সালামের উত্তর দেওয়া , করমর্দন করা ও অনুমতি প্রার্থনা

সালামের উত্তর দেওয়া , করমর্দন করা ও অনুমতি প্রার্থনা

সালামের উত্তর দেওয়া , করমর্দন করা ও অনুমতি প্রার্থনা >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৩৩, অধ্যায়ঃ (১১-১৯)=৯টি

১১. অধ্যায়ঃ সালামের প্রসার ঘটানো
১২. অধ্যায়ঃ সালামের উত্তর দেয়া
১৩. অধ্যায়ঃ যিম্মীদের সালামের উত্তর দেয়া
১৪. অধ্যায়ঃ শিশু ও নারীদের সালাম করা
১৫. অধ্যায়ঃ মুসাফাহা [করমর্দন] করা
১৬. অধ্যায়ঃ একে অপরের হাতে চুমা দেয়া
১৭. অধ্যায়ঃ অনুমতি প্রার্থনা
১৮. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার রাত কেমন গেলো?
১৯. অধ্যায়ঃ তোমাদের নিকট কোন সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তি এলে তোমরা তাহার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করিবে

১১. অধ্যায়ঃ সালামের প্রসার ঘটানো

৩৬৯২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাহাঁর শপথ! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে না এবং তোমরা পরস্পরকে মহব্বত না করা পর্যন্ত ঈমানদার হইতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিসের প্রতি পথনির্দেশ দিবো না যা করিলে তোমরা পরস্পরকে মহব্বত করিবে? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও। {৩০২৪}

{৩০২৪} মুসলিম ৮১, তিরমিজি ২৬৮৮, আহমাদ ৮৮৪১, ৯৪১৬, ২৭৩১৪, ১০২৭২। ইরওয়া ৭৭৭।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৯৩. আবু উমামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন সালামের প্রসার ঘটাই। {৩০২৫}

{৩০২৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৯৪. আবদুল্লাহ বিন আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা দয়াময় রহমানের ইবাদত করো এবং সালামের প্রসার ঘটাও। {৩০২৬}

{৩০২৬} তিরমিজি ১৮৫৫, আহমাদ ৬৫৫১, ৬৮০৯, দারেমী ২০৮১। ইরওয়া ৩/২৩৯, সহীহাহ ৫৭১।. ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২. অধ্যায়ঃ সালামের উত্তর দেয়া

৩৬৯৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করিল এবং রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন মসজিদের এক কোণে উপবিষ্ট ছিলেন। সে নামায পড়ার পর এসে

سَلَّمَ

সালাম করিল। তিনি উত্তরে বলেনঃ

وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ

তোমার প্রতিও সালাম। {৩০২৭}

{৩০২৭} বুখারী ৭৫৭, ৭৯৩, ৬২৫১, ৬৬৬৭, মুসলিম ৬০২, তিরমিজি ৩০৩, নাসাঈ ৮৮৪, আবু দাঊদ ৮৫৬, আহমাদ ৯৩৫২।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৯৬. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে বলিলেন, জিবরাঈল [আঃ] তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। আয়েশা [রাদি.] বলেন, তাহাঁর প্রতিও সালাম এবং আল্লাহর রহমত। {৩০২৮}

{৩০২৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩২১৭, ৩৭৬৮, ৬২০১, ৬২৪৯, ৬২৫৩, মুসলিম ২৪৪৭, তিরমিজি ২৬৯৩,৩৮৮১, ৩৮৮২, নাসাঈ ৩৯৫২, ৩৯৫৩, ৩৯৫৪, আবু দাঊদ ৫৩৩২, আহমাদ ২৩৭৬০, ২৩৯৪১, ২৪০৫৩, ২৪২৯৪, ২৪৩৩৬, ২৪৬০৭, ২৪৬৪৭, ২৫৩৫২ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৩. অধ্যায়ঃ যিম্মীদের সালামের উত্তর দেয়া

৩৬৯৭. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আহলে কিতাবের কেউ তোমাদের সালাম দিলে তোমরা বলবে,

وَعَلَيْكُمْ

ওয়া আলায়কুম [তোমাদের প্রতিও]। {৩০২৯}

{৩০২৯} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬২৫৮, ৬৯২৬, মুসলিম ২১৬৩, তিরমিজি ৩৩০১, আবু দাঊদ ৫২০৭, আহমাদ ১১৫৩৭, ১২০১৯, ১২০৫৮, ১২৭৯৯, ১২৮২৮, ১৩০৪৭, ১৩৩৫৫। ইরওয়া ৫/১১৭।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৯৮. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট একদল ইহুদী এসে বলল,

السَّامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ

আস-সামু আলায়কা ইয়া আবুল কাসিম! [হে আবুল কাসিম! তোমার মৃত্যু হোক]।

তিনি উত্তরে বলেনঃ

وَعَلَيْكُمْ

ওয়া আলাইকুম [তোমাদের মৃত্যু হোক]। {৩০৩০}

{৩০৩০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৯৩৫,৬০২৪, ৬২৫৬, ৬৩৯৫, ৬৯২৭, মুসলিম ২১৬৫, তিরমিজি ২৭০১, আহমাদ ২৩৫৭০, ২৪৩৩০, ২৪৫০৮, ২৫১০৫, ২৫৩৯৩।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৯৯. আবু আবদুর রহমান আল-জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আগামী কাল আমি জন্তুযানে করে ইহুদীদের লোকালয়ে যাবো। তোমরা আগে তাহাদের সালাম করো না। তাহারা তোমাদেরকে সালাম করিলে তোমরা বলবে,

وَعَلَيْكُمْ

ওয়া আলায়কুম [তোমাদের প্রতি]। {৩০৩১}

{৩০৩১} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। ইরওয়া ৫/১১২, ১১৩, ১২৭৫।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪. অধ্যায়ঃ শিশু ও নারীদের সালাম করা

৩৭০০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের এখানে আসলেন, আমরা ছিলাম বালক। তিনি আমাদের সালাম দিলেন। {৩০৩২}

{৩০৩২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬২৪৭, মুসলিম ২১৬৮, তিরমিজি ২৬৯৬, আবু দাঊদ ৫২০২, ৫২০৩, আহমাদ ১১৯২৮, ১২৩১৩, ১২৬১০, দারেমী ২৬৩৬।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭০১. আসমা বিনতু ইয়াযীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের মহিলাদের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের সালাম দিয়েছেন। {৩০৩৩}

{৩০৩৩} তিরমিজি ২৬৯৭, আবু দাঊদ ৫২০৪, আহমাদ ২৭০১৪, দারেমী ২৬৩৭। সহীহাহ ৮২৩, হিজাবুল মাবআহ ৯৯, ১০০। ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫. অধ্যায়ঃ মুসাফাহা [করমর্দন] করা

৩৭০২. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি [পারস্পরিক সাক্ষাতে] একে অপরের সামনে মাথা ঝুঁকাবো? তিনি বলেনঃ না। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আমরা কি পরস্পর মুআনাকা [আলিঙ্গন] করিব? তিনি বলেনঃ না, বরং তোমরা পরস্পর মুসাফাহা করো। {৩০৩৪}

{৩০৩৪} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। সহীহাহ ১৬০।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৭০৩. বারা বিন আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুজন মুসলমান পারস্পরিক সাক্ষাতে মুসাফাহা করিলে তাহারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাহাদের ক্ষমা করা হয়। {৩০৩৫}

{৩০৩৫} তিরমিজি ২৭২৭, আবু দাঊদ ৫২১১। সহীহাহ ৫২৫,৫২৬।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৬. অধ্যায়ঃ একে অপরের হাতে চুমা দেয়া

৩৭০৪. ইবনূ উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী [সাঃআঃ]-এর হাতে চুমা দিয়াছি। {৩০৩৬}

৩০৩৬. আবু দাউদ ৫২২৩, আহমাদ ৫৩৬১।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৭০৫. সাফওয়ান বিন আসসাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদল ইহুদী নবী [সাঃআঃ]-এর হাতে ও পদদ্বয়ে চুমা দিয়াছিল। {৩০৩৭}

{৩০৩৭} তিরমিজি ২৭৩৩।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৭. অধ্যায়ঃ অনুমতি প্রার্থনা

৩৭০৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু মুসা [রাদি.] উমার [রাদি.] এর নিকট তিনবার অনুমতি চাইলেন, কিন্তু তিনি অনুমতি পেলেন না। তাই তিনি ফিরে গেলেন। উমার [রাদি.] তাহার নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করিলেন, আপনার ফিরে যাওয়ার কারন কী? তিনি বলেন, আমি অনুমতি প্রার্থনা করেছি যেভাবে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে তিনবার অনুমতি প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদেরকে অনুমতি দেয়া হলে আমরা প্রবেশ করেছি এবং অনুমতি না দেয়া হলে ফিরে গেছি। আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] বলেন, উমার [রাদি.] বলিলেন, এ বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে আমার নিকট সাক্ষী পেশ করিতে হইবে। অন্যথায় আমি অবশ্যই একটা কিছু করিব [আপনাকে শাস্তি দিবো]। আবু মুসা [রাদি.] তাহার সম্প্রদায়ের সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাহাদের সাক্ষ্য তলব করেন। তাহারা তাহার পক্ষে সাক্ষ্য দিলে উমার [রাদি.] তাহার পথ ছেড়ে দেন। {৩০৩৮}

{৩০৩৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২০৬২, মুসলিম ২১৫৪, তিরমিজি ২৬৯০, আবু দাঊদ ৫১৮০, ৫১৮১, ১০৬৪৬, ১০৬৬১, ১৯০১৬, ১৯০৬২, ১৯০৮৪, ১৯১১৪, ১৯১৭৮, ১৯২৫১, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৯৮, দারেমী ২৬২৯।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭০৭. আবু আইউব আল-আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই সালাম তো বুঝলাম, কিন্তু অনুমতি প্রার্থনা কী? তিনি বলেনঃ আগন্তুক মুখে আল্লাহর গুণগান, মহত্ব ও প্রশংসাবাক্য উচ্চারণ করে বা গলা খাকারি দিয়ে বাড়ির লোকজনের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করিবে। {৩০৩৯}

{৩০৩৯} নাসাঈ ১২১১, ১২১২, ১২১৩, আহমাদ ২০৯, ৬৪৮।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৭০৮. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আমার হাজির হওয়ার দুটি সময় নির্দিষ্ট ছিলো ঃ রাতে একবার এবং দিনে একবার। আমি তাহাঁর নিকট তাহাঁর নামাযরত অবস্থায় উপস্থিত হলে তিনি আমার উদ্দেশে গলা খাঁকারি দিতেন। {৩০৪০}

{৩০৪০} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৭০৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন ঃ কে? আমি বললাম, আমি। তখন নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি! আমি [নাম বলিতে পারো না]! {৩০৪১}

{৩০৪১} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬২৫০, মুসলিম ২১৫৫, তিরমিজি ২৭১১, আবু দাউদ ৫১৮৭, আহমাদ ১৩৭৭৩, ১৪০৩০, ১৪৪৯৩, দারেমী ২৬৩০।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার রাত কেমন গেলো?

৩৭১০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার রাত কেমন গেলো? তিনি বলেনঃ ভালোভাবেই কেটেছে, সেই লোকের চেয়ে যে রোযা অবস্থায় প্রভাত করেনি এবং রুগ্ন ব্যক্তিকেও দেখিতে যায়নি। {৩০৪২}

{৩০৪২} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৭১১. আবু উসাইদ মালিক বিন রাবীআহ আস-সাইদী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব [রাদি.]-র ওখানে প্রবেশ করে তাহাঁকে বলেনঃ

السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ

আসসালামু আলায়কুম। তাহারা উত্তরে বলেন,

وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ

ওয়া আলাইকাস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন ঃ তোমাদের রাত কেমন গেলো? তাহারা বলেন, ভালোভাবেই কেটেছে, আল্লাহর প্রশংসা করছি। হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। আপনার রাত কেমন কেটেছে? তিনি বলেনঃ আল্লাহর প্রশংসা করছি, আমার রাতও ভালোই কেটেছে। {৩০৪৩}

{৩০৪৩} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৯. অধ্যায়ঃ তোমাদের নিকট কোন সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তি এলে তোমরা তাহার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করিবে

৩৭১২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের নিকট কোন সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তি এলে তোমরা তাহাকে যথাযথ সম্মান করো। {৩০৪৪}

{৩০৪৪} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। সহীহাহ ১২০৫, রাওদুন নাদীর ২৬৮।ইবনে মাজাহ সালামের উত্তর দেওয়া হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply