স্বামী, স্ত্রি, সন্তান, পিতার সম্পদের হক – গবাদি পশু পালন

স্বামী, স্ত্রি, সন্তান, পিতার সম্পদের হক – গবাদি পশু পালন

স্বামী, স্ত্রি, সন্তান, পিতার সম্পদের হক – গবাদি পশু পালন >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ১২, অধ্যায়ঃ (৬৩-৬৯)=৭টি

১২/৬৩. অধ্যায়ঃ শারীকাত [অংশিদারী] ও মুদারাবা ব্যবসা।
১২/৬৪. অধ্যায়ঃ সন্তানের সম্পদে পিতার হক।
১২/৬৫. অধ্যায়ঃ স্বামীর সম্পদে স্ত্রীর হক।
১২/৬৬. অধ্যায়ঃ গোলামের কাউকে কিছু দেয়া এবং দান করার অধিকার প্রসঙ্গে।
১২/৬৭. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তি কারো গবাদি পশু বা ফলের বাগান অতিক্রম করাকালে তা থেকে কিছু [দুধ বা ফল] নিতে পারবে কিনা?
১২/৬৮. অধ্যায়ঃ মালিকের অনুমতি ব্যতীত কিছু নেয়া নিষেধ।
১২/৬৯. অধ্যায়ঃ গবাদি পশু পালন

১২/৬৩. অধ্যায়ঃ শারীকাত [অংশিদারী] ও মুদারাবা ব্যবসা।

২২৮৭. আস-সাইব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি নাবী [সাঃআঃ] কে বলেন, জাহিলী যুগে আপনি আমার অংশীদার ছিলেন এবং সর্বোত্তম অংশীদার ছিলেন। না আপনি কখনো আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আর না আমার সাথে বিবাদ করেছেন। {২২৮৭}

{২২৮৭} আবু দাউদ ৪৮৩৬, আত-তালীকু আলার-রাওদ ২/১৪০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম বিন মুহাজির সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হিফয শক্তি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ তাহাকে দুর্বল বলিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০, ২/২২১ নং পৃষ্ঠা]সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৮৮. আবদুল্লাহ [বিন মাসউদ] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন সাদ [রাদি.], আম্মার [রাদি.] ও আমি গণিমতের মালের ব্যাপারে অংশীদার হই [এই মর্মে যে, আমরা যা পাবো তা তিনজনে ভাগ করে নিবো]। আম্মার ও আমি কিছুই আনতে পারিনি। অবশ্য সাদ [রাদি.] দুজন যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসেন। {২২৮৮}

{২২৮৮} নাসায়ী ৪৬৯৭, আবু দাউদ ৩৩৮৮, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৪, ইরওয়া ১৪৭৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু উবায়দাহ আবদুল্লাহ বিন মাসউদ এর ছেলে। তিনি তার পিতা থেকে হাদিসটি শ্রবন করেননি।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২৮৯. সুহায়ব বিন সিনান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, তিনটি জিনিসের মধ্যে বরকত রয়েছেঃ মেয়াদ নির্দিষ্ট করে ক্রয়-বিক্রয়, মুকারাযা ব্যবসা এবং পারিবারিক প্রয়োজনে গমে যব মিশানো, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়। {২২৮৯}

{২২৮৯} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ২১০০, যইফ আল-জামি ২৫২৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ১. নাসর ইবনিল কাসিম সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ঈমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস বানোয়াট। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৪০৯, ২৯/৩৬৫ নং পৃষ্ঠা] ২. আব্দুর রহমান বিন দাউদ সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালানী ও ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তিনি অপরিচিত ও তার হাদিস অরক্ষিত। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪০৫, ১৮/৩৩ নং পৃষ্ঠা] ৩. সালিহ বিন সুহায়ব সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি অপরিচিত। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৮২০, ১৩/৬০ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ খুবই দুর্বল

১২/৬৪. অধ্যায়ঃ সন্তানের সম্পদে পিতার হক।

২২৯০. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা যা ভোগ-ব্যবহার করো তার মধ্যে উত্তম হলো তোমাদের নিজস্ব শ্রমের উপার্জন। আর তোমাদের সন্তানও তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। {২২৯০}

তাহকিক আলবানীঃ সহিহ। হাদিসটি সহিহ কিন্তু উমারাহ বিন উমায়র এর চাচার জাহালাতের কারনে সনদটি দুর্বল; কেননা কেউ তাহাকে তাওসীক করেন নি [সিকাহ বলেননি]।{২২৯০} মাজাহ ২১৩৭, নাসায়ী ৪৪৪৯, ৪৪৫০, ৪৪৫১, ৪৪৫২, আবু দাউদ ৩৫২৮, ৩৫২৯, আহমাদ ২৩৫১২, ২৩৬১৫, ২৪৪৩০, ২৪৪৩৬, ২৪৭৬৮, ২৪৮৭২, ২৫০৮৩, ২৫১২৬, ২৫১৪০, ২৫৩১৭, দারেমী ২৫৩৭, ইরওয়া ১৬২৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। হাদিসটি সহিহ কিন্তু উমারাহ বিন উমায়র এর চাচার জাহালাতের কারণে সনদটি দুর্বল। কেননা তাহাকে কেউ তাওসীক করেন নি [সিকাহ বলেনি]।হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য

২২৯১. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আমার সম্পদও আছে, সন্তানও আছে। আমার পিতা আমার সম্পদের মুখাপেক্ষী। তিনি[সাঃআঃ] বলেনঃ তুমি ও তোমার সম্পদ সবই তোমার পিতার। {২২৯১}

{২২৯১} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ৮৩৮, রাওদুন নাদীর ১৯৫, ৬০৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৯২. আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বললো, আমার পিতা আমার সম্পদ শেষ করে দিয়েছে প্রায়। তিনি বলেন, তুমি ও তোমার সম্পদ তোমার পিতার জন্য। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আরো বলেন, তোমাদের সন্তান তোমাদের উত্তম উপার্জন। অতএব তোমরা তাহাদের সম্পদ থেকে ভোগ করিতে পারো। {২২৯২}

{২২৯২} আবু দাউদ ৩৫৩০, আহমাদ ৬৬৪০, ৬৭৬৩, ৬৯৬২, মিশকাত ৩৩৫৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/৬৫. অধ্যায়ঃ স্বামীর সম্পদে স্ত্রীর হক।

২২৯৩. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

[আবু সুফিয়ানের স্ত্রী] হিন্‌দ নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আবু সুফিয়ান খুবই কৃপণ লোক। সে আমার ও আমার সন্তানের জীবন ধারণে যথেষ্ট হওয়ার মত খরচপাতি দেয় না। তাই আমি তার অগোচরে তার সম্পদ থেকে কিছু নেই [যাতে যথেষ্ট হয়]। তিনি বলেনঃ তোমার ও তোমার সন্তানের জন্য যথেষ্ট হইতে পারে ততটুকু ন্যায়সংগতভাবে নিতে পারো। {২২৯৩}

{২২৯৩} সহীহুল বুখারী ২২১১, ২৪৬০, ৫৩৫৯, ৫৩৬৪, ৫৩৭০, ৬৬৪১, ৭১৬১, ৭১৮০, মুসলিম ১৭১৪, নাসায়ী ৫৪২০, আবু দাউদ ৩৫৩২, ৩৫৩৩, ২৩৫৯৭, ২৩৭১১, ২৫১৮৫, ২৫৩৬০, দারেমী ২২৫৯, ইরওয়া ২৬৪৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৯৪. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ স্ত্রী তার স্বামীর মালিকানাভুক্ত মাল থেকে অপচয় না করে খরচ করলে বা আহারের সংস্থান করলে তার জন্য এর সওয়াব লেখা হয়। স্বামীর অনুরূপ সওয়াব হয় উপার্জন করার কারণে, স্ত্রীর সওয়াব হয় খরচ করার কারণে এবং ভাণ্ডার রক্ষকেরও অনুরূপ সওয়াব হয়, এতে তাহাদের কারো সওয়াব থেকে কিছুই হ্রাসপ্রাপ্ত হয় না। {২২৯৪}

{২২৯৪} সহীহুল বুখারী ১৪২৫, ১৪৩৭, ১৪৪০, ১৪৪১, ২০৬৫, মুসলিম ১০২৪, তিরমিজি ৬৭১, ৬৭২, নাসায়ী ২৫৩৯, আবু দাউদ ২৩৬৫১, ২৪১৫৯, ২৫৮৩৮, ইরওয়া ১৪৫৭, সহিহ আবু দাউদ ১৪৭৯, সহিহাহ ৭৩০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৯৫. আবু উমামা আল-বাহিলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ স্ত্রী তার ঘর থেকে স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কিছু খরচ করিবে না। লোকজন বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]! খাদ্যদ্রব্যও নয়? তিনি বলেনঃ তা তো আমাদের সর্বোত্তম সম্পদভুক্ত। {২২৯৫}

{২২৯৫} তিরমিজি ৬৭০, আবু দাউদ ৩৫৬৫, আহমাদ ২১৭৯১, আত-তালীকুর রাগীব ২/৪৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা] ২. শুরাহবীল বিন মুসলিম সম্পর্কে আবু মুহাম্মাদ আল-ফাতায়ানী ও ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ বিন নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭২১,১২/৪৩০ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২/৬৬. অধ্যায়ঃ গোলামের কাউকে কিছু দেয়া এবং দান করার অধিকার প্রসঙ্গে।

২২৯৬. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] গোলামের দাওয়াত কবুল করিতেন। {২২৯৬}

{২২৯৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মুখতাসার শামাইল ২৮৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুসলিম [বিন কায়সান] আল-মুলায়ী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ঈমাম তিরমিযি বলেন, তিনি আমাদের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব বলেন, তিনি গায়র সিকাহ। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৩৯, ২৭/৫৩০ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২৯৭. আবুল লাহ্‌মের মুক্ত দাস উমায়র[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার মনিব আমাকে কিছু দিলে আমি তা থেকে অপরকে খাওয়াতাম। আমার মনিব আমাকে তা করিতে নিষেধ করিলেন বা আমাকে প্রহার করিলেন। আমি নাবী [সাঃআঃ] কে বিষয়টি অবহিত করে বলিলাম, গরীবদের আহার করানো ত্যাগ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এর সওয়াব হলো তোমাদের উভয়ের। {২২৯৭}

{২২৯৭} মুসলিম ১০২৫, নাসায়ী ২৫৩৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/৬৭. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তি কারো গবাদি পশু বা ফলের বাগান অতিক্রম করাকালে তা থেকে কিছু [দুধ বা ফল] নিতে পারবে কিনা?

২২৯৮. আবু বিশর জাফর আবু ইয়াস[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি গুবার গোত্রের আব্বাদ বিন শুরাহবীল[রাদি.] কে বলিতে শুনেছিঃ এক বছর আমাদের এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে আমি মদীনায় চলে এলাম। আমি মদীনার কোন এক ফলের বাগানে পৌঁছে এক ছড়া শস্যবীজ নিয়ে তা থেকে ছিঁড়ে কিছু আহার করলাম এবং কিছু আমার চাদরে বেধে নিলাম। বাগানের মালিক এসে আমাকে মারধর করলো এবং আমার চাদরখানা কেড়ে নিলো। আমি নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি মালিককে বলেনঃ সে তো দুর্ভিক্ষপীড়িত ছিল, কেন তুমি তাঁকে আহার করাওনি? আর সে তো ছিল মূর্খ, কেন তুমি তাঁকে শিখাওনি? অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] বাগানের মালিককে তাহাঁর চাদর ফেরতদানের নির্দেশ দিলে সে তা ফেরত দেয় এবং তিনি তাঁকে এক ওয়াসাক বা অর্ধ ওয়াসাক খাদ্যদ্রব্য প্রদানেরও নির্দেশ দেন। {২২৯৮}

{২২৯৮} আবু দাউদ ২৬২০, আহমাদ ১৭০৬৭, সহিহাহ ২২২৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৯৯. রাফি বিন আমর আল-গিফারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি বালক বয়সে আমাদের খেজুর বাগানে অথবা এক আনসার ব্যক্তির খেজুর বাগানে ঢিল মেরেছিলাম। তিনি আমাকে নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে বলেনঃ হে বালক বা হে বৎস! তুমি খেজুর গাছে ঢিল ছুঁড়েছিলে কেন? রাফে[রাদি.] বলেন, আমি বলিলাম, খেজুর খাওয়ার জন্য। তিনি বলেনঃ তুমি আর কখনো খেজুর গাছে ঢিল মের না, গাছের নিচে যা পড়ে থাকে তা খাও। রাফে[রাদি.] বলেন, অতঃপর তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দুআ করেনঃ হে আল্লাহ! তুমি তার পেটের ক্ষুধা দূর করে দাও। {২২৯৯}

{২২৯৯} তিরমিজি ১২৮৮, আবু দাউদ ২৬২২, আল-হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ৩/৪৪৪, বায়হাকী ফিস সুনান ১/১৯৪, দারাকুতনী ১/৬৯, যইফ আবু দাউদ ৪৫৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ যইফ। ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা] ২. ইবনি আবুল হাকাম আল-গিফারী সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৩০০. আবু সাঈদ খুদরী[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তুমি গবাদিপশুর পালের নিকট পৌঁছে তার রাখালকে উচ্চৈঃস্বরে তিনবার ডাক দিবে। সে তোমার ডাকে সাড়া দিলে তো ভালো, অন্যথায় তুমি তার দুধপান করো, ক্ষতিসাধন না করে। আর তুমি কোন ফলের বাগানে পৌঁছে বাগানের মালিককে তিনবার ডাক দিবে। সে তোমার ডাকে সাড়া দিলে তো ভালো, অন্যথায় তুমি ক্ষতি না করে তা থেকে পেড়ে খাও। {২৩০০}

{২৩০০} আহমাদ ১০৭৭৫, ১১৪০৩, মিশকাত ২৯৫৩, ইরওয়া ২৫২১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩০১. ইবনি উমার[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ কোন বাগানের কাছ দিয়ে যাতায়াতকালে সে ইচ্ছা করলে ফল খাবে, কিন্তু কাপড়ে বেঁধে নিয়ে যাবে না। {২৩০১}

{২৩০১} তিরমিজি ১২৮৭, মিশকাত ২৯৫৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাদিয়্যাহ বিন আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইবনি আবু আসিম বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৫৪, ৩০/১৫৮ নং পৃষ্ঠা] ২. আবু বালজ [ইয়াহইয়া বিন সুলায়ম] সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ঈমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাহাকে দুর্বল বলিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৬৯, ৩৩/১৬২ নং পৃষ্ঠা]সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/৬৮. অধ্যায়ঃ মালিকের অনুমতি ব্যতীত কিছু নেয়া নিষেধ।

২৩০২. আবদুল্লাহ বিন উমার[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন মালিকের অনুমতি ছাড়া তার পশু দোহন না করে। তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করে যে, তার ধনভাণ্ডারে অন্য লোক প্রবেশ করে তার ধনভাণ্ডারের দরজা ভেঙ্গে তার খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যাক? গবাদি পশুর বাঁট তো তাহাদের মালিকের জন্য খাদ্যদ্রব্য সঞ্চিত করে রাখে। তাই তোমাদের কেউ যেন অপরের পশুর দুধ তার অনুমতি ব্যতীত দোহন না করে। {২৩০২}

{২৩০২} সহীহুল বুখারী ২৪৩৫, মুসলিম ১৭২৬, আবু দাউদ ২৬২৩, আহমাদ ৪৪৫৭, ৪৪৯১, মুয়াত্তা মালেক ১৮১২, ইরওয়া ২৫২২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩০৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ[সাঃআঃ] এর সাথে এক সফরে ছিলাম। আমরা কাঁটাযুক্ত গাছের আড়ালে দুগ্ধবতী উষ্ট্রী দেখিতে পেয়ে সেদিকে দ্রুত ছুট দিলাম। রসূলুল্লাহ[সাঃআঃ] আমাদেরকে ডাক দিলেন। আমরা তাহাঁর নিকট ফিরে এলে তিনি বলেনঃ এই উট কোন মুসলিম পরিবারের। এগুলোই তাহাদের খাদ্যের এবং বেঁচে থাকার সংস্থান। এগুলো আল্লাহর পর তাহাদের মালিকানাধীন। তোমার কি ভালো লাগবে যে, তোমরা তোমাদের খাদ্যভাণ্ডারে ফিরে গিয়ে তা খাদ্যশূন্য দেখিতে পাবে? তোমরা কি এটাকে ইনসাফ মনে করো? তারা বলেন, না। তিনি বলেনঃ এটাও তদ্রূপ। আমরা বলিলাম, আপনি কি মনে করেন, যদি খাদ্য ও পানীয়ের অভাব দেখা দেয়? তিনি বলেনঃ এমতাবস্থায় তোমরা খেতে পার কিন্তু সাথে নিয়ে যেতে পারবে না এবং পান করো, কিন্তু সাথে নিয়ে যেতে পারবে না। {২৩০৩}

{২৩০৩} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ফিস সুনান ১০/১৩৪, আল-হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৪/৯৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাইল বিন বিশর বিন মানসুর সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৭, ৩/৪৯ নং পৃষ্ঠা] ২. হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাহাকে দুর্বল বলিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ তাহাকে দুর্বল বলিয়াছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা] ৩. সালীত বিন আবদুল্লাহ আত-তুহাবী সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি কে তার সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। ঈমাম বুখারী বলেন, সনদটি অপরিচিত। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৪৮১, ১১/৩৩৭ নং পৃষ্ঠা] ৪. যুহায়ল বিন আওফ বিন শাম্মাখ আত-তুহাবী সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২/৬৯. অধ্যায়ঃ গবাদি পশু পালন

২৩০৪. উম্মু হানী[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে বলেনঃ তুমি ছাগল-ভেড়া পালো। কারন তাতে বরকত রয়েছে। {২৩০৪}

{২৩০৪} আহমাদ ২৬৮৩৫, সহিহাহ ৭৭৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩০৫. উরওয়াহ আল-বারিকী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উরওয়াহ আল-বারিকী [রাদি.] থেকে মারফূ হাদিসরূপে বর্ণিত। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ উট তার মালিকের জন্য গৌরবের ধন, ছাগল-ভেড়া হলো বরকতপূর্ণ সম্পত্তি এবং কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে কল্যাণ যুক্ত রয়েছে। {২৩০৫}

{২৩০৫} মাজাহ ২৭৮৬, সহীহুল বুখারী ২৮৫০, ২৮৫২, ৩১১৯, মুসলিম ১৮৭৩, তিরমিজি ১৬৯৪, নাসায়ী ৩৫৭৪, ৩০৭৫, ৩৫৭৬, ৩৫৭৭, ১৮৮৬৫, ১৮৮৬৯, দারেমী ২৪২৬, ২৪২৭, সহিহাহ ১৭৬৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩০৬. ইবনি উমার[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ[সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ বকরী বেহেশতের প্রানীকুলের অন্তর্ভুক্ত। {২৩০৬}

{২৩০৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ফিস সুনান ১০/১১৭, আল-হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৪/৯০, সহিহাহ ১১২৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হারামী বিন উমারাহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১৬৯, ৫/৫৫৬ নং পৃষ্ঠা] ২. যারবী সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি মুনকার। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ঈমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৯৮৩, ৯/৩৪৬ নং পৃষ্ঠা] উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু যারাবী এর কারণে সনদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি জাল, ৫ টি খুবই দুর্বল, ৭ টি দুর্বল, ২ টি হাসান হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুজামুল আওসাত ৫৩৪৬।সম্পদের হক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩০৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ধনীদেরকে ছাগল-ভেড়া পালতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং দরিদ্রদেরকে মুরগী পালতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলিয়াছেনঃ ধনীরা মুরগী পালন করলে আল্লাহ তা-আলা সেই জনপদ ধ্বংস করার অনুমতি দেন। {২৩০৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ বানোয়াট।২৩০৭} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ১১৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী ১. উসমান বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি দুর্বল। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম বুখারী বলেন, তিনি দুর্বলদের থেকে হাদিস বর্ণনা করেন। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৩৮, ১৯/৪২৮ নং পৃষ্ঠা] ২. আলী বিন উরওয়াহ সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইবনি আসিম বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা নেই। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১০৮, ২১/৬৯ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ জাল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply