মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -দুয়া, থুথু ফেলা, নামাজ, নারীদের স্থান
মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -দুয়া, থুথু ফেলা, নামাজ, নারীদের স্থান >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায়ঃ ২, অনুচ্ছেদঃ ১৭-২৬ =১০টি
অনুচ্ছেদ-১৭ মসজিদে প্রবেশে নারীদেরকে পুরুষদের থেকে পৃথক পথ অবলম্বন করা
অনুচ্ছেদ-১৮ কোন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশের সময় যে দুআ পাঠ করিবে
অনুচ্ছেদ-১৯ মসজিদে প্রবেশকালীন নামায
অনুচ্ছেদ-২০ মসজিদে বসে থাকার ফাযীলাত
অনুচ্ছেদ-২১ মসজিদে হারানো বস্তু খোঁজ করা অপছন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-২২ মসজিদে থুথু ফেলা অপছন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-২৩ মুশরিক লোকের মসজিদে প্রবেশ
অনুচ্ছেদ-২৪ যেসব জায়গায় নামায আদায় করা জায়িয নয়
অনুচ্ছেদ-২৫ উটের আস্তাবলে নামায আদায় করা নিষেধ
অনুচ্ছেদ-২৬ বালকদের কখন থেকে নামাজের নির্দেশ দিতে হইবে?
অনুচ্ছেদ-১৭ মসজিদে প্রবেশে নারীদেরকে পুরুষদের থেকে পৃথক পথ অবলম্বন করা
৪৬২. ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আমরা যদি এ দরজাটি কেবল নারীদের (মসজিদে যাতায়াতের) জন্য ছেড়ে দিতাম! নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, (এরপর থেকে) ইবনি উমার (রাঃআঃ) মৃত্যু পর্যন্ত ঐ দরজা দিয়ে আর (মসজিদে) প্রবেশ করেন নি।
সহিহ আবদুল ওয়ারিস ব্যতীত অন্য বর্ণনাকারীর (অর্থাৎ ইসমাঈলের) মতে, কথাটি (ইবনি উমার (রাঃআঃ) নন বরং) উমার (রাঃআঃ) বলেছিলেন। আর এটাই অধিকতর সহিহ। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৬৩.নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনিল খাত্তাব (রাঃআঃ) বলেছেন … অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ননা করেন। এটাই অধিকতর সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৪৬৪.নাফি(রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনিল খাত্তাব (রাঃআঃ) মহিলাদের দরজা দিয়ে পুরুষদের (মসজিদে) প্রবেশ করতে নিষেধ করতেন। {৪৬৪}
{৪৬৪} এরূপ অর্থগত হাদিস গত হয়েছে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৮ কোন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশের সময় যে দুআ পাঠ করিবে
৪৬৫. আবদুল মালিক ইবনি সাইদ ইবনি সুওয়াইদ হইতে বর্ণিতঃ
আমি আবু হুমাইদ (রাঃআঃ) বা আবু আনসারী (রাঃআঃ) কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন সর্বপ্রথম নাবী (সাঃআঃ) এর উপর সালাম পাঠ করে, অতঃপর যেন বলেঃ
اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিকা, হে আল্লাহ্! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো খুলে দিন।
আর বের হওয়ার সময় যেন বলেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকা মিন ফাদলিকা , হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি।
সহীহঃ মুসলিম। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৬৬. হাইওয়াহ ইবনি শুরায়িহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আমি উক্ববাহ্ ইবনি মুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ করে বলি, আমি জানতে পারলাম যে, আপনার নিকটআবদুল্লা ইবনি আমর ইবনিলআস (রাঃআঃ)-এর মাধ্যমে নাবী (সাঃআঃ) হইতে এ হাদিস বর্ণনা করা হয়েছেঃ নাবী (সাঃআঃ) মসজিদে প্রবেশের সময় বলিতেনঃ
أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, অতীব মর্যাদা ও চিরন্তন পরাক্রমশালীর অধিকারী মহান আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শাইত্বান হইতে।
উক্ববাহ্ (রাঃআঃ) বলিলেন, এতটুকুই? আমি বললাম, হ্যাঁ।উক্ববাহ্ (রাঃআঃ) বলিলেন, কেউ এ দুআ পাঠ করলে শাইত্বান বলে, এ লোকটি আমার (অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা) থেকে সারা দিনের জন্য বেঁচে গেল।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৯ মসজিদে প্রবেশকালীন নামায
৪৬৭. আবু ক্বাতাদাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে আসলে যেন বসার পূর্বেই দু রাকআত নামায আদায় করে নেয়।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। হাদিস থেকে শিক্ষাঃ হাদিসটি প্রমাণ করে, কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সেখানে বসার পূর্বেই আল্লাহ্র ঘরের সম্মানার্থে দুরাকআত নামায আদায় করিবে। তা হচ্ছে, তাহিয়্যাতুল মসজিদের দুরাকআত নামায। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৬৮. আবু ক্বাতাদাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। তাতে আরো আছেঃ দু রাকআত নামায আদায়ের পর তার ইচ্ছা হলে বসবে অথবা নিজ প্রয়োজনে বাইরে চলে যাবে।
মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২০ মসজিদে বসে থাকার ফাযীলাত
৪৬৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত তার নামায আদায়ের স্থানে (জায়নামাযে) বসে থাকে ততক্ষণ মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তার জন্য দুআ করতে থাকেন। তার উযু নষ্ট হওয়া অথবা উঠে চলে যাওয়া পর্যন্ত মালায়িকাহ্ এই বলে দুআ করতে থাকেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ
আল্লাহুম্মাগফিরহু আল্লাহুম্মারহামহু, হে আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! তার প্রতি রহম করুন।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৭০. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ )বলেছেনঃ তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত নামায আদায়ে রত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হইবে, যতক্ষণ নামায (অর্থাৎ নামাজের অপেক্ষা) তাকে আটকে রাখবে। তাকে তো তার পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে যেতে কেবল নামাযই বারণ করছে।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৭১. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কোন বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত নামায আদায়ের স্থানে (জায়নামাযে) নামাজের অপেক্ষায় থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুরো সময় সে নামাজেই থাকে। তার প্রত্যাবর্তন না করা অথবা উযু টুটে না যাওয়া পর্যন্ত মালায়িকাহ্ তার জন্য এই বলে দুআ করতে থাকেঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ
আল্লাহুম্মাগফের লাহু আল্লাহুম্মার হামহু , হে আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ্! তার প্রতি রহম করুন।
বলা হলো, উযু টুটে যাওয়ার অর্থ কী? তিনি বললেনঃ (পায়খানার রাস্তা দিয়ে) নিঃশব্দে অথবা সশব্দে বায়ু নির্গত হওয়া।
সহীহঃ মুসলিম মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৭২. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কেউ কোন উদ্দেশ্যে মসজিদে এলে, সে ঐ উদ্দেশ্য অনুপাতেই (প্রতিদান) পাবে।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-২১ মসজিদে হারানো বস্তু খোঁজ করা অপছন্দনীয়
৪৭৩. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনেছিঃ কেউ কোন ব্যক্তিকে (চিৎকার করে) মসজিদে হারানো বস্তু অনুসন্ধান করতে শুনলে সে যেন বলে,
আল্লাহ তোমাকে ঐ বস্তু কখনো ফিরিয়ে না দিন। কারণ মসজিদ তো এ কাজের জন্য নির্মাণ করা হয়নি।
সহীহঃ মুসলিম মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২২ মসজিদে থুথু ফেলা অপছন্দনীয়
৪৭৪. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মসজিদে থুথু ফেলা অন্যায়। (কেউ ফেললে) তার কাফ্ফারা হচ্ছে তা ঢেকে দেয়া।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৭৫. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মসজিদে থু থু ফেলা অপরাধ। এর কাফ্ফারা হলো তা মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা।
মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৭৬. আনাস ইবনি মালিক(রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মসজিদে থু থু বা কফ্ ফেলা …… পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ।
মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৭৭.আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই মসজিদে প্রবেশের পর এতে থু থু অথবা কফ্ ফেলবে, সে যেন মাটি খুঁড়ে তা চাপা দিয়ে দেয়। এরূপ না করতে পারলে যেন নিজ কাপড়ে থু থু ফেলে এবং ঐ কাপড়সহ বাইরে চলে যায়।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪৭৮. ত্বারিক্ব ইবনিআবদুল্লা আল-মুহারিবী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি নামাজে দাঁড়ালে বা নামায আদায়কালে যেন তার সামনে অথবা ডান দিকে থু থু না ফেলে। অবশ্য বাম দিকে (ফাঁকা) জায়গা থাকলে সেদিকে থু থু ফেলবে অথবা বাম পায়ের নিচে থু থু ফেলে তা ঘষে মুছে ফেলবে।
মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৭৯. ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) খুতবাহ দানকালে মসজিদের ক্বিবলার দিকে কফ্ দেখিতে পেয়ে তিনি লোকদের উপর অসন্তুষ্ট হন এবং পরে তিনি তা তুলে ফেলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা পরে তিনি জাফরান আনিয়ে সেখানে তা লাগিয়ে দিয়ে বললেনঃ নামায আদায়কালে মহান আল্লাহ তোমাদের সামনেই থাকেন। কাজেই নামায আদায়ের সময় কেউ যেন সামনে থু থু না ফেলে।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিমে জাফরান লাগানোর কথাটি বাদে। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, কোন কোন বর্ণনায় জাফরানের কথা উল্লেখ নেই। আবার কোন বর্ণনায়আল-খালুক তথাকস্তুরীযুক্ত সুগন্ধির কথা উল্লেখ আছে। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৮০. আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) খেজুরের ডাল পছন্দ করতেন এবং তাহাঁর হাতে সর্বদা (প্রায়ই) এর একটি লাঠি থাকত। তিনি মসজিদে প্রবেশ করে মসজিদের ক্বিবলার দিকে শ্লেষ্মা দেখিতে পেয়ে তা রগড়ে তুলে ফেললেন। অতঃপর রাগান্বিত হয়ে লোকদের দিকে মুখ করে বললেনঃ তোমাদের কারো মুখে থু থু ফেললে সে কি তাতে খুশি হইবে? জেনে রাখ, তোমাদের কেউ যখন ক্বিবলামুখী হয়ে (নামাজে) দাঁড়ায়, তখন সে মূলত সম্মানিত মহান আল্লাহর দিকেই মুখ করে দাঁড়ায়। আর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তখন তার ডান দিকে থাকেন। কাজেই কেউ যেন ডানদিকে ও ক্বিবলার দিকে থু থু না ফেলে, বরং বাম দিকে অথবা পায়ের নীচে ফেলে। যদি হঠাৎ শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসে (তাড়াতাড়ির প্রয়োজন হয়), তাহলে কাপড়ে এরূপ করিবে। ইবনিআজলান ফেলার পদ্ধতি বর্ণনা সম্পর্কে বলেন, নিজের কাপড়ে থু থু ফেলে কাপড়ের একাংশকে অপর অংশের উপর কচ্লাবে (উলট-পালট করে নেবে)।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪৮১. আবু সাহলা আস-সাইব ইবনি খালাদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
ঈমাম আহমাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, তিনি ছিলেন নাবী (সাঃআঃ) –এর সাহাবী। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের ঈমামতিকালে ক্বিবলার দিকে থু থু ফেললে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তা লক্ষ্য করিলেন। লোকটি নামায শেষ করলে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) (উপস্থিত লোকদেরকে উদ্দেশ্য করে) বললেনঃ এ ব্যক্তি তোমাদের নামায আদায় করাবে না (আর ঈমামতি করিবে না)। পরবর্তীতে লোকটি তাহাঁদের ঈমামতি করতে চাইলে তারা তাকে নিষেধ করে এবং তার সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –এর উক্তিও অবহিত করে। অতঃপর লোকটি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –কে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) একথাও বলেছেনঃ তুমি আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলকে কষ্ট দিয়েছ।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪৮২. মুত্বাররিফ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে তার পিতার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –এর নিকট এসে দেখিতে পেলাম, তিনি নামায আদায়কালে স্বীয় বাম পায়ের নিচে থু থু ফেললেন।
মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৮৩ .লআলা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ওয়াসিলাহ ইবনিল আসকা (রাঃআঃ) –কে দামিশ্কের মসজিদে দেখিতে পেলাম, তিনি চাটাইয়ের উপরে থু থু ফেলে তা পা দিয়ে মুছে ফেললেন। তাকে বলা হলো, আপনি কেন এমনটি করিলেন? তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –কে এরূপই করতে দেখেছি।
সহীহঃ মুসলিম। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৮৪. আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখলাম, ওয়াসিলাহ ইবনি আসক্বা (রাঃআঃ) দামিশকের মসজিদে চাটাইয়ের উপর থু থু নিক্ষেপ করে পরে তা পা দিয়ে মুছে ফেলেন। তাকে এরূপ করার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে এরূপই করতে দেখেছি। {৪৮৪}
দুর্বল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪৮৫. উবাদাহ ইবনিল ওয়ালীদ ইবনিউবাদাহ ইবনিস সামিত হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জাবির ইবনিআবদুল্লা (রাঃআঃ) –এর সাথে দেখা করতে আসি। সে সময় তিনি তার মসজিদে ছিলেন। তিনি বলিলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ইবনি তাব নামক এক প্রকার খেজুরের ডাল হাতে নিয়ে আমাদের এ মসজিদে এলেন। তিনি তাকিয়ে মসজিদের ক্বিবলার দিকে শ্লেষ্মা দেখিতে পেয়ে সেখানে এগিয়ে গেলেন এবং ডালটি দ্বারা তা তুলে ফেলেন। অতঃপর বলেনঃ তোমাদের কেউ কি পছন্দ করিবে যে, আল্লাহ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। তিনি আরো বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন আল্লাহ তার সামনেই থাকেন। তাই কেউ যেন নিজের সম্মুখে ও ডান দিকে থু থু না ফেলে, বরং যেন বামদিকে (কিংবা) বাম পায়ের নিচে ফেলে। আর যদি হঠাৎ শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসে (তাড়াতাড়ির প্রয়োজন হয়) তাহলে এরূপ করিবে –এই বলে তিনি মুখের উপর কাপড় রেখে তা রগড়িয়ে বললেনঃআবির (এক ধরনের সুগন্ধি) নিয়ে এসো। জনৈক যুবক দাঁড়াল এবং দ্রুত নিজের ঘরে গিয়ে হাতে সুগন্ধি নিয়ে এলো। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তা নিয়ে ডালের মাথায় লাগিয়ে শ্লেষ্মা লেগে থাকার স্থানে ঘষে দিলেন। জাবির (রাঃআঃ) বলেন, এ কারণেই তোমরা মসজিদে সুগন্ধি ব্যবহার করে থাক।
সহীহঃ মুসলিম। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৩ মুশরিক লোকের মসজিদে প্রবেশ
৪৮৬. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি উটের পিঠে সওয়ার হয়ে মসজিদে (নাববীর) কাছে আসল। এরপর উটটি মসজিদের আঙ্গিনায় বেঁধে বলিল, আপনাদের মধ্যে মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) কে? রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তখন সাহাবীগণের সামনেই বসা ছিলেন। আমরা লোকটিকে বললাম, এই যে সাদা বর্ণের লোকটি হেলান দিয়ে বসে আছেন- ইনিই {মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) }! লোকটি তাকে বলিল, হেআবদুল মুত্তালিবের পৌত্র! উত্তরে নাবী (সাঃআঃ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার কথা শুনিয়াছি। এরপর লোকটি বলিল, হে মুহাম্মাদ! আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করছি … এরপর হাদিসের শেষ পর্যন্ত।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। মসজিদে প্রবেশ করার সুন্নাত -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৮৭. ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বনু সাদ ইবনি বাক্র গোত্রের লোকেরা দিমাম ইবনি সালাবাহকে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –এর নিকট পাঠালেন। লোকটি তাহাঁর নিকট এসে উটকে মসজিদের দরজার কাছে বসিয়ে বেঁধে রেখে মসজিদে প্রবেশ করিল। এরপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি বলিল, তোমাদের মধ্যেআবদুল মুত্তালিবের পৌত্র কে? রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ আমিআবদুল মুত্তালিবের পৌত্র। লোকটি বলিল, হেআবদুল মুত্তালিবের পৌত্র! … অতঃপর পূর্ণ হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪৮৮. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সাহাবাদের নিয়ে মসজিদে বসা ছিলেন। এমন সময় তাহাঁর কাছে ইয়াহূদীরা এসে বলিল, হে আবুল ক্বাসিম! পরে তারা তাহাঁদের মধ্যকার এমন এক পুরুষ ও এক নারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিল যারা যেনায় লিপ্ত হয়েছে। {৪৮৮}
{৪৮৮} আহমাদ (২/২৭৯)আবদুর রাযযাক সূত্রে। আল্লামা মুনযিরী বলেন, সানাদে মুযায়নার জনৈক অজ্ঞাত ব্যক্তি রহিয়াছে।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৪ যেসব জায়গায় নামায আদায় করা জায়িয নয়
৪৮৯. আবু যার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আমার জন্য (অর্থাৎ আমার উম্মাতের জন্য) সমগ্র জমিনকে পবিত্র এবং মসজিদ (সাজদাহ্র স্থান) বানানো হয়েছে।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিমে জাবির সূত্রে। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৯০. আবু সালিহ আল-গিফারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
কোন এক সফরেআলী (রাঃআঃ) বাবিল নামক শহর অতিক্রমকালে তার কাছে মুয়াজ্জিন এসেআসরের নামাজের আযান দেয়ার অনুমতি চাইল। কিন্তু তিনি বাবিল শহর থেকে বেরিয়ে এসে মুয়াজ্জিনকে ইক্বামাত বলার নির্দেশ দিলেন। মুয়াজ্জিন ইক্বামত দিলে তিনি নামায আদায় করিলেন এবং নামায শেষে বলিলেন, আমার প্রিয় বন্ধু {নাবী (সাঃআঃ) } আমাকে ক্ববরস্থানে নামায আদায় করতে নিষেধ করিয়াছেন। অনুরূপভাবে আমাকে বাবিলের জমিনে নামায আদায় করতেও নিষেধ করিয়াছেন। কারণ তা অভিশপ্ত জমিন। {৪৯০}
{৪৯০} বায়হাক্বী (২/৪৫১), ইবনিআবদুল বারতামহীদ (৫/২১২, ২২০), ইবনি হাজারফাতহুল বারী (১/৬৩) গ্রন্থে এটি বর্ণনা করে বলেন, এর সানাদে দুর্বলতা আছে। ইবনিআবদুল বার বলেন, এর সানাদ দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকলে একমত। পাশাপাশি সানাদটি মুনকাতি, মুত্তাসিল নয়। সানাদেআলী,আম্মার হাজ্জাহ এবং ইয়াহইয়া এর সকলেই অজ্ঞাত। এদেরকে চেনা যায়নি। সানাদে ইবনি লাহীআহ ও ইয়াহইয়া ইবনি আযহার দুজনেই দুর্বল। তাহাঁদের দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না। সানাদে আবু সালিহ হচ্ছে সাঈদ ইবনিআবদুর রহমান আল-গিফারী মিসরী, তিনিও প্রসিদ্ধ নন, তাছাড়াআলী সূত্রে তার শ্রবণের কথাটি সহিহ নয়। আওনুল মাবুদে রয়েছেঃ সানাদে ইবনি লাহীআহ দুর্বল। আল্লামা খাত্তাবী বলেন, এ হাদিসের সানাদ সমালোচিত। আল্লামা মুনযিরী বলেন, সানাদে আবু সালিহ হচ্ছে সাঈদ ইবনিআবদুর রহমান, যিনি গিফারী গোত্রের আযাদকৃত গোলাম। ইবনি ইউনূস বলেন, তিনিআলী ইবনি আবু ত্বালিব সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেন, আমি মনে করি না যে, তিনিআলী থেকে শুনেছেন। আল্লামা আইনী বলেন, ইবনি কাত্তান বলেছেন, এ হাদিসের সানাদে এমন কিছু লোক রহিয়াছে যাদেরকে চেনা যায় না।আবদুল হাক্ব বলেন, হাদিসটি নিকৃষ্ট। ঈমাম বায়হাক্বীমারিফাহ গ্রন্থে বলেন, এর সানাদ মজবুত নয়। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪৯১. আবু সালিহ আল-গিফারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আলী (রাঃআঃ) সূত্রে অনুরূপ সমার্থক হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তাতে “ফালাম্মা বারাযা” এর স্থলে “ফালাম্মা খারাজা” উল্লেখ করা হয়েছে। {৪৯১}
{৪৯১} পূর্বের হাদিস দেখুন। এর দোষও সেটির ন্যায়। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৪৯২. আবু সাঈদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কেবলমাত্র গোসলখানা ও ক্ববরস্থান ছাড়া সমগ্র জমিনই মসজিদ (তথা নামাজের স্থান হিসেবে গণ্য)।
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৫ উটের আস্তাবলে নামায আদায় করা নিষেধ
৪৯৩. আল-বারাআ ইবনিআযিব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –কে উটের আস্তাবলে নামায আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ তোমরা উটের আস্তাবলে নামায আদায় করিবে না। কারণ তা শাইত্বানের আড্ডাখানা। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –কে বকরীর খোঁয়াড়ে নামায আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ সেখানে নামায আদায় করতে পার। কারন তা বারকাতময় প্রাণী (বা স্থান)।
সহীহঃ এটি গত হয়েছে ১৮৪ নং এ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২৬ বালকদের কখন থেকে নামাজের নির্দেশ দিতে হইবে?
৪৯৪. আবদুল মালিক ইবনি রাবী ইবনি সাবুরাহ্ থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ শিশুর বয়স সাত হলেই তাকে নামায আদায়ের নির্দেশ দিবে এবং তার বয়স দশ হয়ে গেলে (নামায আদায় করতে না চাইলে) এজন্য তাকে প্রহার করিবে।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪৯৫. আমর ইবনি শুআইব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাহাঁদেরকে নামাজের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাহাঁদের বয়স দশ বছর হয়ে যাবে তখন (নামায আদায় না করলে) এজন্য তাহাঁদেরকে মারবে এবং তাহাঁদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪৯৬ দাউদ ইবনি সাওয়ার আল-মুযানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
একই সানাদ ও অর্থে উক্ত হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। তাতে অতিরিক্তভাবে একথাও রয়েছেঃ তোমাদের কেউ তার দাসীকে তার দাসের সঙ্গে বিয়ে দিলে (এরপর থেকে) সে তার (দাসীর) নাভির নিচে ও হাঁটুর উপরে তাকাবেনা।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪৯৭. হিশাম ইবনি সাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা মুআয ইবনিআবদুল্লা ইবনি খুবাইব আল-জুহানীর কাছে গেলাম। এ সময় তিনি তার স্ত্রীকে বলিলেন, শিশু কখন নামায আদায় করিবে? তার স্ত্রী বলিলেন, আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি এ বিষয়ে উল্লেখ করেন যে, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলছিলেনঃ শিশু যখন ডান ও বাম (হাতের) পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবে তখন তাকে নামায আদায়ের নির্দেশ দিবে। {৪৯৭}
{৪৯৭} ত্বাবারানীআত্তসাত্ব (৩/৩৩৮, হাঃ৩০৪৩) , বাইহাক্বী (৩/৮৪)। আল্লামা হায়যামী মাজমাউস যাওয়ায়িদ (১/২৯৪) গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি ত্বাবারানীআত্তসাত্ব ও সাগীর গ্রন্থে বর্ণনা করিয়াছেন এবং তিনিআওসাতে বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ) এর সূত্রে এ সানাদ ছাড়া এটি বর্ণিত হয়নি, এবং সাগীরে বলেছেন, এর রিজাল সিক্বাত।আওনুল মাবুদে রয়েছেঃ হাফিযআত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ সানাদে মুআয ইবনিআবদুল্লা ইবনি খুবাইব জুহানী সত্যবাদী, কিন্তু তাকে সন্দেহ করা হতো চতুর্থ স্তরের দোষে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply