কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি গালাজ করা নিষিদ্ধ
কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি গালাজ করা নিষিদ্ধ >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ২৬৬ : কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ بِغَيۡرِ مَا ٱكۡتَسَبُواْ فَقَدِ ٱحۡتَمَلُواْ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ٥٨ ﴾ [الاحزاب : ٥٨]
অর্থাৎ যারা বিনা অপরাধে ঈমানদার পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। [সূরা আহযাব ৫৮ আয়াত]
1/1567 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتالُهُ كُفْرٌ». متفق عَلَيْهِ
১/১৫৬৭। ইবনি মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সাথে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি।’’ [বুখারী ও মুসলিম] [1]
2/1568 وَعَنْ أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ : «لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالفِسْقِ أَوِ الكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كذَلِكَ» . رواه البخاري
২/১৫৬৮। আবূ যার্র রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে তিনি এ কথা বলিতে শুনেছেন যে, ‘‘যখন কোন মানুষ অন্য মানুষের প্রতি ‘ফাসেক’ অথবা ‘কাফের’ বলে অপবাদ দেয়, তখনই তা তার উপরেই বর্তায়; যদি তার প্রতিপক্ষ তা না হয়।’’ [বুখারী] [2]
3/1569 وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «المُتَسَابَّانِ مَا قَالاَ فَعَلَى البَادِي مِنهُمَا حَتَّى يَعْتَدِي المَظْلُومُ». رواه مسلم
৩/১৫৬৯। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আপোষে গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কুবাক্য উচ্চারণ করে, সে সব তাহাদের মধ্যে সূচনাকারীর উপরে বর্তায়; যতক্ষণ না অত্যাচারিত ব্যক্তি [প্রতিশোধ গ্রহণে] সীমা অতিক্রম করে।’’ [মুসলিম] [3]
4/1570 وَعَنْهُ، قَالَ: أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ قَدْ شرِبَ قَالَ: «اِضرِبُوهُ». قَالَ أَبُو هُرَيرَةَ رضي الله عنه : فَمِنَّا الضَّارِبُ بيَدِهِ، وَالضَّارِبُ بِنَعْلِهِ، وَالضَّارِبُ بِثَوْبِهِ . فَلَمَّا انْصَرَفَ، قَالَ بَعْضُ القَوْمِ : أَخْزَاكَ اللهُ ! قَالَ: «لا تَقُولُوا هَذَا، لاَ تُعِينُوا عَلَيْهِ الشَّيْطَان» . رواه البخاري
৪/১৫৭০। উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদ পান করেছে এমন এক ব্যক্তিকে নবী সাঃআঃ-এর নিকট হাজির করা হল। তিনি আদেশ দিলেন, ‘ওকে তোমরা মার।’ আবূ হুরায়রা বলেন, [তাহাঁর আদেশ অনুযায়ী আমরা তাকে মারতে আরম্ভ করলাম।] আমাদের কেউ তাকে হাত দ্বারা মারতে লাগল, কেউ আপন জুতা দ্বারা, কেউ নিজ কাপড় দ্বারা। অতঃপর যখন সে ফিরে যেতে লাগল, তখন কিছু লোক বলে উঠল, ‘আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুক।’ তা শুনে নবী সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘এরূপ বলো না এবং ওর বিরুদ্ধে শয়তানকে সহযোগিতা করো না।’’ [বুখারী] [4]
5/1571 وَعَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ : «مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ بِالزِّنَى يُقَامُ عَلَيْهِ الحَدُّ يَومَ القِيَامَةِ، إِلاَّ أَنْ يَكُونَ كَمَا قَالَ». متفق عَلَيْهِ
৫/১৫৭১। উক্ত রাবী হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি নিজ মালিকানাধীন দাসের উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেবে, কিয়ামতের দিন তার উপর হদ [দণ্ডবিধি] প্রয়োগ করা হইবে। তবে সে যা বলেছে, দাস যদি তাই হয় [তাহলে ভিন্ন কথা।]’’ [বুখারী ও মুসলিম] [5]
[1] সহীহুল বুখারী ৪৮, ৬০৪৫, ৭০৭৬, মুসলিম ৬৪, তিরমিযী ১৯৮৩, ২৬৩৪, ২৬৩৫, নাসায়ী ৪১০৫, ৪১০৬, ৪১০৮-৪১১৩, ইবনু মাজাহ ৬৯, ৩৮৯৩, ৩৯৪৭, ৪১১৫, ৪১৬৭, ৪২৫০, ৪৩৩২, ৪৩৮০
[2] সহীহুল বুখারী ৬০৪৫, মুসলিম ৬১, আহমাদ ২০৯৫৪, ২১০৬১
[3] মুসলিম ২৫৮৭, আহমাদ ৭১৬৪, ৯৯৫৬, ১০৩২৫
[4] সহীহুল বুখারী ৬৭৭৭, ৬৭৮১, আবূ দাউদ ৪৪৭৭, আহমাদ ৭৯২৬
[5] সহীহুল বুখারী ৬৮৫৮, মুসলিম ১৬৬০, তিরমিযী ১৯৪৭, আবূ দাউদ ৫১৬৫, আহমাদ ৯২৮৩, ১০১১০
Leave a Reply