সেহরি ও ইফতারের সময় – রোযাহার নিয়াতে বিলম্ব করা যায়
সেহরি ও ইফতারের সময় – রোযাহার নিয়াতে বিলম্ব করা যায় >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৭, অধ্যায়ঃ (২২-২৭)=৬টি
৭/২২. অধ্যায়ঃ সাহরী খাওয়া
৭/২৩. অধ্যায়ঃ বিলম্বে সাহরী খাওয়া
৭/২৪. অধ্যায়ঃ যথাসময়ে ইফতাহার করা
৭/২৫. অধ্যায়ঃ যা দিয়ে ইফতাহার করা মুস্তাহাব
৭/২৬. অধ্যায়ঃ রাত থাকতে ফরদ রোযাহার নিয়াত করা এবং নফল রোযাহার নিয়াতে বিলম্ব করা যায়।
৭/২৭. অধ্যায়ঃ রোযা রাখতে ইচ্ছুক ব্যক্তির অপবিত্র অবস্থায় ভোর হলে।
৭/২২. অধ্যায়ঃ সাহরী খাওয়া
১৬৯২ আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাবে। কেননা সাহরীতে বরকত আছে। {১৬৯২}
{১৬৯২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫, তিরমিজি ৭০৮, নাসাঈ ২১৪৬, আহমাদ ১১৫৩৯, ১২৮৩৩, ১২৯৭৭, ১৩১৩৯, ১৩২৯৩, ১৩৫৮১, দারেমী ১৬৯৬, বায়হাকী ৩/৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৩ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, তোমরা সাহরী খাওয়ার মাধ্যমে দিনে রোযা রাখার জন্য এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতে নামায পড়ার জন্য সাহায্য গ্রহণ করো। {১৬৯৩}
{১৬৯৩} তালীকুর রগীব ২/৯৩, যঈফাহ ২৭৫৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি যামআহ বিন সালিহ সম্পর্কে ইবনি আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ঈমাম বুখারী বলেন, তিনি সহীহ হাদিসের বিপরীত বর্ণনা করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২০০৩, ৯/৩৮৬ নং পৃষ্ঠা] হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৭/২৩. অধ্যায়ঃ বিলম্বে সাহরী খাওয়া
১৬৯৪ যায়িদ বিন সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমরা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে সাহরী খেলাম, এরপর সালাতে দাঁড়ালাম। রাবী কাতাদাহ [রাদি.] বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, সাহরী ও সলাতের মধ্যে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বলেন, পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করার পরিমাণ সময়। {১৬৯৪}
{১৬৯৪} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৭৫, ১৯২১, মুসলিম ১০৯৭, তিরমিজি ৭০৩, নাসাঈ ২১৫৫, ২১৫৬, আহমাদ ২১০৮৫, দারেমী ১৬৯৫, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৫ হুযায়ফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে বলিতে গেলে দিনেই সাহরী খেয়েছি, পার্থক্য এতটুকু যে, তখনও সূর্য উদিত হয়নি। {১৬৯৫}
{১৬৯৫} নাসাঈ ২১৫২, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি আসিম বিন বাহদালাহ সম্পর্কে আবু বকর আল বাযযাহার বলেন, তিনি হাফিয ছিলেন না, তাহার হাদিস কেউ বর্জন করিয়াছেন এমন কাউকে পাওয়া যায় না। আবু জাফার আল উকায়লী বলেন, তাহার স্মৃতিশক্তি দুর্বল ছাড়া তাহার মাঝে অন্য কোন দোষ পায়নি। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। ইসমাইল বিন উলায়্যাহ বলেন, তাহার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে, তাহার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩০০২, ১৩/৪৭৩ নং পৃষ্ঠা]।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৬৯৬ আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে তাহার সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কেননা সে তোমাদের ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগাবার বা সতর্ক করার জন্য এবং তোমাদের সলাতীকে সলাতে রত বা অবসর হওয়ার জন্য আযান দিয়ে থাকে। আর এ সময়কে ফজর বলা হয় না, বরং উর্ধাকাশে আড়াআড়িভাবে সাদা আভা প্রকাশ পাওয়াই ফজর। {১৬৯৬}
{১৬৯৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬২১, ৫২৯৯, ৭২৪৭, মুসলিম ১০৯৩, নাসাঈ ৬৪১, ২১৭০,আবু দাউদ ২৩৪৭ আহমাদ ৩৬৪৬, ৩৭০৯, ৪১৩৬, সহীহ আবু দাউদ ২০৩২, ইরওয়াহ ৪/৩১, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৭/২৪. অধ্যায়ঃ যথাসময়ে ইফতাহার করা
১৬৯৭ সাহল বিন সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, মানুষ কল্যাণের সাথে থাকিবে, যাবত তাহারা জলদি [যথাসময়ে] ইফতাহার করিতে থাকিবে। {১৬৯৭}
{১৬৯৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮ তিরমিজি ৬৯৯, আহমাদ ২২২৯৮, ২২৩২১, ২২৩৩৯, ২২৩৫২, ২২৩৬৩, মুয়াত্তা মালিক ৬৩৮, দারেমী ১৬৯৯, ইরওয়াহ ৯১৭, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৯৮ আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যাবত লোকেরা যথাসময়ে ইফতাহার করিবে তাবত তাহারা কল্যাণের সাথে থাকিবে। তাই তোমরা যথাসময়ে ইফতাহার করো। কারণ ইহুদীরা বিলম্বে ইফতাহার করে। {১৬৯৮}
{১৬৯৮} আবু দাউদ ২৩৫৩, আহমাদ ২৭২১৮, মিশকাত ১৯৯৫, সহীহ আবু দাউদ ২০৩৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ঈমাম যাহাবী বলেন তাহার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ঈমাম দারাকুতনী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা]হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৭/২৫. অধ্যায়ঃ যা দিয়ে ইফতাহার করা মুস্তাহাব
১৬৯৯ সালমান বিন আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ ইফতাহার করিলে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতাহার করে। সে খেজুর না পেলে যেন পানি দিয়ে ইফতাহার করে। কারণ তা পবিত্র। {১৬৯৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ, আর সহীহ হলো নবী [সাঃআঃ] এর কর্ম ছিলো। {১৬৯৯} তিরমিজি ৬৫৮, ৬৯৫, আবু দাউদ ২৩৫৫ আহমাদ ১৫৭৯২ , ১৫৭৯৮, ১৭৪১৪, ১৭৪১৭, ১৭৪৩০, দারেমী ১৭০১, ইরওয়াহ ৯২২, জইফ আবু দাউদ ৪০৫, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ, আর সহীহ হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কার্য ছিল। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা] ২. রাবাব উম্মু রায়িহ সুলায় সম্পর্কে ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি অজ্ঞাত ব্যাক্তি। তাহার থেকে হাফসাহ ব্যাতিত কেউ হাদিস বর্ণনা করেনি। আল্লামা আলবানী সানাদের বর্ণনা কারী রাবাব সম্পর্কে আপত্তি তুলেছেন এবং যারা হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন, রাবাব থাকার কারণে তিনি তা সমালোচনা করিয়াছেন। ঈমাম যাহাবী বলেন, হাফসাহ থেকে বর্ণিত রেওয়াতটি ছাড়া তাহাকে চিনা যায় না। ইবনি হাজার আল-আসকালনী তাহাকে মাকবুল হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭৮৩৬, ৩৫/১৭১ নং পৃষ্ঠা]।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৭/২৬. অধ্যায়ঃ রাত থাকতে ফরদ রোযাহার নিয়াত করা এবং নফল রোযাহার নিয়াতে বিলম্ব করা যায়।
১৭০০ হাফসাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত থাকতে ফরদ রোযাহার নিয়াত করিল না তাহার রোযা হয়নি। {১৭০০}
{১৭০০} তিরমিজি ৭৩০,নাসাঈ ২৩৩১, ২৩৩২, ২৩৩৩, ২৩৩৪, ২৩৩৫, ২৩৩৬, ২৩৩৭, ২৩৩৮, ২৩৩৯, ২৩৪০, ২৩৪১, আবু দাউদ ২৪৫৪,মাজাহ ১৭০০, আহমাদ ২৫৯১৮, মুয়াত্তা মালিক ৬৩৭, দারেমী ১৬৯৮, ইরওয়াহ ৭১৪, সহীহ, আবু দাউদ ২১১৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. খালিদ বিন মাখলাদ আল-কাতওয়ানী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল জুরজানী বলেন, ইনশাআল্লাহ্ আমার আমার নিকট তাহার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ঈমাম যাহাবী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হইবে না। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৫২, ৮/১৬৩ নং পৃষ্ঠা] ২. ইসহাক বিন হাযিম সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল আযদী বলেন, তিনি কাদিরিয়া মতাবলম্বী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তাহার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তাহার কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ আছে। ঈমাম যাহাবী ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৮, ২/৪১৭ নং পৃষ্ঠা]হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০১ আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার নিকট এসে বলেন, তোমাদের কাছে [আহার করার মত] কিছু আছে কি? আমরা বললাম, না। তিনি বলেন, তাহলে আমি রোযা রাখলাম। অতঃপর তিনি রোযা অবস্থায় থাকেন। আমাদের নিকট কিছু হাদিয়া এলে তিনি রোযা ভঙ্গ করেন। আয়িশা [রাদি.] বলেন, তিনি কখনো রোযা রাখতেন আবার কখনো রোযা রাখতেন না। রাবী মুজাহিদ [রাদি.] বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা কিভাবে? আয়িশা [রাদি.] বলেন, তাহার দৃষ্টান্ত এরূপ যে, কোন ব্যক্তি সদকার মাল নিয়ে দান করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে এর কিছু অংশ দান করে, আর কিছু অংশ রেখে দেয়। {১৭০১}
{১৭০১} মুসলিম ১১৫৪, আবু দাউদ ২৪৫৫, ইরওয়াহ ৪/১৩৫, ১৩৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। ইসমাইল বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু শিয়া মতাবলম্বী। ইবনি হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন ও তাহার রাফিদি মতাবলম্বী। হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা] ২. তালহাহ বিন ইয়াহইয়া বিন তালহাহ বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৮৪, ১৩/৪৪১ নং পৃষ্ঠা]হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৭/২৭. অধ্যায়ঃ রোযা রাখতে ইচ্ছুক ব্যক্তির অপবিত্র অবস্থায় ভোর হলে।
১৭০২ আবদুল্লাহ বিন আম্র আল-কারী [মাকবূল] হইতে বর্ণীতঃ
আমি আবু হুরাইরা [রাদি.] কে বলিতে শুনিয়াছি, না, কাবার প্রভুর শপথ! এ কথা আমি বলছি নাঃ “যে ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হলো সে রোযা ভঙ্গ করুক”। বরং মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ কথা বলেছেন। {১৭০২}
{১৭০২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৯২৫, মুসলিম ১১০৯, মুয়াত্তা মালিক ৬৪৩, সহীহাহ ৩/১১, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০৩ আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] নাপাক অবস্থায় রাতে ঘুমাতেন। অতঃপর বিলাল [রাদি.] তাহাঁর নিকট এসে তাহাঁকে সলাতের জন্য ডাকতেন। তখন তিনি উঠে গোসল করিতেন। আমি তাহাঁর মাথা থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়তে দেখেছি। তাহারপর তিনি বের হয়ে যেতেন এবং ফজরের সলাতে আমি তাহাঁর কন্ঠস্বর শুনতে পেতাম। মুতাহাররিফ [রাদি.] বলেন, আমি আমির [রাদি.]-কে বললাম, তা কি রমাদানে? তিনি বলেন, রমজান ও অন্য মাস একই সমান। {১৭০৩}
{১৭০৩} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৯২৬, ১৯৩০, ১৯৩২,মুসলিম ১১০৯, ১১১০, তিরমিজি ৭৭৯, আবু দাউদ ২৩৮৮, ২৩৮৯, আহমাদ ২৩৫৪২, ২৩৫৫৪, ২৩৫৮৪, ২৩৮৬৪, ২৩৯০৮, ২৪১৬০, ২৪১৮৪, ২৪২৯৫, ২৪৭০০, ২৪৯৬৬, ২৪৯৮১, ২৫১৪৫, ২৫২৭৩, ২৫৩২৫, ২৫৩৯১, ২৫৫৫১, ২৫৬৬০, ২৫৭৬৬, ২৫৮৪০, ২৫৮৫৯, ২৫৯৪২, ২৬০৮৪, ২৬১২১, ২৬১২৪, মুয়াত্তা মালিক ৬৪১, ৬৪২, ৬৪৩,৬৪৪ দারেমী ১৭২৫, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা]হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭০৪ নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আমি উম্মু সালামাহ [রাদি.] এর নিকট জানতে চাইলাম যে, এক ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হলো, সে রোযা রাখতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্বপ্নদোষজনিত নয়, বরং সহবাসজনিত নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হইতেন, অতঃপর গোসল করিতেন এবং তাহাঁর রোযা পূর্ণ করিতেন। {১৭০৪}
{১৭০৪} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৯২৬, ১৯৩২, মুসলিম ১১০৯, তি৭৭৯ আবু দাউদ ২৩৮৮, আহমাদ ২৩৫৪২, ২৩৫৫৪, ২৪৯৮১, ২৫১৪৫, ২৫৫৫১, ২৫৯৪২, ২৬০৫৪, ২৬০৬৯, ২৬০৮৪, ২৬১০৮, ২৬১২১, ২৬১২৪, ২৬২০৫, ৬৪২, ৬৪৩, ৬৪৪, দারেমী ১৭২৫, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ্। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply