অভিশাপ সম্পর্কে হাদিস – কাফেরদেরকে অভিসম্পাত করা

অভিশাপ সম্পর্কে হাদিস – কাফেরদেরকে অভিসম্পাত করা

অভিশাপ সম্পর্কে হাদিস – কাফেরদেরকে অভিসম্পাত করা << আদাবুল মুফরাদ হাদীস কিতাবের মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ৬, দান্যতা, কৃপণতা ও দোষ

১৪৫. অনুচ্ছেদঃ মুমিন ব্যক্তি তিরস্কারকারী হইতে পারে না।
১৪৬. অনুচ্ছেদঃ অভিশাপকারী।
১৪৭. অনুচ্ছেদঃ কেউ নিজ গোলামকে অভিশাপ দিলে যেন তাকে আযাদ করে দেয়।
১৪৮. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর অভিশাপ, আল্লাহর ক্রোধ এবং আগুন দ্বারা অভিশাপ দেয়া।
১৪৯. অনুচ্ছেদঃ কাফেরদেরকে অভিসম্পাত করা।

১৪৫. অনুচ্ছেদঃ মুমিন ব্যক্তি তিরস্কারকারী হইতে পারে না।

৩০৯

সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ]-কে কখনো কাউকে অভিশাপ দিতে শুনিনি, মানুষকেও নয়। সালেম [রাহিমাহুল্লাহ] বলিতেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ মুমিন ব্যক্তির অভিশাপকারী হওয়া শোভনীয় নয়।-[তিরমিজী, হাকিম]

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩১০

জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহ অশ্লীল আচরণকারীকে, অশ্লীলতার প্রশ্ৰয় দানকারীকে এবং হাটে-বাজারে শোরগোলকারীকে পছন্দ করেন না।

অভিশাপ সম্পর্কে হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩১১

আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

কতক ইহুদী নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, আসসামু আলাইকুম [তোমাদের মৃত্যু হোক]। আয়েশা [রাঃআঃ] বলেন, ‘ওয়া আলাইকুম ওয়া লাআনাকুমুল্লাহু ওয়া গাদিবাল্লাহু আলাইকুম’ [তোমাদের উপর-ই, আল্লাহ তোমাদেরকে অভিশপ্ত করুন ও ক্রোধ নিপতিত করুন]। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ থামো আয়েশা! নম্রতা অবলম্বন করো এবং অবশ্যই অশ্লীল ও কর্কষ ভাষা ব্যবহার করো না। আয়েশা [রাঃআঃ] বলেন, আপনি কি শুনেননি তারা কি বলেছে? তিনি বলেনঃ তুমি কি শুনোনি যে, আমি কি বলেছি? আমি তো তাহাদের একই প্রতিউত্তর দিয়েছি। তাহাদের ব্যাপারে আমার দোয়া তো কবুল হইবে। কিন্তু আমার ব্যাপারে তাহাদের বক্তব্য কবুল হইবে না [বোখারী, মুসলিম, তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১২

আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ মুমিন ব্যক্তি খোঁটাদাতা, অভিশাপকারী, অশ্লীলভাষী ও বাচাল হইতে পারে না [তিরমিজী, আহমাদ, হাকিম, ইবনি হিব্বান]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১৩

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ চোগলখোর কখনো বিশ্বস্ত হইতে পারে না [তিরমিজী, আহমাদ]।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩১৪

আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

মুমিন ব্যক্তির চরিত্রের সর্বাপেক্ষা কষ্টদায়ক বিষয় হলো অশ্লীলতা [ইবনি হিব্বান]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১৫

আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

অভিশাপকারীরা অভিশপ্ত। মারওয়ান বলেন, যারা মানুষকে অভিশাপ দেয় [তারা অভিশাপকারী]।

অভিশাপ সম্পর্কে হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৪৬. অনুচ্ছেদঃ অভিশাপকারী।

৩১৬

আবু দারদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ অভিশাপকারীরা কিয়ামতের দিন সাক্ষ্যদাতা ও সুপারিশকারী হইতে পারবে না [মুসলিম, আবু দাউদ, হাকিম, ইবনি হিব্বান]]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১৭

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পরম সত্যবাদীর পক্ষে অভিসম্পাতকারী হওয়া শোভনীয় নয় [মুসলিম, হাকিম]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১৮

হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

কোন সম্প্রদায় পরস্পরের প্রতি অভিসম্পাত করলে তাহাদের জন্য অভিশাপ অবধারিত হয়ে যায়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৭. অনুচ্ছেদঃ কেউ নিজ গোলামকে অভিশাপ দিলে যেন তাকে আযাদ করে দেয়।

৩১৯

আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আবু বাকর [রাঃআঃ] তার কোন গোলামকে অভিসম্পাত করেন। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ হে আবু বাকর! কাবার প্রভুর শপথ! একই ব্যক্তি একই সাথে পরম সত্যবাদী ও অভিসম্পাতকারী হইতে পারে না। তিনি দুই বা তিনবার একথা বলেন। আবু বাকর [রাহিমাহুল্লাহ] সেদিনই ঐ

গোলামকে আযাদ করে দেন এবং নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলেন, আমি আর কখনো এরূপ আচরণ করবো না [বাযযার]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৮. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর অভিশাপ, আল্লাহর ক্রোধ এবং আগুন দ্বারা অভিশাপ দেয়া।

৩২০

সামুরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা পরস্পরকে আল্লাহর অভিশাপ, আল্লাহর ক্রোধ এবং আগুনের দ্বারা অভিসম্পাত করো না [দারিমি, তিরমিজী]।

অভিশাপ সম্পর্কে হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৪৯. অনুচ্ছেদঃ কাফেরদেরকে অভিসম্পাত করা।

৩২১

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

বলা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ! মুশরিকদের বদদোয়া করুন। তিনি বলেনঃ আমি অভিশাপকারীরূপে প্রেরিত হইনি। বরং আমি করুণারূপে প্রেরিত হয়েছি [মুসলিম]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

Comments

Leave a Reply