সকাল সন্ধ্যার দোয়া ও দু হাত তোলা
সকাল সন্ধ্যার দোয়া ও দু হাত তোলা >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
সকাল সন্ধ্যার দোয়া ও দু হাত তোলা
১১. অধ্যায়ঃ পিতাহার দুআ ও মজলুমের দুআ
১২. অধ্যায়ঃ দুআয় অতিরঞ্জন নিষিদ্ধ
১৩. অধ্যায়ঃ দুআ করিতে দু হাত তোলা।
১৪. অধ্যায়ঃ কেউ সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে যে দুআ পড়বে
১৫. অধ্যায়ঃ যে কোন ব্যক্তি শয্যা গ্রহণকালে যে দুআ পড়বে
১৬. অধ্যায়ঃ রাতে কারো ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে যে দুআ পড়বে
১৭. অধ্যায়ঃ বিপদকালে পড়ার দুআ
১১. অধ্যায়ঃ পিতাহার দুআ ও মজলুমের দুআ
৩৮৬২ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির দুআ নিঃসন্দেহে কবুল হয়। মজলুমের দুআ, মুসাফিরের দুআ ও সন্তানের জন্য পিতাহার দুআ। {৩১৯৪}
{৩১৯৪} তিরমিজি ১৯০৫, ৩৪৪৮, ১৫৩৬, আহমাদ ৭৪৫৮, ৮৩৭৫, ৯৮৪০, ১০৩৩০, ১০৩৯২। সহীহাহ ৫৯৬, রাওদুন নাদীর ৫১০, সহীহ আবু দাউদ ১৩৭৪। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৮৬৩ : উম্মু হাকীম বিনতু ওয়াদ্দা আল-খুযাইয়্যাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ পিতাহার দুআ [আল্লাহ্র নূরের] পর্দা পর্যন্ত পৌছে যায়। {৩১৯৫}
{৩১৯৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আত তালীকুর রাগীব ২/২৭৭, দীফ আল-জামি ২৯৭৭। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১২. অধ্যায়ঃ দুআয় অতিরঞ্জন নিষিদ্ধ
৩৮৬৪ : আবদুল্লাহ বিন মুগাফ্ফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তাহার ছেলেকে বলিতে শুনলেন, হে আল্লাহ্! আমি জান্নাতে প্রবেশ করে আপনার নিকট জান্নাতের ডান দিকের শ্বেত প্রাসাদ প্রার্থনা করি। তখন তিনি বলেন, হে বৎস! আল্লাহ্র নিকট জান্নাত প্রার্থনা করো এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ অচিরেই এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হইবে যারা দুআয় অতিরঞ্জন করিবে। {৩১৯৬}
{৩১৯৬} আবু দাউদ ৯৬, আহমাদ ১৬৩৫৪, ১৬৩৫৯, ২০০৩১। মিশকাত ৪১৮, সহীহ আবু দাউদ ৮৬, ইরওয়া ১৪০। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৩. অধ্যায়ঃ দুআ করিতে দু হাত তোলা।
৩৮৬৫ : সালমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক চিরঞ্জীব, দানশীল। তাহাঁর কোন বান্দা নিজের দুহাত তুলে তাহাঁর নিকট দুআ করিলে তিনি তাহার শূন্যহাত বা তাহাকে নিরাশ করে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। {৩১৯৭}
{৩১৯৭} তিরমিজি ৩৫৫৬, আবু দাউদ ১৪৮৮, আহমাদ ২৩২০২। সহীহ আবু দাউদ ১৩৩৭, আত তালীকুর রাগীব ২/২৭২, মিশকাত ২২৪৪। হাত তুলে মোনাজাত করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৬৬ : ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তুমি যখন আল্লাহ্র নিকট দুআ করিবে, তখন তোমার দু হাতের তালু উপর দিকে রেখে দুআ করিবে, দু হাতের পিঠ উপর দিকে রেখে দুআ করিবে না। তুমি দুআ শেষ করে হাতের তালুদ্বয় তোমার মুখমন্ডলে মাসেহ করিবে। {৩১৯৮}
{৩১৯৮} আবু দাউদ ১৪৮৫। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪. অধ্যায়ঃ কেউ সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে যে দুআ পড়বে
৩৮৬৭ : আবু আয়্যাশ আয যুরাকী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ভোরে উপনীত হয়ে বলেঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাহাঁর কোন শরীক নাই, রাজত্ব-সার্বভৌমত্ব তাহাঁর, সমস্ত প্রশংসা তাহাঁর জন্য, তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান,
সে ইসমাঈল [আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর বংশের একটি গোলাম আযাদ করার সমতুল্য সওয়াব পাবে, তাহার দশটি গুনাহ মোচন হইবে, তাহার মর্যাদা দশ গুণ বৃদ্ধি করা হইবে এবং সে সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে নিরাপদ থাকিবে। সে সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে অনুরূপ দুআ করিলে ভোর হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ নিরাপদ থাকিবে। সে সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে অনুরূপ দুআ করিলে ভোর হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ প্রতিদান পাবে। রাবী বলেন, এক ব্যক্তি স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর দর্শনলাভ করে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু আইয়াশ আপনার নামে এ ধরনের হাদিস বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আবু আইয়াশ সত্য বলেছে। {৩১৯৯}
{৩১৯৯} আবু দাউদ ৫০৭৭ , আহমাদ ১৬১৪৭। আত তালীকুর রাগীব ১/২২৭,২২৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৬৮ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা ভোরে উপনীত হয়ে বলবে,
اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَى وَبِكَ نَمُوتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُمْ فَقُولُوا
আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইজা আমসাইতুম ফাকুলু, হে আল্লাহ্! তোমার হুকুমেই আমরা প্রভাতে উপনীত হই এবং তোমার হুকুমেই আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হই, তোমার হুকুমেই আমরা জীবন ধারণ করি, এবং তোমার হুকুমেই আমরা মৃত্যুবরণ করি।
আর তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলবে,
اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَى وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
আল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা ওয়াবিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা নাহ্ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলায়কাল মাসির, হে আল্লাহ্! আমরা তোমার হুকুমেই সন্ধ্যায় উপনীত হই, তোমার হুকুমেই আমরা ভোরে উপনীত হই, তোমার হুকুমেই আমরা জীবন ধারণ করি এবং তোমার হুকুমেই আমরা মৃত্যুবরণ করি। তোমার নিকটই আমাদের প্রত্যাবর্তন। {৩২০০}
{৩২০০} তিরিমিযী ৩৩৯১, আবু দাউদ ৫০৬৮, আহমাদ ৮৪৩৫, ১০৩৮৪। সহীহাহ ২৬৩, তাখরীযুল কালিমুত তায়্যিব ২০, তাখরীজুল মিশকাত ২৩৮৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৬৯ : উসমান বিন আফফান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ যে কোন বান্দা প্রতিদিন সকালে ও প্রতি রাতে সন্ধ্যায় তিনবার করে এ দুআটি পড়লে কোন কিছুই তাহার ক্ষতি করিতে পারবে না ঃ
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।, আল্লাহ্র নামে যাঁর নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন কিছুই কোন ক্ষতি করিতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বোজ্ঞ।
অধস্তন রাবী বলেন, আবান [রাদি.]-এর দেহের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। [উক্ত হাদিস বর্ণনাকালে] এক ব্যক্তি [অধস্তন রাবী] তাহার দিকে তাকাতে থাকলে তিনি তাহাকে বলেন, তুমি কি দেখছো? শোন! আমি তোমার নিকট যে হাদিস বর্ণনা করছি তা হুবহু বর্ণনা করেছি। তবে যেদিন আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছি সেদিন ঐ দুআ পড়িনি এবং আল্লাহ্ তায়ালা তাকদীরের লিখন আমার উপর কার্যকর করিয়াছেন। {৩২০১}
{৩২০১} তিরমিজি ৩৩৮৮, আবু দাউদ ৫০৮৮, আহমাদ ৪৪৮, ৫২৯। তাখরীজুল মুখতাহার ২৯১, ২৯২, আত তালীকুর রাগীব ১/২২৬, ২২৭। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৭০ : নবী [সাঃআঃ]-এর খাদেম [ইসমু মুবহাম বা নাম অজ্ঞাত] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন মুসলমান বা কোন মানুষ বা কোন বান্দা সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে
بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا
বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা। আল্লাহ্ আমার প্রভু, ইসলাম আমার দ্বীন এবং মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আমার রাসূল হওয়ায় আমি সর্বান্তঃকরণে সন্তুষ্ট আছি
এ কথা বললে, কিয়ামতের দিন তাহার উপর সন্তুষ্ট হওয়া আল্লাহ্র কর্তব্য হয়ে যায়। {৩২০২}
{৩২০২} আবু দাউদ ৫০৭২। আত তালীকুর রাগীব ১/২২৮, দঈফাহ ২০৫০। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৮৭১ : ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে নিম্নোক্ত দুআ পড়তেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَاىَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي وَاحْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফিদদুনইয়া ওয়াল আখিরাতি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফিয় দিয়নিয় মিন বাইনি ইয়া দায়ইয়া ওয়া মিন খলফি ওয়া আন সিমালি ওয়া মিন ফাওকিয় ওয়া আউজু বিকা আন উগতালা মিন তাহনিয়, (হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আমার দীন, আমার দুনিয়া, আমার পরিবার ও আমার সম্পদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্! আমার লজ্জাস্থানকে গোপন রাখো, আমার ভয়কে শান্তিতে পরিণত করো এবং আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে ও আমার উপরের দিক থেকে আমাকে হেফাজত করো। আমি তোমার নিকট আমার নিচের দিক দিয়ে আমাকে ধ্বসিয়ে দেয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।) {৩২০৩}
{৩২০৩} নাসাঈ ৫৫২৯, ৫৫৩০, আবু দাউদ ৫০৭৪। তাখরীযুল কালিমুত তায়্যিব ২৭ . হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৭২ : বুরায়দাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ দুআ পড়েছেনঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ بِنِعْمَتِكَ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ
আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খলাক্তানি ওয়া আনা আব্দুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস তাতা’তু আউজু বিকা মিন সাররি মা সানা’তু আবু উ বি নি’মাতিকা ওয়া আবু উ বিজানবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফেরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা, (হে আল্লাহ্! তুমি আমার প্রভু, তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নাই, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো, আমি তোমার বান্দা, আমি তোমার প্রতিশ্রুতিতে যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত থাকবো। আমি আমার কৃতকর্মের ক্ষতি থেকে তোমার আশ্রয় চাই, আমি তোমার নিয়ামতসমূহ স্বীকার করছি, আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমার অপরাধসমূহ মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া গুনাহ মাফ করার আর কেউ নাই। )
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি দিনে ও রাতে এ দুআ পড়লে এবং সেই দিনে বা রাতে মারা গেলে ইনশাআল্লাহ্ জান্নাতে দাখিল হইবে। {৩২০৪}
{৩২০৪} আবু দাউদ ৫০৭০, আহমাদ ২২৫০৪। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৫. অধ্যায়ঃ যে কোন ব্যক্তি শয্যা গ্রহণকালে যে দুআ পড়বে
৩৮৭৩ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] যখন শয্যা গ্রহণ করিতেন তখন বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى مُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ
আল্লাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াতে ওয়া রব্বাল আরদি ওয়া রব্বা কুল্লি সায়্যিন ফালিকাল হাব্বি ওয়ান নাওয়া মুনজিলাত তাওরাতি ওয়াল ইনজিলি ওয়াল কুরআনিল আজিম আউজু বিকা মিন সাররি কুল্লি দাব্বাতিন আনতা আখিজু বি নাসিইয়াতিহা আনতাল আওওয়ালু ফালায়সা কবলাকা সাইয়ু ওয়া আনতাল আখিরু ফাআইসা বা’দাকা সাইয়ু ওয়া আনতাজ জাহিরু ফাআইসা ফাওকাকা সাইয়ু ওয়া আনতাল বাতিনু ফাআইসা দুনাকা সাইয়ুকদি আননিয়দ দায়না ওয়া আগনিনি মিনাল ফাঁকর, (হে আল্লাহ্! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রভু, প্রতিটি জিনিসের প্রভু, শস্যবীজ ও আঁটির অংকুর উদগমকারী, তাওরাত, ইনজীল ও মহান কুরআন নাযিলকারী! আমি প্রত্যেক প্রাণীর অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। এগুলো তোমার আয়ত্তাধীন। তুমিই আদি, তোমার পূর্বে কিছুই নাই। তুমিই গুপ্ত, তোমার থেকে কিছুই গোপন নয়। সুতরাং তুমি আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দাও এবং আমাকে দারিদ্র থেকে স্বাবলম্বী করো ) {৩২০৫}
{৩২০৫} মুসলিম ২৭১৩, তরমিযী ৩৪০০, আবু দাউদ ৫০৫১, আহমাদ ৮৭৩৭। তাখরীজুল কালিমুত তায়্যিব ৪০। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৭৪ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করে, তখন সে যেন তাহার লুঙ্গীর ভেতরাংশ ঝেড়ে নেয়, অতঃপর তা দিয়ে তাহার বিছানা ঝেড়ে ফেলে। কেননা সে জানে না যে তাহার অনুপস্থিতিতে বিছানায় কি পতিত হইয়াছে। অতঃপর সে যেন ডান কাতে শোয়, অতঃপর বলে,
رَبِّ بِكَ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا حَفِظْتَ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
রব্বী বিকা ওয়া যাতু জামবী ওয়াবিকা আর্ ফাউহু ইন্ আম্সাক্তা নাফ্সী ফাজহামহা ওয়া ইন্ আর্সাল্তাহা- ফাহ্ফায্হা- বিমা-হাফিজতা বিহি ইবা-দাকাস্ স-লিহীন, হে আমার রব! তোমার নামে আমি আমার পার্শ্বদেশ বিছানায় এলিয়ে দিলাম এবং তোমার নামেই আবার তা উঠাবো। যদি তুমি আমার জান রেখে দাও [মৃত্যু দান করো] তবে তাহার প্রতি দয়া করো, আর যদি তাহাকে ছেড়ে দাও তবে তাহার সেইভাবে হেফাজত করো যেভাবে তুমি তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের হেফাজত করো। {৩২০৬}
{৩২০৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬৩২০, ৭৩৯৩, মুসলিম ২৭১৪, তিরমিজি ৩৪০১, আবু দাউদ ৫০৫০, আহমাদ ৭৩১৩, ৭৭৫২, ৭৮৭৮, ৯১৭৩, ৯৩০৬, দারেমী ২৬৮৪। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৭৫ : আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] যখন শয্যা গ্রহণ করিতেন, তখন সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাহাঁর দু হাতে ফুঁ দিয়ে তা তাহাঁর সমস্ত শরীর মলতেন। {৩২০৭}
{৩২০৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬৩১৯, তিরমিজি ৩৪০২। মুখতাসরুশ শামাইল ২১৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৭৬ : আল-বারা বিন আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে বলেনঃ যখন তুমি শয্যা গ্রহণ করিবে বা বিছানাগত হইবে তখন বলবে,
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَى مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
আল্লাহুম্মা আসলামতু ওয়াজহি ইলাইকা, ওয়া আলজায়তু জাহরি ইলাইকা, ওয়া ফাওওাদতু আমরি ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রহবাতান ইলাইকা, লা মালজায়া ওয়া লা মানজায়া মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আমানতু বি কিতাবিকাল্লাজি আনজালতা, ওয়া নাবিয়্যিকাল্লাজি আরছালতা” হে আল্লাহ্! আমি আমার মুখমন্ডল তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আমার পিঠ তোমার আশ্রয়ে সোপর্দ করলাম, তোমার রহমতের আশা ও তোমার আযাবের ভয় সহকারে আমার যাবতীয় বিষয় তোমার উপর সোপর্দ করলাম। তোমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার এবং নাজাত পাওয়ার তুমি ভিন্ন আর কোন ঠিকানা নাই। তুমি যে কিতাব নাযিল করেছো এবং যে নবী পাঠিয়েছ আমি তাহার উপর ঈমান এনেছি।
তুমি যদি সে রাতে মারা যাও তাহলে তুমি ফিতরাতের [ইসলামের] উপর মৃত্যুবরণ করিবে। আর তুমি যদি সকালে উপনীত হও তবে পর্যাপ্ত কল্যাণ প্রাপ্ত হয়ে সকালে উপনীত হইবে। {৩২০৮}
{৩২০৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৪৭, মুসলিম ২৭১০, তিরমিজি ৩৩৯৪, আবু দাউদ ৫০৪৬, ১৮০৪৪, ১৮০৮৯, ১৮১১৪, ১৮১৪৩, ১৮১৭৭, ১৮১৮০, ১৮২০৫, দারেমী ২৬৮৩। সহীহ আত তাহারগীব ২-৬। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৭৭ : আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] যখন শয্যা গ্রহণ করিতেন তখন তাহাঁর ডান হাত তাহাঁর গণ্ডদেশের নিচে স্থাপন করে বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ – أَوْ تَجْمَعُ – عِبَادَكَ
আল্লাহুম্মা কিনি আজাবাকা ইয়াও মা তাবআসু আও তাজমায়ু ইবাদাকা, ( হে আল্লাহ্! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদের পুনরুত্থিত করিবে এবং সমবেত করিবে, সেদিন আমাকে তোমার শাস্তি থেকে রক্ষা করো)। {৩২০৯}
{৩২০৯} আহমাদ ৪২১৪। সহীহাহ ২৭৫৪। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬. অধ্যায়ঃ রাতে কারো ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে যে দুআ পড়বে
৩৮৭৮ : উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহ ইলল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়া লা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তিনি এক, তাহাঁর কোন শরীক নাই, সার্বভৌমত্ব তাহাঁর, সমস্ত প্রশংসা তাহাঁর প্রাপ্য, তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান, আল্লাহ্ মহা পবিত্র, আল্লাহ্ই সমস্ত প্রশংসার অধিকারী, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ্ সুমহান, মহান আল্লাহ্র অনুগ্রহ ব্যতীত অন্যায় থেকে বিরত থাকার কিংবা ভালো কাজ করার শক্তি কারো নাই”,
অতঃপর বলে
رَبِّ اغْفِرْ لِي
রব্বিগফিরলি, “প্রভু! আমাকে ক্ষমা করো”,
তাহাকে ক্ষমা করা হয়। রাবী ওলীদ বিন মুসলিমের বর্ণনায় আছে ঃ এ দুআ করিলে তাহার দুআ কবুল করা হয়। অতঃপর সে উঠে গিয়ে উযু করে নামায পড়লে তাহার নামায কবুল করা হয়। {৩২১০}
{৩২১০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১১৫৪, তিরমিজি ৩৪১৪, আবু দাউদ ৫০৬০, আহমাদ ২২১৬৫, দারেমী ২৬৮৭। তাখরীজুল কালিম ৪২। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৭৯ : রাবীআহ বিন কাব আল-আসলামী হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ঘরের দ্বারদেশে রাত যাপন করিতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে রাতে দীর্ঘ সময় ধরে বলিতে শুনতেন,
سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
সুবহানাল্লাহি রব্বাল আলামিন, (বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ্ মহাপবিত্র),
অতঃপর বলিতেনঃ
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, (আল্লাহ্ সম্পূর্ণ পবিত্র এবং প্রশংসা তাহাঁর প্রাপ্য)। {৩২১১}
{৩২১১} মুসলিম ৪৮৯, তিরমিজি ৩৪১৬, নাসাঈ ১১৩৮, ১৬১৮, আহমাদ ১৬১৩৮। সহীহ আবু দাঊদ ১১৯৩। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৮০ : হুযায়ফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে বলিতেনঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলায়হিন নাসুর, (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র যিনি আমাদের মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করিয়াছেন এবং তাহাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তন )। {৩২১২}
{৩২১২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬৩১২, ৬৩১৪, ৬৩২৪, ৭৩৯৪ তিরমিজি ৩৪১৭, আবু দাউদ ৫০৪৯, আহমাদ ২২৭৬০, ২২৮৬০, ২২৯৪৯, দারেমী ২৬৮৬। মুখতাষরুশ শামাইল ২১৭। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৮১ : মুআয বিন জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে কোন বান্দা পবিত্র অবস্থায় রাত যাপন করিলে এবং ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আল্লাহ্র নিকট দুনিয়া বা আখেরাতের কিছু প্রার্থনা করিলে তিনি অবশ্যই তাহাকে তা দান করেন। {৩২১৩}
{৩২১৩} আবু দাঊদ ৫০৪২, আহমাদ ২১৫৪৩, ২১৫৮৭, ২১৬০৯। আত তালীকুর রাগীব ১/২০৭, সহীহ আত তাহারগীব ওয়াত তাহারহীব ৫৯৭। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭. অধ্যায়ঃ বিপদকালে পড়ার দুআ
৩৮৮২ : আসমা বিনতু উমায়স [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বিপদকালে পড়ার জন্য কয়েকটি বাক্য শিখিয়েছেনঃ
اللَّهُ اللَّهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
আল্লাহু আল্লাহু রব্বি লা উস রিকু বিহি সাইয়ান, (আল্লাহ্, আল্লাহ্, আমার প্রতিপালক, আমি তাহাঁর সাথে কোন কিছুই শরীক করি না )। {৩২১৪}
{৩২১৪} আবু দাউদ ১৫২৫। সহীহাহ ২৭৫৫। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৮৩ : ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বিপদকালে নিন্মোক্ত দুআ করিতেনঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبِّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
লা ইলাহা ইল্লাললাহু হালিমুল কারিমু সুবহানাল্লাহি রব্বাল আরসিল আজিম সুবহানাল্লাহি রব্বাল সামাওয়াতিস সাবই ওয়া রব্বাল আরসিল কারিম, ( আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তিনি পরম সহিষ্ণু, মহা সন্মানিত, পরম দয়ালু, মহান আরশের প্রভু আল্লাহ্ মহাপবিত্র, সাত আসমানের প্রভু ও মহান আরশের প্রভু আল্লাহ্ মহাপবিত্র )।
একদা ওয়াকী [রাদি.] প্রতিটি বাক্যের সাথে
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, বলেছেন। {৩২১৫}
{৩২১৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬৩৪৫, ৬৩৪৬, মুসলিম ২৭৩০, তিরমিজি ৩৪৩৫, আহমাদ ২০১৩, ২২৯৭, ৩১৩৭, ৩৩৪৪। রাওদুন নাদীর ৬৭৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply