড়ে আসবে না, বরং স্বাভাবিক গতিতে শান্তভাবে হেঁটে আসবে এবং (ইমামের সাথে) যতটুকু নামায পাবে আদায় করে নেবে। আর যেটুকু ছুটে গেছে তা পূর্ণ করে নিবে।

হাসান সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম।

ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, যুবাইদী ইবনি আবু যিব, ইবরাহীম ইবনি সাদ, মামার, ও শুআয়ব ইবনি হামযাহ প্রমুখ যুহরী সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ “নামাজের যেতুকু ছুটে যাবে তোমরা তা পূর্ণ করে নেবে”।

যুহরী সূত্রে কেবল ইবনি উয়ায়নাহ বর্ণনা করিয়াছেন যে, “তোমরা আদায় করে নেবে”।

শায

হাদিসটি আবু হুরাইরা, ইবনি মাসউদ ক্বাতাদাহ, আনাস (রাঃআঃয়াল্লাহ আনহুম) প্রমুখ সহাবায়ি কিরামগন হইতেও নাবী (সাঃআঃ) -এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বলেছেনঃ “তোমরা তা পূর্ণ করে নেবে।”

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৫৭৩. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা নামাজের জন্য স্বাভাবিক গতিতে শান্তভাবে আসবে। অতঃপর (ইমামের সাথে) যেটুকু পাবে আদায় করিবে, যেটুকু ছুটে গেছে তা পূর্ণ করে নিবে। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আবু হুরাইরা (রাঃআঃ) সূত্রে ইবনি সীরীন কিছুটা শাব্দিক পার্থক্য সহকারে এরূপই বর্ণনা করিয়াছেন।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫৬ একই মসজিদে দুবার জামাআত অনুষ্ঠান

৫৭৪. আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এক ব্যক্তিকে একাকী নামায আদায় করতে দেখে বললেনঃ এ লোকটিকে সদাক্বাহ করার মত কি এমন কেউ নেই যে তার সাথে নামায আদায় করিবে।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫৭ ঘরে নামায আদায়ের পর পুনরায় জামাআতে আদায় করা

৫৭৫. জাবির ইবনি ইয়াযীদ ইবনি আসওয়াদ তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণিতঃ

তিনি যুবক বয়সে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সাথে নামায আদায় করেন। নামায শেষে দেখা গেল, দুজন লোক নামায আদায় না করে মসজিদের কোণে বসে আছে। নাবী (সাঃআঃ) তাহাঁদেরকে ডাকলেন। তারা এরূপ অবস্থায় আসল যে, ভয়ে তাহাঁদের পাঁজরের গোশত কাঁপছিল। তিনি বললেনঃ আমাদের সাথে নামায আদায় করতে কোন জিনিস তোমাদের বাধা দিল? তারা বলিল, আমরা তো ঘরে নামায আদায় করেছি। তিনি বললেনঃ তোমরা এরূপ করিবে না। তোমাদের কেউ ঘরে নামায আদায়ের পর ঈমামকে নামায আদায়রত পেলে সে যেন তার সাথে নামায আদায় করে যা তাহাঁর জন্য নাফল হিসেবে গণ্য হইবে।

হাদিস থেকে শিক্ষাঃ

১। কেউ ঘরে নামায আদায়ের পর মসজিদে এসে জামাআতে নামায আদায় হইতে দেখলে তার উচিত, জামাআতে শামিল হয়ে তাহাঁদের সাথে নামায আদায় করা। চাই তা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের যে কোন ওয়াক্তের নামাযই হোক না কেন, সেটা তার জন্য নাফল হিসেবে গণ্য হইবে।

২। একাকী নামায আদায় জায়িয আছে, জামাআতে নামায আদায়ের সামর্থ থাকা সত্ত্বেও। যদিও জামাআত ত্যাগ করা মাকরূহ বা অপছন্দনীয়। (উল্লেখ্য জামাআতের সাথে নামায আদায় করাই অতি উত্তম, গুরুত্ববহ এবং বেশী ফাযীলাতপূর্ণ)।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৭৬. জাবির ইবনি ইয়াযীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার পিতা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) এর সাথে মিনাতে ফাজরের নামায আদায় করলাম ……… পূর্বোক্ত হাদিসের সমার্থক।

জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৭৭. ইয়াযীদ ইবনিআমির (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর নিকট এসে তাঁকে নামাযরত পেয়ে তাঁদের সাথে নামায আদায়ে শামিল না হয়ে বসে পড়লাম। নামায শেষে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার দিকে ফিরে ইয়াযীদকে বসে থাকতে দেখে বললেনঃ তুমি কি ইসলাম গ্রহণ করনি, হে ইয়াযীদ? ইয়াযীদ (রাঃআঃ) বলেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ তাহলে কেন তুমি লোকদের সাথে জামাআতে শামিল হওনি? ইয়াযীদ (রাঃআঃ) বলেন, আমি ভেবেছিলাম আপনারা নামায আদায় করে ফেলেছেন, তাই আমি বাড়িতে নামায আদায় করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ তুমি মাসজিদে এসে লোকদের নামাযরত পেলে তাহাঁদের সাথে নামাজে শরীক হইবে, যদিও তুমি তা আগে আদায় করে থাক। সেটা (জামাআতের সাথে আদায়কৃত নামায) তোমার জন্য নফল হিসেবে এবং এটা (ঘরে আদায়কৃত নামায) ফরয হিসেবে গণ্য হইবে। {৫৭৬}

দুর্বলঃ মিশকাত ১১৫৫। {৫৭৬} বায়হাক্বী (২/৩০২), দারাকুতনী (১/২৭৬) মাআন ইবনি ঈসা সূত্রে। ঈমাম বায়হাক্বী বলেন, ইয়াযীদ আল-আসওয়াদের হাদিস এর চেয়ে বেশী প্রমাণযোগ্য ও অগ্রগণ্য। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, এ বর্ণনাটি দুর্বল, শায। উল্লেখ্য মিশকাতের তাহক্বীক্বে রয়েছেঃ এর সানাদ সহিহ এবং একদল একে সহিহ বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫৭৮. বানু আসাদ ইবনি খুযাইমার জনৈক ব্যক্তি হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আবু আইউব আল-আনসারী (রাঃআঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমাদের কেউ বাড়িতে নামায আদায়ের পর মাসজিদে এসে সেখানে নামাজের জামাআত হইতে দেখলে আমি তাহাঁদের সাথে নামায আদায় করব কিনা এ ব্যাপারে আমার মনে একটা খটকা অনুভব করি। আবু আইউব (রাঃআঃ) বলেন, এ ব্যাপারে আমরা নাবী (সাঃআঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেনঃ (জামাআতে শরীক হলে) তার জন্যও এর সাওয়াবের অংশ রহিয়াছে। {৫৭৭}

দুর্বলঃ মিশকাত ১১৫৪। {৫৭৭} মালিক (১/১১) মাওকুফভাবে, বায়হাক্বীসুনানুল কুবরা (২/৩০০)। এর সানাদে দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি আছে। একজন বানূ আসাদের জনৈক ব্যক্তি। আর আরেকজনআফীফ ইবনি আমর ইবনিল মুসায়্যিব সাহমী। হাফিয বলেন, মাক্ববুল। যা জাহালাতের একটি স্তর বিশেষ। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫৮ কোন ব্যক্তি জামাআতে নামায আদায়ের পর অন্যত্র আবার জামাআত পেলে শরীক হইবে কি?

৫৭৯. সুলায়মান ইবনি ইয়াসার অর্থাৎ মায়মূনাহ্‌ (রাঃআঃ)-এর মুক্ত দাস হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বালাত নামক স্থানে ইবনি উমার (রাঃআঃ)-এর সাথে দেখা করতে এসে লোকদেরকে নামায আদায়রত পাই। আমি বললাম, আপনি তাহাঁদের সাথে নামায আদায় করছেন না কেন? তিনি বলিলেন, আমি ইতোপূর্বে নামায আদায় করেছি। আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ তোমরা একদিনে কোন নামায দুবার আদায় করো না।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply